স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ
১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট পাস
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য সোমবার সংসদে ১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার সম্পূরক বাজেট পাস হয়েছে।
৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় বাজেটের পাশাপাশি সম্পূরক বাজেটটিও সংসদে উত্থাপন করেন।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ৬২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে মোট ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।
আরও পড়ুন: বাজেট: স্বাস্থ্য খাতের জন্য ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ
সম্পূরক বাজেটে ১৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ব্যয় ১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে যেখানে ৪৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ব্যয় ৪২ হাজার ৪৮১ কোটি ৮৭ লাখ হ্রাস পেয়েছে।
সার্বিকভাবে ২৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত নিট বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা।
সোমবার অর্থমন্ত্রী সংসদে সাধারণ আলোচনার পর সম্পূরক বাজেট নিয়ে কথা বলেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ১৯টি মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূরক বাজেটটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। সম্পূরক বাজেটের উপর বিরোধীদল জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের ১১ জন সংসদ সদস্য ১৯০টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন।
আরও পড়ুন: বাজেট: কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ না দেয়ায় টিআইবির সাধুবাদ
ছাঁটাই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।
ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো দিয়েছেন জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লিয়াকত হোসেন খোকা, রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমিন ফারহানা, মোশারফ হোসেন, গণফেরামের মোকাব্বির খান, স্বতন্ত্র রেজাউল করিম বাবলু।
আরও পড়ুন: এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজেট: বিজিএমইএ
ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করা হয়।
সম্পূরক বাজেটে স্থানীয় সরকার বিভাগ সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সর্বনিম্ন বরাদ্দ ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে।
অন্যান্য বরাদ্দের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পেয়েছে ৪৮২ কোটি ৩ লাখ টাকা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পেয়েছে ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পেয়েছে ৭৯ কোটি ৯ লাখ টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ পেয়েছে ২০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, পরিকল্পনা বিভাগ পেয়েছে ২৪২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, আইএমইডি পেয়েছে ৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ পেয়েছে ১৪২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পেয়েছে ১ হাজার ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ পেয়েছে ২ হাজার ৮৫০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
এছাড়াও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পেয়েছে ৪৮৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পেয়েছে ৩৮৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা, শিল্প মন্ত্রণালয় পেয়েছে ৫৬৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পেয়েছে ১ হাজার ৯০৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পেয়েছে ৩৩২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পেয়েছে ১ হাজার ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ পেয়েছে ৬৭৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় পেয়েছে ৬৭৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
৩ বছর আগে
লকডাউন: স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন চলাকালীন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনস্থ সকল অধিদপ্তর, দপ্তর, প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন সকল হাসপাতাল, প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে করোনা বেড বাড়ানো হবে: স্বাস্থ্য সচিব
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনস্থ সকল অধিদপ্তর, দপ্তর, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করবেন।
৩ বছর আগে
টিকা প্রদানে বিশ্ব নেতাদের উচিত সমতার উদাহরণ সৃষ্টি করা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ধনী দেশ ও গরীব দেশগুলোর মধ্যে সমতার সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, 'করোনার অতিমারিতে আক্রান্ত বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোও এই মহামারিতে বিপর্যস্ত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে দরিদ্র দেশগুলোও এই অতিমারির কারণে আরও দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশ্ব নেতাদের উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোর দিকেও সমানভাবে উদ্যোগী হতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি মি. বার্ধণ সিং রানার উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, 'বিশ্বব্যাপী আজ স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো 'সকলের জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি'। এই দিবসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সকলের সাথে সমতা ও ন্যায্যতা। তাই এই ভাইরাস গোটা বিশ্ব থেকে একসাথে, এক হয়ে বিদায় করতে হলে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদানে ধনী দেশ ও গরীব দেশের মধ্যে সমতা ঘটাতে হবে। তা না করে কেবল অর্থের জোরে ধনী-গরিব দেশগুলোতে টিকা প্রদানে বৈষম্য করা হলে এই ভাইরাস বিশ্ব থেকে বিদায় করা সম্ভব হবে না।'
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া করোনা প্রতিরোধে সরকারের ১৮টি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার ওপর জোর দেন এবং উপস্থিত জেলা, উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেন।
এছাড়া, করোনায় করণীয় বিষয়াদি তুলে ধরে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সেই সাথে দেশব্যাপী করোনা অতিমারিতেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতে আরও কী কী কাজ করলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের উপকার হতে পারে সে বিষয়টি তুলে ধরে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা বেগম। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিডিসি’র লাইন ডিরেক্টর নাজমুল ইসলাম।
৩ বছর আগে