ডায়রিয়া
ফেনীতে ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি, তাঁবুতে চলছে শিশুদের চিকিৎসা
ফেনীতে ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে ইউনিসেফের উদ্যোগে স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী তাঁবু। তাঁবুতে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গত ১ অক্টোবর থেকে ২০ শয্যার ওই তাঁবুতে এ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়।
শনিবার (১২ অক্টোবর) থেকে রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুইদিনে প্রায় ৫২ জন শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২০ শয্যার তাঁবুতে স্থাপিত ওয়ার্ডে ১৮ শিশু ভর্তি রয়েছে।
প্রতিটি শয্যার পাশেই একটি করে স্ট্যান্ড ফ্যান, একটি করে স্যালাইন স্ট্যান্ড ও একটি করে রোগীদের ওষুধ রাখার ছোট ক্যাবিনেট রয়েছে।
এসময় কথা হয় ১০ মাস বয়সি মেয়ে সাফওয়ানকে নিয়ে আসা আলাউদ্দিনের সঙ্গে। শুক্রবার সকালে মেয়েকে ভর্তি করেছেন।
তিনি বলেন, মেয়ের অবস্থা এখন অনেকটা উন্নতির দিকে। তাঁবু হলেও এখানে খুব সুন্দর পরিবেশে রোগীদের চিকিৎসা চলছে।
মিজানুর রহমান নামে আরেকজন অভিভাবক বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার এক বছর বয়সি ছেলে আবদুল্যাহকে ভর্তি করেন। এরইমধ্যে সে সুস্থ হয়ে উঠেছে। হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে স্যালাইনসহ ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বন্যার পর থেকে ডায়রিয়া পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। বন্যার পানিতে ফেনী সদর হাসপাতালের নিচ তলা ৩ থেকে ৪ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হয়।
শিশু থেকে বৃদ্ধ অনেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভিড় জমান। দিনে গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। অনেক রোগীকে হাসপাতালের বারান্দা ছাড়াও বাইরে গাছের নিচে বসেও চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়। এরপর ইউনিসেফের পক্ষ থেকে তাঁবু স্থাপন করে ডায়রিয়া রোগীদের জন্য ২০ শয্যার একটি ওয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু করে।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আসিফ ইকবাল বলেন, হাসপাতালটিতে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের জন্য শয্যা বরাদ্দ মাত্র ১৮টি। অথচ ভর্তি করতে বা চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে শতাধিক রোগীকে। ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের জন্যই নতুন ওয়ার্ডটি চালু করা হয়েছে। এখনও প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। তবে অক্টোবরে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীর হার কিছুটা কম রয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপপরিচালক) আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, ইউনিসেফের সহায়তায় স্থাপিত তাঁবুতে শিশুদের জন্য আলাদাভাবে ২০ শয্যার একটি ওয়ার্ড চালু করা অত্যন্ত সময় উপযোগী হয়েছে। যদিও হাসপাতালে চিকিৎসক ও সেবিকা স্বল্পতা রয়েছে তবুও এ পৃথক ওয়ার্ডে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন গড়ে ফেনী সদর হাসপাতালে শিশুসহ শতাধিক ডায়রিয়া রোগী ভর্তি থাকেন। ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এ তাঁবুটি এখানে থেকে যাবে। তাঁবুতে ইপিআই ক্যাম্পসহ বিভিন্ন রকম সেবা কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া বিশেষ জরুরি সেবাও সেখানে দেওয়া হবে।
১ মাস আগে
সাজেকের তিনটি গ্রামে ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত শতাধিক
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম বেটলিং মৌজার তিনটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া ও জ্বর।
এতে করে অরুণ পাড়া, তারুম পাড়া ও নিউথাংনাং পাড়ায় প্রায় শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ডায়রিয়ায় প্রাণ গেল ২ জনের, আক্রান্ত শতাধিক
স্থানীয়রা জানান, দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা না নিলে অবস্থা খারাপের দিকে যাবে। গত এক সপ্তাহ ধরে এসব এলাকার মানুষ জ্বর, কাশি, রক্ত বমি ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এছাড়া আশপাশে কোথাও কমিউনিটি ক্লিনিক বা চিকিৎসা কেন্দ্র নেই। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এসব গ্রামে দ্রুত পৌঁছানো যাচ্ছে না মেডিকেল টিম ও চিকিৎসা সরঞ্জাম।
তারা আরও জানান, গ্রামগুলোতে দ্রুত মেডিকেল টিম পাঠানো না গেলে আক্রান্তদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে যাবে। তাই দ্রুত টিম পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা. নুয়েন খিসা বলেন, ডায়রিয়ার কারণে নয় বরং জ্বরের কারণে হয়ত কিছুটা দুর্বল হয়ে গেছে। সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মী ও ব্র্যাকের একটি টিম কাজ শুরু করেছে। প্রয়োজনে আরও মেডিকেল টিম পাঠানো হবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার বলেন, এলাকাটি খুবই দুর্গম। সেখানে কোনো বিশুদ্ধ পানির উৎস নেই। তাই বর্ষা মৌসুমে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, সেখানে যাওয়ার জন্য কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। দ্রুত মেডিকেল টিম পাঠাতে হলে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সাহায্য প্রয়োজন। বিষয়টি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ, গত ২০১৬ ও ২০২০ সালে সাজেকের এসব গ্রামে ডায়রিয়া ও হামে আক্রান্ত হয়ে ৯ শিশুসহ ১৫ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ৬২ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি
জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ, এক সপ্তাহে ৫৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি
৫ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে ডায়রিয়ায় প্রাণ গেল ২ জনের, আক্রান্ত শতাধিক
সিরাজগঞ্জে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পান করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন গয়লা ও একডালা মহল্লার ভুক্তভোগীরা। আক্রান্তরা সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সাজেকে ডায়রিয়ায় নারীর মৃত্যু, মুমূর্ষু আরও অর্ধশতাধিক
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পৌর এলাকার গয়লা ও একডালা মহল্লার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গত বুধবার তারেক (৬৫) নামে এক ব্যক্তি ও গত মঙ্গলবার পাপিয়া (৫০) নামে এক নারী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাজ উদ্দীন শেখ ডায়রিয়ায় দুজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, এখানে ডায়রিয়ার ব্যাপক প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে পৌরসভার সরবরাহ করা পানিতে নয়, টিউবওয়েলের পানি পান করে এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম জানান, গয়লা ও একডালা মহল্লার মানুষ পৌরসভার সাপ্লাইয়ের পানি পান করেন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে হঠাৎ করেই এলাকার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে শুরু করে। দুই সপ্তাহে অন্তত অর্ধ শতাধিক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নিজেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) রবিউল কবির বলেন, সাপ্লাইয়ের পানি নাকি টিউবওয়েলের পানি পান করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন সেটি এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ আমাদের সাপ্লাইয়ের পানি শহরের ২৫ হাজার মানুষ পান করেন। অন্য কোথাও এমন সমস্যা দেখা দেয়নি।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে রিপোর্ট চলে আসবে।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. রতন কুমার জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৮ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে গয়লা, একডালা, ধানবান্ধি, সয়াধানগড়া মহল্লারই বেশি। সব মিলিয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১২ জন।
আরও পড়ুন: সাজেকে ডায়রিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের ১৫ উপেজলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি
১ বছর আগে
সাজেকে ডায়রিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম লংথিয়ান পাড়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিহত বাহন ত্রিপুরা (৫৫) ও মেলাতি ত্রিপুরা (৫০) দম্পতির বাড়ি সাজেকের বেটলিংয়ে।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম লংথিয়ান পাড়ায় ১০ দিনের ব্যবধানে এনিয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাজেকে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া লংথিয়ান পাড়ায় ও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ আরও প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাজেকে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ১, আহত ১
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাহন ত্রিপুরা ও মেলাতি ত্রিপুরা তারা নতুন বেটলিং পাড়ার বাসিন্দা। তাদের মেয়ের শ্বশুরবাড়ি লংথিয়ান পাড়ায়। সেখানে তাদের মেয়ে ও মেয়ের জামাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তাদের দেখতে যান। এক পর্যায়ে তারাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। মেয়ের বাড়িতেই শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তারা মারা যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার বনবিহারী চাকমা।
তিনি বলেন, তারা দুইজন মেয়ে ও মেয়ের জামাই অসুস্থ শুনে দেখতে আসেন। পরে তারাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাতে মারা যান।
তিনি আরও জানান, এলাকায় আশপাশে কোন হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকায় স্থানীয় তান্ত্রিক দ্বারা চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
এছাড়া এলাকায় যাতায়াতের কোন সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা না থাকায় পায়ে হেঁটে এতদূর থেকে মাচালং ও উপজেলা সদর হাসপাতালে রোগী পাঠানো সম্ভব নয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার ডায়রিয়ায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাতে দুর্গম লংথিয়ান পাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, সাজেকের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যাবস্থা নেই, পাহাড়ি ছড়ার পানি পান করায় বর্ষার শুরুতে এই সমস্যা দেখা দেয় প্রতিবছর। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় চেষ্টা করছি সাজেকের দুর্গম অঞ্চলে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা দূর করতে।
এছাড়া সাজেকে ডায়রিয়া প্রতিরোধে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের সাহায্যে সেনাবাহিনী বিজিবি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ সম্মিলিত চিকিৎসা সহায়তা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার স্যালাইন পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাজেকে ডায়রিয়ায় নারীর মৃত্যু, মুমূর্ষু আরও অর্ধশতাধিক
সাজেকে চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পর্যটকের মৃত্যু
১ বছর আগে
সাজেকে ডায়রিয়ায় নারীর মৃত্যু, মুমূর্ষু আরও অর্ধশতাধিক
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৭ জুন) ভোররাতে উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়াডের দুর্গম লংথিয়ান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া লংথিয়ান পাড়া ও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে নারী-শিশু ও বৃদ্ধসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আরও অর্ধশতাধিক মানুষ মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পা পিছলে জাম গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
নিহত গবতি বালা ত্রিপুরা (৫০) ওই এলাকার বাসিন্দা।
সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার বনবিহারী চাকমা গবতি বালা ত্রিপুরার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তিনি জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে সাজেকের লংথিয়ান পাড়া, অরুণ পাড়া, কাইজা পাড়া, রায়না পাড়া ও শিয়ালদহ এলাকাসহ আশপাশের বেশকিছু এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এলাকায় আশপাশে কোনো হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকায় স্থানীয়রা তান্ত্রিকের থেকে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় যাতায়াতের কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায়, পায়ে হেঁটে এতদূর থেকে মাচালং ও উপজেলা সদর হাসপাতালে রোগী পাঠানোও সম্ভব নয়। হেলিকপ্টারে সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় যদি মেডিকেল টিম পাঠানো যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হবে, না হয় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা ও কোলে থাকা মেয়ের মৃত্যু
১ বছর আগে
উলিপুরে ডায়রিয়ায় কিশোরের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া ভবেশ টারিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সোহেল মিয়া (১৪) উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া ভবেশ টারিপাড়া গ্রামের ফরিদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে অতিরিক্ত মদপানে কিশোরের মৃত্যু
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় সোহেল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে পরিবারের কাউকে জানায়নি। পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্বজনরা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেশকাতুল আবেদ বলেন, শিশুটির ফুড পয়জনিং হয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মারা গেছে।
প্রসঙ্গত, প্রচণ্ড দাবদাহে উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দিসহ নানা রোগের প্রার্দুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে সিংহভাগ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে সৎ মায়ের ছোড়া গরম পানিতে কিশোরের মৃত্যু!
লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
১ বছর আগে
বন্যা: দোয়ারাবাজারে কমেছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নরসিংপুর, বাংলাবাজার, লক্ষীপুর ইউনিয়নসহ উঁচু এলাকার অধিকাংশ বাড়িঘর থেকে পানি নামলেও বাকি ৬ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ বাড়িঘর থেকে এখনও পানি সরেনি।
কিছু এলাকায় পানি কমলেও বাড়ছে দুর্ভোগ। জ্বালানি ও খাদ্য সংকট, ডায়রিয়া, চর্মরোগ ও পানিবাহিত বিভিন্ন রোগব্যাধিসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন বিশেষত নিম্নাঞ্চলের বন্যার্ত পরিবারগুলো।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় চিলাই, খাসিয়ামারা ও চেলা নদীর বেড়িবাঁধ কাম সড়কের শতাধিক স্থানে ভাঙন ছাড়াও উপজেলার সবকটি পাকা ও কাঁচা সড়কজুড়ে ভাঙনসহ ধসে গেছে অনেক ব্রিজ-কালভার্ট। ফলে অফিসপাড়াসহ জেলা ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন পেশাদার মানুষজন।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনগুলো বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণসহ নানাভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। তবে বেসরকারি ত্রাণের তুলনায় সরকারি ত্রাণ অপ্রতুল বলে মন্তব্য করেছেন ভুক্তভোগীরা।
পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ, বন্যা পরবর্তী গৃহ ও কৃষি পূনর্বাসনের জন্য বকেয়া কৃষিঋণ মওকুফ করে বিনা সুদে চাহিদামাফিক ঋণ বিতরণে স্থানীয় এমপি মুহিবুর রহমান মানিকসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, পানি দ্রুত কমছে, তবে পুরো উপজেলাজুড়ে পরপর তিনদফা আগ্রাসি বন্যায় সৃষ্ট ভাঙনে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভর্টি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতে সর্বক্ষেত্রে দুর্ভোগ ছড়িয়ে পড়ছে। তবে বন্যা দুর্গত এলাকায় সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরাও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় লণ্ডভণ্ড সিলেট-ছাতক রেলপথ
২ বছর আগে
সিলেটে ২৪ ঘন্টায় আরও ৪০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত
সিলেটে গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়ায় আরও ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে গত দুই সপ্তাহে সিলেট নগরী ও জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৫৯ জনে।
সোমবার সকালে সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন (ডিসিএস) ডা. জন্মেজয় দত্ত এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগের দিনের তুলনায় গেল ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
বন্যার্ত লোকজনকে পানি পানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের তাগিদ দেন তিনি। লোকজনকে বিশুদ্ধ পানি কিংবা ফুটিয়ে পানি পান করার পরামর্শ তার। পাশাপাশি স্বাভাবিক স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপরও জোর দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মে থেকে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। তবে, বর্তমানে পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ডায়রিয়া দেখা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্যা শেষে সিলেটে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে
মেহেরপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
২ বছর আগে
বন্যা শেষে সিলেটে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির পর সিলেট ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ডায়রিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চর্মরোগসহ নানা পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা।
সিভিল সার্জন সিলেট অফিস সূত্র জানায়, সিলেটে ১৭ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত সিলেটে ৪০০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া চর্মরোগ ও শ্বাসতন্ত্র জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৫০ জন। দিন দিন পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
সূত্র জানায়, কয়েকদিনে সিলেটে ডায়রিয়ার প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। গত ১৭ মে থেকে ২২ মে রবিবার পর্যন্ত ১১৪ জন ডায়রিয়ার রোগী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ৩ দিনে তা ৫৫০ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলায় ১৪০টি এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে তিনটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে সর্বোচ্চ ১৬টি করে মেডিকেল টিম রয়েছে। এছাড়া কানাইঘাটে ১২, জৈন্তাপুরে ১১, বিশ্বনাথে ১১, গোয়াইনঘাটে, জকিগঞ্জে, সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জে ১০টি করে, ওসমানীনগরে ৯, দক্ষিণ সুরমায় ৮, বালাগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জে ৭টি করে টিম কাজ করছে। এর বাইরে জেলা শহরের জন্য তিনটি টিম রাখা হয়েছে।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মে জয় শংকর দত্ত বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে জেলায় ৪৫০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি চর্মরোগসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চর্মরোগ নিয়ে অনেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। তবে ডায়রিয়া ছাড়া অন্যান্য রোগের রিপোর্টিং এখনো পুরোপুরিভাবে নেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রিপোর্টিং করা হচ্ছে। সিলেটে বন্যাপরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য পরিস্থিতির তেমন অবনতি ঘটছে না। আমাদের মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের তিনটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এছাড়াও ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন চালু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা প্রতিদিন ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন করবো। যা আগামী ১৫ দিন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, নগরীর বন্যা কবলিত প্রধান সমস্যা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি আর বস্তি এলাকার মানুষ বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নগরীতে এক লাখ ৬০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিনই যে এলাকায় যাচ্ছে পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট বিতরণ করছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, সিলেটে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগী বাড়ছে। তবে আতঙ্কজনক পর্যায়ে নয়। গ্রামীণ জনপদ নিয়ে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই। তবে সিটি করপোরেশন নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। কারণ নগরীর যেসব এলাকা পানিতে তলিয়েছে এর একটা বিশাল জনগোষ্টী বস্তিবাসী। এই নিম্ন আয়ের মানুষই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, আগের ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ১৮৩ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারের রিপোর্টে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭১ জনে। হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর কোন চাপ নেই। ওসমানী হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত কিছু রোগী থাকলেও তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন। নগরীর শাহী ঈদগাহের সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালেও ডায়রিয়া রোগীর কোন চাপ নেই। সব মিলিয়ে সিলেটের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুব একটা খারাপ বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া: শয্যা সংকট, মানিকগঞ্জে মেঝেতে চলছে চিকিৎসা
ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিশুদ্ধ পানি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের উদ্যোগে চারটি ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে একটি, মোট পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ মেশিন বর্তমানে কাজ করছে। ইতোমধ্যে নগরীতে দুটি মেশিন বিশুদ্ধ পানি দিতে কাজ করছে। একটি মেশিন ঘণ্টায় ৫০০ লিটার পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারে। আর একটি মেশিন সুনামগঞ্জে রাখা হয়েছে। অপর দুটি মেশিন সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কাজ করছে।
২ বছর আগে
ফরিদপুরের হাসপাতালে ১০ শয্যার বিপরীতে ১৩৫ ডায়রিয়া রোগী ভর্তি
ফরিদপুরে গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ১০৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে হাসপাতালটির ১০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৩৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
সরেজমিনে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সব ওয়ার্ডে এখন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। অনেকে হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে বারান্দায় কিংবা গাছতলায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা আলফাডাঙ্গার আব্দুল্লাহ আবু খান বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে কাঁঠাল গাছ তলায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাকে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মে মাস থেকে দেয়া হবে কলেরার টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি জানান, তার মতো আরও অনেকেই এই ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতাল থেকে ওষুধ না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে রোগীর স্বজনরা দালালের উৎপাতের অভিযোগও করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আগারাওলা জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ১০৮ জন ভর্তি হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে ৪৩২ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জেলা সির্ভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি না নেয়ায় চাপ বেড়েছে সদর জেনারেল হাসপাতালে। এই হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা মাত্র ১০টি। বর্তমানে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৩৫ জন। এই বিপুল সংখ্যাক রোগী সেবা দিতে নার্স ও চিকিৎসকদের হিমসিম খেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়ে তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। জেলায় ডায়রিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২ বছর আগে