দুই পক্ষের সংঘর্ষ
সংঘর্ষের পর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে উত্তেজনা, নিহত ২
দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং অন্যান্য বাহিনীর একটি বড় চৌকস দল নিয়মিত পুলিশসহ টহল দিচ্ছে বলে ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন ইউএনবির জেলা প্রতিনিধি।
বিজিবি সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও সেখানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাওলানা সাদের অনুসারীরা মাঠের ভেতরে রয়েছেন এবং মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা বাইরে অবস্থান করছেন।
এদিকে আজ (বুধবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে দুই পক্ষকে মাঠ খালি করতে বলা হয় এবং তারা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে রাজি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জুবায়ের ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং সাদ ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সরকার সাদ অনুসারীদেরকে প্রথম দফা আয়োজনের অনুমতি দিলেও বিরোধী দলটি এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। এরপর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য 'জোড় ইজতেমা'র প্রস্তুতিতে সাদের অনুসারীরা মাঠে ঢুকতে শুরু করেন।
কিন্তু তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে রাত ৩টার দিকে জুবায়েরের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
জবাবে, সাদ সমর্থকরা মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করে একটি পাল্টা আক্রমণ শুরু করে, যার ফলে একটি ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে দু'জন মারা যায় এবং অসংখ্য আহত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাদের সমর্থকরা মাঠে ঢুকলে ইজতেমা এলাকায় অবস্থানরত পুলিশ সরে গিয়ে পূর্ব দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমা ৩১ জানুয়ারি
৪ দিন আগে
ফুটবল খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ১২
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল দিকে সিরাজদিখানের চরপানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজদিখানে ২ দলের সংঘর্ষে ৯ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ২০ জন আহত
আহত জাকির হোসেন (৪২), পিয়ার হোসেন (৩৫) ও সিয়াম হোসেনকে (২৮) গুরুতর অবস্থায় ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সিরাজদিখানের চরপানিয়া গ্রামে ফুটবল খেলার বিরোধে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় ৩টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ফুটবল খেলার বিরোধে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা। ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।
বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ ১, আটক ৩
২ মাস আগে
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
কক্সবাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
উখিয়ার ১৪ এবং ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনভর দুই পক্ষের এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
গুলিবিদ্ধরা হলেন- উখিয়ার পালংখালীর মোহাম্মদ বেলাল (৩৯), উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেন ডি-৭ ব্লকের বাসিন্দা ওমর ফারুক (৩০), একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৩ ব্লকের বাসিন্দা মো. ইউনুস (২৫), উখিয়ার ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা আবদুল্লাহ (১৮) ও একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হামিদা (৫০)।
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে কে বা কারা গুলি করেছে সেটি জানা যায়নি।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় বাংলাদেশি একজন আহত হয়েছেন।
তাছাড়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাসকারীরা বেশ আতঙ্কে আছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গোলাগুলির কারণে আতঙ্কিত স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছে। তাছাড়া তারা ঘর থেকে জরুরি কাজ ছাড়া বের হচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ২
২ মাস আগে
নাটোরে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ২
ঠিকাদারি কাজের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে নাটোর পৌরসভা চত্বরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে শিশির (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে হাসানুর রহমান হাসু নামে অপর একজন।
এ সময় আটক করা হয়েছে ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরো ও আহত হাসুকে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নাটোর পৌর কার্যালয় চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, পুরোনো একটি ঠিকাদারি কাজের টাকার ভাগ নিয়ে ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান হিরোর সঙ্গে বিরোধ চলছিল একই ওয়ার্ডের যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রহমান হাসুর। এ নিয়ে দুপুরে পৌর কার্যালয় চত্বরে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাসু ও হিরোর সমর্থক শিশির একে অপরের ওপর হামলা চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় উভয়রকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শিশিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এটিকে দুঃখজনক ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি।
এর আগে তিনি বিষয়টি মিমাংসা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলেও জানান।
৮ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
বিস্ফোরণ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সদর মডেল থানার দু’জন উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন।
এসব মামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম জানান, দায়ের করা দুইটি মামলার একটিতে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৩০-১৫০জনকে আসামি করা হয়েছে। অপর মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে মসজিদে সংঘর্ষ, নিহত ১
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রদলের সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশেষ সহকারী আব্দুর রহমান সানির বড় ভাই কবির আহমেদ ভূঁইয়ার অনুসারী শাহীনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়।
নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর, সদস্য সচিব সমীর, যুগ্ম আহ্বায়ক এলভিন লস্কর ও আব্দুল গাফফার রিমন শুক্রবার সকালে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. ভিপি শামিমের কান্দিপাড়ার বাসায় যান। সেখানে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা দেওয়া হচ্ছে বলে জানতে পারেন পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এই খবরে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়কের কান্দিপাড়ার বাড়িতে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের এসআই’র বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এ সময় আবু শামীমের বাড়ির পেছন দিয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যরা পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
একই দিন বিকালে জেলা শহরের টিএ রোড ও পাওয়ার হাউস রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে তারা কান্দিপাড়ায় জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালায়।
এরপর দিন শনিবার রাতে শহরের কান্দিপাড়ায় সদ্য ঘোষিত ছাত্রদলের কমিটির নেতারা পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নেয়। এই খবরের পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উল্টো তাদের উপর হামলা করে। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় অর্ধশত রাউন্ড গুলি বিনিময় হয় ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারী-পুরুষসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ জন জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- হরিপুর ইউনিয়নের কান্তিনগর এলাকার আবুল খায়েরের পুত্র ওমর আলী ও একই এলাকার শুকলাল বিশ্বাসের ছেলে মিরাজ হোসেন (৪৫)। এ ঘটনায় আহত দুই নারীসহ আটজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহ-কান্তিনগর ভুত পাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন দুইজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হরিপুরে বোয়ালদহ মেছোপাড়া ভূত মোড়ে নিহত ওমর আলীর এক আত্মীয়ের দোকানে ক্যারাম বোর্ডের নামে অর্থ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলা চলে আসছিল।
কান্তিনগর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বাবু আহমেদ সন্ধ্যায় সেখানে উপস্থিত হয়ে এসব জুয়া খেলা বন্ধ করতে বলে। এ নিয়ে বাক-বিতন্ডার জেরে এ সময় বাবুকে মারপিট করে ওমর আলীর লোকজন। পরে বাবু আহমেদ ও নিহত মিরাজ হোসেনসহ অন্যরা এসে ক্যারাম খেলার ঘরে আক্রমণ করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ওমর আলী ও মিরাজ নিহত হন।
ওসি শাহাদত হোসেন বলেন, ‘জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় নিহত মিরাজ ও ওমর আলী নামে দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন যে সংঘর্ষে হতাহতের গঠনায় উভয় পক্ষের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষ যাতে আর না হয় সেজন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
১ বছর আগে
চাঁদপুরে যুবদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষে অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকালে ইউনিয়নের বহরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন-লোকমান গাজী, মুকসুদ, হাবিব খান, সোবাহান বেপারী, সাদা সুমন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
জানা যায়, খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা ও পুরান বাজার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ঘটনার পর ইউনিয়ন যুবদলের শত শত বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী ঘোষিত যুবদলের কমিটি বাতিল এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
তারা অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে এ কমিটি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব ও নব-ঘোষিত সেক্রেটারি নূর মোহাম্মাদ বেপারী জানান, শুক্রবার বিকালে আমাদের বহুল প্রতিক্ষিত ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলন ছিল। সম্মেলনটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরু ভূঁইয়ার বাড়িতে হয়। আমাদের সদর থানা বিএনপি এবং যুবদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আমাকে সভাপতি এবং নুরু ইসলাম পাটোয়ারীকে সেক্রেটারি ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও জানান, হঠাৎ করে তারা অদৃশ্য কারণে পাঁচ মিনিটের সময় চেয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে অন্যত্র যান। ফিরে এসে তারা দ্বিতীয় দফায় যে কমিটি ঘোষণা করেন, তাতে আমাকে সেক্রেটারি এবং নুরু ইসলাম পাটোয়ারীকে সভাপতি করা হয়।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরু ভূঁইয়া নিজে আমাদের যুবদলের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করেছেন। আমাদের ১০/১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হয়ে কি করে যুবদলের নেতা-কর্মীদের গায়ে হাত তোলেন। তারা টাকার বিনিময়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে কমিটি পাল্টে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই কমিটি বাতিল এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের বহিষ্কারের দাবি করছি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও নব-ঘোষিত সভাপতি নুরু ইসলাম পাটোয়ারি বলেন, আমি সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। আমাদের আহ্বায়ক দাদন খানকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। আজকে সাংগঠনিক নিয়মে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আমাকে সভাপতি এবং সদস্য সচিব নূর মোহাম্মাদ বেপারীকে সাধারণ সস্পাদক করা হয়েছে। কিন্তু নূর মোহাম্মাদ বেপারী হট্টগোল করেন।
