চুরির অভিযোগ
চুরির অভিযোগে মাদরাসা ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, আটক ৬
কুষ্টিয়ায় মুদি দোকানে চুরির অভিযোগে ১১ বছর বয়সি এক মাদরাসা ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় তার শরীরে সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়াসহ মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর এলাকার ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন- নন্দলালপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের সামছুল হক (৫০), সদর থানার ফুলতলা এলাকার মো. জিহাদ (৩৫), মনোহার শেখ মুনা (৫০), মো. সোলাইমান (৫৫) ও মো. রিফাত (২০)।
এদিকে অপরজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় রাতভর মাদরাসা শিক্ষক ও গৃহিণীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
মাদরাসা ছাত্র রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং কুষ্টিয়া মাদরাসাতুল আবরার মাদরাসার হাফেজজিয়া কওমি ছাত্র।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই মাদরাসা ছাত্র আগে কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর এলাকার দারুল আহাদ আল ইসলামিয়া নূরানি হাফেজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করত। গত রবিবার রাতে ওই ছাত্র বর্তমান মাদরাসা থেকে পালিয়ে পূর্বের মাদরাসা আলাউদ্দিন নগরে আসে। ওই দিন রাতেই সোলাইমানের মুদি দোকানের টিনের বেড়া কেটে বিস্কুট, জুস ও খাবার খায় ওই ছাত্র। সেসময় আসামিরা টের পেয়ে ওই মাদরাসা ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীর পুড়িয়ে দেয় এবং মাথার চুল কেটে দেয়। এমন নির্মম নির্যাতন চলে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত। এরপর খবর পেয়ে ওই ছাত্রের মা তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর ছয়জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রের মা। রাতেই আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ছাত্রের মা বলেন, ‘আমার ছেলে ক্ষুধা মিটানোর জন্য দোকানে ঢুকে বিস্কুট ও জুস খেয়েছিল। সেজন্য তাকে চুরির অপরাধে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করেছে। সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়াসহ মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আমি এই নির্যাতনের সু্ষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি।’
আরও পড়ুন: নির্যাতনের শিকার হাতি উদ্ধার, মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
মারধর ও চুলকাটার ঘটনা স্বীকার করে অভিযুক্ত দোকানদারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দোকানে ঢুকে চুরি করায় তাকে হাতেনাতে ধরে মারধর করা হয়েছিল। স্থানীয় ছেলেপেলে চুল কেটেছিল। তবে চুল কাটাই সবচেয় বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা ভুল হয়েছে।’
কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকল্যাণ বিশ্বাস বলেন, ‘ছাত্রের মা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পুলিশি নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন জবি সমন্বয়ক
১ মাস আগে
নাটোরে চুরির অভিযোগে ২ যুবককে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় একজন নিহত, গ্রেপ্তার ২
নাটোরের বড়াইগ্রামে দোকানে চুরির অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দুজনের মধ্যে শামীম হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
আহত অপর যুবক সোহানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
এদিকে শামীমের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত দোকান মালিক মুক্তার হোসেন ও তার ছেলে সুমনকে বুধবার সকালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত শামীমের বাবা সুলতান সরদার বাদী হয়ে সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান।
তিনি জানান, ডেকোরেটরের দোকানের মালামাল চুরির ঘটনায় পাশ্ববর্তী পিওভাগ গ্রামের শামীম ও সোহানকে ধরে এনে পিটিয়ে জখম করে মুক্তার, তার ছেলে ও কর্মচারীরা। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে শামীমের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত, বাড়িতে হামলা
৭ মাস আগে
ন্যানসির জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার চুরির অভিযোগ
দেশের জনপ্রিয় গায়িকা নাজমুন মুনিরা ন্যানসির জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার চুরি হয়েছে। এই তারকার বাসা থেকে এমনটা ঘটে বলে জানা যায়। গণমাধ্যমে ন্যানসি জানায়, গৃহকর্মীকে সন্দেহ করে তিনি গুলশান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
‘প্রজাপ্রতি’ সিনেমার জন্য পাওয়া এই পুরস্কারটি চুরি যাওয়া প্রসঙ্গে ন্যানসি বলেন, 'আমার বাসায় তাহমিনা নামের মেয়েটির ঈদ পর্যন্ত কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু ৫ এপ্রিল তাহমিনা হঠাৎ জানায়, সে কাজ করতে পারবে না। কারণ হিসেবে তার অসুস্থতার কথা বলে। কিন্তু আমি চিকিৎসার জন্য সাহায্য করব বললেও তাহমিনা বিভিন্ন অযুহাতে কাজ ছেড়ে দেয়।'
আরও পড়ুন: কন্যা সন্তানের মা হলেন ন্যান্সি
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও অন্যান্য জিনিস চুরি যাওয়া প্রসঙ্গে ন্যানসি আরও বলেন, 'ঈদের আগে ঘর গোছাতে গিয়ে দেখি, স্বর্ণপদক ও আমার আরও কিছু জুয়েলারি নেই। পরবর্তীতে বিষয়টি থানায় জানানো হলে তাহমিনার বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায় তাহমিনা চুরি করেছে।'
