এস আলম
এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ১৬টি সম্পত্তি জব্দের আদেশ
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমসহ তার পরিবারের নামে থাকা ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ১৬টি স্থাবর সম্পত্তি জব্দের (ক্রোক) আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক সিফফাত উদ্দীন এস আলমের সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। পরে বিচারক এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: এস আলমের মালিকানাধীন ৩ ব্যাংকের চাকরিচ্যুতদের সড়ক অবরোধ
১৬টি স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে— গুলশানের ১০ তলা ভবন এস আলম টাওয়ার, ধানমণ্ডিতে এক বিঘা জমিসহ ৬ তলা ভবন, ধানমণ্ডি লেক সার্কাসে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ জমিসহ ৪ তলা ভবন, গুলশানের ২ হাজার ৬৫৮ বর্গফুট জমির ওপর নির্মিত ফ্ল্যাট, গুলশান-২ এর দশমিক ৭ হাজার ৮৮৮ একর জমি, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ৭ তলা ভবন, ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১০৩ দশমিক ৩ কাঠা জমির প্লট, পৃথক পৃথক ১ দশমিক ৭২০০ একর জমি, ৯৬ কাঠা জমি, ১ দশমিক ৯ হাজার ৫৩৬ একর জমি, ১১ দশমিক ১ হাজার ৬১ বিঘা জমি ও ১৩১ দশমিক ৪ কাঠা জমি।
৬৭ দিন আগে
এস আলমের মালিকানাধীন ৩ ব্যাংকের চাকরিচ্যুতদের সড়ক অবরোধ
এস আলমের মালিকানাধীন তিনটি ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত ১ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নগরীর আমানত সেতু-সংলগ্ন মইজ্জারট এলাকায় বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
চাকরিতে পুনর্বহাল করার দাবিতে এই বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভ চলাকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক বন্ধ হয়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পরে সাধারণ মানুষ। অনেককে হেটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের চেষ্টায় ১ ঘণ্টা পর অবরোধের তুলে নেন তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এস আলম গ্রুপের হুঁশিয়ারি
বিক্ষোভকারীদের দাবি, অনলাইনে আবেদন করে সঠিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদের চাকরি হয়েছে। এখন নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রশ্ন তুলে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এই ‘অন্যায়ের’ প্রতিবাদ জানিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এছাড়া ডিসি ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
তবে দাবি না মানলে আরও বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।
১১৮ দিন আগে
এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে এনবিআর
এস আলম নামে পরিচিত মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের হিসাবের তথ্য দিতে ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বুধবার (১৪ আগস্ট) ৯১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে এনবিআরের কর অঞ্চল-১৫।
চিঠিতে আয়কর আইন-২০২৩ এর ২০০ ধারা অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য যত দ্রুত সম্ভব সরবরাহ করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর।
আরও পড়ুন: এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান ড. আবদুর রহমান খান
চিঠিতে এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন, মা চেমন আরা বেগম ও ভাই আবদুল্লাহ হাসানের ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত বিবরণ চাওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া এস আলমের ছেলে, মেয়ে বা বোনের নামে, যৌথ নামে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
২১৯ দিন আগে
৪৮ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন
৪৮ ঘণ্টা পার হয়েছে, তবুও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম গ্রুপের সুগার মিলের আগুন। কারখানার ভেতরে এখনও পুড়ছে চিনির কাঁচামাল।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন নেভাতে সময় লাগতে পারে আরও দুই থেকে তিনদিন।
আজ বুধবার (৬ মার্চ) বিষয়টি জানান চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা।
তিনি বলেন, আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগবে। পুরো এলাকাজুড়েই চিনির কাঁচামাল মজুত আছে। শুধু নিচ থেকে আগুন নেভানো সম্ভব নয়।
এই মুহূর্তে উপর থেকে পানি ছেটানোর বিকল্প নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন
এর আগে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানার ১ নম্বর গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী ও কোস্ট গার্ড।
এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (করপোরেট) মোহাম্মদ আকতার হোসেন জানান, সেখানে পাঁচটি গুদাম রয়েছে। প্রতিটি গুদামের ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার মেট্রিক টন। আগুন লাগার সময়ও কারখানা চালু ছিল। কারখানাটিতে প্রায় সাড়ে ৫০০ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন।
আরও পড়ুন: এস আলম সুগার মিলের আগুন সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে পুরোদমে প্রোডাকশনে নামতে পারব। এ আগুনের পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে চিনি কমবে না। শুধু রমজান নয়; আমাদের ৬-৭ লাখ টন পাইপলাইনে রয়েছে। শুধু একটা গোডাউনে আগুন লেগেছে, সেটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে সেটিতে ক্ষয়ক্ষতি হলেও পাশে আরও গোডাউন রয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি রয়েছে। বাজারে আগুনের কোনো প্রভাব পড়বে না।’
এদিকে আগুনের তাপ ও পুড়ে যাওয়া চিনির গলিত লাভার চাপে হেলে পড়েছে দুর্ঘটনাকবলিত গোডাউনের এক পাশের দেওয়াল। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
এছাড়া, কারখানার পুড়ে যাওয়া চিনি গলে কর্ণফুলীতে নদীতে পড়ে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে বলে এলাকাবাসীরা জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলের আগুনে পুড়ে গেছে এক লাখ টন চিনি
৩৮১ দিন আগে
এস আলম সুগার মিলের আগুন সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সোমবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন সম্পন্নরূপে নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানান কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শোয়েব হোসাইন মুন্সী।
এদিকে আগুন লাগার ঘটনা খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রাতে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা এ কমিটি গঠন করেছে। কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৮ ইউনিট
তিনি জানান, এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের আগুন নির্বাপণ কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্য, নৌবাহিনীর ১২ সদস্যের ২টি টিম, বিমানবাহিনী, কোস্ট গার্ড, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য সহযোগিতা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানকে।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকাল ৪ টার দিকে কর্ণফুলী ইছানগর এলাকায় এস আলম সুগার মিলে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, আগুনে তাদের গোড়াউনে রাখা এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি সম্পূর্ণ পড়ে গেছে। মোট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলের আগুনে পুড়ে গেছে এক লাখ টন চিনি
৩৮৩ দিন আগে
চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলের আগুনে পুড়ে গেছে এক লাখ টন চিনি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম গ্রুপের এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলস লিমিটেডের কারখানার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ১ লাখ মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত পৌনে ৮টায় বাইরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনী কাজ করেছে। তবে কারখানার ভেতরে আগুন এখনো নেভানো সম্ভব হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, বাইরের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে গুদামের ভেতরে এখনো ধোঁয়াসহ আগুন জ্বলছে।
এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যায়। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি না বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত এর কিছুই জানতে পারিনি। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, গোডাউনে থাকা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ১ লাখ মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল ছিল, যা পুড়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্ণফুলী মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর শোয়াইব হোসেন মুন্সি বলেন, আগুনে আলম নামে একজন বেল অপারেটর আহত হয়েছেন। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে এখনো জানা যায়নি। তদন্ত রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ লাখ মেট্রিক টন কাঁচা চিনি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা প্রায়।
এর আগে আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণপাড়ে ইছানগর এলাকায় অবস্থিত ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে।
৩৮৩ দিন আগে
‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ নিয়ে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন: অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া দেশের বাইরে অর্থ পাঠানোর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং হয়েছে কি না, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে অর্থ বাইরে পাঠানো হয়েছিল কি না, তা জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৪ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রবিবার (৬ আগস্ট) হাইকোর্টের নজরে আনেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এরপর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে মানি লন্ডারিং রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিযোগ অনুসন্ধানে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার সাজার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ
আদালতে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটি তুলে ধরে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সায়েদুল হক। দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট দ্য ডেইলি স্টার ‘এস আলমের আলাদিনের প্রদীপ’- শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার কোনো রেকর্ড নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। তবে চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়িক জায়ান্ট এস আলম গ্রুপ সেই তালিকায় নেই।
এতে আরও বলা হয়, তবে আলম সিঙ্গাপুরে গত এক দশকে কমপক্ষে দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য সম্পত্তি কিনেছেন। সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, ‘ ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে, এই পরিমাণ অর্থ ২০০৯ সালের পর সিঙ্গাপুরে এস আলমের কেবল দুটি হোটেল ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা ৪১১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দশ ভাগের এক ভাগ মাত্র।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিতে আরও দেখা যায় এখন পর্যন্ত কয়েকটি কোম্পানি বৈধভাবে সিঙ্গাপুরে মোট ১ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে এবং সেগুলোর একটিও আলমের মালিকানাধীন নয়।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন প্রশ্নে রুল ২ সপ্তাহে নিষ্পত্তির নির্দেশ
দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
৫৯৪ দিন আগে
বাঁশখালীতে এস আলম বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলমের মালিকানাধীন বেসরকারি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শনিবার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরেক শ্রমিক মারা গেছেন। এনিয়ে পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হলো।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন।
আহতদের বাঁশখালী স্বাস্থকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে আনা হলে বেলা পৌনে ২টার দিকে একজন মারা যান।নিহতরা হলেন-রনি হোসেন (২২), শুভ (২৪), আহমদ রেজা (১৮), মো. রাহাত (২৪) ও মো. রায়হান (২৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ইপিজেডে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধ
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। ওই সংঘর্ষে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষে কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে আরও ৮ জনের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেতন ভাতা নিয়ে শুক্রবার থেকে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জেরে সকালে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শ্রমিক নেতারা। বৈঠক চলার সময় দাবি-দাওয়া আদায় নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে বেলা পৌনে ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২৫ জন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরে আহতদের মধ্যে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য- ২০১৬ সালের এপ্রিলে একই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘাতে ছয়জন নিহত হন। বাঁশখালী ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে এস আলম গ্রুপ।
১৪৩৫ দিন আগে