সর্বোচ্চ
‘ভোক্তা যেন প্রতারিত না হয় তা সর্বোচ্চ নজরদারিতে থাকবে’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আসা দর্শনার্থী বা ভোক্তারা যেন প্রতারিত না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ নজরদারি করা হবে। সেজন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে মেলায় অভিযোগ বক্স ও হেল্প ডেস্ক খোলা রাখা হবে। অভিযোগ পেলেই যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) পূর্বাচল নতুন শহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৪ উপলক্ষে সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মজুতদারি রোধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এ বছর মেলা প্রাঙ্গণকে দৃষ্টিনন্দন এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে সামনে আনার জন্য মেলার প্রবেশদ্বার করা হয়েছে কর্ণফুলি ট্যানেলের আদলে। এক পাশে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অপর পাশে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের প্রতিচ্ছবি রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য রপ্তানিকে বহুমুখী করার মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানো। গার্মেন্টেস খাতের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা।
এখন পাট ও চামড়া শিল্পের উপরে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই দুই খাতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান।
আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, এবার মেলায়, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, ইরান, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৬ থেকে ১৮টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন থাকবে। মেলায় ই-কমার্স সেবাকে আরও বেগবান করা হবে। যাতে সারা দেশের মানুষ এই সুবিধা পেতে পারে।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা এবং মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র্যাব নিয়োজিত থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রাঙ্গণের বাইরে নিয়মিত টহল দেবে।
মেলায় বিদেশিদের আনতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটা দেশের মিশনে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রয়েছে। তাদের এবার আমরা মেলায় নিয়ে আসব এবং পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা হবে।
আশেপাশে মানহীন পণ্যের বিক্রি বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইপিবি ও ভোক্তা অধিকারকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হবে মেলাতে কোনো মানহীন পণ্য বিক্রয় বা প্রদর্শন করা যাবে না। কেউ করলে বিক্রয় বা প্রদর্শন বন্ধের ব্যবস্থা ভোক্তা অধিকার নেবে। ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ রাখব না।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
জলবায়ু তহবিলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যদের সঙ্গে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
পরে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পরিবেশমন্ত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
এসময় তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষয়ক্ষতি তহবিল থেকে দ্রুততম সময়ে বরাদ্দ আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। প্রাপ্ত বরাদ্দ যাতে প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করা হবে। জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহারে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে এর সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সত্যিকারের টেকসই উন্নয়ন পরিবেশের উন্নয়ন ছাড়া সম্ভব নয়। তাই পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের নীতি ও আদর্শগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, এ বারের নির্বাচনি ইশতেহারে পরিবেশের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, সাবের হোসেন চৌধুরী মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে পরিবেশমন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে ১৯৯৯ সালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়াম
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান পৌঁছেছে পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে।
এর আগে সড়ক পথে আনার জন্য ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে শিথিল করা হয়। বন্ধ রাখা হয়েছে বাস চলাচল।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
আরও পড়ুন: বিশেষ নিরাপত্তায় রূপপুর যাচ্ছে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান
পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে সড়কপথে রওনা হয় ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর। পথে গাজীপুরে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে কিছুক্ষণ থেমে থাকে। পরে সেখান থেকে ৭টার দিকে গাড়িবহর পাবনার দিকে রওনা দেয়।
এদিকে ইউরেনিয়াম নিয়ে আসার জন্য সড়কপথে ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা। ঢাকা থেকে রূপপুর পর্যন্ত সড়কে ফাঁকে ফাঁকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশি তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, যেহেতু পাবনা-ঢাকা রুটে অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। এজন্য যানজট নিয়ন্ত্রণে ও নিরাপত্তার স্বার্থে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়। তবে আরিচা-কাজিরহাট হয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় যানচলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাশিয়া থেকে ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে ইউরেনিয়ামের প্রথম এই চালান। শুক্রবার রূপপুরে ইউরেনিয়াম এসে পৌছালেও রূপপুর প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের কাছে আগামী ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইউরেনিয়াম জ্বালানি হস্তান্তর করবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের মহাপরিচালক রোসাটম আলেক্সি লিখাচেভ।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা পেয়েছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুর। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে
চীনে টাইফুন সাওলা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) টাইফুন সাওলা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ভারতের গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনভিত্তিক গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, টাইফুন সাওলার প্রভাবে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাই দেশটির চার-স্তরের ব্যবস্থার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
টাইফুন সাওলার জন্য চীনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের উৎপাদন ব্যবস্থা, ব্যবসা এবং গণপরিবহন ব্যবস্থা স্থগিত রয়েছে। এমনকি স্কুলগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবিচল নিষ্ঠার মাধ্যমে ভারত কী করতে পারে তার উজ্জ্বল প্রমাণ চন্দ্রযান-৩: ভারতীয় মন্ত্রিসভা
টাইফুন সাওলা ঘণ্টায় প্রায় ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ধীরে ধীরে গুয়াংডং প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, চীনের রাজ্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও খরা ত্রাণ সদর দপ্তর টাইফুন প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নিতে ফুজিয়ান ও গুয়াংডং-এ সহায়তা কর্মী পাঠিয়েছে।
গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র বলেছে, টাইফুন সাওলা শুক্রবার গুয়াংডং প্রদেশ এবং হংকং স্পেশাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিজিয়নের (এইচকেএসএআর) উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় (স্থানীয় সময়) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সাওলার পাশাপাশি টাইফুন হাইকুই ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম থেকে উত্তরের দিকে ধেয়ে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে পূর্ব চীনের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে, আর ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় (স্থানীয় সময়) উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আরেকটি টাইফুন কিরোগি ধেয়ে আসছে।
টাইফুন পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে স্কুলের প্রথম দিন এবং উৎপাদন, ব্যবসা এবং পরিবহন স্থগিত করাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন অঞ্চলের সমস্ত কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে শেনজেন বাওআন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকল দেশয়ি ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে শেনজেন টাইফুনের সতর্কতা স্তর বাড়িয়ে হলুদ স্তরে নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুয়াংডং-এর খরা, প্রাদেশিক বন্যা, খরা ও টাইফুন নিয়ন্ত্রণ সদর দপ্তর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় তার জরুরি সতর্কতা বাড়িয়ে লেভেল ১-এ নিয়েছে।
টাইফুনের প্রভাব বিবেচনা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) থেকে পরবর্তী বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১২১টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
ন্যাশনাল মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ফোরকাস্টিং সেন্টার সব জাহাজকে সতর্ক থাকতে এবং ঝুঁকি এড়িয়ে চলাচল করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা, ৯ সেনা নিহত
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
ডেঙ্গুতে আরও ১১ জনের মৃত্যু, এক দিনে সর্বোচ্চ ২৯৯১ রোগী ভর্তি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৯১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১২৩ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বাকি ১ হাজার ৮৬৮ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১৪ জনের মৃত্যু
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯ হাজার ৭৩৩ জন রোগী।
এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৩৫ জন ঢাকায় এবং ৫ হাজার ৩৯৮ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮৫ হাজার ৪১১ জন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৭৫ হাজার ২৮০ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৯৮ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: আগস্টে রেকর্ড ডেঙ্গু আক্রান্তের আশঙ্কা করছে ডিজিএইচএস
ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৯৫৯
এ বছর জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২৬৪০, সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা
চলতি বছর জনপ্রতি ফিতরার হার সর্বোচ্চ দুই হাজার ৬৪০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১ টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোনো একটি দ্বারা ফিতরা দেওয়া যাবে। গম বা আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১১৫ টাকা; যব দ্বারা আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৩৯৬ টাকা; কিসমিস দ্বারা আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা; খেজুর দ্বারা আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা এবং পনির দ্বারা আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ২ হাজার ৬৪০ টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: এ বছর জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২৬৪০, সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা
সভায় আরও বলা হয় যে দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর যে কোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, উপর্যুক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় করতে হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, জামিয়া শরীয়াহ এর ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি নজরুল ইসলাম, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদরাসার প্রধান মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মুফতি ওয়ালীয়ুর রহমান খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিউদ্দিন কাসেমসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে-কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এ বছর জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২৩১০, সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা
সর্বোচ্চ রপ্তানি, বিনিয়োগ ও চাকরি দেখলো ইপিজেড: বেপজা
দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তাদের আওতাধীন আটটি শিল্প অঞ্চল (ইপিজেড) ২০২১-২২ অর্থবছরে রেকর্ড উচ্চ কর্মসংস্থান, রপ্তানি আয় এবং বিনিয়োগ দেখেছে। বুধবার এই তথ্য জানায় বেপজা।
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইপিজেড থেকে রপ্তানি ২০২২ অর্থবছরে আট হাজার ৬৬৫ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ বছরে রপ্তানি ৩০ দশমিক ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ রপ্তানি, বিনিয়োগ ও চাকরি দেখলো ইপিজেড: বেপজা
এর আগে ২০১৯ অর্থবছরে এটির কাছাকাছি পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৫২৪ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার।
ইপিজেডের মোট রপ্তানির ৫৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ ছিল পোশাকের চালান। বাকিটুকু ছিল গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, টেক্সটাইল, তাঁবু, ক্যাপ, প্লাস্টিক সামগ্রী এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য।
এছাড়াও, বেপজা ২০২২ অর্থবছরে ৪০৯ দশমিক ৮০ মিলিয়ন বিনিয়োগ রেকর্ড করেছে। যা আগের সমস্ত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। এ বছরে বিনিয়োগ ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থার মতে, আগের ২০১৫ অর্থবছরে রেকর্ড ছিল ৪০৬ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বিনিয়োগ কারখানায় ৬৪ হাজার ১৬০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, যা সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ বৃদ্ধির রেকর্ড হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
২০২২ সালের জুন পর্যন্ত, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন(তাইওয়ান এবং হংকং), জাপান, ভারত, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশসহ ৩৭টি দেশের বিনিয়োগকারীরা ইপিজেডে ছয় হাজার ৪০ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে।
২০২২ সালের জুন পর্যন্ত, আটটি ইপিজেডের ৪৫৬টি অপারেশনাল এন্টারপ্রাইজ থেকে মোট রপ্তানি ৯৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যেখানে ক্রমবর্ধমান কর্মসংস্থানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ দুই হাজার ৩৬৫ জনের।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল: ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ৪ কোম্পানি
বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ঝুঁকিপুর্ণ বাঁধের কাজ করতে হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ঝুঁকিপুর্ণ বাঁধের কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেছেন, সামনে বন্যার আশংকা রয়েছে। মাঠ পর্যায় পরিদর্শন বাড়িয়ে ঝুঁকিপুর্ণ স্থান চিহ্নিত করে কাজ করতে হবে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ঝুঁকিপুর্ণ বাঁধের কাজ করতে হবে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নের নির্দেশসহ ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
বুধবার পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাস্তবায়নাধীন এডিপিভূক্ত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ ফারুক বলেন, আসন্ন বন্যায় ক্ষতি আরও কমাতে হবে। এর জন্য আগাম প্রস্তুতিসহ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ও স্থান চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। মেধা, সততা ও মানবিকতার সমন্বয়ে কাজ করতে হবে। এর মাধ্যমেই বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা সম্ভব। তাছাড়া বন্যা-পরবর্তী সময়ে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করাও জরুরি। মনে রাখতে হবে, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে আগাম প্রস্তুতি একটি কার্যকর উপায়।
তিনি বলেন, যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নেরও তাগিদ দেয়া হয়। এছাড়া কোথায়ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তা সংস্কারের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। যে যে এলাকায় বন্যার আশঙ্কা আছে সেখানকার প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যৌথভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতি যথাসম্ভব কমিয়ে আনার ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুন: দেশে ১০০০ খাল খননের পরিকল্পনা রয়েছে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পর্যালোচনা সভায় আটটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।
১) ১৪৮৩২.৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দোহার-মারিচর-নারিশাবাজার প্রকল্পের ইতোমধ্যে ৪৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
২) নোয়াখালী জেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য ৩২৪৯৮.৮৫ লাখ টাকার প্রকল্পের ৭৫.৫৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
৩) চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনে ১৬২০৭৩.৫০ লাখ টাকার প্রকল্পের ১৫ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
৪) কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী-উলিপুর-ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর ডান তীর ভাঙ্গন রোধে ৪৪৮৩১ লাখ টাকার প্রকল্পের ৬৮.৮৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
৫) ৭২২০০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদী ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্পের ৩১.১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
৬) ভৈরব নদীর (মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা) পুনঃখনন কাজ ২৮.৩০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
৭) বরিশালের কির্তনখোলা নদীর ভাঙন থেকে বরিশাল সদর উপজেলাধীন চরবাড়ীয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্পের ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে।
৮) সীমান্ত নদী সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় ৪৬৬৫৯.৪৪লাখ টাকা এবং প্রকল্পের ৭২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহপরিচালক বজলুর রশিদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালকরা, প্রধানকৌশলীরা এবং মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত সচিব এস.এম. রেজাউল মোস্তফা কামাল সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ভোলাসহ উপকূল রক্ষায় বাঁধের উচ্চতা বাড়াতে সমীক্ষা চলছে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
বন্যা মোকাবিলায় ১৩৯ পোল্ডার তৈরি করা হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
অলিম্পিক শুরুর পর টোকিওতে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত
অলিম্পিক শুরুর পর মঙ্গলবার টোকিওতে সর্বোচ্চ করোনাভাইরাসে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। জাপানের রাজধানী টোকিওতে ২,৪৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে । এর আগে জানুয়ারিতে রেকর্ড ২,৫২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
টোকিও জরুরি অবস্থার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে, যা অলিম্পিকের কারণে শুরু হয়ে আগস্টের শেষের দিকে প্যারাঅলম্পিক শুরু হওয়ার ঠিক আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অলিম্পিক চলাকালীন সময়ে করোনার ডেল্টা রূপ আরও ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, অল্প বয়সী এবং যারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি তাদের মাঝে তীব্রভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিকের শূণ্য গ্যালারিতেই উদ্দীপনা খুঁজছেন খেলোয়াড়রা
তবুও, জাপানে অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার অনেক কম রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত দেশব্যাপী ৮ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ১৫,১২৯ জন মারা গেছে।
কেউ কেউ বলেছেন, জাপান দেশের জনগণের স্বাস্থ্যের চেয়ে অলিম্পিককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ কারণে সুগা সরকার সমালোচনার শিকার হচ্ছে। সাম্প্রতিক গণমাধ্য সমীক্ষায় তাদের জনসমর্থনের রেটিং হ্রাস পেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশে নেমেছে এবং অলম্পিক আয়োজনকে ঘিরে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যায় নি।
চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ মৃত্যু
চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮ জন। এদের মধ্যে নগরীতে ৭ জন ও উপজেলায় ১১ জন। এনিয়ে চট্টগ্রামে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯১৫ জনে।সোমবার চট্টগ্রামে একদিনে সর্বোচ্চ তিন হাজার ৩৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা শনাক্ত হয় এক হাজার ৩১০ জনের। এদের মধ্যে নগরীর ৮৩৩ জন ও উপজেলার ৪৭৭ জন। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৭ হাজার ৫২১ জন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছেমঙ্গলবার (২৭ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২২৫ টি নমুনা পরীক্ষায় ১২৪ জন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৫০৬ টি নমুনা পরীক্ষায় ১৭৫ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩০৭ টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩৪ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫০ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৬৩ টি নমুনা পরীক্ষায় ২৮ জন, শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১৪১ টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৩ জন, এন্টিজেন টেস্ট এ ১২৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪২৯ জন, ইমপেরিয়ার হাসপাতালে ৪৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭৭ ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১২ টি নমুনা পরীক্ষায় তিন জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুনঃ রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ২১ মৃত্যুউপজেলায় ৪৭৭ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ২ জন, সাতকানিয়ায় ১৮ জন, বাঁশখালী ২১ জন, আনোয়ারায় ৬৭, চন্দনাইশ ২, পটিয়া ৫৭ জন, বোয়ালখালী ৬৫ জন, রাঙ্গুনিয়া ৪৪, রাউজান ৫৪ জন, ফটিকছড়ি ৬০ জন, হাটহাজারী ৫৯ জন, সীতাকুণ্ড ২৩ জন, মিরসরাই ১২ ও সন্দ্বীপ ২৩ জন শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুনঃ বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্ত ৩০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২০সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘প্রতিদিনই সংক্রমণের পরিমাণ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ৩১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। এতেই বোঝা যায় টেস্ট বেশি হলে সংক্রমণের পরিমাণও বাড়ছে। সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।‘