চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলমের মালিকানাধীন বেসরকারি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শনিবার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরেক শ্রমিক মারা গেছেন। এনিয়ে পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হলো।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন।
আহতদের বাঁশখালী স্বাস্থকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে আনা হলে বেলা পৌনে ২টার দিকে একজন মারা যান।
নিহতরা হলেন-রনি হোসেন (২২), শুভ (২৪), আহমদ রেজা (১৮), মো. রাহাত (২৪) ও মো. রায়হান (২৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ইপিজেডে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধ
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। ওই সংঘর্ষে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষে কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে আরও ৮ জনের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেতন ভাতা নিয়ে শুক্রবার থেকে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জেরে সকালে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শ্রমিক নেতারা। বৈঠক চলার সময় দাবি-দাওয়া আদায় নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে বেলা পৌনে ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২৫ জন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরে আহতদের মধ্যে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য- ২০১৬ সালের এপ্রিলে একই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘাতে ছয়জন নিহত হন। বাঁশখালী ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে এস আলম গ্রুপ।