পণ্য খালাস বন্ধ
পুলিশের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা: চট্টগ্রাম বন্দরে ২ ঘণ্টা পণ্য খালাস বন্ধ
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে মজুদকৃত বিপজ্জনক সেই রাসায়নিক পণ্য ধ্বংস করা হবে ছাতকে
চট্টগ্রাম বন্দরের এক একর ভূমি উদ্ধার
পুলিশের সাথে দুই ক্রেন অপারেটরের অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠা-নামা দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
বুধবার রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৬ শতাধিক ক্রেন অপারেটর এক যোগে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ক্রেন অপারেটর উইন্সম্যান বহুমুখি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ জানান, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে নেতাদের অনুরোধে রাত ১০টার দিকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে বন্দরে কাজ শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন বন্দর ক্রেন অপারেটর সোহাগ। পথে ইপিজেড জামান হেটেলের সামনে পুলিশের এসআই আনোয়ার মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র, লাইন্সেসসহ মোটরসাইকেল জব্দ করে। লকডাউনে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় কেন বের হয়েছে জানতে চাইলে সোহাগ বন্দরের কাজ শেষে ফিরছেন বলে জানালেও পুলিশ অফিসার অনোয়ার তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন বলে জানান সোহাগ। একইভাবে নীমতলা বিশ্বরোড এলাকায় অপর এক ক্রেন অপারেটকে থাপ্পড় মারেন এক পুলিশ কনস্টেবল। এসব ঘটনার প্রতিবাদে এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবিতে সকল ক্রেন অপারেটর বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়।
চট্টগ্রাম বন্দর ক্রেন অপারেটর উইন্সম্যান বহুমুখি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ বলেন, ‘আমরা বন্দরের পরিচালক ট্রাফিকের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। পুলিশ আমাদের দুই অপারেটরের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। এবং আমাদের একজন নেতা থানায় গেলে তাকে পুলিশ আটক করার হুমকি দেয়। এ কারণে অপারেটররা কাজ বন্ধ করে দেয়।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ৪ দিন পর জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু
তিনি বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষকে আমরা ৩ দফা দাবি পেশ করেছি। দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে লকডাউন চলাকালে শ্রমিকদের একটি পাস ইস্যু করতে হবে। মালিক পক্ষের কাজ হলে মালিকরা যাতায়াতের ব্যবস্থা করবে বা যাতায়াত খরচ দিতে হবে। শ্রমিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী গতিপথ হারালে বন্ধ হয়ে যাবে চট্টগ্রাম বন্দর: বক্তারা
৩ বছর আগে