করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ধনী দেশ ও গরীব দেশগুলোর মধ্যে সমতার সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, 'করোনার অতিমারিতে আক্রান্ত বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোও এই মহামারিতে বিপর্যস্ত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে দরিদ্র দেশগুলোও এই অতিমারির কারণে আরও দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশ্ব নেতাদের উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোর দিকেও সমানভাবে উদ্যোগী হতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি মি. বার্ধণ সিং রানার উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, 'বিশ্বব্যাপী আজ স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো 'সকলের জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি'। এই দিবসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সকলের সাথে সমতা ও ন্যায্যতা। তাই এই ভাইরাস গোটা বিশ্ব থেকে একসাথে, এক হয়ে বিদায় করতে হলে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদানে ধনী দেশ ও গরীব দেশের মধ্যে সমতা ঘটাতে হবে। তা না করে কেবল অর্থের জোরে ধনী-গরিব দেশগুলোতে টিকা প্রদানে বৈষম্য করা হলে এই ভাইরাস বিশ্ব থেকে বিদায় করা সম্ভব হবে না।'
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া করোনা প্রতিরোধে সরকারের ১৮টি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার ওপর জোর দেন এবং উপস্থিত জেলা, উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেন।
এছাড়া, করোনায় করণীয় বিষয়াদি তুলে ধরে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সেই সাথে দেশব্যাপী করোনা অতিমারিতেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতে আরও কী কী কাজ করলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের উপকার হতে পারে সে বিষয়টি তুলে ধরে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা বেগম। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিডিসি’র লাইন ডিরেক্টর নাজমুল ইসলাম।