আমীর
জামায়াতের আমির নতুন জঙ্গি সংগঠন তৈরিতে জড়িত: সিটিটিসি প্রধান
ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা.শফিকুর রহমান নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার কর্মীদের বান্দরবানে প্রশিক্ষণ নিতে এবং খরচ বহন করার জন্য সরাসরি সহায়তা প্রদানে জড়িত ছিলেন।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আসাদুজ্জামান বলেন, গত ৯ নভেম্বর নগরীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাতকে তার এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
তিনি বলেন, রাফাতকে গ্রেপ্তারের আগে সিটিটিসি ইউনিট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার তিন সদস্যকে প্রশিক্ষণের জন্য সিলেটের দিকে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর তারা রাফাত ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে।
রাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল এবং এখন নতুন জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাফাত আনসার আল ইসলামের সদস্য ছিল এবং জঙ্গি গোষ্ঠী থেকে কিছু সমর্থক সংগ্রহ করেছিল তাদের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ায় যোগ দেয়ার জন্য। রাফাতের নেতৃত্বে একদল যুবক, যারা সম্প্রতি বাড়ি ছেড়েছে, তারা বান্দরবান গিয়েছিল সেখান থেকে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি সশস্ত্র গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সঙ্গে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সিলেটে গিয়েছিল।’
আসাদুজ্জামান বলেন, জামায়াতের আমির সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে যাওয়া তরুণদের পার্বত্য এলাকায় প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো এবং তাদের খরচ বহন করার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এছাড়া এ ঘটনায় শাকির নামে এক চিকিৎসককেও আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের সিটিটিসি ইউনিট।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন:জামায়াত আমির ডা. শফিকুর গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
লালমনিরহাটে ‘গোপন বৈঠকের’ সময় জামায়াত ও হেফাজতের ৯ নেতা গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ‘গোপন বৈঠকের’ সময় জামায়াতের আমীরসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম মুন্সির বাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:ভারতে প্রবেশকালে লালমনিরহাট সীমান্তে আটক ১২
তারা হলেন- উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে তুষভান্ডার ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোজাম্মেল হক(৫৩), একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে শাহীন মিয়া(৩৫), মৃত উসমান আলীর ছেলে আবু বক্কর(৭০), মৃত নজমুদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম(৫৭), মৃত ফয়জার উদ্দিনের ছেলে ফুয়াদ হোসেন(৪০), মৃত নজরুল হকের ছেলে সাবু মিয়া(৫০), বৈরাতি গ্রামের ফজলে রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম(৪০), একই গ্রামের ইমান আলীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম(৩০) ও জামির বাড়ি গ্রামের বেলাল মোস্তফার ছেলে আবু সাঈদ (২৬)।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেনের ভাষ্যমতে, ওই এলাকায় আবু বক্কর সিদ্দিকের বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা একটি গোপন বৈঠকে বসেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে সবাই পালিয়ে গেলেও তুষভান্ডার ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোজাম্মেল হকসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে কিছু জিহাদী বই, লিফলেট ও চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটে হারিয়ে যাওয়ার ২৭ দিন পর ম্যাগজিনসহ গুলি উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, পুলিশের ধারণা, তারা নাশকতামূলক কাজ করতে ওই বৈঠকে বসেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘হেফাজতের’ হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
৩ বছর আগে