স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ এবং রেডিও স্টেশনটির সংগঠক আশফাকুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
শুক্রবার এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, একই দিনে দুই বরেণ্য শিল্পীর মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক অপূরণীয় ক্ষতি। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের অসামান্য অবদান জাতি কখনো ভুলবে না।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ আর নেই
সাহাবুদ্দিন মরহুমদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে রেডিওতে প্রচারিত ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটিতে অংশ নিয়েছিলেন বুলবুল।
অন্যদিকে, আশফাকুর যুদ্ধের সময় গোপন রেডিও স্টেশনে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ এবং প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক আশফাকুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুলবুল মহলানবীশ ছিলেন একাধারে একজন কবি, লেখক, সংগীতজ্ঞ, নাটক ও আবৃত্তিশিল্পী এবং টেলিভিশন ও রেডিও শিল্প-সাহিত্যি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক।
তিনি বলেন, বুলবুল মহলানবীশ ছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম পথিকৃৎ।
তিনি আরও বলেন, ‘বুলবুলের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বিখ্যাত এই শিল্পী তার কাজের মধ্যে দিয়ে দেশবাসীর কাছে বেঁচে থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্তকে উপলক্ষ করে রেডিওতে প্রচারিত ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটিতে কণ্ঠ দেওয়া অন্যতম শিল্পী বুলবুল।
বিখ্যাত এই শিল্পী নজরুল সংগীতশিল্পী পরিষদের সহসভাপতি, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি জাতীয় কবিতা পরিষদ, কচিকাঁচার মেলা, উদীচী, সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মতো আরও অনেক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
বুলবুল বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে (শুক্রবার ভোরে) ঢাকার বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
পৃথক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং পাকিস্তান সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ পাকিস্তান রেডিওর ঢাকা স্টেশনে যারা ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সম্প্রচার করেছিলেন, আশফাকুর রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম।
তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক এবং বাংলাদেশ বেতারের সাবেক উপমহাপরিচালক (প্রোগ্রাম)।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন তিনি।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বর্ণনা ও সম্প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য আশফাকুর রহমান খানকে ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশফাকুর রহমান খানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ তার এক মহান সন্তানকে হারাল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নির্ভীক কণ্ঠসৈনিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং মহান মুক্তিযোদ্ধাকে তার কাজের জন্য দেশের মানুষ চিরকাল স্মরণ করবে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আশফাকুর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ আর নেই
১ বছর আগে
শুরু হচ্ছে ‘সিনেমেকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’
নতুন বছরের শুরুতে পর্দা উঠছে চার দিনব্যাপী ‘সিনেমেকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১’-এর। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ৩ জানুয়ারি (সোমবার) বিকাল ৪টায় এই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্টান হওয়ার কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং সভাপতিত্ব করবেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান।
এবারের আয়োজনটি উৎসর্গ করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে। উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে উৎসবে প্রদর্শিত হবে মো. সেলিম খান পরিচালিত ও প্রযোজিত ‘আগস্ট ১৯৭৫’।
আরও পড়ুন: হাজংদের জীবন সংগ্রাম নিয়ে ডকুফিল্ম
এছাড়া ৪ জানুয়ারি ও ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে উৎসবের ৪টি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে বুধবার সহজ পাঠ স্কুলে ‘কিডস ডে’, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং মাস্টার ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।
উৎসবটির পর্দা নামবে ৬ জানুয়ারি। শেষ দিনের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সভাপতিত্ব করবেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল।
আরও পড়ুন: সেন্সর পেল সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘শান’
২ বছর আগে
চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বিজয় মেলা: মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা
প্রতিবছরের মতো চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে এবারও অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দিনব্যাপী বিজয় মেলা। ‘বিজয়ের ৫০’ শিরোনামে এই আয়োজন শুরু হয় বেলা ১১টা ৫ মিনিটে। অনুষ্ঠানে ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদ সদস্য জহিরউদ্দিন মাহমুদ বাবু এবং চ্যানেল আই—এর পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ প্রমুখ।দেশাত্মবোধক গান গেয়ে অনুষ্ঠানে প্রাণ সঞ্চার করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রর শিল্পীরা। এসময় স্মৃতিচারণ করেছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য ও অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনরা।
শিল্পী মনিরুল ইসলামের নেতেৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চিত্রাংকন করেছেন একদল শিল্পী। ছোট পরিসরে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ও মুক্তিযুদ্ধের দলিল সম্বলিত স্টলও ছিল মেলায়।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রীবীর শহীদদের স্মরণে এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ‘৫০ বছরের অর্জন ও আনন্দের বিজয় দেখে যেতে পারবো ভাবিনি। আমাদের কাছে অভাবনীয় সাফল্যের দিন আজ। এদিনে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানাতে পারবো চিন্তার বাইরে ছিল। জীবন বাজি রেখে যেসব মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তাদের সালাম ও শ্রদ্ধা জানাই। এই শ্রদ্ধাঞ্জলি শুধু এখানকার ৫০ জন যোদ্ধাদের নয়, সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের। তারা এগিয়ে না এলে আমরা এদেশ পেতাম না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেকের কমবেশি ক্ষমতা রয়েছে। এর সঙ্গে একটু মমতা মিশিয়ে প্রত্যেকে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে এলেই বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেতে পারবে। তাহলেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও আমাদের বাংলাদেশ ভালো থাকবে।অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় পরিয়ে তাদের হাতে সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট তুলে দেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম, চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা।
বীর শহীদদের স্মরণ করে শাইখ সিরাজ বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। পরবর্তী ৫০ বছরে দেশ যেখানে যাবে সেই স্বপ্ন আমরা এখনই দেখা শুরু করেছি। আমাদের সবার প্রচেষ্টা ও কল্যাণে দেশ যেভাবে অগ্রগামী হচ্ছে আগামীতে আরও এগুবে। সেদিন আমরা হয়তো থাকবো না, থাকবে নতুন প্রজন্ম।অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, লায়লা হাসানসহ আরও অনেকে।
পড়ুন: স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
৩ বছর আগে
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হোক: সুজেয় শ্যাম
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম। দেশ স্বাধীনের আগে থেকে সংগীত নিয়ে কাজ করে চলেছেন সুজেয় শ্যাম। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতারের জন্য তার সুরকরা গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’, ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি, বাংলাদেশের নাম’, ‘ওরে আয়রে তোরা শোন’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’, ‘রক্ত চাই, রক্ত চাই’।
গত বছর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকদিন ঘরবন্দি সময় কেটেছে তার। তবুও থেমে থাকেনি তার সৃষ্টি। চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে পাঁচটি গান প্রকাশ করেছেন তিনি। বর্তমানে তার ব্যস্ততা বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে। সেসব প্রসঙ্গের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ইউএনবির সঙ্গে।
প্রতিবছর বিজয় দিবস এলে আপনার ব্যস্ততা অনেকটা বেড়ে যায়। এবার কোন কোন বিশেষ আয়োজনে আপনাকে পাওয়া যাবে?
হ্যাঁ, ব্যস্ততা তো খানিকটা বেড়ে যায়। গত বছর করোনার জন্য অনেক আয়োজন সম্ভব হয়নি। তবে এবারের চিত্রটা পাল্টেছে। বড় পরিসরে একাধিক অনুষ্ঠান হবে। আমিও বেশ কয়েকটিতে থাকবে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৬ ডিসেম্বর সংসদ ভবনের আয়োজনটি। এছাড়া টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের বেশ কয়েকটি শোতে থাকব।
আরও পড়ুন: ঢাকার দর্শকদের মুগ্ধ করেছে সুফি সঙ্গীত
মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার মতো কণ্ঠযোদ্ধাদের যেমন প্রতিবাদের মাধ্যম ছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের গান দিয়ে জাগ্রত করেছেন আপনারা। সেই সময় আপনার ভূমিকার কথাগুলো জানাতে চাই।
গান সব সময় শক্তিশালী মাধ্যম। এর মধ্য দিয়ে মানুষকে যেমন বিনোদন দেয়া যায়, তেমনি এটি প্রতিবাদের হাতিয়ার। পৃথিবীর অনেক সংগ্রাম ও প্রতিবাদের গানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রেও তেমন। কণ্ঠ দিয়ে আমরা যেমন প্রতিবাদ করেছি তেমনি একটি স্বাধীন দেশের জন্য বিজয়ের স্বপ্ন বুনেছি। এজন্য স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালকসহ সবাই দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রর জন্য আমার প্রথম গান ছিল কবি দেলওয়ারের ‘আয়রে চাষি মজুর’। পরবর্তীতে আরও ৮টি গান করেছি। সুর ও সংগীতায়োজনের মধ্য দিয়ে আশার মশাল জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছি। একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে হয়।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গানও যুক্ত। নতুন প্রজন্মের কাছে গানগুলো কতটা পৌঁছেছে মনে করেন?
দেশ গঠন সম্পর্কে জানতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার বিকল্প নেই। সেটি তরুণ প্রজন্মসহ সবার জন্যই। সেই সময়ের অবস্থা, দুঃখ বা আনন্দ সবকিছুই স্বাধীন বাংলার গানে প্রকাশ হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছেও স্বাধীন বাংলা বেতারের গানের জনপ্রিয়তা রয়েছে। তরুণ যারা গান করছেন তাদের কণ্ঠেও গানগুলো শোনা যায় মাঝে মাঝে। তবে সেই প্রসার আরও হওয়া প্রয়োজন মনে করি। এনটিভির জন্য একটি রিয়্যালিটি শোতে দুই দিনব্যাপী স্বাধীন বাংলার গান নিয়ে একটি আয়োজন ছিল। যেগুলো তখনকার প্রতিযোগিরা গেয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেই গানগুলো নিয়ে অ্যালবাম বের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আর হয়নি। আমার একটা ইচ্ছার কথা বলি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হোক। যদিও মাঝে একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান একটি উদ্যোগ নিয়ে দুটি অ্যালবাম রিলিজ করেছিল। কিন্তু সেখানে যারা গেয়েছেন এর মান নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।
আরও পড়ুন: পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম বাংলাদেশ কউচার উইক
‘পিস রানার অ্যাওয়ার্ড' পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
এখন অন্যান কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
শরীরের জন্য তো আগের মতো নিয়মিত কাজ করতে পারি না। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে নিয়ে ৫টি গান করেছিলাম। সেটি বেশ বড় আয়োজন ছিল। এখন বাংলাদেশ টেলিভিশনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করছি। এরইমধ্যে চারটি পর্ব প্রচার হয়েছে।
অনেক সিনেমায় সংগীত পরিচালক হিসেবে আপনাকে পাওয়া গেছে। তবে এখন বিরতিতে আছেন। সামনে কাজ ও এখন প্লেব্যাকের অবস্থা নিয়ে কিছু বলুন।
একবারে যে বিরতি নিয়েছি এমনটা নয়। গত বছর নার্গিস আক্তার পরিচালিত ‘যৈবতী কন্যা মন’ সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছি। যদিও এখন পর্যন্ত তা মুক্তি পায়নি। আর এখন তো আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেককিছুতেই সংকট। সিনেমার গানের যেই জনপ্রিয়তা এক সময় ছিল, সেটিও কমেছে। প্রযুক্তর উন্নতি হয়েছে কিন্তু আবেগ হয়তো কমে যাচ্ছে। তবে এর মধ্যেও ভালো কাজ হচ্ছে। অনেক চেষ্টা প্রশংসা করার মতো।
৩ বছর আগে
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মারা গেছেন
বাংলাদেশি লোক সংগীতশিল্পী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী বুধবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্দ্রমোহন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সকাল ১০টা ২০মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
একুশে পদক প্রাপ্ত ইন্দ্রমোহন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন এবং তাকে সোমবার হাসপাতালে নেয়া হয়।
১৯৫০ এর দশকের গোড়ার দিকে, রাজবংশী তার দাদা কৃষ্ণ দাস রাজবংশীর অধীনে সংগীত শিখেছিলেন।
তিনি যাত্রা, পালাগান, নজরুল সংগীত এবং লোকগানের সাথে জড়িত ছিলেন।
১৯৬০ দশকের শেষদিকে তিনি নজরুল গানে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন এবং পাঁচ বছরের কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি হাফিজুর রহমানের অধীনে লোকসঙ্গীত শিখতে শুরু করেন।
তিনি ১৯৭৪ সালে সরকারি কলেজের সংগীত বিভাগে যোগদান করেন।
১৯৭১ সালে রাজবংশী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৯৮ সালে, রাজবংশী একটি লোক সংগঠন, বাংলাদেশ লোক সংগীত পরিষদ (ফোক গান কাউন্সিল) প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের গানসহ শিশুদের জন্য প্রায় ১০০টি লোকসঙ্গীত রচনা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গ এবং নাগরিক টিভিতে তুর্কি ধারাবাহিক 'সহস্র এক রজনী'
আর্টস অ্যান্ড কালচার এক্সচেঞ্জের দ্য অ্যাসোসিয়েশন অফ ওয়ার্ল্ড মাস্টার্সের চেয়ারপারসন কিম সং ওকের কাছ থেকে রাজবংশী ওয়ার্ল্ড মাস্টারের সার্টিফিকেট পান।
আরও পড়ুন: জি-ফাইভে মুক্তি পেল দীর্ঘ প্রতিক্ষীত ওয়েব সিরিজ ‘কনট্রাক্ট’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা, লোকশিল্পী ও গবেষক ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউটিউবে রিলিজ হলো মিজান মালিকের ‘খেয়া’
তিনি বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
৩ বছর আগে