দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং অন্যান্য বাহিনীর একটি বড় চৌকস দল নিয়মিত পুলিশসহ টহল দিচ্ছে বলে ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন ইউএনবির জেলা প্রতিনিধি।
বিজিবি সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও সেখানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাওলানা সাদের অনুসারীরা মাঠের ভেতরে রয়েছেন এবং মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা বাইরে অবস্থান করছেন।
এদিকে আজ (বুধবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে দুই পক্ষকে মাঠ খালি করতে বলা হয় এবং তারা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে রাজি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জুবায়ের ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং সাদ ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সরকার সাদ অনুসারীদেরকে প্রথম দফা আয়োজনের অনুমতি দিলেও বিরোধী দলটি এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। এরপর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য 'জোড় ইজতেমা'র প্রস্তুতিতে সাদের অনুসারীরা মাঠে ঢুকতে শুরু করেন।
কিন্তু তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে রাত ৩টার দিকে জুবায়েরের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
জবাবে, সাদ সমর্থকরা মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করে একটি পাল্টা আক্রমণ শুরু করে, যার ফলে একটি ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে দু'জন মারা যায় এবং অসংখ্য আহত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাদের সমর্থকরা মাঠে ঢুকলে ইজতেমা এলাকায় অবস্থানরত পুলিশ সরে গিয়ে পূর্ব দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমা ৩১ জানুয়ারি