নিবিড় পর্যবেক্ষণ
মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) কেবিনে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
মঙ্গলবার বিএনপির মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি বিকাল ৫টায় ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বলেন, চেয়ারপার্সন মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ডা. জাহিদ তার জন্য সবাইকে দোয়া করতে বলেছেন।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। গত কয়েকদিন ধরে তিনি একই অবস্থায় আছেন। তাকে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি আ স ম আবদুর রব, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি হাজী সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। সরকার যদি প্রথম থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিত, তাহলে তার এই অবস্থা হত না।’
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া
১ বছর আগে
খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ায় তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’
এর আগে শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কিছু মেডিকেল টেস্ট ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর শনিবার রাতে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হয় এবং তারা বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে ভর্তি
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছি এবং মেডিক্যাল বোর্ড আজ (রবিবার) সন্ধ্যায় রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করতে এবং তার চিকিৎসার পরবর্তী পন্থা নির্ধারণ করতে আবার বসবে। গতকাল (শনিবার) তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল বোর্ড তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।’
জাহিদ জানান, সকালে মেডিকেল বোর্ডের কয়েকজন সদস্য তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন।
হাসপাতালে ভর্তির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের আগের রোগের পাশাপাশি নতুন কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা জরুরি ছিল।
চিকিৎসক বলেছেন,‘মিডিয়ায় রোগীর অসুস্থতা নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। আমি শুধু বলতে পারি তিনি হার্ট, লিভার এবং কিডনির জটিলতা সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন... তাদের মধ্যে কোন কোনোটির একটু অবনতি হয়েছে। তাই চেক-আপ এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।’
জাহিদ বলেন, কেবিনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সরা খালেদা জিয়ার যথাযথ যত্ন নিচ্ছেন।
খালেদা জিয়া কতদিন হাসপাতালে থাকতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করবে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও তার শারীরিক অবস্থার ওপর। তাই এ মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।
জাহিদ জানান, স্থানীয় চিকিৎসক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন চিকিৎসক এবং খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার আরেক পুত্রবধূ ও প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান শিঁথিও হাসপাতালে তার সঙ্গে রয়েছেন।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি একই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যান। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খালেদা ছয়বার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন: বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
খালেদার প্রেসক্রিপশনে নতুন ওষুধ যুক্ত করলেন চিকিৎসকরা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিম শুক্রবার তার সিটি স্ক্যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে চিকিত্সায় একটি নতুন ওষুধ যুক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তারা খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: মৃদু জ্বরে ভুগছেন খালেদা, অবস্থা এখনও স্থিতিশীল: ডাক্তার
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, 'স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞসহ চিকিত্সক দলের সদস্যরা এই প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করেছেন এবং তার আগের প্রেসক্রিপশনে নতুন একটি ওষুধ যুক্ত করেছেন।'
তিনি জানান, সংক্রমণের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশের সাথে সাথে খালেদাকে তার গুলশানের বাসায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে তারা।
এই চিকিত্সক জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান লন্ডন থেকে তার শাশুড়ির চিকিত্সা প্রক্রিয়া তদারক করছেন।
সিটি স্ক্যানের প্রতিবেদন অনুসারে তিনি বলেন, খালেদার ফুসফুসে খুব সামান্য সংক্রমণ পাওয়া গেছে। 'ম্যাডামের অবস্থা এখনও স্থিতিশীল।'
তিনি জানান, খালেদা তার দ্রুত সুস্থতার জন্য জনগণকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এইচআরসিটি স্ক্যান পরীক্ষা করানো হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
উল্লেখ্য, গত শনিবার খালেদা জিয়া ও তার বাসায় আরও আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত বছরের ২৫ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধেই তাকে ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়। পরে, সরকার তার মুক্তির মেয়াদ দু'বার বাড়িয়েছে।
৩ বছর আগে