বৈসাবি
রাঙ্গামাটিতে বৈসাবি উপলক্ষে শোভাযাত্রা
রাঙ্গামাটিতে বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু ও সাংক্রান উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে উৎসবের উদ্বোধন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান।
পরে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু ও সাংক্রান উৎসবের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় প্রধান অতিথি হিসেবে ও সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার ছিলেন। এ ছাড়া সাবেক সচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, সুস্মিতা চাকমা, আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার বক্তব্য রাখেন।
বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু ও সাংক্রান উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রায় রাঙ্গামাটির চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, রাখাইন ও গুর্খা সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ও সাজগোজ করে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
আগামী ১২ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৬ এপ্রিল শেষ হবে পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বড় উৎসব বৈসাবির অনুষ্ঠানিকতা।
৬ মাস আগে
নদীতে ফুল উৎসর্গের মধ্যদিয়ে পাহাড়ে ‘বৈসাবি’ উৎসব শুরু
পুরনো বছরকে বিদায় ও বাংলা নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু তথা বৈসাবি উৎসব শুরু হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব ‘বৈসাবি’কে স্বাগত জানিয়ে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
২ বছর আগে
রাঙামাটিতে ৫ দিনব্যাপী বৈসাবি মেলা আয়োজন
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক-সাংগ্রাই-বিজু- বিষু (যা বৈসাবি নামেই বেশি পরিচিত) উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপি মেলা ও উৎসব শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকালে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তন প্রাঙ্গনে যৌথভাবে বৈসাবি মেলার উদ্বোধন করেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেড কমান্ডার ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড ব্রি, জে, মোহাম্মদ ইমতাজ উদ্দিন, এনডিসি, পিএসসি, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক রেমলিয়না পাংখোয়া।
আরও পড়ুন: বড়দিন: রাঙামাটির খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
২ বছর আগে
করোনায় হচ্ছে না এবারের বৈসাবি উৎসব, পাহাড়ে নেই কোনো আনুষ্ঠানিকতা
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার পাহাড়ের প্রধান ও সামাজিক উৎসব বৈসাবি পালন করা হচ্ছে না।
মহামারির কারণে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক, বিষু, বিহু ও বাংলা নববর্ষ-২০২১ উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে এসব অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।
আগামী ১২ এপ্রিল পাহাড়ের বৈসাবি উৎসবের প্রথম দিন। আর আগামী ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিনকে বলা হয় ‘ফুল বিজু’।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে বৈসাবি উৎসব শুরু
উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে সেই ফুল দিয়ে ঘর সাজায় ও মা গঙ্গার উদ্দেশে নদীতে ফুল ভাসায়। কিন্তু এবার মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কোথাও কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই।
বিজু, বৈসু, সাংগ্রাইং, বিষু-২০২১ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি চাকমা বলেন, ‘দেশব্যাপী করোনা মহামারির কারণে সরকারি নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের সব অনুষ্ঠান স্থগিত রাখছি। জনসমাবেশ হবে এমন অনুষ্ঠান বাদ দেয়া হয়েছে। তবে প্রকাশনা বের করা হবে।’
আরও পড়ুন: মুজিব শতবর্ষ: গাইবান্ধায় বিশ্বের ‘দীর্ঘতম’ আলপনা উৎসব
ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুরেশ ত্রিপুরা বলেন, ‘সরকারি নিদের্শনার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মা গঙ্গার উদ্দেশে নদীতে ফুল ভাসানোসহ সব ধরনের অনুষ্ঠান স্থগিত করেছি। গত বছরের ন্যায় এ বছরও কোনো উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে করা হবে না।’
বৈসাবির উৎসবকে কেন্দ্র করে এই দিনটিকে ঘিরে আনন্দ উৎসবে মেতে থাকে পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। সরকারের নির্দেশনা মানতে ও নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বৈসাবি উৎসব থেকে বিরত রয়েছেন পাহাড়ের মানুষ। বেঁচে থাকলে আগামী বছর এই বিজু উৎসব আনন্দ ঘন পরিবেশে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন পাহাড়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে ভিন্ন আঙ্গিকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
আর বৈশ্বিক এই মহামারি থেকে বিশ্ব সুস্থ হয়ে আগামী বছর বৈসাবি উৎসব আরও আনন্দঘন পরিবেশে পালন করতে পারে তার জন্য পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ যার যার অবস্থান থেকে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা জানাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে বসবাসরত ১৩ নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক, বিষু, বিহু, জল উৎসব ও বাংলা নববর্ষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। এ উৎসব পাহাড়ের সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর ৯ এপ্রিল থেকে উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে র্যালিসহ বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৩ বছর আগে