ঢাকা-ওয়াশিংটন
মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে না। কারণ একজন বিশ্বনেতা হিসেবে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে উভয় দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, 'দুই দলেই তার (অধ্যাপক ইউনূস) বন্ধু আছে। সম্পর্ক অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তিগত যোগাযোগের ওপর। অধ্যাপক ইউনূস একজন বিশ্বনেতা। সুতরাং কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন নির্বাচনে যিনিই জয়ী হোন না কেন, আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা বলা হয়। এর অর্থ হলো সরকারের তিনটি স্তরেই দুটি দল রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার করে।
আরও পড়ুন: আমাদের কাজ হচ্ছে স্বচ্ছ ও জোরালো উপায়ে সত্য বলা: ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে প্রেস সচিব
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দল দুটি হলো-রিপাবলিকান পার্টি ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
দেশটির অন্য দলগুলো প্রায়ই ‘তৃতীয় পক্ষ’ হিসেবে অভিহিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে গ্রিন পার্টি, লিবার্টারিয়ানস, কনস্টিটিউশন পার্টি এবং ন্যাচারাল ল পার্টি।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যু এবং লবিস্টরা এই ইস্যুটিকে প্রভাবিত করে থাকতে পারে।
বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর ‘বর্বর হামলা’র বিষয়ে বৃহস্পতিবার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, সেখানে তাদের ওপর ‘হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে এবং দেশটি সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।’
শুক্রবার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের ঘটনাবলি নিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প, কী ভাবছেন তা ‘অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ’। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাদের কাজ সত্য প্রকাশ করা।
তিনি বলেন, 'তিনি (ট্রাম্প) শিগগিরই মুক্ত বিশ্বের নেতা হতে পারেন। কিন্তু আমাদের কাজ হচ্ছে সবচেয়ে স্বচ্ছ ও আকর্ষণীয় উপায়ে সত্য বলা।’
আলম বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো এবং বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে এই সুসম্পর্ক অব্যাহত রাখতে চায়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সংঘটিত নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানে আমরা সারা বিশ্ব থেকে সমর্থন পেয়েছি। জনগণ জেগে উঠলে কোনো অশুভ শক্তি বাঁচতে পারে না।’
শুক্রবার রাতে সুইং স্টেট উইসকনসিনের বৃহত্তম শহর মিলওয়াকিতে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প একে অপরের থেকে কয়েক মাইলের ব্যবধানে সমাবেশ করেন।
মিলওয়াকি উইসকনসিনের সর্বাধিক ডেমোক্র্যাটিক ভোটের আবাসস্থল, তবে এর রক্ষণশীল রিপাবলিকান শহরতলিগুলো ট্রাম্পের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। কারণ তিনি ২০১৬ সালে অতি সামান্য ব্যবধানে জয়ী হওয়া রাজ্যটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন, যা ২০২০ সালে তিনি হারিয়েছিলেন।
রাজধানীর এফডিসিতে মার্কিন নির্বাচনের প্রভাব নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির উদ্যোগে এই ছায়া সংসদ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এক টুইটারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করায় পতিত সরকার মনে করছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের ফিরে আসা সহজ হবে। ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তার সঙ্গে মোদির সম্পর্ককে পুঁজি করে তারা রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত পতিত স্বৈরাচারকে এ দেশের ছাত্র জনতা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর গ্রহণ করবে না।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন নির্বাচনের কয়েক দিন আগে গত পরশু হঠাৎ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সংঘ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দার বিষয়ে কেউ কেউ রহস্য খোঁজার চেষ্টা করছে। আসলে এটি ট্রাম্পের ভোটের রাজনীতির কৌশল। যেহেতু কমলা হ্যারিস ভারতীয় বংশদ্ভেুাত। আমেরিকায় অবস্থানরত ভারতীয়রা বেশিরভাগই কমলাকে সমর্থন দেওয়ায় ট্রাম্প ভারতীয় হিন্দুদের সিম্প্যাথি পাওয়ার জন্য এই ধরনের মন্তব্য করেছেন।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে “আগামী মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না” শীর্ষক ছায়া সংসদে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকদের পরাজিত করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, অধ্যাপক ড. এ কে এম মাজহারুল ইসলাম, সাংবাদিক নুরুল ইসলাম হাসিব, সাংবাদিক আশিকুর রহমান অপু ও সাংবাদিক মো. আতিকুর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সফর অত্যন্ত সফল ও ঐতিহাসিক: প্রেস সচিব
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে ইউনূস-বাইডেনের বৈঠক: প্রেস সচিব
১ মাস আগে
ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও অধ্যাপক ইউনূস
অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জনগণের মধ্যে দৃঢ় বন্ধনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দুই সরকারের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের নতুন সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
ড. ইউনূস সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানাতে বাইডেন এ সাক্ষাৎ করেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে ইউনূস-বাইডেনের বৈঠক: প্রেস সচিব
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করা বিরল ঘটনা। এই বৈঠক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক শক্তিশালী করার নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্ব বেরিয়ে আসবে বলে স্বাভাবিকভাবেই আশা করছিল ঢাকা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফর করছেন বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিউইয়র্ক সফর নিয়ে প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি মোকাবিলা, বৈশ্বিক সমৃদ্ধি এগিয়ে নেওয়া এবং মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠান গঠন ও উন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
যেহেতু বাংলাদেশ আরও ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের রূপরেখা খুঁজছে, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে এটি অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এই প্রথম বিদেশ সফর।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অধ্যাপক ইউনূস, রয়েছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও
২ মাস আগে
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে ইউনূস-বাইডেনের বৈঠক: প্রেস সচিব
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে (নিউ ইয়র্ক সময় মঙ্গলবার সকালে) বৈঠক করছেন, যা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে নতুন স্তরে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। বৈঠকটিকে একটি বিরল ঘটনা হিসেবেও মনে করা হয়।
নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় শুরু হওয়া বৈঠকের আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এ ধরনের বৈঠক খুবই বিরল। আমরা আশা করছি বৈঠকটি খুবই ফলপ্রসূ হবে।’
শফিকুল আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক বজায় রয়েছে এবং এই বৈঠকের মাধ্যমে এ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং বাংলাদেশের সংস্কার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভালো খবর যে, এই ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’
শ্রমখাতের সংস্কার ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকটি দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের প্রতিফলন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিউইয়র্কে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনবিকে বলেন, এটি একান্ত বৈঠক হতে যাচ্ছে।
কর্মকর্তা আরও বলেন, এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ কারণ গত কয়েক দশকে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেননি।
বৈঠকটি কমপক্ষে ১৫ মিনিট স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়া স্বাভাবিক নয় এবং ঢাকা আশা করছে এই বৈঠক থেকে একটি নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্ব বেরিয়ে আসবে, যা সব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফর করছেন বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিউইয়র্ক সফর নিয়ে প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি মোকাবিলা, বৈশ্বিক সমৃদ্ধি এগিয়ে নেওয়া এবং মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক গঠন ও উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে তাদের নিবেদনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
যেহেতু বাংলাদেশ আরও ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের রূপরেখা খুঁজছে, তাই যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে এটি অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রথম বিদেশ সফর।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধান বৈঠক করলেন।
২ মাস আগে
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের নতুন অধ্যায়: নিউইয়র্কে বাইডেন-ইউনূস বৈঠক ২৪ সেপ্টেম্বর
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের উদাহরণ এ বৈঠক।
নিউইয়র্কে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, শুধু দুইজনের মধ্যেই বৈঠকটি হতে যাচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ গত কয়েক দশকে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেননি।
আগামী ২৩-২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাইডেন নিউইয়র্ক সফর করবেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিউইয়র্ক সফর নিয়ে প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি মোকাবিলা, বৈশ্বিক সমৃদ্ধি এগিয়ে নেওয়া এবং মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার রাতে (স্থানীয় সময়) নিউ ইয়র্কে পোঁছাবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। এখানে সাইড লাইনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সিডিএ সালাহউদ্দিন মাহমুদ স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।
সম্প্রতি ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চ্যালেঞ্জগুলো বর্ণনা করেছেন ইউনূস। তিনি বলেন, তার প্রশাসন অর্থনৈতিক 'পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও পুনরায় চালু' করতে, আর্থিক খাত, বিচার বিভাগ ও পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠান গঠন ও উন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
দূতাবাসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশ আরও ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের রূপরেখা খুঁজছে, তাই যুক্তরাষ্ট্র এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন ইউনূস।
তৌহিদ হোসেনের মতে, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএইড প্রশাসকসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই সময়ে সভার অনেক সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে নেওয়া হয়। সেই বিবেচনায় নতুন সভা যুক্ত হতে পারে; আবার সময়ের অভাবে কোনো সভা বাদ পড়তে পারে।
ইতালির প্রেসিডেন্ট ও কুয়েতের যুবরাজের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন বলে জানান তিনি।
২৪ সেপ্টেম্বর ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।
সেখানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টা 'মিট দ্য ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ' নামে একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টেও যোগ দেবেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুহাম্মদ ইউনূসের আয়োজনে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সফরে সাইডলাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ড. ইউনূস ও তার উপদেষ্টাদের শ্রদ্ধা
২ মাস আগে
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে পরবর্তী পর্যায়ে নেওয়ার চাবিকাঠি সদিচ্ছা, কৌশলগত বিবেচনা ও ভূ-রাজনৈতিক কারণ
বাংলাদেশের নির্বাচনের পর দুই দেশের সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, প্রাক-নির্বাচনি রাজনৈতিক মতপার্থক্য পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বিবেচনা, ভূ-রাজনৈতিক কারণ এবং নতুন ক্ষেত্রে সম্পর্ক সম্প্রসারণের অকৃত্রিম ইচ্ছা দুই দেশের সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শাহাব এনাম খান চলতি সপ্তাহে ইউএনবিকে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ ও পুরোনো সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কের নতুন অধ্যায় দেখে মনে হচ্ছে, দেশ দুটির ব্যাপক রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।’
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং অভিন্ন স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া অঞ্চলের সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন
তাদের আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট ও শ্রম অধিকার নিয়েও আলোকপাত করা হয়। প্রতিনিধি দলটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নির্বাহী, নাগরিক সমাজের সংগঠন এবং শীর্ষ বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক শাহাব মনে করেন, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও ইন্দো-প্যাসিফিক এজেন্ডার বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তাই প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, অপ্রথাগত নিরাপত্তা ও মানব নিরাপত্তা ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন গতি পাবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারকেও জেগে ওঠার আহ্বান এটি। এ থেকে বোজা যায়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তৃতীয় কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবে না।’
বরং তিনি মনে করেন, আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশই তাদের পারস্পরিক স্বার্থের সমন্বয় ঘটাতে পারে। ‘সর্বোপরি বাংলাদেশ পরাশক্তিগুলোর কাছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দেশ, কারণ আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো ফাটল ধরেনি বা কোনো রাজনৈতিক বা নিরাপত্তার বিষয়ও নেই।’
অধ্যাপক শাহাব বলেন, এই দুটি বিষয় বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় আঞ্চলিক নিরাপত্তার গ্যারান্টার করে তোলে।
নতুন অধ্যায় ও অগ্রাধিকার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনার বিষয়ে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র হেইনেস মাহনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অংশীদার এবং বাংলাদেশের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল যাতে অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ থাকে তা নিশ্চিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিস্তৃত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি।’
হেইনেস বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেমন বলেছেন, আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমিত করতে এবং জনগণের জন্য বিনিয়োগে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার উপায়গুলো নিয়ে কাজ করব; যাতে তারা স্বাস্থ্যকর ও আরও সমৃদ্ধ জীবনযাপনের সুযোগ পায়।’
বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র। তিনি মনে করেন, অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা এবং দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তারা যা করার চেষ্টা করছে তার 'সত্যিকারের প্রতিফলন'।
হেইনেস বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর অন্যতম এবং এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতের মাধ্যমে উন্নয়নে তাদের বিনিয়োগকে কাজে লাগাতে এবং যুবকদের সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে তারা ক্রমবর্ধমানভাবে মনোনিবেশ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ী নেতা ও যুবকদের একত্রিত করছি যাতে বাজারে চাহিদা আছে এমন বিষয়ে তরুণদের আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা যায়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে বৃহত্তর সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে এবং বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশকে আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাসম্পন্ন মেধাবী কর্মী বাহিনী তৈরি করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, তারা দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে গবেষণা করছেন। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার সময় যাতে দেশের প্রতিটি এলাকার জনগণ স্বাস্থ্যকর এবং সমৃদ্ধ জীবনযাপনের ন্যায়সঙ্গত সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে সহযোগিতা করার বিষয়েও কাজ করছি। একই সঙ্গে উপকূলীয় সীমান্তে কী ঘটছে এবং আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে কী আসছে তা বোঝার জন্য সামুদ্রিক ডোমেন সচেতনতায় বিনিয়োগ করতে সক্ষম।’
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জিএসওএমআইএ ও এসিএসএ সম্পর্কিত সমস্যাগুলো
জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিএসওএমআইএ) এবং অ্যাকুইজিশন ক্রস-সার্ভিসিং এগ্রিমেন্টের (এসিএসএ) অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে হেইনেস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে জিএসওএমআইএ বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ উভয় পক্ষ 'আরও বাস্তব ও গভীর' সম্পর্কের সুযোগ খুঁজছে।
তিনি বলেন, চুক্তিটি কার্যকরভাবে একটি প্রতিশ্রুতি, যা প্রতিটি পক্ষ কার্যকরভাবে অন্য পক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত যেকোনো তথ্য বা সংবেদনশীল সামগ্রী সুরক্ষিত রাখবে।
অন্যদিকে, তিনি বলেন, এসিএসএ অংশীদার সামরিক বাহিনীর মধ্যে লজিস্টিক সহায়তা বিনিময়কে সহজতর করে এবং অর্থবহ সম্পৃক্ততার সুযোগ বাড়ায়।
হেইনেস বলেন, যদিও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে এসিএসএ নিয়ে কোনো আলোচনা নেই, তবে দুই পক্ষ যদি মনে করে যে এটি যথেষ্ট সুবিধা দেবে তবে ভবিষ্যতে এটি পরিবর্তন হতে পারে।
মিয়ানমার পরিস্থিতি ও তার প্রভাব
মুখপাত্র বলেন, 'অবশ্যই আমরা খুবই উদ্বিগ্ন এবং বার্মার (মিয়ানমার) ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বার্মায় (মিয়ানমার) চলমান সংঘর্ষ খুবই উদ্বেগজনক। এটি কেবল এই অঞ্চলের জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়।’
তিনি বলেন, মিয়ানমারে চলমান সংকট উদ্বেগজনক বিষয় এবং মিয়ানমারে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারসহ বর্তমান সংকটে মানবিক সহায়তা হিসেবে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, সংকটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করা, স্থিতিশীলতা জোরদার করা এবং টেকসই ও মানবিক সমাধান খুঁজে বের করা অপরিহার্য।
ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কল্যাণ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ‘বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ পদ্ধতির উপর জোর দেন তারা। একই সঙ্গে মায়ানমারের পরিস্থিতির ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন তারা।
মুখপাত্র বলেন, 'বার্মায় সংঘর্ষের কারণে বার্মায় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এবং বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থী উভয়ের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তাও আমরা স্বীকার করি।’
এ বছরের শুরুর দিকে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখতে অতিরিক্ত ৮৭ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা শরণার্থীদের জন্য মাসিক খাদ্য রেশন প্রতি মাসে ১০ ডলারে উন্নীত করতে সহায়তা করেছে।
মুখপাত্র বলেন, ‘তাদের সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। আমরা বাংলাদেশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে চাকরি-দক্ষতা ও ব্যবসায় প্রশিক্ষণসহ বহুপক্ষীয় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি যাতে জনগণকে তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।’
উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং ফরেন পলিসির সাপ্তাহিক দক্ষিণ এশিয়া ব্রিফের লেখক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও ইতিবাচক দিকে গেছে; যেই নির্বাচনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নয় বলে বর্ণনা করেছিল।
তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, এই পরিবর্তন আসলে যতটা মনে হয় ততটা তীক্ষ্ণ নয়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্পষ্ট পরিবর্তনের মধ্যে এই সফর হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পাঠানো বার্তা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইঙ্গিতের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও সমালোচনাসহ মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের উন্নয়নে জোরালো পদক্ষেপ নেয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এই ভোটকে অবাধ ও সুষ্ঠু নয় বলে উল্লেখ করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের 'পরবর্তী অধ্যায়কে' স্বাগত জানানো হয়েছে; সেখানে অধিকার বা গণতন্ত্রের কথা বলা হয়নি।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ বাংলাদেশি কর্মকর্তারা নতুন অধ্যায় শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, 'নির্বাচন এখন অতীতের বিষয়।’ নানা ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের উল্লেখসহ উভয় পক্ষের বার্তা উষ্ণ ও কার্যকরী ছিল।
ঘুরে দাঁড়ানোর কারণ কী- এ প্রসঙ্গে মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, একটি সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে, ওয়াশিংটন ঢাকার উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিতে চায়।
৯ মাস আগে
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সহায়তার আশ্বাস মার্কিন সিনেটরের
মার্কিন সিনেটর রজার মার্শাল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সমর্থন বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
কানসাসের রিপাবলিকান সিনেটর রজার মার্শাল বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের 'গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার' হিসেবে বর্ণনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে দুই দেশ সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গড়ে তুলতে কাজ করে যাবে।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে নিজ কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।
সিনেটর মার্শাল বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক অর্জনের প্রশংসা করেন।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন অনুসারে, তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তিতে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: লিঙ্গ সমতা শিক্ষায় তরুণীদের সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
রাষ্ট্রদূত ইমরান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে সিনেটরকে অবহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, স্বাস্থ্যসেবা খাতের অগ্রগতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং দক্ষ কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য মার্কিন সরকারের অবদানের প্রশংসা করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু অবহিত করার সময় তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে সিনেটর মার্শাল ও মার্কিন কংগ্রেসের সমর্থন কামনা করেন।
