সর্বোচ্চ
রেকর্ড লেনদেন পুঁজিবাজারে, সাড়ে তিন মাসে সর্বোচ্চ
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। চলতি বছর প্রথমবারের মতো লেনদেন ছাড়িয়েছে ৬০০ কোটি টাকা, যা গত সাড়ে তিন মাসে সর্বোচ্চ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ৬০২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরের ৬ তারিখে সর্বশেষ ৬৫০ টাকার পর ডিএসইতে এটিই সর্বোচ্চ লেনদেন।
লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে ডিএসই'র সবকটি সূচক। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট বাড়ার পাশাপাশি বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৬, কমেছে ১৫৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’ ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও, দাম কমেছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৩০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৪৩ কোম্পানির। দাম অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে উত্থান, ফের লেনদেন ছাড়াল ৫০০ কোটি
‘জেড’ ক্যাটাগরিতে ৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৩, কমেছে ৪২ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩, কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩২ কোম্পানির ৯১ লাখ শেয়ার ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ১৭ লাখ শেয়ার সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ডিএসই'র মতো সূচকের উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সিএসই'র সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩৫ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২৩৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৯, কমেছে ৮২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা গতদিন ছিল ৩১ কোটি টাকা।
সারাদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে আরামইট সিমেন্ট লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো চট্টগ্রামেও তলানিতে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
১৬ দিন আগে
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম, ইতিহাসে সর্বোচ্চ
এবার ভরিতে স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯২৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস), যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বাড়ায় বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস। বৃহস্পতিবার থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২০ হাজার ৯৪৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৯ হাজার ৫২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের ভরি কি ২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এ নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় বারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়াল বাজুস। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি ভরিতে ২ হাজার ৯৯ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস।
৩৬ দিন আগে
সর্বোচ্চ ৪ বার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে
একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ চারবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর আগে সর্বোচ্চ তিনবার অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত সংশোধন করে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায় উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
রাজধানীতে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতেই নতুন এই পদক্ষেপে এই সীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে বিসিএস নিয়োগ বিধিমালায় (২০১৪)।
বিজ্ঞপ্তিতে একজন প্রার্থী যাতে সর্বোচ্চ চারবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন সেজন্য বিসিএস নিয়োগ (বয়স, যোগ্যতা, সরাসরি নিয়োগের পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এ একটি বিধান সংযোজন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
১৩৩ দিন আগে
৫৩ শতাংশ ভোটারের মতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ ২ বছর ক্ষমতায় থাকা উচিত: জরিপ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হওয়া উচিত সেই বিষয়ে সম্প্রতি একটি জরিপ পরিচালনা করেছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি)।
জরিপে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তার কম হওয়া উচিত বলে মনে করেন ৫৩ শতাংশ ভোটার।
বুধবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে নাগরিক প্রত্যাশা' শীর্ষক এক সেমিনারে এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: টিএসসির ত্রাণের ৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে বন্যার্তদের পুনর্বাসনে
গত ৯ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের আটটি বিভাগের ১৭টি জেলার ১ হাজার ৮৬৯ জন অংশগ্রহণকারী ভোটারের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়।
জরিপ অনুযায়ী, উত্তরদাতাদের ৬৩ শতাংশ মধ্যবয়সি (২৮-৫০ বছর বয়সি), ২২ শতাংশ জেনারেশন জেড (১৮-২৭ বছর বয়সি) এবং ১৪ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের বেশি। এদের ৫৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী শহরাঞ্চলে বসবাস করেন, বাকি ৪৬ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন।
জরিপে উত্তরদাতাদের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং সংস্কারে তাদের পছন্দের বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে। ৪৬ শতাংশের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে অনিশ্চিত থাকলেও ৫৪ শতাংশ মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ৯৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করার পক্ষে এবং ৪৬ শতাংশ উল্লেখযোগ্য সাংবিধানিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে দেন। এছাড়া ১৬ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন সংবিধান প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।
উত্তরদাতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বর্তমান পারফরম্যান্স, বিশেষ করে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে বন্যা ব্যবস্থাপনা প্রচেষ্টায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তারা পুলিশ, শিক্ষা, রাজনৈতিক ও নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনি সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসআইপিজির উপদেষ্টা অধ্যাপক সালাউদ্দিন এম আনিসুজ্জামান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নবীন মুরশিদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিসেম্বর থেকে জরিমানা
১৬২ দিন আগে
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করে যাব।’
শনিবার (২৪ আগস্ট) ‘কমিশনার’স মিট দ্য প্রেস’ ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত সংকটকালে আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছি। বিগত সময়ের উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এর ফলে ছাত্র-জনতার আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়েছিল।’
মাইনুল হাসান বলেন, ডিএমপিসহ সারাদেশে অনেক পুলিশ সদস্য আহত এবং নিহত হয়েছেন। প্রাণভয়ে আত্মগোপনে ছিলেন মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা। অনেক স্থানে আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। ট্রাফিকের প্রায় সকল অফিস ও বক্স ভাঙচুর হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিএমপির ৫০টি থানার মধ্যে ২২টি থানা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুণ্ঠিত হয়েছে। ইতোপূর্বে এ ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন পুলিশ বাহিনী হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করি যাতে পুলিশ সদস্যরা ভয় না পেয়ে দ্রুত কাজে ফিরে আসেন। কিন্তু ইতোমধ্যে কিছু উচ্চাবিলাসী ও অপেশাদার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদের ব্যাপক ক্ষোভ জন্মায় এবং নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি শুরু করে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সুযোগ্য নেতৃত্বে আইজিপি, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আমি নিজে রাজারবাগ ও মিরপুর পুলিশ লাইন্সসহ বিভিন্ন পুলিশ স্থাপনায় যাই। তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে কিছু দাবি তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়। বাকিগুলো দ্রুততম সময়ে মেটানোর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসেন এবং দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: পুলিশে ব্যাপক রদবদল, দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই সংকটকালে ভগ্ন মনোবলের পুলিশ সদস্যদের কাজে যোগদানের ভীতি দূর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে প্রতিটি থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হয়। তাদের উপস্থিতির ফলে ভীতসন্ত্রস্থ পুলিশ সদস্যসহ জনমনে আস্থা ফিরে আসে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটতে থাকে।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সকল থানার কার্যক্রমসহ ট্রাফিক বিভাগ ও অন্যান্য সকল বিভাগের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সচল করতে সক্ষম হই। আমাদের এই সংকটকালে বিজিবি ও আনসার সদস্যরাও তাদের সার্বিক সহযোগিতা আমাদেরকে দিয়েছেন। পাশাপাশি ছাত্র-জনতাসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পুলিশের মনোবল বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করেছেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘ঢাকা আপনার-আমার-সকলের প্রিয় শহর। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজে অংশ নেবেন না। যে যেখানে আছেন সবাই আইন ও বিধি মেনে চলুন। ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশ সবসময় আপনাদের পাশে আছে। একই সঙ্গে আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দানকারী বীর শহীদ, আহত ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: নতুন ওসি পেল ডিএমপির ১৩ থানা
২০১ দিন আগে
পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, মানুষ, উদ্ভিদ ও প্রতিটি জীবের জন্য নিরাপদ পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে আবাদি জমি কমছে। টেকসই উন্নয়ন ও সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পানি অপরিহার্য। সেজন্য আমাদের সবাইকে পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বব্যাপী সব অংশীজনের সম্মিলিত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমেই এটি অর্জন করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: উদ্বৃত্ত সত্ত্বেও সংরক্ষণাগারের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়: কৃষিমন্ত্রী
পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কৃষিতে সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি ও ধান চাষে পানির সাশ্রয়ী ব্যবহারে বাংলাদেশ সরকারের নানামুখী উদ্যোগ তুলে ধরেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা কৃষিকাজে পানির অপচয় রোধ ও কৃষকের সেচ খরচ আরও কমাতে কাজ করে যাচ্ছি। ভূগর্ভস্থ পাইপের মাধ্যমে সেচ প্রদান ও ধান চাষে পর্যায়ক্রমে ভেজানো ও শুকানো (এডব্লিউডি) পদ্ধতির সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চলমান ১০ম ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ফোরামের ‘গ্রহ ও মানুষের জন্য ধান’ শীর্ষক মিনিস্টিরিয়াল সেশনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃষক ও কৃষির কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি, গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, গবেষণা অবকাঠামোর উন্নয়ন, গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা করেছেন। এসব বহুমুখী উদ্যোগ বিশ্বে বাংলাদেশকে কৃষিপণ্য উৎপাদনের রোল মডেলে পরিণত করেছে; বিশেষ করে চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা বজায় রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে চালের উৎপাদন চারগুণেরও বেশি বেড়েছে। দেশে এখন চালের ঘাটতি নেই, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়েই চাহিদা মেটানো যাচ্ছে। এই অর্জন না হলে আমাদের লাখ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়ত, খাদ্য শরণার্থী হয়ে যেত এবং বিশ্বব্যাপী সংকট তৈরি হতো কিন্তু বাস্তবে এই অর্জনের ফলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান ও খাওয়ানোর সাহস দেখিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, সকলের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি সব দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ইনোভেশন শোকেসিংয়ের মাধ্যমে কৃষকরা উপকৃত হবেন: কৃষিমন্ত্রী
প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
২৯৬ দিন আগে
উপজেলা নির্বাচন: কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার
উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হবে ম্যাজিস্ট্রেট।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয় ১৭ থেকে ১৮ জনের দল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৩ নেতাকে বহিষ্কার
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান।
সিদ্ধান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, সাধারণ ভোটকেন্দ্রসমূহে নির্ধারিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আগে যা ছিল, সেটা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি সেন্টারে অস্ত্রসহ পুলিশ থাকবে তিনজন, অস্ত্রসহ আনসারের পিসি এপিসিসহ থাকবে তিনজন, মোট ছয়জন অস্ত্রধারী সদস্য থাকবেন। প্রতিটি বুথ ম্যানেজমেন্টের জন্য কমপক্ষে ১০ জন আনসার থাকবে। ছয়টির বেশি বুথ যেখানে আছে সেখানে অতিরিক্ত একজন করে থাকবেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন চারজন, অস্ত্রসহ আনসার সদস্য থাকবেন তিনজন, মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। মোবাইল ফোর্স, স্টাইকিং ফোর্স ভোরেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবে। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে সেটা করা হবে। সেভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কি না সেটা দেখভালের জন্য ভোটের দুদিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন তারা থাকবেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
তিনি বলেন, আমাদের স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স থাকবে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি আনসার, পুলিশ, বিজিবি র্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতি বছরের মতো এ বছরও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সেরকম কোনো সহিংসতার খবর নেই। তারপরও আমাদের প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে।
সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের আদলে সব ধরনের নির্বাচনসংক্রান্ত অভিযোগ ৯৯৯-এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে। প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কীভাবে নিষ্পত্তি হলো, কে এটি দেখল- সবকিছু ট্র্যাকিং থাকবে এবং একটি টিম এখানে বসে দেখভাল করবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি ভোটের দুই দিন আগে, ভোটের দিন, ভোটের পরের দিনসহ মোট চার দিন আমাদের এই সমন্বয়ে সেল থাকবে।
আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলারটাও বিশ্বাসযোগ্য হবে: ইসি আনিছুর
৩১৮ দিন আগে
‘ভোক্তা যেন প্রতারিত না হয় তা সর্বোচ্চ নজরদারিতে থাকবে’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আসা দর্শনার্থী বা ভোক্তারা যেন প্রতারিত না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ নজরদারি করা হবে। সেজন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে মেলায় অভিযোগ বক্স ও হেল্প ডেস্ক খোলা রাখা হবে। অভিযোগ পেলেই যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) পূর্বাচল নতুন শহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৪ উপলক্ষে সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মজুতদারি রোধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এ বছর মেলা প্রাঙ্গণকে দৃষ্টিনন্দন এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে সামনে আনার জন্য মেলার প্রবেশদ্বার করা হয়েছে কর্ণফুলি ট্যানেলের আদলে। এক পাশে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অপর পাশে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের প্রতিচ্ছবি রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য রপ্তানিকে বহুমুখী করার মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানো। গার্মেন্টেস খাতের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা।
এখন পাট ও চামড়া শিল্পের উপরে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই দুই খাতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান।
আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, এবার মেলায়, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, ইরান, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৬ থেকে ১৮টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন থাকবে। মেলায় ই-কমার্স সেবাকে আরও বেগবান করা হবে। যাতে সারা দেশের মানুষ এই সুবিধা পেতে পারে।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা এবং মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র্যাব নিয়োজিত থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রাঙ্গণের বাইরে নিয়মিত টহল দেবে।
মেলায় বিদেশিদের আনতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটা দেশের মিশনে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রয়েছে। তাদের এবার আমরা মেলায় নিয়ে আসব এবং পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা হবে।
আশেপাশে মানহীন পণ্যের বিক্রি বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইপিবি ও ভোক্তা অধিকারকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হবে মেলাতে কোনো মানহীন পণ্য বিক্রয় বা প্রদর্শন করা যাবে না। কেউ করলে বিক্রয় বা প্রদর্শন বন্ধের ব্যবস্থা ভোক্তা অধিকার নেবে। ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ রাখব না।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
৪১৮ দিন আগে
জলবায়ু তহবিলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যদের সঙ্গে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
পরে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পরিবেশমন্ত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
এসময় তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষয়ক্ষতি তহবিল থেকে দ্রুততম সময়ে বরাদ্দ আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। প্রাপ্ত বরাদ্দ যাতে প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করা হবে। জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহারে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে এর সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সত্যিকারের টেকসই উন্নয়ন পরিবেশের উন্নয়ন ছাড়া সম্ভব নয়। তাই পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের নীতি ও আদর্শগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, এ বারের নির্বাচনি ইশতেহারে পরিবেশের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, সাবের হোসেন চৌধুরী মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে পরিবেশমন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে ১৯৯৯ সালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
৪২৬ দিন আগে
সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়াম
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান পৌঁছেছে পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে।
এর আগে সড়ক পথে আনার জন্য ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে শিথিল করা হয়। বন্ধ রাখা হয়েছে বাস চলাচল।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
আরও পড়ুন: বিশেষ নিরাপত্তায় রূপপুর যাচ্ছে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান
পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে সড়কপথে রওনা হয় ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর। পথে গাজীপুরে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে কিছুক্ষণ থেমে থাকে। পরে সেখান থেকে ৭টার দিকে গাড়িবহর পাবনার দিকে রওনা দেয়।
এদিকে ইউরেনিয়াম নিয়ে আসার জন্য সড়কপথে ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা। ঢাকা থেকে রূপপুর পর্যন্ত সড়কে ফাঁকে ফাঁকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশি তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, যেহেতু পাবনা-ঢাকা রুটে অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। এজন্য যানজট নিয়ন্ত্রণে ও নিরাপত্তার স্বার্থে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়। তবে আরিচা-কাজিরহাট হয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় যানচলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাশিয়া থেকে ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে ইউরেনিয়ামের প্রথম এই চালান। শুক্রবার রূপপুরে ইউরেনিয়াম এসে পৌছালেও রূপপুর প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের কাছে আগামী ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইউরেনিয়াম জ্বালানি হস্তান্তর করবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের মহাপরিচালক রোসাটম আলেক্সি লিখাচেভ।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা পেয়েছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুর। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে
৫৩১ দিন আগে