শান্তিরক্ষী
বৈরুতে বিমান হামলায় নিহত ২২, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপরও ইসরায়েলের গুলি
বৈরুতের কেন্দ্রস্থলের দুটি এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপর গুলিও চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দেশটিতে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক আলোকচিত্রী জানিয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই বিমান হামলায় একটি আটতলা ভবন ধসে পড়ে এবং অন্যটির নিচতলা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা এ হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে ইসরায়েলি বিমান হামলা অনেক বেশি সাধারণ ঘটনা। এসব এলাকায় হিজবুল্লাহর অনেক সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
হামলার পর হিজবুল্লাহর আল মানার টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, গোষ্ঠীটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওয়াফিক সাফাকে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এতে বলা হয়, সাফা টার্গেট করা ভবনগুলোর কোনোটিতেই ছিলেন না।
আরও পড়ুন: লেবাননে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৩৬, আহত ১৫০
হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে এক বছরের পাল্টাপাল্টি হামলার পর বৃহস্পতিবারের হামলাটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নেয়। লেবানন জুড়ে ভারী হামলা চালায় এবং স্থল আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। অন্যদেকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আরও জনবহুল এলাকায় রকেট হামলা বাড়িয়েছে হিজবুল্লাহ। এতে অল্প কিছু হতাহত হওয়াসহ দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
একই দিনে ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের উপর গুলি চালিয়ে দু'জনকে আহত করেছে। যা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছে। এ ঘটনার পর ইতালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস আল-নাবা ও বুর্জ আবি হায়দার এলাকায় বৈরুতের দুটি স্থানের ধ্বংসস্তূপের কাছে অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্স ও বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ঘটনায় ২২ জন নিহত ও ১১৭ জন আহত হয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
সম্প্রতি বৈরুত সংলগ্ন এলাকায়, বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ শহরতলিতে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর হামাস ও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ।
আরও পড়ুন: লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তনে দুই মন্ত্রণালয় কাজ করছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২ মাস আগে
‘বিএনপি ও তাদের পেইড এজেন্টরা শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালনে আমাদের সেনাবাহিনীর যোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করছে’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালনে আমাদের সেনাবাহিনীর যোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করছে বিএনপি ও বিদেশে তাদের ‘পেইড এজেন্টরা’। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর জন্য কী ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছে তারা?
তিনি বলেন, সারাবিশ্বের কাছ থেকে সাধুবাদ পাওয়া বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ ও অবদনকে ক্ষুন্ন করতে চেষ্টা করছে শত্রুরা।
শান্তিরক্ষী কাযক্রম নিযে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে এমন স্তরে নিয়ে গেছে যা এখন রাষ্টদ্রোহিতা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এছাড়া এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
এর আগে রবিবার সকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, যারা দেশ ও দেশের বাইরে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জাতিসংঘে যাবতীয় অর্জনে কালিমালিপ্ত করবে তারা দেশের শত্রু।
কূটনীতিক প্রতিবেদকদের তিনি বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক। তারা আমাদের গর্ব। আমাদের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বে দৃষ্টান্ত। যারা আমাদের অবদানকে কালিমালিপ্ত করতে চেষ্টা করবে তারা আমাদের বন্ধু নয়, শত্রু।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত কোনো বাহিনী তাদের সঙ্গে যুক্ত নয়: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের প্রধান জ্যাঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের বাংলাদেশ সফরের আগে একটি চিঠি সামনে আসা এবং দুটি মানবাধিকার সংস্থার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শাহরিয়ার আলম এসব মন্তব্য করেন।
শান্তিরক্ষী প্রধান ল্যাক্রোইক্স জানান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেইনিং (বিআইপিএসওটি) ১০ হাজার নারী-পুরুষ সেনাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এই ব্যাপার নিয়ে তিনি অভিভূত।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রথম পোশাকধারী সেনা মোতায়েন করে। এই মিশন ওই সময় ইরাক ও ইরানের মধ্যকার সংঘাত নিরসনে কাজ করছিল।
শাহরিয়ার আলম বলেন, এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ১৬৭ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: শেষ হলো ঢাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক সভা
‘বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘ বিশেষ বিবেচনা করবে’
১ বছর আগে
শান্তিরক্ষী নিয়ে অ্যামনেস্টির আহ্বান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়ে জাতিসংঘের কাছে অ্যামেনিস্টি ইন্টারন্যাশনালের আহ্বান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিদেশিদের বিশ্বাস করবেন না, ওরা সুন্দর সুন্দর কথা বলে একটা দেশকে ধংস করে দেয়। সিরিয়া, লিবিয়ার মতো দেশগুলো অনেক ভালো ছিলো, কিন্তু বিদেশিদের কারণে সেগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।’
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নে দরিদ্র মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় মন্ত্রী বলেন, এসব তাদের মনগড়া। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তারা এসব কথা বলছে। তারা চায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী না গেলে আর্মির মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেবে।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে: মোমেন
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী সদস্য নেয় অনেক যাচাই-বাছাই করে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে জানে।
নির্বাচন ঘিরে দেশি-বিদেশিদের ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, যেসব দেশ উন্নতি করে; সেসব দেশকে দাবিয়ে রাখতে কিছু দেশি- বিদেশি শক্তি কাজ করে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশিরা চায় তাদের কাছে হাত পাতবে, সাহায্য নিবে; ফলে তারা তাদের ইচ্ছেমত দেশকে পরিচালিত করবে।
তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তো ঠিক না।সরকার স্থিতিশীল থাকলে দেশের উন্নতি হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের চিঠিতে উল্লেখিত সংখ্যালঘুদের নিয়ে বক্তব্য সত্য নয়: মোমেন
বৃহত্তর বৈশ্বিক স্বার্থে বহুপাক্ষিকতাকে সমুন্নত রাখুন: জি২০ সভায় মোমেন
১ বছর আগে
দক্ষিণ সুদানে অপহৃত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী উদ্ধার
দক্ষিণ সুদানে মঙ্গলবার অপহৃত এক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক মো. আশেকুর রহমান, দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ মিশনে (ইউএনএমআইএসএস) ব্যক্তিগত পুলিশ কর্মকর্তা (আইপিও) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক(মিডিয়া) মো. মঞ্জুর রহমানের সই করা একটি পুলিশ মিডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আশেকুরকে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিয়ে টহল দেওয়ার সময় একটি স্থানীয় অপহরণকারী দল তাকে অপহরণ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরে তাকে উদ্ধার করা হয় এবং এখন অন্যান্য বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে সুস্থ ও নিরাপদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মালিতে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর ওপর হামলার ঘটনায় মার্কিন দূতাবাসের দুঃখ প্রকাশ
মালিতে আইইডি বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
১ বছর আগে
মালিতে আইইডি বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
মালিতে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।
রবিবার মালির স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ ফরমড পুলিশ ইউনিট (বিএএনএফপিইউ-২) এর অধীনে একটি টহল দলের একটি মোটরশেড গুন্ডাম-টোংকা-নিয়াফুংকে হাইওয়ের পাহাড়ের পাশে দুর্গম মরুভূমির রাস্তায় পৌঁছালে বিস্ফোরণটি ঘটে।
সোমবার সন্ধ্যায় এখানে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণটি হয়েছে মালির টিমবুকটু অঞ্চলের গুন্ডাম সুপার ক্যাম্প থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে।
এই ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের বহনকারী সাজোয়া বাহিনীর যানটিও(এপিসি) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর আহত তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করেনি।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে আইইডি বিস্ফোরণে ৪ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
টহল দলটি মালিতে জাতিসংঘের বহুমাত্রিক সমন্বিত স্থিতিশীলতা মিশনের অংশ ছিল(এমআইএনইউএসএমএ)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টহলরত শান্তিরক্ষীরা রাস্তার মাঝখানে একটি সন্দেহজনক গর্ত দেখতে পান। তারা কৌশলে গর্ত অতিক্রম করার সময় আইইডি বিস্ফোরিত হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ শান্তিরক্ষীদের বুদ্ধিমত্তা এবং উচ্চ-স্তরের বিস্ফোরণ প্রতিরোধে এপিসিটি’র সক্ষমতার কারণে তারা আরও বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে।
এটাও উল্লেখ্য যে এমআইএনইউএসএমএ কর্তৃপক্ষ বিএনএনএফপিইউ-২, এমআইএনইউএসএমএ এবং মালির সদস্যদের অত্যন্ত প্রশংসা করেছে কারণ তারা অত্যন্ত পেশাদারিত্ব এবং সতর্কতার সঙ্গে তাদের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালন করেছে।
মালির এই অঞ্চলে আইইডি বিস্ফোরণ সাধারণ ঘটনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
১ বছর আগে
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রসারে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ‘সাহস ও নিষ্ঠার’ প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে,‘আজ আমরা সাহসী বাংলাদেশি এবং জাতিসংঘের প্রতিটি শান্তিরক্ষীকে সম্মান জানাই যারা সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকেন। তাদের সাহস এবং নিষ্ঠা একটি পার্থক্য তৈরি করে।’
আন্তর্জাতিক ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস’ উপলক্ষে মার্কিন দূতাবাস এ মন্তব্য করেছে।
২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী।
১৯৪৮ সাল থেকে, ২০ লাখেরও বেশি ইউনিফর্মধারী এবং বেসামরিক কর্মী সারা বিশ্বে জাতিসংঘের ফিল্ড মিশনে কাজ করেছেন।
সোমবার পালিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের আন্তর্জাতিক দিবসে তাদের অবদান তুলে ধরা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জীবন উৎসর্গকারী ৫ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে জাতিসংঘের সম্মাননা
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে 'গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস' গঠন
১ বছর আগে
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে 'গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস' গঠন
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তিরক্ষীদের ওপর আক্রমণের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও সুরক্ষার লক্ষ্যে গঠিত গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই শান্তিরক্ষীদের ওপর আক্রমণের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সমাজের সকল অংশীদারদের নতুন নতুন প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।’
নতুন গঠিত এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস-এ কো-চেয়ার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ, মিশর, ফ্রান্স, ভারত, মরক্কো ও নেপাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর। বাংলাদেশসহ অন্য পাঁচটি সহ-সভাপতি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিগণ স্ব স্ব দেশের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া এবং অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী
শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে একটি বহু অংশীদারিত্বভিত্তিক প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জবাবদিহিতার বিষয়টিকে নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করার ওপর জোর দেন।
প্রদত্ত্ব বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে দূরদর্শিতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন, তা থেকেই উদ্ভূত হয়েছে বিশ্ব শান্তি রক্ষার প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় অঙ্গিকার।
আরও পড়ুন: পৃথিবী অপরিবর্তনীয় জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
তিনি শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সৃষ্ট অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও সুরক্ষার লক্ষ্যে তিনি স্বাগতিক দেশের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা, ঘটনার দ্রুত তদন্ত, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে স্বাগতিক দেশের স্বক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্রযুক্তির বাস্তবায়ন এবং ভুল ও বিকৃত তথ্যের প্রচার বন্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নবসৃষ্ট এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডসটি যেসকল কাজ করবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-স্বাগতিক দেশকে সহযোগিতা প্রদান, মানুষের মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি, সঠিক তথ্যের আদান-প্রদান, সর্বোত্তম অনুশীলন ও সম্পদ ভাগাভাগি এবং সহযোগিতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ। এসকল কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রুপটি শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার সহিংসতামূলক কার্যকলাপ প্রতিহত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনী দিনে ৩৬টি দেশ গ্রুপটিতে যোগদান করে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ ও এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
২ বছর আগে
মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বহরে হামলায় নিহত ১, আহত ৩
উত্তর মালিতে জাতিসংঘের একটি শান্তিরক্ষী বহরে সন্ত্রাসীদের হামলায় জর্ডানের এক শান্তিরক্ষী নিহত এবং অন্তত তিনজন জর্দানিয়ান শান্তিরক্ষী আহত হয়েছে।
বুধবার জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, বহরের শান্তিরক্ষীরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে হামলাকারীদের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন গোলাগুলি করেছে।
ডুজারিক বলেছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি শান্তিরক্ষীদের পরিবার এবং সরকার ও জর্ডানের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
ডুজারিক বলেছেন, মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের তথ্যমতে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর কিদাল অঞ্চলে এটি পঞ্চমবার হামলা।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মালির কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে বন্দুক হামলা, বন্দুকধারীসহ নিহত ৫
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কাউন্সিল শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে পরিগণিত করতে পারে।
মালি ২০১২ সাল থেকে একটি ইসলামিক চরমপন্থী বিদ্রোহগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণে লড়াই করেছে। ফরাসি নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানের সাহায্যে মালির উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলো থেকে চরমপন্থী বিদ্রোহীদের বিতারিত করা হয়। কিন্তু তারা পুনরায় সংগঠিত হয় এবং তারপর থেকেই মালিয়ান সেনাবাহিনী ও তার সহযোগীদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহীরা।
জাতিসংঘ বলেছে, ২০১৩ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি শান্তিরক্ষী এবং কর্মী মারা গেছে। এর ফলে মালি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের জন্য অন্যতম বিপজ্জনক দেশে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লভিভের পশ্চিমাংশে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ৫
হামলার আগে স্কুলের দরজায় তালা দেয়া হয়নি: টেক্সাস পুলিশ
২ বছর আগে
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মসূচি
বাংলাদেশ ২৯ মে (রবিবার) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালন করবে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিশেষ এই দিনটিতে বেশকিছু কর্মসূচির ব্যবস্থা করা হবে।
রবিবার সকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শান্তিরক্ষীদের স্মরণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ শান্তিরক্ষীদের পরিবার ও স্বজনদের সম্মাননা জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শান্তিরক্ষী নিতে চায় জাতিসংঘ
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২২’ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ জার্নাল এবং জাতীয় পত্রিকাগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে সম্প্রচার হবে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর তথ্যচিত্রও প্রচারিত হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানগণ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সামরিক উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
জাতিসংঘের ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল ’পেলেন বাংলাদেশি ৮ শান্তিরক্ষী
২ বছর আগে
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শান্তিরক্ষী নিতে চায় জাতিসংঘ
জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ আরও অধিকহারে শান্তিরক্ষী সরবরাহ অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। (১ মার্চ) বিকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে তাঁরা রোহিঙ্গা সংকট ও এর সম্ভাব্য উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এ সকল নাগরিকদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মহাসচিবকে অবহিত করেন এবং সকল রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করেন।
গুতেরেজ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘের পূর্ণসমর্থনের কথা আবারও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সিউলে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ পিপিপি প্লাটফর্ম মিটিং অনুষ্ঠিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন গুতেরেজ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সামনের বছরগুলোতে বিশেষ করে এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে আরও সাফল্য অর্জন করবে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের উচ্চ পর্যায়ের পদে এবং বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের বিভিন্ন রাজনৈতিক মিশনে মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি (এসআরএসজি) পদে আরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক নিয়োগের জন্য মহাসচিব গুতেরেজকে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
ইউক্রেন সংকটজনিত কারণে ব্যস্ত সময়সূচি থাকা সত্ত্বেও এ বৈঠকের সুযোগ দেয়ার জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে নিউইয়র্কে সফররত মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের নবনিযুক্ত বিশেষ দূত ড. নোলিন হাইজারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে আঞ্চলিক দেশগুলিসহ সকল অংশীজনদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য বিশেষ দূতকে অনুরোধ জানান। বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাখাইন রাজ্যে এমন একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে রোহিঙ্গারা নিরাপদে, নিরাপত্তার সাথে এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের নিজভূমিতে ফিরে যেতে পারে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোভিড-এর বিস্তার রোধ এবং রোহিঙ্গা শিশুদের মিয়ানমারের কারিকুলাম-ভিত্তিক শিক্ষা প্রদান বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত পদক্ষেপসমূহের কথা বিশেষদূতকে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
ভাষান চরে এক লাখ রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন আবাসন তৈরির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গারা জীবিকা নির্বাহের কাজে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ পাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, স্বদেশে ফেরার তেমন কোনো আশা নেই দেখে রোহিঙ্গারা ক্রমশ: অবৈধ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
তিনি মিস হেইজারকে যতটা দ্রুত সম্ভব কক্সবাজার ক্যাম্প ও ভাষান চর পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।
বিশেষ দূত মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাঁর সহানুভূতি ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
বিশেষ দূত বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি তাঁর সর্বোচ্চ এজেন্ডা এবং যত দ্রুত সম্ভব এই সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার জন্য তিনি আঞ্চলিক দেশসমূহ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, রোহিঙ্গা নেতা এবং মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষসহ সকল অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত থাকবেন।
উভয় বৈঠকে অন্যান্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন।
পড়ুন: ইউএই এর বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প সম্ভাবনাময়: রাষ্ট্রদূত
২ বছর আগে