ন্যানসি জানান, অন্যকিছু না পাওয়া গেলেও তার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটি তিনি ফিরে পেতে চান।
উল্লেখ্য, এক যুগের বেশি সময় দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে নিয়মিত গান করছেন ন্যানসি। ২০১১ সালে মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত 'প্রজাপতি' গানটির জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন: আসিফ-ন্যান্সির দ্বন্দ্বের অবসান
১ বছর আগে
শিশু নির্যাতনের মামলায় গোপালদী পৌর মেয়রের আগাম জামিন
চুরির অভিযোগে তিন শিশুকে হাত বেঁধে গ্রাম ঘুরিয়ে মাথার চুল কেটে নির্যাতন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদারকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
এদিকে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চাইলে আদালত চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
জামিনের বিষয়টি জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূইয়া।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি চুরির অপবাদ দিয়ে গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী বাসস্ট্যান্ডে তিন শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে গোপালদী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এম এ হালিম সিকদারের বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রামচন্দ্রদী গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে ও গোপালদী মাদসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বায়েজিদ (১০)। হাসানের ছেলে ও রামচন্দ্রদী মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র সিয়াম (৮)। আর জজ মিয়ার ছেলে একই মাদরাসার শিক্ষার্থী আফরীদ (৮)।
তারা সকালে মক্তব থেকে যাওয়ার পথে গোপালদী পৌর মেয়র হালিম সিকদারের মালিকানাধীন সিকদার সাইজিংয়ের সামনে থেকে পড়ে থাকা কয়েকটি নাটবল্টু নিয়ে খেলছিল। এ সময় মেয়র তার লোকজন দিয়ে তাদের ধরে এনে হাত বেঁধে দুই ঘণ্টা আটক রেখে মারধর করেন।
পরে রামচন্দ্রদী বাসস্ট্যান্ডে এনে তাদের মাথার চুল কেটে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
রাজশাহীতে চুরির অভিযোগে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
রাজশাহী নগরীতে চুরির অভিযোগে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নগরীর সপুরা বিসিক এলাকার মডার্ন ফুড কারখানা সংলগ্ন একটি বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁর মান্দা উপজেলার সগুনা গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে রেজাউল করিম (৪৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতান্নপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে রাকিবুল ইসলাম (৩৫)। তারা দু’জন রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার তেরোখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, মডার্ন ফুড কারখানা সংলগ্ন বাড়িটিতে তাদের আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ নির্যাতনের শিকার দুই শ্রমিককে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসকরা একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় অপরজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, নগরীর সপুরা এলাকার বিশাল বিস্কুট ফ্যাক্টরির সামনে আবদুল মালেক হাজির ছেলে মডার্ন ফুড কারখানার মালিক মোহাম্মদ আব্দুল্লার (৩৮) বাড়িতে গত কয়েকদিন ধরে রাকিবুল ও রেজাউল রাজমিস্ত্রির কাজ করছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে তাদের দুইজনকে বেঁধে নির্যাতন শুরু করে। রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের নির্যাতন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ইজিবাইক চালককে পিটিয়ে হত্যা
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। এদের মধ্যে রেজাউলকে জরুরি বিভাগে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাকিবুল ইসলাম।
ওসি মাজহারুল বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন, বাড়ির মালিক আব্দুল্লাহ (৩৮), তার শ্বশুর মাসুম রেজা (৫০), চাচাতো শ্যালক মঈন উদ্দিন রিয়াল (১৯) ও মডার্ন ফুডের ম্যানেজার ইমরান হোসেন (২১)। এদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
মাজহারুল আরও বলেন, স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য দুই শ্রমিককে খুঁটিতে বেঁধে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করা হয়। এই নির্যাতনের তারা ভিডিও ধারণ করে। এই ধরণের দুটি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গৌরীপুরে জমির বিরোধে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ৪ দিনেও হয়নি মামলা
১ বছর আগে
গাইবান্ধায় চুরির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
গাইবান্ধায় বসতবাড়িতে চুরির অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় তার সঙ্গে থাকা অপর দুই জন পালিয়ে গেছেন।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ভোর রাতে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাঙ্গামোড় যুগিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পিটুনিতে নিহত হাফিজার(৩৮) রহমানের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার চকমামরোজপুর গ্রামে।
হাফিজার দীর্ঘদিন ধরেই চুরি পেশার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে আম গাছের ডাল কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাই-বোনকে পিটিয়ে হত্যা
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে হাফিজার রহমানসহ তিনজন যুগিপাড়া গ্রামে আসেন। এ সময় তারা ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। তারা ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন মালামাল ব্যাগে ভর্তি করে। ঘটনার সময় বাড়ির মালিক রফিকুল ঢাকায় ও তার স্ত্রী চাম্পা বেগম বাবার বাড়িতে ছিলেন।
এরপর তারা পাশের নুরু মিয়ার বাড়ির গোয়াল ঘরে ঢুকে তিনটি গরু নিয়ে বের হয়। তারা গরু নিয়ে বাড়ির পশ্চিম পাশের ফাঁকা জমিতে যেতেই আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ধাওয়া করে। গ্রামবাসীর ধাওয়ায় দুইজন পিকআপ নিয়ে পালিয়ে গেলেও আটক হন হাফিজার। পরে তাকে নুরুর বাড়িতে এনে একটি ঘরে আটকে রেখে পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে খবর দেয়া হয়।
এর মধ্যে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ঘরের বেড়া ও দরজা ভেঙে হাফিজারকে বের করে গণপিটুনি দেয়। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে থানা ও গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বর অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দামোদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুই বসতবাড়িতে গরুসহ স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরির ঘটনায় হাতেনাতে আটক ওই যুবককে গণপিটুনি দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা অপর দুইজন পিকআপ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় দুই-তিনজন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, ওই যুবকের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় মুদি দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২
১ বছর আগে
ছাগল চুরির অভিযোগে ২ শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৩
নড়াইলে ছাগল চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় শিশুসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই দুই শিশু হলো- উপজেলার পদ্দবিলা গ্রামের আসাদের ছেলে আজিজুর (১৩) ও সারুলিয়া গ্রামের বিল্লাল শিকদারের ছেলে জয় শিকদার (১৪)। ওই দুই শিশু নির্যাতনের ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুরির অপবাদে খুঁটিতে বেঁধে স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ
স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের জহুর শেখের স্ত্রী দোলেনা বেগমের দুটি ছাগল আজিজুর ও জয় চুরি করে পালানোর চেষ্টা করছিল এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ওই পরিবারের লোকসহ স্থানীয় লোকজন বেধড়ক মারধর করে এবং পরে চুরির অভিযোগে তাদের পুলিশে দেয়া হয়।
পরদিন বুধবার ওই দুই শিশুর বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ না থাকায় লোহাগড়া থানা পুলিশ অভিভাবকদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়।
নির্যাতনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার শিশু আজিজুরের বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি ও অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই শিশুসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে।
শিশু আজিজুর বলে, আমি ছাগল চুরি করি নাই। তারপরও ওরা আমাকে এবং জয়কে গাছের সঙ্গে বেঁধে অনেক মারছে।
অপর শিশু জয় বলে, আমাকে মেরে আমার হাতের আঙুল ভেঙে দিছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে স্বামীর নির্যাতনের বর্ণনার দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা!
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, শিশু আজিজুরের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন মামলা দায়েরের পর শিশুসহ মোট তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
২ বছর আগে
চুরির অভিযোগে কুষ্টিয়ায় শিশু নির্যাতন
ঝুড়ি ভাজা চুরির অভিযোগে ১২ বছরের এক শিশুকে নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে।
শরীরসহ চোখে আঘাতপ্রাপ্ত ওই শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের পুরাতন কুষ্টিয়া গ্রামে শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সিয়াম ওই এলাকার আমিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নির্যাতন: কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি, আরডিসির বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড
এলাকাবাসী ও আহত সিয়ামের পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সিয়াম তার পাঁচ বছর বয়সী ছোট ভাইকে নিয়ে ওই এলাকার মৃত মোতাইরের ছেলে বাচ্চুর দোকানে আইসক্রিম কিনতে যায়।
এ সময় বাচ্চু বাড়ির মধ্যে থাকার কারণে তাকে বেশ কয়েকবার ডাক দেয় সিয়াম। কিছুক্ষণ পর বাচ্চু রাগান্বিত অবস্থায় এসে সিয়ামের চোখ বরাবর ঘুষি মারেন। ঘুষিতে সাথে সাথে সিয়াম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় স্থানীয়রা সিয়ামকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেন।
চিকিৎসক জানান, ঘুষির কারণে সিয়ামের ডান চোখে গুরুতর জখম হয়েছে। চোখ দিয়ে অঝরে পানি পড়ছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোলা ও কালশিরা জখম হয়েছে।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেছেন ওই শিশুটির মা।
আরও পড়ুন: ভোলায় সাংবাদিক নির্যাতন, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
অভিযুক্ত বাচ্চু দাবি করেন, সিয়াম তার দোকান থেকে ঝুড়ি ভাজা চুরি করেছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩ বছর আগে