মূল্য নির্ধারণ
বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে বিইআরসির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও স্টেকহোল্ডাররা।
তারা বলেন, এ ধরনের কর্তৃত্ব জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফেরত গেলে কোনো কারণ ছাড়াই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ঘন ঘন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রবণতা বন্ধ হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জেষ্ঠ সহসভাপতি অধ্যাপক এস এম শামসুল আলম বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’
এর আগে গণশুনানি ছাড়াই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের সুযোগ রেখে ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন-২০০৩ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি জারি করেছে।
অধ্যাদেশ জারির আগে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের আইনি ক্ষমতা ছিল বিইআরসির। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে গণশুনানি করতো বিইআরসি।
বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতউল্লাহ বলেন, ‘এ ধরনের গণশুনানি যে কোনো মূল্য বাড়ানোর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং এর মাধ্যমে জনগণের কাছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্য ও অগণতান্ত্রিক চর্চার অবসান ঘটানোর দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাই সব ধরনের জ্বালানির দাম নির্ধারণের কর্তৃত্ব বিইআরসির কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
অধ্যাদেশ জারির পর থেকে গণশুনানি ছাড়াই নিয়ম করে বিরতি দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে সরকার।
এই অধ্যাদেশ জারির আগ পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বা গ্যাসের দাম নির্ধারণের আগে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের স্ব স্ব প্রস্তাব জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দিতে হতো। এরপর তাদের পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরার জন্য গণশুনানি করতে হতো।
আরও পড়ুন:বিপিডিবির বকেয়া বিল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা
গণশুনানিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই ও দীর্ঘ বিতর্কের পর বিইআরসি সিদ্ধান্ত নিত।
গণশুনানিতে স্টেকহোল্ডার ও ভোক্তারা প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসান ও মুনাফার হালনাগাদ তথ্য এবং দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কারণ সম্পর্কে জানতে পারেন।
অধ্যাপক এস এম শামসুল আলম বলেন, গণশুনানি প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জেনে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর বলেন, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বিইআরসিকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘এর ফলে ভোক্তাদের প্রকৃত পরিস্থিতি বুঝতে এবং দাম বাড়ানোর যে কোনও পদক্ষেপের আগে পক্ষে ও বিপক্ষে যৌক্তিকতা খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: নগদ অর্থ সংকটের মধ্যেই আদানি পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনার আহ্বান
২ মাস আগে
গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এবারের কোরবানির লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ঢাকায় ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৫ জুন) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল-আযহা উপলক্ষে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এক ভার্চুয়াল মিটিং শেষে এ দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি জানান, ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। গত বছর যা ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। একই চামড়া ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে; গত বছর যা ছিল ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা; গত বছর যা ছিল ১৫ থেকে ১৭ টাকা। পাশাপাশি প্রতি বর্গফুট বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা, গত বছর যা একই ছিল।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চামড়ায় লবণ দেয়ার বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করতে হবে। সামনে একটি জুমার দিন রয়েছে সেদিন যদি চামড়ায় লবন দেয়ার বিষয়টি বলা হয়, তাহলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ চামড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, গত বছর ঢাকাতে প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ১৫ থেকে ১৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
পড়ুন: মানবজীবনে পবিত্র ঈদুল আযহার শিক্ষা
ঈদ উপলক্ষে ১ লাখ ৩০০ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ
২ বছর আগে
অনিয়ম ও অসাধুতায় ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম বিক্রির সুফল মিলছে না ফরিদপুরে
ফরিদপুরে করোনাকালে একদিকে খামারীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অন্যদিকে জনসাধারণের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সরকার ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ দোকানের মাধ্যমে প্রাণিজাত পণ্য বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
গত এক সপ্তাহ যাবত শুরু হওয়া এ বিশেষ প্রকল্পে এখনও কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছে না জনগণ। বরং প্রচারণার অভাব পাশাপাশি অনিয়মের মাধ্যমে একটি চক্র প্রণোদনার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, আমিষ তথা দুধ, ডিম ও মাংসজাত পণ্যের ঘাটতি মেটাতে সরকার খামারীদের বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে এই প্রকল্পটি চালু করে এক সপ্তাহ আগে। এখানে প্রতি কেজি গরুর দুধ ৬০ টাকা, প্রতি পিস মুরগির ডিম ৬ টাকা হতে সাড়ে ৬ টাকা, মুরগির মূল্য সোনালী প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, ব্রয়লার ১৪০ টাকা, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানের শুরুতেই সবজির বাজারে ঊর্ধ্বগতি, ক্রেতাদের অসন্তোষ
পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে এসব পণ্য বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট খামারীদের জনপ্রতি প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা ভর্তুকি দেয়া হয় শুধুমাত্র পরিবহন ও মেইনটেন্যান্স খরচ বাবদ। ভ্যাট ও অন্যান্য খরচ বাদে তারা চার হাজার একশ টাকা পাচ্ছেন। ফরিদপুর জেলার পাঁচটি উপজেলার দশজন খামারী এই বিশেষ প্রণোদনা পাচ্ছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ জন এবং বোয়ালমারী, মধুখালী, ভাঙ্গা ও সালথা উপজেলায় একজন রয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, জেলায় প্রায় এক হাজারের মতো গরু খামারী থাকলেও এই সুবিধা পাচ্ছেন মাত্র দশ জন। তারা প্রণোদনার টাকা ঠিকই তুলে নিচ্ছেন কিন্তু জনসাধারণ ন্যায্যমূল্যের এসব প্রাণিজাত পণ্য পাচ্ছে না। প্রচারণার অভাবে অনেকে জানেনই না সরকার এমন একটি মহতি উদ্যোগ নিয়েছেন।
ভোক্তারা অভিযোগ করেন, এখন পর্যন্ত দুধ ব্যতীত অন্য কোনো পণ্য এই ভ্রাম্যমাণ দোকানে মিলছে না। আর যেই পরিমাণ দুধ বিক্রির কথা সেই পরিমাণও বিক্রি করা হচ্ছে না। দু-একটি স্থানে মুরগির ডিম পাওয়া গেলেও কোথাও মাংস বিক্রি হচ্ছে না। এসব ভ্রাম্যমান দোকান পরিচালনাতেও অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হচ্ছে।
ফরিদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নুরুল্লাহ মো. আহসান জানান, গত মঙ্গলবার হতে জেলায় এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন ফরিদপুর জেলা শাখার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে দশজন খামারীদের তালিকা দেয়া হয়েছে তাদেরই এ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, 'প্রতিদিনই এই কর্মসূচীর মাঠ পর্যায়ে তদারকি করা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: রমজানে নকল ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: শিল্পমন্ত্রী
বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মীর কাশেম বলেন, গত বছর ফরিদপুরে করোনার কারণে ভ্রাম্যমাণ দোকানে করে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির একটি উদ্যোগ নেয়া হলে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর সরকার সারাদেশে এবছর এই প্রকল্প গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে হতে এটি শুরু হলেও ফরিদপুরে তিনদিন যাবত চালু হয়েছে। শহরের ঝিলটুলীতে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রি কর্ণারের সামনে তার ভ্যান গাড়িতে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে প্রায় সাড়ে ৪শ লিটার দুধ তিনি বিক্রি করছেন।
ভ্রাম্যমান পণ্য বিক্রির অনুমতি প্রাপ্তদের একজন বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করে সদর উপজেলার বিলমামুদপুর এলাকার মাইশা ডেইরী ফার্মের মালিক সবুজ বলেন, আতিকুর প্রণোদনার টাকা তুললেও ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে কোন পণ্য বিক্রি করেন না। এমনকি তিনি মাইশা ডেইরি ফার্মের দুধ বিক্রেতার অটো রিকশাকে ভ্রাম্যমাণ দুধ বিক্রির দোকান দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ছবি জমা দিয়েছেন।
মো. ইসাহাক নামে আরেক গরু খামারী বলেন, জেলায় অনেকে প্রকৃত গরুর খামারী থাকলেও মুষ্টিমেয় কিছু লোক গত দুই বছর যাবত সরকারের এসব বিশেষ সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, এই অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জেলা অফিসের একটি অসাধু চক্র জড়িত। তারা সরকারের প্রণোদনা নিলেও ভ্রাম্যমাণ দোকান পরিচালনা করছেন না। দু’একটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ এসব প্রাণিজাত পণ্যের দোকান দেখা গেলেও তা খুব কম সময়ই সেসব অটো বা ভ্যান দেখা যায়। কোথাও মাইকিংও করা হয় না।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নুরুল্লাহ মো. আহসান এব্যাপারে জানান, কারো বিরুদ্ধে অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ পেলে সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। তবে দু-একজনের জন্য এমন একটি ভাল উদ্যোগ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে।
তিনি বলেন, বুধবার ১০টি দোকান হতে প্রায় ৭ হাজার লিটার দুধ ও ৭ হাজার ৪শ পিস মুরগির ডিম বিক্রি করা হয়েছে। আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনলাইন ফরমে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছি। এসব দোকানে মুরগি, গরু ও খাসির মাংস এমনকি ঘি বিক্রির জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে