জলবিদ্যুৎ
বাংলাদেশকে আরও জলবিদ্যুৎ দিতে আগ্রহী নেপাল
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশকে আরও জলবিদ্যুৎ দিতে আগ্রহী নেপাল।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নেপালের পরিবেশমন্ত্রী আই বাহাদুর শাহী ঠাকুরি এই আগ্রহের কথা জানান।
বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ভুটান, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। এছাড়া জানুয়ারিতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে অংশ নেবে নেপাল, ভূটান ও বাংলাদেশ। এটি কোথায় হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। এছাড়া ওই বৈঠকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলার প্রশমন, অভিযোজন ও লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।
লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার ওপর জোর দেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বড় দেশগুলোর চেয়ে ছোট দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা সক্ষমতা অনেক কম।
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রায় একই। জলবায়ু পরিবর্তন কোনো সীমানা মানে না। এর প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে একই কাজ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: নদী-খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের এখনই সময়: পরিবেশ উপদেষ্টা
আগামী প্রজন্মকে দূষণমুক্ত নদী-খাল দেখাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
৩ দিন আগে
ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৯ জুন) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে। সে সময় এই আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, 'এর জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং আমরা এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ভুটান বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বারিধারায় গুলিবর্ষণ: পুলিশ কনস্টেবলদের মধ্যে কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না: ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনতে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং বিষয়টি এরইমধ্যে ভারতের নজরে আনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও জানান, সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় আলোচনায় আসে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক আরও জোরদারে দুই দেশই নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে।
শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে, কারণ ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বাংলাদেশকে প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভুটান।
তিনি বলেন, 'আমরা ভুটানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতকে দেওয়া স্থানের যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ভুটানের বিনিয়োগ কামনা করেন।
এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সাম্প্রতিক ভুটান সফরের কথা উল্লেখ করেন।
পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, তিনি (ভুটানের প্রধানমন্ত্রী) সবসময় বাংলাদেশের কথা মনে রাখেন এবং চিন্তা করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে জিমে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ হাইকমিশন দেখি। এটি আমাকে সবসময় বাংলাদেশের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশের বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও ফলপ্রসূ করতে এবং বাংলাদেশের সহায়তা কীভাবে ভুটানের জন্য আরও অর্থবহভাবে ব্যবহার করতে পারেন সে বিষয়ে তার পররাষ্ট্র সচিব সব সময় চিন্তা করেন।
সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময় ভুটানের রাজা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের কথা উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা তাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
বৈঠকে আরও ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জ্বল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, পিএমও সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
ভুটানের পক্ষ থেকে ছিলেন অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী চন্দ্র বাহাদুর গুরুং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেরিং, ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভি নামগিয়েল, মন্ত্রিপরিষদসচিব কেসাং ডেকি এবং পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতারা
ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে ভারত: হাছান মাহমুদ
নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে ভারত যেভাবে সহযোগিতা করেছে, সেভাবে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতেও সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ বৈঠক হয়।
বাংলাদেশ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় এবং ভারতের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ আনতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে এই সফরে চুক্তি হচ্ছে না। ভারত যেভাবে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে সহায়তা করেছে, ভুটান থেকে আমদানির ক্ষেত্রেও ভারত সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের আগেই ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দানকারী দেশ ভুটানের রাজার সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে ভুটানকে আবার বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল ইনিশিয়েটিভ) -এ যোগদানের জন্য এবং এয়ার-কানেক্টিভিটি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-থিম্পু পথে এখন সপ্তাহে মাত্র দুটি ফ্লাইট আছে। এটি বাড়ানো প্রয়োজন, কারণ ভুটান অত্যন্ত সুন্দর দেশ। আমি কয়েকবার গেছি, বর্তমান রাজার বিয়ে উৎসবেও যোগ দিয়েছি। গত বছর তিনি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার সময় যাত্রাবিরতিতে আমি তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছিলাম।’
মানুষ যাতে সড়ক পথে গাড়ি নিয়ে যেতে পারে, সে নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য ভুটানকে জায়গা দেওয়া হবে সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ দিন ভুটানের রাজার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভুটানের থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি পুনর্নবায়নের কথা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই
২৫-২৮ মার্চ সফরে সোমবার ঢাকায় আসেন ভুটানের রাজা। এ দিন ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পাশাপাশি তিনি পদ্মা সেতু, শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
শেষদিন ২৮ মার্চ কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে রাজা বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। ভুটানের রানী, পরিবারের সদস্য, মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তারা রাজার সফরসঙ্গী হিসেবে সফরে যোগ দিয়েছেন।
৭ মাস আগে
