রেমিটেন্স
নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা আগের মাস অক্টোবরের তুলনায় ৫০ মিলিয়ন ডলার কম।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসীরা দেশে ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।
নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ১৪৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক পেয়েছে ৫৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পেয়েছে ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের শাখাগুলো পেয়েছে ৫ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার।
প্রবাসীরা অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ দশিমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছিল। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো পেয়েছিল ১৫৪ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার, একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পেয়েছিল ১ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের শাখাগুলো পেয়েছিল ৬ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, নভেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ কিছুটা কমেছে, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথাযথ উদ্যোগের কারণে রেমিটেন্স আসার সামগ্রিক প্রবণতা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তাদের আর্থিক উৎস থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা আইনি চ্যানেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
প্রবাসী আয়ে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারবে। মোট প্রেরকদের ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। ফলে আইনি মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স আসছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর সেলিম রায়হান বলেন, রেমিটেন্স প্রণোদনার দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা কোনো কাজে আসবে না।
তিনি বলেন, ডলারের দামের ওপর সরকার অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ দেবে। রেমিটেন্সে মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা সাময়িকভাবে বাড়াবে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না বলে জানান তিনি।
সেলিম বলেন, রেমিটেন্স বাড়াতে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধ করতে হলে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। এখনও প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে এবং তা যেকোনো উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যাংক যত বেশি প্রণোদনা দেবে, হুন্ডি ব্যবসায়ীরা তত বেশি দেবে। তাই যতদিন হুন্ডির প্রচলন থাকবে, ততদিন আইনি মাধ্যমে প্রত্যাশিত রেমিটেন্স আসবে না।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
১১ মাস আগে
সেপ্টেম্বরে দেশে ৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিটেন্স এসেছে
বাংলাদেশে সেপ্টেম্বর মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৭ শতাংশ (১৯৬ মিলিয়ন ডলার) কমে ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। যা প্রায় গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ আগের মাস আগস্টের তুলনায় ২২৫ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার কমেছে।
প্রবাসীরা আগস্ট মাসে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। ফেব্রুয়ারি মাসে এর পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।
সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ আরও একধাপ কমে ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে, যা গত ৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সর্বশেষ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছিল। এরপরে, কোভিড-১৯ মহামারির সময়েও অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা চলতি বছরের জুন মাসে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে এবং জুলাই মাসে তা ছিল ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
এই খাতের সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, যখন খোলা বাজারে বিনিময় হার ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তখন হুন্ডিতে লেনদেন বেড়ে যায়। আর হুন্ডির চাহিদা বাড়লে রেমিটেন্স কমে যায়।
গত মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের তুলনায় খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৬ থেকে ৭ টাকা বেশি।
তাই বেশি লাভের আশায় প্রবাসীরা বৈধ মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: ২০২৩’ অর্থবছরে ২১.৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে, এ যাবৎকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বাংলাদেশ মোট ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে।
এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন।
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।
'অব্যবস্থাপনার রেসিপি'
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনটি ভিন্ন শিরোনামে মার্কিন ডলারের মূল্য নির্ধারণ করছে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের প্রতি ডলারের দাম দিচ্ছে ১১০ টাকা ৫ পয়সা। রপ্তানি বিল ক্যাশিং প্রতি ডলারে 109 টাকা 5 পয়সা দেওয়া হয় এবং আমদানি ও আন্তঃব্যাংক লেনদেনের জন্য ১১০ টাকা ৫ পয়সা দেওয়া হয়।
অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেছেন, এটি অর্থনীতির অব্যবস্থাপনার একটি রেসিপি।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় প্রবাসীরা অবৈধ চ্যানেলের (হুন্ডি) মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। খোলা বাজার এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দর একই রকম না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি শিগগিরই উন্নতি নাও হতে পারে।
মনসুর বলেন, ‘রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি আস্থার অভাবে বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশে কম রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে, কারণ দেশ থেকে নির্বিচারে অর্থ পাচার হচ্ছে।’
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে রেকর্ডসংখ্যক শ্রমিক রপ্তানি করলেও, রেমিট্যান্সের পরিমাণ ক্রমাগত কমছে; যা পরিসংখ্যানের সঙ্গে মেলে না।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে রেমিটেন্সের গতি
২০২২ সালে রেমিটেন্স প্রাপ্তি ৩.১৭% হ্রাস পেতে পারে: আরএমএমআরইউ
১ বছর আগে
২০২৩’ অর্থবছরে ২১.৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে, এ যাবৎকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স এসেছে, যা এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে রেকর্ড ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল, তখন কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে রেমিটেন্স প্রাপ্তি ৩.১৭% হ্রাস পেতে পারে: আরএমএমআরইউ
রবিবার (২ জুলাই) হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
সিপিডিসহ বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা মনে করে, হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমেও বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স এসেছে।
২০২৩ সালের জুন মাসে, বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাসে প্রবাসীরা ঈদুল আযহার সময় ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০২৩’ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স সংগ্রহ ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২’ অর্থবছরে ছিল ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। প্রায় তিন বছরের মধ্যে এক মাসে এটাই সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।
এর আগে, ২০২১’ অর্থবছরের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় ছিল ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার।
এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকটসহ নানা কারণে সরকার আইনি মাধ্যমে বেশি রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয় আনতে নানা উদ্যোগ নেয়।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যাশিত হারে রেমিটেন্স বাড়েনি।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে রেমিটেন্সের গতি
দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের হুন্ডি পরিহার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে রেমিটেন্সের গতি
ঈদুল আযহার আগে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা চলতি মাসের (জুন) প্রথম ২৩ দিনে ১ দশমিব ৭৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। এর মধ্যদিয়ে অবশেষে কয়েক মাস স্থবিরতার পরে সরকারি চ্যানেলের রেমিটেন্স প্রাপ্তিতে কিছুটা গতি এসেছে।
পরিসংখ্যানে জানা যায়, ইতোমধ্যেই রেমিটেন্স প্রাপ্তি মে মাসের মোট পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে। মে মাসে মোট রেমিটেন্স প্রাপ্তি ছিল ১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, জুন মাসের শেষে রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। গত মার্চ মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল (২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার), এপ্রিল মাসে (১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার) এবং মে মাসে (১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ঈদ উৎসবে মানুষ বেশি খরচ করে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে অনেক প্রবাসী তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে বাড়িতে তাদের কোরবানি (সাধারণত গবাদি পশুর কোরবানি) করেন।
আরও পড়ুন: দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের হুন্ডি পরিহার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
২০২২ সালে রেমিটেন্স প্রাপ্তি ৩.১৭% হ্রাস পেতে পারে: আরএমএমআরইউ
মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারীরা সরাসরি আনতে পারবে রেমিটেন্স: বাংলাদেশ ব্যাংক
১ বছর আগে
দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের হুন্ডি পরিহার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা না পাঠাতে বলেছেন। এটি একটি আন্তঃসীমান্ত অর্থ স্থানান্তর পদ্ধতি যা আইনি ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যায়।
তিনি তার কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন বিদেশে মধ্যস্থতাকরী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘যারা হুন্ডি ব্যবহার করেন আমি তাদের অনুরোধ করতে চাই তারা যেন হুন্ডি বন্ধ করে এবং সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এখন দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে এবং প্রবাসীরা সেখানে যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন,‘যারা ব্যবসা করতে চান তারা সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।যদি কেউ (প্রবাসী) এখানে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি অংশীদার (বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে) আনতে পারে তবে এটি আরও ভাল হবে।’
বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগ আসায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে একটি ভালো গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করায় দেশে বিদেশি তহবিলের প্রবাহ ভালো।
আরও পড়ুন: জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সেবা অব্যাহত রাখুন: পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জনগণকে খাদ্য সংকটে পড়তে দেবে না।
দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার হ্রাসের প্রবণতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ আমরা বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে খাবার কিনছি এবং যা প্রয়োজন তা খরচ করছি। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমরা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি….. আমরা জনগণকে কষ্ট পেতে দেব না।’
আমন ধানের উৎপাদনে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন সবাই বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত এবং সার মজুদ সন্তোষজনক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে এবং বিশেষ করে সেচের জন্য মানুষকে ছোট সোলার প্যানেল বসানোর অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী সাধারণ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত: প্রধানমন্ত্রী
পুলিশকে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দৃঢ়ভাবে মোকাবিলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
রপ্তানি আয় ফিরিয়ে আনতে ডলার প্রতি ১ টাকা বেশি পাবেন ব্যবসায়ীরা
রপ্তানিকারকরা তাদের রপ্তানি আয় ফিরিয়ে আনতে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১০২ টাকা পাবেন।
সোমবার থেকে কার্যকর রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন ডলারের হার ঘোষণা করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেডা)।
এটি আগের দর থেকে এক টাকা বেশি যা ডলার প্রতি ১০১ টাকা ছিল।
ডলারের দাম নির্ধারণে রবিবার রাতে এবিবি ও বাফেডার নেতারা বৈঠক করেন।
এতে রপ্তানি আয়ের জন্য হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও প্রবাসী আয় ও আমদানি শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১ টাকা বেশি পাবেন। আর প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে যা ১০৭ টাকা।
এ ছাড়া আমদানি শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় থেকে ডলারের মূল্য শূন্য দশমিক ৫০ টাকা বেশি হবে।
বর্তমানে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ১০৭ টাকা এবং রপ্তানি আয়ে ১০২ টাকা।
আরও পড়ুন: ঋণ কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফার শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
ফলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় ১০৪ দশমিক পাঁচ টাকা। এর সঙ্গে শূন্য দশমিক ৫০ টাকা যোগ করলে প্রতি ডলার আমদানি বিল হবে ১০৫ টাকা।
গত বছরের মার্চ থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর মার্কিন ডলারের স্বল্প সরবরাহ রয়েছে যা বিশ্ব অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ২৭.২২ বিলিয়ন ডলার
১ বছর আগে
২০২২ সালে রেমিটেন্স প্রাপ্তি ৩.১৭% হ্রাস পেতে পারে: আরএমএমআরইউ
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (আরএমএমআরইউ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে যেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, অভিবাসী শ্রমিকরা ২০২২ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর মাসে ১৯ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বাড়িতে পাঠিয়েছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বছরের শেষে রেমিটেন্স আয় দাঁড়াবে ২১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ‘বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসন ২০২২: অর্জন ও চ্যালেঞ্জ’-শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও ধারণা করা হয়েছে যে চলতি বছরে দেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ৮১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে ১০ লাখের বেশি কর্মী বিদেশে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
এতে আরও বলা হয়, বছরের শেষে কর্মসংস্থান ১ দশমিক ১ মিলিয়নেরও বেশি হবে।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপনকারী আরএমএমআরইউ-এর চেয়ার প্রফেসর তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ‘রেমিটেন্স প্রবাহের হ্রাস বৃদ্ধি বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভর করে। ব্যাংকে কম লাভের কারণে শ্রমিকরা হুন্ডির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও শ্রমিকরা সাধারণত তাদের অভিবাসনের প্রথম বছরে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে না। প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী বিদেশে যাওয়ার সময় প্রতারিত হন এবং তারা সঠিক চাকরি পান না। তাছাড়া তাদের অনেকেই বাড়ি থেকে ফেরার জন্য অর্থের ব্যবস্থা করেন।’
প্রফেসর তাসনিম সিদ্দিকী নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করার এবং কর্মীদের সরকারী চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে উৎসাহিত করার জন্য প্রণোদনা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রেরণকারীদের জন্য প্রণোদনা ১০ শতাংশ হওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি পোশাক প্রস্তুতকারীরা আকর্ষণীয় নগদ প্রণোদনা সহায়তা পায়, তবে অভিবাসী শ্রমিকরা কেন নয়?’
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে দক্ষ শ্রমিক অভিবাসন কমেছে। চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট বহির্গামী কর্মীদের মধ্যে ১৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ দক্ষ শ্রমিক ছিল; যেখানে ২০২১ সালে ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ দক্ষ কর্মী বিদেশে গেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহিরাগত বাংলাদেশিদের মধ্যে পেশাদারের সংখ্যা কম। তবে গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
এই বছর ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট অভিবাসীদের মধ্যে প্রায় ০ দশমিক ৩৩ শতাংশ পেশাদার চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছেন। ২০২১ সালে পেশাদারদের সংখ্যা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ ছিল।
চলতি বছরের জানুয়ারি-নভেম্বরে প্রায় ৯৯ হাজার ৬৮৪ জন নারী চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বহির্গমনের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২২ সালে নারীদের অভিবাসন আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ট্রাফিকিং ইন পারসন্স রিপোর্ট ২০২২-এর উদ্ধৃতি দিয়ে আরএমএমআরইউ বলেছে যে মাইগ্রেশন খরচ কিছুটা কমেছে, তবে এটি এখনও বাংলাদেশি অভিবাসীদের খরচ দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
এটি আরও বলেছে যে যদিও বিদায়ী বছরে মালয়েশিয়ার বাজার উন্মুক্ত হওয়া একটি বড় উন্নয়ন ছিল, তবু শ্রমিকরা এখনও অনৈতিক অভিবাসন খরচের শিকার হচ্ছে। ‘নিয়োগকারীদের একটি অংশ এই অনৈতিক অনুশীলন চালিয়েই যাচ্ছে।’
১ বছর আগে
মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারীরা সরাসরি আনতে পারবে রেমিটেন্স: বাংলাদেশ ব্যাংক
রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএসএফ) প্রদানকারীদের অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স আনার অনুমতি দিয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অনুমোদিত ডিলাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়াই বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের সঙ্গে বন্দোবস্ত করতে পারবে।
অনুমোদিত ডিলারদের বাংলাদেশ দূতাবাস বা সংশ্লিষ্ট দেশের হাই কমিশন থেকে সুপারিশপত্র বা সনদপত্র ছাড়াই বন্দোবস্ত করার অনুমতি থাকছে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন
প্রজ্ঞাপনের বলা হয়েছে, এমএফএস প্রদানকারীদের জন্য আরও বেশি সহজ করতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে পরিষেবা প্রদানকারী, ব্যাংক, ডিজিটাল ওয়ালেট, কার্ড স্কিম ও বিদেশে আর্থিক পরিষেবা সমন্বয়কারীদের সঙ্গে মিলিতভাবে রেমিটেন্স উপার্জনকারীদের অর্থ দেশে পাঠানোর অনুমতি দেয়া হবে।
এই প্রেক্ষাপটে, এমএফএস প্রদানকারীদের অবশ্যই তাদের অ্যাকাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়ার জন্য বিদেশি পেমেন্ট ও সেটেলমেন্ট সিস্টেমের (পিএসপি) সঙ্গে স্থায়ী ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং সমতুল্য অর্থ মজুরি উপার্জনকারীদের এমএফএস অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
পরবর্তীকালে, বিদেশি পিএসপিগুলো মনোনীত ডিলারের নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট প্রদান করবে (একটি অ্যাকাউন্ট যা একটি ব্যাংক অন্য ব্যাংকে
বৈদেশিক মুদ্রায় ধারণ করে)। টাকায় মজুরি পাওয়ার পর উপার্জনকারীরা সমস্ত লেনদেন করতে বিদেশ থেকে এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
যারা মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদান করতে চায় তাদেরকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওপরে বর্ণিত ফ্রেমওয়ার্ক বা অনুরূপ সুবিধাজনক পদ্ধতি অনুসারে প্রস্তাবিত ব্যবস্থার বিবরণসহ বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগে আবেদন করতে হবে।
উদ্যোগটি ছোট পরিসরে পর্যালোচনার প্রাথমিকভাবে অনুমতি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ২০১১ সালে এমএফএস চালু করে। তখন থেকেই পরিষেবাটি নিয়ে দেশে যথেষ্ট গুঞ্জন হয়েছে। বর্তমানে ১৩টি এমএফএস অপারেটর ১৮ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে পরিষেবা প্রদান করছে, যারা প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আদানপ্রদান করছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য আছে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
জানুয়ারি থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকবে না: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
১ বছর আগে
মোবাইলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারীদের প্রত্যাবাসন (বৈদেশিক মুদ্রা স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তর) রপ্তানি আয় এবং অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের লেনদেনে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্য প্রযুক্তি সক্ষম পরিষেবা (আইটিইএস) রপ্তানির কারণে সমস্ত অনুমোদিত ডিলার এমএফএস প্রদানকারীদের ইনওয়ার্ড রেমিটেন্সের বিপরীতে নগদকরণ সনদপত্র প্রদান করবে।
বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তি সহজতর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নির্দেশনা জারি করে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের হিসাবে আরও কমে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ!
এতে বলা হয় যে বৈদেশিক মুদ্রার সমস্ত অনুমোদিত ডিলার এবং সমস্ত লাইসেন্সপ্রাপ্ত এমএফএস প্রদানকারীকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একাধিক দেশে চালু ওপিজিএসপিএস বা ডিজিটাল ওয়ালেট অথবা অ্যাগ্রিগেটর এবং আইটিইএসকে রপ্তানি আয় আহরণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এই প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং তা অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত ডিলার এবং এমএফএস প্রদানকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণকারী অনুমোদিত ডিলাররা ইলেকট্রনিকভাবে এমএফএস প্রদানকারীদের অনুরোধের ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের সমর্থনে নগদকরণ সনদপত্র প্রদান করবে।
এক্ষেত্রে অনুরোধটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হওয়া তথ্য-সুবিধাভোগীর নাম, ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট নম্বর, টাকার পরিমাণ, ক্রেডিট তারিখ- বিদেশে রেমিটেন্স পরিষেবা প্রদানকারীকে সমর্থন করা প্রয়োজন।
তথ্য সম্পর্কিত তাদের নিজস্ব স্ক্রীনিং প্যারামিটারের ওপর ভিত্তি করে মনোনীত অনুমোদিত ডিলাররা এমএফএস প্রদানকারীদের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য কিউআর কোডসহ একটি ইলেকট্রনিক নগদকরণ সনদপত্র (ঘের এ অনুযায়ী) তৈরি করবে।
সনদপত্রটি শুধুমাত্র আয়করের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য আছে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঋণের সীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
২ বছর আগে
রেমিটেন্স: প্রতি ডলার ১০৭ টাকা নির্ধারণ করল কেদ্রীয় ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১০৭ টাকা করে রেমিটেন্স দিতে দেশের সিডিউল ব্যাংকগুলোকে বলেছে।
একজন রেমিটেন্স প্রেরণকারী এখন ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি রেমিটেন্স পাঠালেও প্রতি ডলার ১০৭ টাকা পাবেন।
সোমবার (৩১ অক্টোবর, ২০২২) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন(বাফেডা)-এর মধ্যে এক বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রতি ডলারে প্রেরকরা পাচ্ছেন ৯৯ দশমিক ৫০ টাকা। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ ব্যাপকভাবে কমেছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
এ ছাড়া এখন থেকে রেমিটেন্স সংগ্রহের জন্য ব্যাংকগুলো কোন প্রকার ফি নেবে না। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বর্তমান বাস্তবতায় ব্যাংকগুলোকে তাদের নিজস্ব উৎস থেকে ডলার নিয়ে এলসি খুলতে হবে বলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল ও কাজী সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) সেলিম আরএফ হোসেন, ব্যাংকগুলোর পক্ষে বাফেডার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স সংগ্রহকে উৎসাহিত করতে দেশের বাইরে এক্সচেঞ্জ হাউসের সংখ্যা বাড়াতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
ব্যাংকগুলো এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩৫৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে
২৫% রেমিটেন্স কমেছে সেপ্টেম্বরে, স্থির বিনিময় হারকে দায়ী করছেন ব্যাংকাররা
২ বছর আগে