টিকাদান কার্যক্রম
কোভিড-১৯: বিশ্বে একদিনে প্রায় ১৪ হাজার মৃত্যু
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৯৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ৮৯৪ জনে। আগেরদিন এ সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ৪১ হাজার ৯২৩ জন।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৩৫ লাখ ১১ হাজার ১৬২ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪০১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪১ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৭৫ জনের।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় কমিউনিটি রেডিওগুলোর নিরন্তর সম্প্রচার
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৫৬ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৩ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে বলে বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৫ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৩ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৪ হাজার ২৮০ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ৩২ হাজার ৬০ জনে।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১ জনের মৃত্যু এবং একই সময়ে ৪ হাজার ৫৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: অন্যান্য দেশ থেকেও করোনার টিকা আনার উদ্যোগ সরকারের
নতুন সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৭২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ৪০৮টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫.০৭ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৯৪ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ। সুস্থতারহার ৮৬.৭৭ শতাংশ।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
৩ বছর আগে
করোনায় একদিনে আরও ৯১ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৫৫৯
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯১ জন মারা গেছেন।
এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৮৮ জনে।
মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৪ হাজার ৫৫৯ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ জনে।
নতুন সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮১১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার ১১১ জন।
আরও পড়ুন: লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি, প্রজ্ঞাপন জারি
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৬টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬.৮৫ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৯৪ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ। সুস্থতারহার ৮৬.৩১ শতাংশ।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ১৮ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ জনে।
আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৩ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৬৯০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮২ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৫০ লাখ ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬৯ জন। দেশটিতে গত দুদিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লাখেরও বেশি।
৩ বছর আগে
দেশের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: টানা দ্বিতীয় দিন শতাধিক মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০১ জন মারা গেছেন বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শতাধিক মৃত্যু দেখল বাংলাদেশ।
এর আগে শুক্রবারও ১০১ জন মৃত্যুর কথা জানায় অধিদপ্তর।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৮৩ জনে।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে একদিনে প্রথম শতাধিক মৃত্যু, শনাক্ত ২৩.৩৬ শতাংশ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভাবে ৩ হাজার ৪৭৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯০৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮ হাজার ৮১৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ১৮৫ টি।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১.৪৬ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৮৯ শতাংশ। মৃত্যুরহার ১.৪৪ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৫.১২ শতাংশ।
করোনার সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার থেকে সারাদেশে আটদিন ব্যাপী কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু প্রায় ৩০ লাখ
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার সকালে জন্সহপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬২ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৪১ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গতবছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৬ হাজার ২১২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: ভারতে প্রতিদিন নতুন শনাক্তের সংখ্যা ২ লাখের বেশি
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৩৮ লাখ ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৪৯ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৪২ লাখ ৯১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩০৮ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ২১৩ জন।
৩ বছর আগে
করোনায় একদিনে রেকর্ড ৯৬ মৃত্যু, শনাক্ত ২০.৮৯ শতাংশ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ ৯৬ জন মারা গেছেন বলে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জনানো হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯৮৭ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে নতুন লকডাউন: দুর্দান্ত কোনো ফলাফলের বিষয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৫ হাজার ১৮৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ৩ হাজার ১৭০ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৯১ হাজার ২৯৯ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৮২৫টি।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০.৮৯ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৮০ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ। সুস্থতারহার ৮৪.০৯ শতাংশ।
করোনার সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী আজ বুধবার থেকে সারা দেশে আট দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ১৩ হাজার ১৮৮ জন মানুষ মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, বুধবার সকাল পর্যন্ত বর্তমানে বিশ্বে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ৯০২ জন।
এছাড়া সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ১৩ কোটি ৭২ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৪ জন।
করোনার আঘাতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩১২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৪০ জন মানুষ।
গত জানুয়ারি মাস থেকেই দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলা করছে। দেশটি বিশ্বে করোনা আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৫ লাখ ৯৯ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৫ জনের।
আরও পড়ুন: এবারও মহামারিতে উত্তাপ ছড়াতে পারল না পহেলা বৈশাখ উদযাপন
অপরদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত করোনায় আক্রান্তে দ্বিতীয় অবস্থান উঠে এসেছে। দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫৩ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৮ জন।
৩ বছর আগে
কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে বলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'যদিও মঙ্গলবার প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শেষ হয়েছে তবে প্রথম ডোজের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া এখনও চলছে।'
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে যোগদান করে মন্ত্রণালয়র কর্মকর্তাদের সাথে পরিচিতি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: প্রধানমন্ত্রী
দেশে টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজের জন্য পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে বলে লোকমান হোসেন এ সময় আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, 'আমরা চিকিৎসক, নার্স এবং সকল সেক্টরের মানুষের সহায়তায় করোনাভাইরাস মোকাবিলা করব। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা জরুরি।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, টিকার দ্বিতীয় ডোজ মজুদ করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না কারণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভারত বাংলাদেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৭ হাজার ২১৩ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে রেকর্ড আরও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৩৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৩০ জুন ৬৪ জন মারা যান, যা একদিনে মৃতের সংখ্যায় এতদিন সর্বোচ্চ ছিল।
দেশব্যাপী লকডাউন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ এবং বর্তমান পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে সরকার সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য জনগণের চলাচল ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ২৮ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়াল
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রবিবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করে যা ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
টিকাদান কর্মসূচি
সরকার ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত ডোজ নিয়ে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ কিনতে গত বছরের ডিসেম্বরে সিরামের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এই বছর জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ডোজ সরবরাহ করার কথা সিরাম ইন্সটিটিউটের।
৩ বছর আগে