ভ্যাট
৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতি
উৎপাদন ও বাণিজ্য পর্যায়ে থাকা বেশ কিছু পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মওকুফ করেছে সরকার।
সোমবার (৩ মার্চ) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
এতে বলা হয়, ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত উৎপাদন পর্যায়ে রেপসিড তেল, কোলজা বীজ, ও ক্যানোলা তেল ভ্যাট থেকে অব্যাহতি পাবে। এছাড়া কোনো সময়সীমা ছাড়াই সরিষার তেলও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি পাবে।
এছাড়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিস্কুট, লবণ, আটা, সুজি, মরিচের গুঁড়া, ধনিয়া, হলুদ, আদা, রাইস ব্র্যান অয়েল, সূর্যমুখী তেল, রেপসিডের তেল, কোলজা বীজের তেল, ক্যানোলা তেল, ডাল বা ডাল জাতীয় খাদ্যশস্যসহ দেশীয়ভাবে উৎপাদিত বেশ কিছু পণ্য ব্যবসা পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি পাবে।
আরও পড়ুন: বিস্কুটে ভ্যাট অর্ধেকে নামিয়ে আনল এনবিআর
১৬ দিন আগে
অবিলম্বে ভ্যাট অব্যাহতি পুনর্বহালের দাবি প্লাস্টিক জুতা তৈরি সমিতির
প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও প্লাস্টিক পাদুকা (১৫০ টাকা মূল্য সীমা পর্যন্ত) উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি পুনর্বহালের জন্য সরকারের কাছে আবারও দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সমিতির নেতারা এ দাবি জানান। একই দাবিতে সমিতির নেতারা আজ অর্থ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুস (রানা), সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান রহমান (সাজু), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পাদুকা প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা।
সমিতির নেতারা বলেন, আগের ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাদুকা শিল্প মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। দাবি পূরণ না হলে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও চূড়ান্তভাবে কারখানা বন্ধের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
তারা বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের কাছে তারা অতিসত্ত্বর ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ দাবি পূরণ হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চলতে থাকবে।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থান: আহতদের চিকিৎসায় আগত বিদেশি চিকিৎসকদের ভ্যাট অব্যাহতি
মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা বলেন, আমরা ভ্যাট আইন মানি, তবে তা অবশ্যই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থ বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই, এই ধরনের সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করে দেশের পাদুকা শিল্প ও সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষা করুন।
তারা আরও বলেন, জুলাই-আগষ্ট অভ্যুত্থানের বা বিল্পবের ফসল কি তাহলে দরিদ্র শ্রেণির ওপর ভ্যাট আরোপ? আইএমএফের চাপে যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে, তা গরীবদের উপর কেনো?
৩৮ দিন আগে
চপ্পল ও পাদুকা উৎপাদনে ভ্যাট, কষ্টে পড়বেন শ্রমজীবীরা
প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিক পাদুকার উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি (১৫০ টাকা মূল্য সীমা পর্যন্ত) পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা জানান, পূর্বের ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করে নতুন করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাদুকা শিল্প মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।
আরও পড়ুন: ‘বাতিঘর, নায়ক-স্থিতিশীলতার বিস্ময়কর প্রতিচ্ছবি’ হিসেবে অভিহিত ড. ইউনূস
সমিতির উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বেলাল লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল এবং পাদুকার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাব অযৌক্তিক। এটি কার্যকর হলে এই সাশ্রয়ী পণ্য সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। বিশেষত শ্রমজীবী, দিনমজুর, কৃষক, রিকশা-ভ্যান চালক এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।’
‘ভ্যাট অব্যাহতির ফলে সরাসরি পণ্যের উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় নিম্নআয়ের ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বিবেচনায় এতো উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও ১৫০ টাকা মূল্যের রাবার ও প্লাস্টিকের চপ্পল সরবরাহ অব্যহত রেখেছে। এই কম উৎপাদন খরচের সুবিধা সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছেছিল, যার মাধ্যমে দেশের নিম্নআয়ের মানুষ সাশ্রয়ী দামে প্রয়োজনীয় হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকা ক্রয় করতে পেরেছেন।’