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি দেবে বাংলাদেশ, আলোচনা চলছে জলবিদ্যুৎ আমদানির
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়। আর এ বিদ্যুৎ ভারতের মধ্য দিয়ে আনতে হবে। তাই ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করছি।’
তিনি বলেন, সেখানে ভুটানের ২৫ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নেপাল থেকেও জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে এবং এ বিষয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, শুভেচ্ছা স্বরুপ বাংলাদেশ থিম্পুতে একটি বার্ন ইউনিট নির্মাণ করবে, যা দেশের সক্ষমতারও বহিঃপ্রকাশ।
তিনি ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সফর সম্পর্কেও জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সময় বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত আরও একটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হবে।
১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার ই ধারাবাহিকতায় চার দিনের সফরে ভুটানের রাজার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্য, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ভুটানের রানী সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'ভুটানের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং ফার্স্ট লেডি গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে বাদশাহকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
সোমবার সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে রাজার।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন ভুটানের রাজা। তারা দুজনের মধ্যে বৈঠক হবে।
বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে রাজার সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটও পরিদর্শন করবেন রাজা।
তিনি বঙ্গভবনে যাবেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজা।
রাষ্ট্রপতি সফররত রাজপরিবারের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
বুধবার সকালে রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক ও ভুটানের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানাবেন।
ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার রাজা কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
একই দিন বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ভূখণ্ড ত্যাগ করবেন।
সেখানে তাকে বিদায় জানাবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুক সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে এক চিঠিতে বলেন, তার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা বিরাজের পাশাপাশি অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি ভুটানকে 'ঘনিষ্ঠ বন্ধু' হিসেবে উল্লেখ করেন।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের তৃতীয় রাজা টেলিগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বীকৃতির বার্তা পাঠান। এর মধ্যে দিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ ভুটান।
সেই থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে একটি বিশেষ বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই ভুটান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এর ফলে ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে
শিগগিরই থিম্পু-ঢাকা জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তি সই: ভুটানের রাষ্ট্রদূত
ভুটান এবং বাংলাদেশ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে জলবিদ্যুতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের কাছাকাছি রয়েছে।
মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কেনসি।
আরও পড়ুন: আগামী মাসে পিটিএ সই করবে ঢাকা-থিম্পু: ভুটানের রাষ্ট্রদূত
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভুটানের জনগণের অটল সমর্থনের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের আগেই প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৭১ সালেন ৬ ডিসেম্বর ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক আগামী দিনে আরও নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।
এছাড়া সমগ্র অঞ্চলের সুবিধার জন্য বিদ্যমান সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দুই দেশ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করতে দুই দেশের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর ওপরও জোর দেন।
ভুটান বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিমালয় রাজ্যের বাজারে পোশাকসহ অনেক বাংলাদেশি পণ্য প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা।
আরও পড়ুন: সৌদি সহায়তায় ৮ বিভাগে নির্মিত হবে আট ‘আইকনিক মসজিদ’: প্রধানমন্ত্রী
১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশের উন্নয়নের জন্য আরও জ্বালানি প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
সরকার দেশের উন্নয়ন করতে চায় এবং সেজন্য আরও বেশি জ্বালানি প্রয়োজন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন।
শুক্রবার তার সরকারি বাসভবনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরির সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব বলেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি; বাংলাদেশের অসাধারণ উদারতার প্রশংসা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা আমাদের দেশের উন্নয়ন চাই। তাই আমাদের জ্বালানি প্রয়োজন।'
পরে, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উৎস হিসেবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আরও বেশি জ্বালানি উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের কেবল একটি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। এখন আমরা নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাথে আঞ্চলিক ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপাক্ষিক উদ্যোগের মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আলোচনা করছি।'
আরও পড়ুন: তরুণদের শক্তি ও সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীর জোর
তিনি জানান, দেশে প্রায় ৫৮ লাখ সৌর সংযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, 'কৃষিক্ষেত্রেও সেচের জন্য সৌরশক্তি প্রয়োজন।'
শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যারিস চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্তের আন্তরিক প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন কূটনীতিতে এটি নতুন মাত্রা সৃষ্টি করবে।'
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব সম্পদ দিয়ে তহবিল তৈরির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় পরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মসূচি শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে জন কেরি ঢাকায়
তিনি ২২ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
সম্মেলনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণটি গ্রহণ করার জন্য জন কেরি প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে