‘এখন প্রযুক্তির যুগ। এটা মাথায় রেখে সরকার সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণে তথ্য প্রযুক্তিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছে,’ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০১৯ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাবাহিনীকে স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাহিনীকে প্রযুক্তিগত জ্ঞানে উন্নত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং যথাযথভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব সকলের।
‘আসুন, সকলে মিলে আমরা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলি,’ বলেন তিনি।
‘সততাই শক্তি,’ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন কর্মকর্তাদের সর্বদা এ কথা মনে রাখতে বলেন। ‘আপনাকে নিজের দেশকে ভালবাসতে হবে। দেশের সম্মান যেন সবসময় সুউচ্চ থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সাথে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে কাজ করতে হয়।
‘বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী দক্ষতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে প্রশংসা অর্জন করছে,’ বলেন তিনি।
জাতির পিতার প্রতিরক্ষা নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার সেই নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে এবং সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, শক্তিশালী এবং দক্ষ বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে।
‘ফোর্সেস গোলের অধীনে নতুর নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেট, ইউনিটসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
প্রশিক্ষণ কোর্সে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য প্রধানমন্ত্রী ব্যাটালিয়ন সিনিয়র অফিসার সাবির নেওয়াজ শাওনকে ‘সোর্ড অব অনার’ এবং কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার মো. বরকত হোসেনকে ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ প্রদান করেন।