বেলাল আরও উল্লেখ করেন, ‘এই পণ্যের মূল কাঁচামাল হচ্ছে পরিত্যক্ত রাবার ও প্লাস্টিকের চপ্পলজাতীয় অপচনশীল দ্রব্যাদি; যা সংগ্রহ করা হয় দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছিন্নমূল টোকাই ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে।’
‘সংগৃহীত এই সমস্ত অপচনশীল পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ও রাবারের চপ্পল রি-সাইকেলিং করে পুনরায় উৎপাদন করা হয়। যা পরিবেশের ভারসাম্য তথা জমির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং জলবদ্ধতা রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। ভ্যাট অব্যাহতির ফলে তারা রিসাইক্লিং কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করতে পেরেছিল।’
আরও পড়ুন: মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে এলএনজি চুক্তি সই বাংলাদেশের
‘এতে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ কমেছে, অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ হ্রাস পেয়েছে। এসব বিবেচনায় ভ্যাট আইনের শুরু হতেই আমাদের উৎপাদিত প্লাস্টিক ও রাবারের পাদুকা ভ্যাট অব্যহতি সুবিধা পায়,’ যোগ করেন তিনি।
সংগঠনটির নেতারা সরকারের কাছে অবিলম্বে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস (রানা), সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান রহমান (সাজু), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমানসহ বিভিন্ন পাদুকা প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
৫৩ দিন আগে
রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও পোশাকে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত
রেস্তোরাঁ, ওষুধ, মোবাইল ফোন, আইএসপি সেবা, মোটরগাড়ির গ্যারেজ, ওয়ার্কশপসহ বেশ কিছু পণ্যের ওপর থেকে বাড়তি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এতে বলা হয়, চিকিৎসা সেবা আরও সহজ করতে ওষুধ শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে যে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে আগের অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। অর্থাৎ এই খাতে এখন থেকে দুই দশমিক চার শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।
আর চলমান ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে মোবাইল ফোনের সিম ও রিম কার্ড এবং আইএসপি সেবার ওপরও সম্পূরক শুল্ক থাকছে না। পাশাপাশি রেস্তোরাঁর খাবারের দাম সুলভ রাখতে তিন-তারকা, চার-তারকা ও পাঁচ-তারকা হোটেল ছাড়া সব রেস্তোরাঁয় আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা চাইল এনবিআর
এরবাইরে মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ, নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য পোশাক বিপণনের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এছাড়া, নন-এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভান্ডার, ও নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক বিপণনের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
শতাধিক পণ্য ও সেবায় আমদানি, উৎপাদন, সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারির পর থেকে খাত সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা এসেছে খোদ অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কাছ থেকেও।
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত এনবিআরের
৫৬ দিন আগে
শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে: বিএনপি
শতাধিক পণ্যের ওপর যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার, সেটিকে ‘হঠকারী সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এতে সাধারণ মানুষকে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে মনে করছে দলটি। যদিও অন্তবর্তী সরকারের দাবি, এতে ‘ন্যূনতম’ প্রভাব পড়বে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যে ভ্যাট ও পরোক্ষ কর বাড়িয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।’
দেশের চলমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও মুদ্রাস্ফীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। কিছু কিছু পণ্যের ওপর থেকে কর অব্যাহতিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে খাদ্য, পোশাক, ওষুধ ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যও রয়েছে।’
আরও পড়ুন: চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা ফখরুলের
এতে সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি। তার ভাষ্যে, ‘বিশেষ করে গরিব ও মধ্যবিত্তদের ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হবে।’
এসব ভোগান্তি থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে বিকল্প পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফখরুল। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর পরিবর্তে সরকার যাতে অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন খরচ কমিয়ে দেয়, অন্তবর্তী সরকারকে সেই পরামর্শও দিয়েছে বিএনপি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘জবাবদিহিতামূলক একটি প্রশাসনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত একটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা।’
এর আগে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ায় সরকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বেড়ে যেতে পারে সাধারণ মানুষের। যেমন মুঠোফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়বে। আবার পোশাক–পরিচ্ছেদের দামও বাড়তে পারে ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে।
এছাড়া মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্যের।
গত ৯ জানুয়ারি রাতে এ–সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশ দুটি হলো— মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দি এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
তবে এই ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের ওপর তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে ১২ জানুয়ারি রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়লেও সাধারণ মানুষের ওপর খুব বড় প্রভাব পড়বে না। এ প্রভাব হবে খুবই ন্যূনতম। এ বছর (অর্থবছর) পাঁচ মাসে রাজস্ব আয়ে ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। সংগ্রহ হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি না যে কিছু প্রভাব পড়বে না। কিন্তু আমরা মনে করছি, এটি খুবই ন্যূনতম (মিনিমাম) হবে। আমরা মনে করি না যে এটা খুব বড় প্রভাব (ম্যাসিভ ইমপ্যাক্ট) হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, সরকার চাচ্ছে অর্থনীতির স্বাস্থ্যটা স্থিতিশীল করতে, ঠিক করতে; এটি দেশের জন্যই ভালো হবে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
৬০ দিন আগে
হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। এর ফলে আগের ৫ শতাংশ ভ্যাটই বহাল থাকছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ডেপুটি কমিশনার অ্যান্ড সেকেন্ড সেক্রেটারি বদরুজ্জামান মুনশী।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) অথবা আগামী রবিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে।
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত এনবিআরের
এনবিআরের এই কর্মকর্তা বলেন, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক আইনের মাধ্যমে রেস্টুরেন্ট সেবার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করা হয়। পরে সরকার এই সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন করে পূণরায় ৫ শতাংশে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় রাসস্ব বোর্ড কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আজ ও আগামী রবিবারের মধ্যে আদেশ জারি করে রেস্তোরা সেবায় পূর্বের অবস্থায় ( ১৫ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশ) মূসক বহাল করা হবে বলে জানান তিনি।
রেস্তোরাঁ মালিলকদের মানববন্ধন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, গতকাল আমরা রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতিকে একটি চিঠি দিয়ে আমাদের সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা কেন মানববন্ধন করছেন তা দেখার বিষয়। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করব, যেহেতু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভ্যাট ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে— সেকারণে এখন মানববন্ধন করার প্রয়োজন নেই। আন্দোলনকারীদের স্ব স্ব স্থানে কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধও করেন তিনি।
৬২ দিন আগে
মুঠোফোন-ইন্টারনেটের ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাও
মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবায় নতুন করে আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে এনবিআর ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের নেতারা।
রবিবার(১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয়। এই সেবা খাত ধ্বংস করার অপচেষ্টা আগেও করা হয়েছে এখন আবার নতুন করে ১০ শতাংশ এসডি ও ভ্যাট যুক্ত করায় গ্রাহকের ভোগান্তি বাড়বে। একইভাবে এই সেবাখাত ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা গ্রাহক এবং সেবা খাতের সবাইকে নিয়ে এনবিআর কার্যালয় ঘেরাও করব।
আইএসপিএবি’র সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের ছোট ছোট উদ্যোক্তা যেভাবে হুমকির মুখে পড়বে ঠিক একইভাবে গ্রাহকদের উপর অতিরিক্ত করের বোঝার চাপ পড়বে। ফোনে ইন্টারনেট সেবা বিমুখ হবে জনগণ, যা নতুন করে বৈষম্য তৈরি করবে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের বলেন, নতুন করে করের বোঝা জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলবে না, সরকারকে ১০ নম্বর সংকেতে ফেলবে। হঠকারী সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইএমএফের শর্ত নয়, রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য ভ্যাট বাড়ানো হবে: অর্থ উপদেষ্টা
প্রযুক্তিবিদ ও প্রযুক্তি শিল্প উদ্যোক্তা বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, কারো সঙ্গে আলোচনা না করে নতুন করে ইন্টারনেট সেবার উপর কর আরোপ করা এক ধরনের স্বৈরাতান্ত্রিক আচরণ। নতুন করে কর বৃদ্ধি করলে টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট সেবা খাত হুমকির মুখে পড়বে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি তো দূরে থাক, গ্রাহকরা এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে না। এতে নতুন করে কর আদায় করার যে সিদ্ধান্ত, তা হোঁচট খাবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করতেই তাদের পরামর্শে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পর আর রাজপথে দাঁড়াতে হবে না। কিন্তু আজ দুঃখের সঙ্গে আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হলো। গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা না করে কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই রাতের আঁধারে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করল। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, প্রযুক্তিবিদ ফিদা হক, ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি আনিস, রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন, পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মেট্রো রেলের ভাড়ায় ভ্যাট মওকুফ
৬৬ দিন আগে
ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমাল সরকার
সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করেছে সরকার।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও লেনদেনে ভ্যাট কমানোর পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
একই সঙ্গে আমদানিভিত্তিক ভোজ্যতেল উৎপাদন ও ব্যবসায় ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হ্রাসকৃত ভ্যাট চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ভোক্তাদের কাছে চিনির দাম সহনশীল করার লক্ষ্যে গত ৯ অক্টোবর পরিশোধিত ও কাঁচা চিনি আমদানিতে রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করে এনবিআর।
১৫৩ দিন আগে
রাজস্ব বাড়াতে করজাল সম্প্রসারণের কথা ভাবছেন এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান
করদাতাদের জন্য জবরদস্তি ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করবে এমন কোনো উদ্যোগ না নিয়ে করজাল সম্প্রসারণের কথা ভাবছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বর্তমানে রাজস্ব আদায়ের ৬৭ শতাংশ আসে কাস্টমস ডিউটি ও মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) মতো পরোক্ষ কর থেকে। বাকিটা আসে আয়করের মতো প্রত্যক্ষ কর থেকে।
গত রবিবার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বৈঠকে এনবিআরের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান কর্মকর্তাদের বলেন, ‘আমাদের এই খাতে (করজাল প্রশস্তকরণ) মনোযোগ বাড়াতে হবে।’
সরকারি নথি অনুযায়ী, আয়কর সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি কার্যকর ব্যবস্থা।
নতুন আয়কর আইন, ২০২৩ বাস্তবায়নের পরের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে করের হার বাড়ানোর পরিবর্তে করের হার যৌক্তিকীকরণ, বিশেষ করে উচ্চতর কর-ভিত্তি সম্প্রসারণ, ই-টিআইএনধারীদের রিটার্ন দাখিলে উৎসাহিত করা এবং স্বেচ্ছায় কমপ্লায়েন্স উৎসাহিত করার মাধ্যমে কর নীতির সংস্কার করে আরও বেশি করদাতাকে করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের কাস্টমস ও বন্ড সমস্যা সমাধানে এনবিআরকে বিজিএমইএর আহ্বান
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, বর্তমান আয়কর আইনের ফাঁকফোকর খুঁজে বের করে আরও করদাতাবান্ধব করে তুলতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যাতে করদাতারা কর প্রদানে উৎসাহিত বোধ করেন।
তিনি বলেন, ‘কোনো দেশের কর কোন কোন খাত থেকে আসে সেটা দিয়ে দেশ কতটুকু সভ্য তা পরিমাপ করা হয়। সেই সভ্যতা থেকে আমরা অনেক দূরে। আমাদের এই প্রত্যক্ষ করের দিকে নজর দিতে হবে, যাতে রাজস্ব আদায়ে এ খাতের অবদান বাড়াতে পারি। এর জন্য মূলত প্রয়োজন সক্ষমতা ও কঠোর পরিশ্রম।
করজাল বড় আকারে সম্প্রসারণে এনবিআরের ব্যর্থতা স্বীকার করেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এনবিআর কেবল আইনে নতুন বাধ্যবাধকতা যুক্ত করে করজাল সম্প্রসারণ করতে পারে এবং আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণকে কর নিবন্ধনে বাধ্য করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এটুকুই। আমরা তাদের সরকারি সেবা নিতে কর নিবন্ধন করতে বাধ্য করেছি, পরে আয়কর রিটার্ন দাখিল দেখানো বাধ্যতামূলক করেছি।’
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ৫.২ শতাংশ কর নিবন্ধিত, যেখানে ভারতে এটি ২৩.০৮ শতাংশ।
