রেমিটেন্স
দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের হুন্ডি পরিহার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা না পাঠাতে বলেছেন। এটি একটি আন্তঃসীমান্ত অর্থ স্থানান্তর পদ্ধতি যা আইনি ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যায়।
তিনি তার কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন বিদেশে মধ্যস্থতাকরী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘যারা হুন্ডি ব্যবহার করেন আমি তাদের অনুরোধ করতে চাই তারা যেন হুন্ডি বন্ধ করে এবং সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এখন দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে এবং প্রবাসীরা সেখানে যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন,‘যারা ব্যবসা করতে চান তারা সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।যদি কেউ (প্রবাসী) এখানে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি অংশীদার (বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে) আনতে পারে তবে এটি আরও ভাল হবে।’
বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগ আসায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে একটি ভালো গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করায় দেশে বিদেশি তহবিলের প্রবাহ ভালো।
আরও পড়ুন: জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সেবা অব্যাহত রাখুন: পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জনগণকে খাদ্য সংকটে পড়তে দেবে না।
দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার হ্রাসের প্রবণতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ আমরা বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে খাবার কিনছি এবং যা প্রয়োজন তা খরচ করছি। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমরা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি….. আমরা জনগণকে কষ্ট পেতে দেব না।’
আমন ধানের উৎপাদনে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন সবাই বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত এবং সার মজুদ সন্তোষজনক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে এবং বিশেষ করে সেচের জন্য মানুষকে ছোট সোলার প্যানেল বসানোর অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী সাধারণ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত: প্রধানমন্ত্রী
পুলিশকে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দৃঢ়ভাবে মোকাবিলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রপ্তানি আয় ফিরিয়ে আনতে ডলার প্রতি ১ টাকা বেশি পাবেন ব্যবসায়ীরা
রপ্তানিকারকরা তাদের রপ্তানি আয় ফিরিয়ে আনতে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১০২ টাকা পাবেন।
সোমবার থেকে কার্যকর রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন ডলারের হার ঘোষণা করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেডা)।
এটি আগের দর থেকে এক টাকা বেশি যা ডলার প্রতি ১০১ টাকা ছিল।
ডলারের দাম নির্ধারণে রবিবার রাতে এবিবি ও বাফেডার নেতারা বৈঠক করেন।
এতে রপ্তানি আয়ের জন্য হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও প্রবাসী আয় ও আমদানি শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১ টাকা বেশি পাবেন। আর প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে যা ১০৭ টাকা।
এ ছাড়া আমদানি শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় থেকে ডলারের মূল্য শূন্য দশমিক ৫০ টাকা বেশি হবে।
বর্তমানে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ১০৭ টাকা এবং রপ্তানি আয়ে ১০২ টাকা।
আরও পড়ুন: ঋণ কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফার শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
ফলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় ১০৪ দশমিক পাঁচ টাকা। এর সঙ্গে শূন্য দশমিক ৫০ টাকা যোগ করলে প্রতি ডলার আমদানি বিল হবে ১০৫ টাকা।
গত বছরের মার্চ থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর মার্কিন ডলারের স্বল্প সরবরাহ রয়েছে যা বিশ্ব অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ২৭.২২ বিলিয়ন ডলার
২০২২ সালে রেমিটেন্স প্রাপ্তি ৩.১৭% হ্রাস পেতে পারে: আরএমএমআরইউ
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (আরএমএমআরইউ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে যেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, অভিবাসী শ্রমিকরা ২০২২ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর মাসে ১৯ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বাড়িতে পাঠিয়েছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বছরের শেষে রেমিটেন্স আয় দাঁড়াবে ২১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ‘বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসন ২০২২: অর্জন ও চ্যালেঞ্জ’-শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও ধারণা করা হয়েছে যে চলতি বছরে দেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ৮১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে ১০ লাখের বেশি কর্মী বিদেশে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
এতে আরও বলা হয়, বছরের শেষে কর্মসংস্থান ১ দশমিক ১ মিলিয়নেরও বেশি হবে।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপনকারী আরএমএমআরইউ-এর চেয়ার প্রফেসর তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ‘রেমিটেন্স প্রবাহের হ্রাস বৃদ্ধি বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভর করে। ব্যাংকে কম লাভের কারণে শ্রমিকরা হুন্ডির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও শ্রমিকরা সাধারণত তাদের অভিবাসনের প্রথম বছরে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে না। প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী বিদেশে যাওয়ার সময় প্রতারিত হন এবং তারা সঠিক চাকরি পান না। তাছাড়া তাদের অনেকেই বাড়ি থেকে ফেরার জন্য অর্থের ব্যবস্থা করেন।’
প্রফেসর তাসনিম সিদ্দিকী নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করার এবং কর্মীদের সরকারী চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে উৎসাহিত করার জন্য প্রণোদনা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রেরণকারীদের জন্য প্রণোদনা ১০ শতাংশ হওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি পোশাক প্রস্তুতকারীরা আকর্ষণীয় নগদ প্রণোদনা সহায়তা পায়, তবে অভিবাসী শ্রমিকরা কেন নয়?’
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে দক্ষ শ্রমিক অভিবাসন কমেছে। চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট বহির্গামী কর্মীদের মধ্যে ১৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ দক্ষ শ্রমিক ছিল; যেখানে ২০২১ সালে ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ দক্ষ কর্মী বিদেশে গেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহিরাগত বাংলাদেশিদের মধ্যে পেশাদারের সংখ্যা কম। তবে গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
এই বছর ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট অভিবাসীদের মধ্যে প্রায় ০ দশমিক ৩৩ শতাংশ পেশাদার চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছেন। ২০২১ সালে পেশাদারদের সংখ্যা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ ছিল।
চলতি বছরের জানুয়ারি-নভেম্বরে প্রায় ৯৯ হাজার ৬৮৪ জন নারী চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বহির্গমনের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২২ সালে নারীদের অভিবাসন আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ট্রাফিকিং ইন পারসন্স রিপোর্ট ২০২২-এর উদ্ধৃতি দিয়ে আরএমএমআরইউ বলেছে যে মাইগ্রেশন খরচ কিছুটা কমেছে, তবে এটি এখনও বাংলাদেশি অভিবাসীদের খরচ দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
এটি আরও বলেছে যে যদিও বিদায়ী বছরে মালয়েশিয়ার বাজার উন্মুক্ত হওয়া একটি বড় উন্নয়ন ছিল, তবু শ্রমিকরা এখনও অনৈতিক অভিবাসন খরচের শিকার হচ্ছে। ‘নিয়োগকারীদের একটি অংশ এই অনৈতিক অনুশীলন চালিয়েই যাচ্ছে।’
মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারীরা সরাসরি আনতে পারবে রেমিটেন্স: বাংলাদেশ ব্যাংক
রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএসএফ) প্রদানকারীদের অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স আনার অনুমতি দিয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অনুমোদিত ডিলাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়াই বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের সঙ্গে বন্দোবস্ত করতে পারবে।
অনুমোদিত ডিলারদের বাংলাদেশ দূতাবাস বা সংশ্লিষ্ট দেশের হাই কমিশন থেকে সুপারিশপত্র বা সনদপত্র ছাড়াই বন্দোবস্ত করার অনুমতি থাকছে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন
প্রজ্ঞাপনের বলা হয়েছে, এমএফএস প্রদানকারীদের জন্য আরও বেশি সহজ করতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে পরিষেবা প্রদানকারী, ব্যাংক, ডিজিটাল ওয়ালেট, কার্ড স্কিম ও বিদেশে আর্থিক পরিষেবা সমন্বয়কারীদের সঙ্গে মিলিতভাবে রেমিটেন্স উপার্জনকারীদের অর্থ দেশে পাঠানোর অনুমতি দেয়া হবে।
এই প্রেক্ষাপটে, এমএফএস প্রদানকারীদের অবশ্যই তাদের অ্যাকাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়ার জন্য বিদেশি পেমেন্ট ও সেটেলমেন্ট সিস্টেমের (পিএসপি) সঙ্গে স্থায়ী ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং সমতুল্য অর্থ মজুরি উপার্জনকারীদের এমএফএস অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
পরবর্তীকালে, বিদেশি পিএসপিগুলো মনোনীত ডিলারের নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট প্রদান করবে (একটি অ্যাকাউন্ট যা একটি ব্যাংক অন্য ব্যাংকে
বৈদেশিক মুদ্রায় ধারণ করে)। টাকায় মজুরি পাওয়ার পর উপার্জনকারীরা সমস্ত লেনদেন করতে বিদেশ থেকে এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
যারা মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদান করতে চায় তাদেরকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওপরে বর্ণিত ফ্রেমওয়ার্ক বা অনুরূপ সুবিধাজনক পদ্ধতি অনুসারে প্রস্তাবিত ব্যবস্থার বিবরণসহ বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগে আবেদন করতে হবে।
উদ্যোগটি ছোট পরিসরে পর্যালোচনার প্রাথমিকভাবে অনুমতি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ২০১১ সালে এমএফএস চালু করে। তখন থেকেই পরিষেবাটি নিয়ে দেশে যথেষ্ট গুঞ্জন হয়েছে। বর্তমানে ১৩টি এমএফএস অপারেটর ১৮ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে পরিষেবা প্রদান করছে, যারা প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আদানপ্রদান করছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য আছে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
জানুয়ারি থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকবে না: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
মোবাইলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারীদের প্রত্যাবাসন (বৈদেশিক মুদ্রা স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তর) রপ্তানি আয় এবং অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের লেনদেনে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্য প্রযুক্তি সক্ষম পরিষেবা (আইটিইএস) রপ্তানির কারণে সমস্ত অনুমোদিত ডিলার এমএফএস প্রদানকারীদের ইনওয়ার্ড রেমিটেন্সের বিপরীতে নগদকরণ সনদপত্র প্রদান করবে।
বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তি সহজতর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নির্দেশনা জারি করে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের হিসাবে আরও কমে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ!
এতে বলা হয় যে বৈদেশিক মুদ্রার সমস্ত অনুমোদিত ডিলার এবং সমস্ত লাইসেন্সপ্রাপ্ত এমএফএস প্রদানকারীকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একাধিক দেশে চালু ওপিজিএসপিএস বা ডিজিটাল ওয়ালেট অথবা অ্যাগ্রিগেটর এবং আইটিইএসকে রপ্তানি আয় আহরণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এই প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং তা অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত ডিলার এবং এমএফএস প্রদানকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণকারী অনুমোদিত ডিলাররা ইলেকট্রনিকভাবে এমএফএস প্রদানকারীদের অনুরোধের ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের সমর্থনে নগদকরণ সনদপত্র প্রদান করবে।
এক্ষেত্রে অনুরোধটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হওয়া তথ্য-সুবিধাভোগীর নাম, ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট নম্বর, টাকার পরিমাণ, ক্রেডিট তারিখ- বিদেশে রেমিটেন্স পরিষেবা প্রদানকারীকে সমর্থন করা প্রয়োজন।
তথ্য সম্পর্কিত তাদের নিজস্ব স্ক্রীনিং প্যারামিটারের ওপর ভিত্তি করে মনোনীত অনুমোদিত ডিলাররা এমএফএস প্রদানকারীদের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য কিউআর কোডসহ একটি ইলেকট্রনিক নগদকরণ সনদপত্র (ঘের এ অনুযায়ী) তৈরি করবে।
সনদপত্রটি শুধুমাত্র আয়করের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য আছে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঋণের সীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
রেমিটেন্স: প্রতি ডলার ১০৭ টাকা নির্ধারণ করল কেদ্রীয় ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১০৭ টাকা করে রেমিটেন্স দিতে দেশের সিডিউল ব্যাংকগুলোকে বলেছে।
একজন রেমিটেন্স প্রেরণকারী এখন ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি রেমিটেন্স পাঠালেও প্রতি ডলার ১০৭ টাকা পাবেন।
সোমবার (৩১ অক্টোবর, ২০২২) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন(বাফেডা)-এর মধ্যে এক বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রতি ডলারে প্রেরকরা পাচ্ছেন ৯৯ দশমিক ৫০ টাকা। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ ব্যাপকভাবে কমেছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
এ ছাড়া এখন থেকে রেমিটেন্স সংগ্রহের জন্য ব্যাংকগুলো কোন প্রকার ফি নেবে না। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বর্তমান বাস্তবতায় ব্যাংকগুলোকে তাদের নিজস্ব উৎস থেকে ডলার নিয়ে এলসি খুলতে হবে বলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল ও কাজী সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) সেলিম আরএফ হোসেন, ব্যাংকগুলোর পক্ষে বাফেডার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স সংগ্রহকে উৎসাহিত করতে দেশের বাইরে এক্সচেঞ্জ হাউসের সংখ্যা বাড়াতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
ব্যাংকগুলো এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩৫৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে
২৫% রেমিটেন্স কমেছে সেপ্টেম্বরে, স্থির বিনিময় হারকে দায়ী করছেন ব্যাংকাররা
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩৫৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (২ থেকে ৬ অক্টোবর) দেশে ৩৫৭ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এতথ্য প্রকাশ করেছে।
চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরে নগদ প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বাড়ানো সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্সের অভ্যন্তরীণ প্রবাহ কমে যায়। অক্টোবরেও এই প্রবণতা বজায় রয়েছে।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা সেপ্টেম্বরে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা ছিল গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ কমার পর অক্টোবরেও রেমিটেন্স প্রবাহের ধীর গতি দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসের প্রথম ছয় দিনে ৩৫৭ দশমিক সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় বাংলাদেশে এসেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাচ্ছে। এই বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসের শেষ নাগাদ এক দশমিক ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাওয়া যাবে।
অথচ অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স বৃদ্ধির প্রবণতা দিয়ে অর্থবছর শুরু হয়েছিল। যেখানে জুলাই মাসে বাংলাদেশ দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগস্ট মাসে দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় পেয়েছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে এসে তা নিম্নমুখী হয়।
আর্থিক খাতের অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষকরা মনে করেন যে প্রবাসীরা অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের জন্য হুন্ডিকে বেছে নিচ্ছেন,কারণ মার্কিন ডলারের বিনিময় হার খুচরা বাজারে ৮ থেকে ১৪ টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: আগস্টে রেমিটেন্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
রেমিটেন্স: ১ অক্টোবর থেকে প্রতি ডলারে ১০৮ টাকার পরিবর্তে ১০৭.৫ টাকা পাবেন প্রবাসীরা
চলতি মাসের ১৫ দিনে দেশে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে
রেমিটেন্স: ১ অক্টোবর থেকে প্রতি ডলারে ১০৮ টাকার পরিবর্তে ১০৭.৫ টাকা পাবেন প্রবাসীরা
প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ অক্টোবর, ২০২২ থেকে রেমিটেন্সের জন্য প্রতি মার্কিন ডলার ১০৮ টাকার পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ৫ টাকা পাবেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে স্থিতিশীল করতে আগামী মাসে রেমিটেন্সের জন্য এই হার নির্ধারণ করেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা হলে বর্তমান রেমিটেন্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অর্থনীতিবিদ ও পিআরআই-এর চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, যখন খোলা বাজারে প্রতি ডলারের দাম ১১৪ টাকার বেশি হয়, তখন আরও রেমিটেন্স আকর্ষণ করার জন্য এটি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্তটি অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোকে উৎসাহিত করতে পারে, যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের সংকট সমাধানে কোনো সহায়তা হবে না।
সিপিডি-এর বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, যখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের চাহিদা বাড়তে থাকে তখন বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা সহায়ক নয়।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের বিভিন্ন দামে অসঙ্গতি সৃষ্টি করবে এবং রেমিটেন্স প্রবাহকে নিরুৎসাহিত করবে।
প্রফেসর মুস্তাফিজুর বলেন, ফলে অবৈধ খাতকে উৎসাহিত করা হবে এবং ব্যাংক ও খোলা বাজারের মধ্যে বিনিময় হারের পার্থক্য বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রেরকরা প্রতি মার্কিন ডলার সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ৫ টাকা পাবেন। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর, এবিবি ও বাফেদা রেমিটেন্সের জন্য প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ মূল্য ১০৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল।
তবে, রপ্তানি আয় নগদীকরণের ডলারের হার আগের মতোই থাকবে প্রতি ডলার ৯৯ টাকা। আমদানি দায় পরিশোধ এবং আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য প্রবাসী ও রপ্তানি আয় থেকে কেনা ডলারের গড় মূল্যের চেয়ে ১ টাকা বেশি হবে।
বৈঠক শেষে বাফেদা’র চেয়ারম্যান আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ডলারের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সময়ে সময়ে মূল্য পর্যালোচনা করার কথা ছিল। ‘এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নতুন দাম নির্ধারণ করেছি। নতুন দাম ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুন: আগস্টে রেকর্ড ৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৯ মাস ছাড়
চলতি মাসের ১৫ দিনে দেশে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যেও সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে বাংলাদেশ এক হাজার আট দশমিক ৬৭ মিলিয়ন (১০০০ মিলিয়ন = ১ বিলিয়ন) মূল্যের রেমিটেন্স পেয়েছে।
ব্যাংকাররা জানান, রেমিটেন্স প্রবাহের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অন্যতম কারণ হলো টাকার মানের অবমূল্যায়নের জন্য প্রবাসীরা উৎসাহিত হওয়া। কেননা দেশে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশ জুলাই মাসে ২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন এবং আগস্ট মাসে ২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন রেমিটেন্স পেয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যে একটি আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো.সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আরও রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
সরকার রেমিটেন্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তাও দিচ্ছে।
এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মহামারি-পরবর্তী সময়ে বিদেশের চাকরির বাজার বৃদ্ধি পাওয়ায় গত অর্থবছরে জনশক্তি রপ্তানি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আর তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহও বেড়েছে।
ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) এর তথ্যে দেখা গেছে যে ৯ দশমিক ৮৮ লাখেরও বেশি কর্মী ২২’ অর্থবছরে বিদেশ গিয়েছে, যেখানে ২১’ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৭১ লাখ।
গত সাত বছরের মধ্যে এ বছরেই সর্বোচ্চ মানুষ চাকরি করতে বিদেশ গেছে।
এটি অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতেও অবদান রাখছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
ডিবিএইচের রংপুর শাখার উদ্বোধন
ডলারের অভিন্ন দাম: রেমিট্যান্সের জন্য সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা ও রপ্তানি আয়ের জন্য ৯৯ টাকা
বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের পর এবার অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) মার্কিন ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অভিন্ন দাম ঘোষণা করেছে।
ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্সের জন্য ডলারের বিনিময় হার সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২) থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা হবে। আর রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে ব্যবসায়ীরা পাবেন সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা। আর আমদানি এলসি খোলার ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স ও রপ্তানির বিনিময় হারের গড় নির্ধারণ করে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হবে।
বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আফজাল করিম রবিবার এবিবি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকের পর ডলারের অভিন্ন দাম ঘোষণা করেন।
আরও: প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রায় ২০-২৫ দিনের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার আবার অস্থির হয়ে উঠেছে।
রবিবার মার্কিন ডলার খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১৪ থেকে ১১৪ দশমিক ৫ টাকায়, যেখানে ব্যাংকগুলো এলসির জন্য ডলার বিক্রি করেছে ১০১ থেকে ১০৬ টাকায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক আজ ৯৫ টাকায় ডলার বিক্রি করেছে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অর্থনৈতিক গোয়েন্দারা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অবৈধ ডলারের স্টক থেকে মুনাফা অর্জনের জন্য একটি সিন্ডিকেট আবারও বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউসের সঙ্গে কথা বলে ইউএনবি প্রতিনিধি জানান, রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা ও গুলশান এলাকায় প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকায়।
আরও পড়ুন: আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে
আমদানি পর্যায়ে প্রতি ডলার ১০১ থেকে ১০৬ টাকা নিচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। আর নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০৬ থেকে ১০৮ টাকায়।
এর আগে চলতি বছরের ১০ ও ১১ আগস্ট খোলা বাজারে ডলারের দর ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
মানি এক্সচেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি একেএম ইসমাইল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘দাম খুব একটা বাড়েনি। আজ আমরা ডলার কিনছি ১০৬ টাকায় এবং বিক্রি করছি ১০৭ দশমিক ৫।’
১১৩ টাকা থেকে ১১৪ টাকায় বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা মানুষ বেশি দামে ডলার বিক্রি করেন না।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডলারের দাম নির্ধারণ করবে ব্যাংকগুলো। রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় ও আমদানি বিল নিষ্পত্তি সহ প্রতিটি লেনদেনে ডলারের দাম আলাদা হবে। কিন্তু ব্যাংকগুলো বিভিন্ন সেগমেন্টে একই দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করবে। আর প্রতি ডলারে ট্রেডিংয়ে সর্বোচ্চ লাভ হবে ১ টাকা।
আরও পড়ুন:ডলারের অভিন্ন দাম নির্ধারণে ফের বৈঠকে বসবে এবিবি ও বাফেদা