যৌনকর্মী
ভিক্টোরিয়া কলেজ: বন্ধ ক্যাম্পাসে মাদক আর যৌনকর্মীদের আখড়া
করোনায় ১৬ মাস ধরে বন্ধ ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস। চলছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। বন্ধ ক্যাম্পাস আর পরিত্যাক্ত ছাত্রাবাস এখন মাদকসেবী আর যৌনকর্মীদের আস্তানা। ছুটির এ সময়ে অতিরিক্ত সতর্কতা আর পুলিশের টহল উপেক্ষা করে কলেজ ক্যান্টিনে চলে মাদক বিক্রি। রাতের আধাঁরে পরিত্যাক্ত ছাত্রাবাস থাকে যৌনকর্মীদের দখলে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছেন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ধর্মপুরে পুলিশ ফাঁড়ি প্রয়োজন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি শাখার ২২টি বিভাগে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেন। কবি নজরুল ইসলাম ছাত্রাবাস ও নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে হাজার শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা পেয়ে থাকে। এছাড়াও কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী ধর্মপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
আরও পড়ুন: থমকে আছে ভিক্টোরিয়ার খেলার মাঠ ভরাট কাজ
জানা গেছে, কলেজের কান্দিরপাড় উচ্চমাধ্যমিক শাখায় দেয়ালের উপর দিয়ে বহিরাগতরা প্রবেশ করেন। সেখানে রাতে অবস্থান ও মাদকসেবন করেন। নিউ হোস্টেলের পরিত্যক্ত ভবনে রাতের আধাঁরে যৌনকর্মীদের যাতায়াত রয়েছে। ডিগ্রি শাখার পরীক্ষা ভবনের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক, জিয়া অডিটোরিয়ামের পেছনে, মোতাহের হোসেন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে, কলা ভবনের নিচতলা, বিজ্ঞান ভবন-২ এর বিশেষ কিছু কক্ষে মাদকসেবীদের আড্ডা জমে। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কলেজ ক্যান্টিন ক্যাফে-৭১ এর চলে মাদকবিক্রি। শহর, শহরতলী ও কোটবাড়ি এলাকার মাদকসেবীদের নিয়মিত আসর ক্যাফে-৭১।
৩ বছর আগে
ফরিদপুরে পতিতা সর্দানীর বিরুদ্ধে যৌনকর্মীদের মানববন্ধন রাজপথে
ফরিদপুরে জয়নারী কল্যাণ সংঘ নামে একটি সমিতির মাধ্যমে শহরের রথখোলা যৌনপল্লীর কয়েকশ যৌন কর্মীদের উপার্জিত লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করাসহ ওই সমিতির সভানেত্রীর নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন যৌনকর্মীরা।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে কয়েকশ যৌনকর্মী ছাড়াও হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ এলাকাবাসী অংশ নেন।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে সাবরেজিস্ট্রার অফিস সহকারীর বদলির দাবিতে মানববন্ধন
এ সময় লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, জয়নারী কল্যাণ সংঘের সভানেত্রী আলেয়া বেগম যৌনকর্মীদের থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, তুচ্ছ ঘটনায় নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। বাইরে থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের এনে দেহ ব্যবসা করাচ্ছেন। তিনি মানব পাচারের সাথেও জড়িত।
হাজার বাজার ব্যবসায়ী নেতা ইলিয়াস শেখ বলেন, আলেয়া বেগম হিজড়াদেরও পতিতা পল্লীতে এনে ব্যবসা করাচ্ছেন। কিন্তু এটা হিজড়াদের পল্লী না। তারা খদ্দের ধরতে বাজারের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা ব্যবসায়ী সমাজ এবং স্থানীয়রা ছেলেমেয়ে নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করতে পারি না।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জমিদার বাড়ি সংরক্ষণ ও পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
যৌনপল্লীর ববি, পারুল সহ আরও কয়েকজন বলেন, আমাদের বিপদ আপদের সহায় হিসেবে ১৬ বছর আগে থেকে আমরা ১০ টাকা করে আলেয়া বেগমের সমিতিতে জমা করে আসছি। কিন্তু আমাদের কোনো বিপদে এই সমিতি হতে সাহায্য করা হয় না। আমরা এই টাকা ফেরত চাই।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, আলেয়া বেগমের এসব অপকর্মের অভিযোগ করতে চাইলে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া ছাড়াও সন্ত্রাসী দিয়ে নির্যাতন ও নানাভাবে হয়রানি করা হয়। শেষে তারা ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেন।
এ ব্যাপারে আলেয়া বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর আমরা আবার সংগঠন চালু করছি। আমাদের কাছে যৌনকর্মীদের কোনো টাকা জমা নেই। মহিলা অধিদপ্তর দিয়ে আমাদের সংগঠনের অডিট হয়। রিজিয়া ও ববি নামে দুই বোন তাদের পারিবারিক বিরোধের কারণে এখন আমাদের সংগঠনের নামে এসব বলছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বেড়িবাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় মানববন্ধন
হিজড়াদের ব্যাপারে তিনি বলেন, রিজিয়ার ছেলে গোপাল ওরফে নিশির বাড়িতে কয়েকজন হিজড়া থাকে। তবে তারা কাউকে উৎপাত করে না। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগও সঠিক নয়।
৩ বছর আগে