তাই করজাল সম্প্রসারণের অপার সুযোগ রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) মধ্যে সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে তথ্য বিনিময়-গোছানো-সংরক্ষণ ও নির্ভুলতা যাচাইয়ের জন্য সহযোগিতার ফলে নতুন করদাতা শনাক্তকরণ এবং কর ফাঁকি শনাক্ত করে বকেয়া আদায় সহজতর হয়েছে।
কর পরিশোধকে আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্যে উৎসে কর কর্তন ও সংগ্রহ প্রক্রিয়া মনিটরিংয়ের জন্য ই-টিডিএস পদ্ধতি চালু করা হয়েছে এবং রিটার্ন দাখিলের জন্য ই-রিটার্ন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, এই উদ্যোগের ফলে করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করা সহজ হয়েছে এবং নতুন করদাতার সংখ্যাও বাড়ছে।
বর্তমানে ই-টিআইএন নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত এনবিআর করদাতা, প্রধানত ব্যক্তি থেকে ৪১ লাখ কর রিটার্ন পেয়েছে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি।
নথিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন নীতিগত পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণের (পিএসআর) প্রয়োজনীয়তা ট্যাক্স রিটার্নের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের করদাতাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং আমাদের যে সম্পদ আছে তা দিয়ে কার্যকরভাবে কাজ করতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে কেন এই বিপুল সংখ্যক করদাতা নিবন্ধন করছেন না।’
এ বিষয়ে করদাতাদের আলোকিত করার ওপর জোর দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদানের বিষয়ে লেখা ও কার্টুন তৈরি করে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের মধ্যে বিতরণ করার পরিকল্পনা করছে রাজস্ব আদায়কারী কর্তৃপক্ষ। এজন্য শিশুদের উপযোগী কর সংক্রান্ত লেখা ও কার্টুন তৈরি কথা ভাবা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে আমরা কর দানকে সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারি এবং কলেজ স্তরের জন্য আমরা এটি তাদের পাঠ্য হিসেবে তৈরি করতে পারি।’
আয়কর একটি দেশের অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ চালিকা শক্তি এবং দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রত্যক্ষ কর সাধারণত প্রগতিশীল ভিত্তিতে আরোপ করা হয়, করের বোঝা সমাজে সমতা অনুযায়ী বণ্টিত হয়, যাতে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের তুলনায় আয়কর হিসেবে তাদের আয় বা সম্পদের একটি বড় অংশ প্রদান করে।
আয় পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আয়কর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদায় করা মোট রাজস্বের প্রায় ৩৩ শতাংশ আসে আয়করের মাধ্যমে। আয়কর আদায়ে গড় প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশের বেশি।
সরকারি নথি থেকে জানা যায়, করদাতা, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব আয়কর নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে প্রত্যক্ষ করের অবদান ৪২ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কালো টাকা সাদা করা 'অশোভন ও অগ্রহণযোগ্য': এনবিআর চেয়ারম্যান
২১১ দিন আগে
বাজেটে মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট ছাড় ঘিরে অনিশ্চয়তা
ঢাকা, ৬ জুন (ইউএনবি)-মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট মওকুফের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও এ সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়টি স্পষ্ট না করায় ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটের মূল্য ১৫ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: আমরা সিরডাপের ম্যান্ডেট ও সাংগঠনিক দর্শনের উপর জোর দিতে চাই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
২০২৩ সালের শুরুর দিক থেকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কথা জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ওই বছরের ২২ জানুয়ারি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) ভ্যাট আরোপের বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানান ঢাকা দক্ষিণের ভ্যাট কমিশনার শওকত আলী।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ও এনবিআরের মধ্যে একাধিক বৈঠক হলেও এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। এরপর ২০২৩ সালের মে মাসে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতি বহাল রাখার ঘোষণা দেয় এনবিআর।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। মন্ত্রীর এ প্রস্তাব জাতীয় সংসদে আলোচনা করা হবে এবং মেট্রোরেলের টিকিটের বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না এলে নির্ধারিত সময় শেষে ভাড়া বাড়বে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপে টেলিকম শিল্পের ওপর চাপ বাড়ছে: অ্যামটব
২৮৬ দিন আগে