তারা উভয়েই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ এবং আগামী দিনগুলোতে দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান অংশীদারিত্ব কে আরও গভীর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা মূল বিষয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে
বাইডেন শাসনামলে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। একই সাথে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বিষয়টি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও গুরুত্পূর্ণ হয়ে উঠবে বলে তারা জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের ঘটনাবলী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার দরকার আছে বলে তারা মনে করেন।
শনিবার রাতে কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনলাইন অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।
ঢাকা-ওয়াশিংটনের বর্তমান সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় চ্যালেঞ্জসমূহ এবং সুবিধার জায়গাগুলো চিহ্নিত করার উদ্দেশে কসমস ফাউন্ডেশন এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলার্সের এশিয়া কর্মসূচির উপপরিচালক ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট কুগেলম্যান।
কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান কসমস ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে সম্প্রচার করা অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন।
কূটনীতিক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সিম্পোজিয়ামটি ছিল কসমস ফাউন্ডেশনের ফ্ল্যাগশিপ ‘ডায়ালগ’ সিরিজের সর্বশেষ সংস্করণ।
সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক করিম, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ, বাংলাদেশি-আমেরিকান বিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদ ড. নীনা আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত সেরাজুল ইসলাম অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
কুগেলম্যান তার বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ক, বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা এবং বাইডেন যুগে কী প্রত্যাশা তা নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, বাইডেনের শাসনামলে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আরও বেশি সহযোগিতা করার সুযোগ এবং মার্কিন ইন্দো প্যাসিফিক নীতিতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
কুগেলম্যান বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে ঢাকা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ক সামগ্রিকভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং স্থিতিশীল হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটন জানে যে চীন-ভারত দুই দেশই বাংলাদেশের মূল প্রতিযোগী।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে কেউ বিতর্ক করতে পারে যে, দিল্লির সাথে ঢাকার সম্পর্ক বেইজিংয়ের তুলনায় উষ্ণ এবং আরও বহুমুখী, তবে স্পষ্টতই এখানে একটি প্রতিযোগিতা চলছে।’
রাষ্ট্রদূত তারিক করিম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ভারতের সাথে বৈদেশিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে, অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবাইকে একটি মূল বার্তা পাঠাতে চাইছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশেষত দুটি প্রধান শক্তি ভারত ও চীনের মধ্যে রয়েছে। এটি কৌশলগতভাবে স্থাপন করা হয়েছে।’
সাবেক কূটনীতিক বলেন, ভারত এবং চীন যারা একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তাদের সাথে বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। ‘আমরা ইন্দো প্যাসিফিক এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভেরও অংশ।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নত করছে যা স্বাভাবিক, যেখানে চীন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ছাড়াও অর্থনৈতিক প্রকল্পে সম্পৃক্ত রয়েছে।
তারিক করিম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তাদের বৈদেশিক নীতিতে সাবধানতার সাথে বিবেচনা করতে হবে কারণ বাংলাদেশ এখন আর গুরুত্বহীন দেশ নয়।
এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, তারা আশাবাদী যে মিয়ানমারের বর্তমান ঘটনার বিষয়ে আমেরিকা বৃহত্তর ভূমিকা গ্রহণ করবে এবং এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে রোহিঙ্গা ইস্যুটির সমাধান করবে।
ড. ইফতেখার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ মহামারি সম্পর্কিত বিষয়গুলো জড়িত থাকার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরও ছোট আন্তর্জাতিক বিষয়ের সাথেও জড়িত হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের লক্ষ্য উন্নয়ন এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সমর্থন প্রত্যাশা করে। আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রবেশাধিকার প্রয়োজন হবে এবং আমরা বিশ্বাস করি ইতিবাচক ফলাফল আসবে।’
অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, আমেরিকা ভারতের সাথে কীভাবে আচরণ করে তা বাংলাদেশ-আমেরিকা সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে।
ড. নীনা আহমেদ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্থানের পিছনে মানুষের আত্মত্যাগ এবং কীভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন তা স্মরণ করেন।
তিনি দরিদ্রদের মাঝে বিনিয়োগের উপর জোর দেন। এছাড়া বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী করতে নারীদের কার্যকরভাবে ভূমিকা রাখতে এবং শ্রম বাজারে সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কিছুই নেই থেকে শুরু করে বাংলাদেশ এখন ৫০ বছরে এসে পৌঁছেছে।’
৩ বছর আগে