তিনি আরও বলেন, তার নেতৃত্বে যে বিশৃঙ্খলা করা হয় তাতে আমরা বিব্রত। আমি সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশা করছি সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
১ বছর আগে
হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুশিয়ারতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও দুই রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই উপজেলার কুশিয়ারতলা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি মেম্বার আজম আলী এবং কাছম আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন বিকালে তাদের বিরোধ মীমাংসায় সালিশ বৈঠক বসে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, গ্রেপ্তার ৪
তখন গ্রামের সম্পত্তির আয়ের হিসাব নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর মিয়া (২৫) নামে এক যুবক প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হন। তাদেরকে সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রাম্য আধিপত্য নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, গ্রেপ্তার ৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নারিকেল গাছের ডাব খাওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে দুই পক্ষ হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় দুইটি মামলায় ৪৪ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছে আরও ২০ থেকে ৩০ জন।
অপরদিকে মামলায় গত রবিবার আটক উভয়পক্ষের চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারো হলেন- উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাদপুর গ্রামের মো. সজল (২০), মো. ওবাইদুল বিশ্বাস (৩৫), মো. বিপ্লব (২৮) ও মো. আলামিন ওরফে আমিন (৩০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যদুবয়রা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ আলী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আকাশ রেজার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। আগামী ৯ এপ্রিল উত্তর চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন:ফটিকছড়িতে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী খুন, গ্রেপ্তার ২
ইতোমধ্যে উভয়পক্ষের ১৩ জন সমর্থক নির্বাচনের মনোয়ানপত্র জমাও দিয়েছেন।
গত শনিবার দুপুরে ওই এলাকার মোল্লাপাড়ার নির্মাণাধীন সড়কের একটি নারিকেল গাছের ডাব খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় উত্তর চাঁদপুর বাজারে যুবলীগ নেতা সবুজ ও ছাত্রলীগ নেতা আকাশ রেজার কার্যালয়ে হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা।
এসব ঘটনার জেরে গত রবিবার উভয়পক্ষের মধ্যে ফের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় উভয়পক্ষের চারজনকে আটক করে পুলিশ।
আরও জানা গেছে, সোমবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা তৌহিদুল ইসলামের চাচা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে হামলা ও ভাঙচুর মামলা করেন। মামলায় ২৩ জনকে আসামি করেন তিনি।
এমামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০/১৫ জনকে।
এরপর একই সময়ে ছাত্রলীগ নেতা আকাশ রেজা বাদী হয়ে তার আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর ও সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগে থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় ২১ জনকে আসামি করেন তিনি। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০/১২ জনকে।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গ্রেপ্তার চারজনকে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এবিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আকাশ রেজা বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষরা তার কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে, বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলেছেন এবং সমর্থকদের আহত করেছে। তিনি সুষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছেন। তিনি আর মারামারি চান না।’
আওয়ামী লীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তার ভাই বাদি হয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন।’
তিনিও আর মারামারি চান না, গ্রামে শান্তিতে বসবাস করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন হোসাইন বলেন, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন। মামলায় পূর্বে আটককৃত চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: খুলনা আ. লীগ নেতা হত্যা: ৩১ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামে ২৪টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ, গ্রেপ্তার ৪
১ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মামলা করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, পানিশ্বর ইউনিয়নের বড়ইবাড়ি গ্রামের হারিজ মিয়া গোষ্ঠী ও সোলেমান মিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সোলেমান মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজন হারিজ মিয়ার গোষ্ঠীর জালাল নামে একজনের হাত ভেঙে দেয়।
আরও পড়ুন: ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ মোতায়েন
এ ঘটনার পর আহত জালাল শুক্রবার সরাইল থানায় মামলা করতে যায়। এ নিয়ে সোলেমানের গোষ্ঠীর লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে হারিজের গোষ্ঠীর লোকজনের ওপর হামলা চালালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
এছাড়া পরবর্তী বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ: ভিডিও অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
১ বছর আগে