ড. একে আব্দুল মোমেন
বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
ভিসানীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের কথায় ঠিক থাকে, তাহলে বিএনপি নেতাদের উপর ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
তিনি আরও বলেন, এর কারণ তারা নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেটে নিজ বাসভবনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে বিএনপির জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে গেছে, তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। খালেদা জিয়ার জেল নিয়ে দেশের জনগণ চিন্তিত নয়।
দলটি নেতৃত্বের অপরিপক্কতায় ভুগছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ইলেকশন কমিশন আওয়ামী লীগের বিষয়ে কড়াকড়ি করছে, একইভাবে বিএনপির উপর সমানভাবে কড়াকড়ি আরোপ করা উচিত, কারণ তারা নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২২৭ জন পর্যবেক্ষক ও অসংখ্য সাংবাদিক আসবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
তিনি জানান, মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তারা তথ্য সংগ্রহ করছে।
আগামীতে বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কীভাবে তিক্ততা কমানো যায়, বিএনপি কেন নির্বাচনে আসেনি এ বিষয়ে জানতে চেয়ছে পর্যবেক্ষক দল।
মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, আইআরআইয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র উপদেষ্টা জেওফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ ও আইআরআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডেভিড হোগস্ট্রা।
আরও পড়ুন: এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে: মোমেন
১০ মাস আগে
সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
সিলেটের সবকটি আসনেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়লাভ করবে বলে মন্তব্য করেছেন, সিলেট ১ আসনে নৌকার প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
কোনো প্রার্থীকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো নির্বাচনই সহজ নয়, সব আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিতে যাবে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর সোবহানীঘাট কাঁচাবাজারে জনসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে সরকারের কোনো চাপ নেই, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কাজ করছে।
আরও পড়ুন: জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
এর আগে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নগরীর সুবহানিঘাট কাঁচা বাজার, ছালিম ম্যানশনের ব্যবসায়ী-ক্রেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে নৌকার পক্ষে ভোট চান।
তিনি আবার নির্বাচিত হলে উন্নয়নের মাধ্যমে সিলেটকে একটি আলোকিত, সম্প্রীতিপূর্ণ ও উন্নত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, স্পেশাল পিপি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল, জাতীয় পার্টি মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, অ্যাডভোকেট আফসার আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আমেরিকা প্রতি ঘণ্টার মজুরি বাড়ালে আমরা সে পথ অবলম্বন করব: মোমেন
সিলেটে প্রচারণার শুরুতে আরও শিক্ষিত মানুষকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি
১০ মাস আগে
বাংলাদেশে সব ধর্মের নাগরিকের অধিকার সমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের নাগরিকের অধিকার সমান। সব সম্প্রদায়ের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে লড়াই করে আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। সবাই একসঙ্গে থাকলে আমরা সব ক্ষেত্রে অবশ্যই সফল হব।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে কামাল আতাতুর্ক পার্কে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: আমরা এগুলোকে গুরুত্ব দিই না: বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আনন্দিত এজন্য যে সমাজের দুষ্ট লোকগুলোকে পরাজিত করেছি। শুধু পূজার সময় না, সারা বছরই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে এই দুষ্ট লোকগুলোর আর কখনো উত্থান না হয়।
এসময় ড. মোমেন সকলের সহযোগিতায় বাংলাদেশে একটি অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি দেখা উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সব অন্যায় ও অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে সাম্প্রদায়িক সৌন্দর্য ও স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে ড. অরূপরতন চৌধুরীর মিউজিক ভিডিও 'এলো মা দুর্গা' এর প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
এসময় মন্ত্রী বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের অগ্রযাত্রায় আমরা নিশ্চয়ই সফল হব।
তিনি বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারেন সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রতি বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে।
অনুষ্ঠানে ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, দুর্গাপূজা সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলন মেলা। পূজার আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিলে দুর্গাপূজা স্বার্থক হবে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের আগে বড় কোনো বৈশ্বিক উদ্যোগে যোগ দেবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
মন্তব্য করার আগে সাইবার নিরাপত্তা আইন পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই, আশঙ্কারও কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমেরিকা যাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চায় তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। আমেরিকা হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা দেয়। এগুলো একদিকে আসে একদিকে যায়। আমরা মোটেও আশঙ্কা করি না। আমাদের আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।
মঙ্গলবার বিআইআইএসএস ইন্সিটিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে আমেরিকার খুবই ভালো সম্পর্ক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়ে। তারা আমাদের পরামর্শ দেয়। আতঙ্কের কোন কারণ নেই, আশঙ্কারও কোনো কারণ নেই। রোমান নতুন করে নাগরিকদের সতর্ক করেছে তাদের দায়দায়িত্ব এড়ানোর জন্য বলেও জানান মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের আতঙ্কের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আপনারা এতো আতঙ্ক দেখেন কোথায়?এক কানে শোনেন আরেক কান দিয়ে বের করে দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক আরও গভীর হবে: মোমেন
মোমেন পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর রোডম্যাপ উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি রোডম্যাপ দিয়েছেন, এর একটি হলো ২০৪১ সালের মধ্যে সত্যিকার অর্থে আমরা সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলা গড়তে চাই, তাহলে আমাদের রিসোর্সগুলো কাজে লাগাতে হবে। আমাদের বড় রিসোর্স হচ্ছে মানুষ। দ্বিতীয়ত; এগুলোকে কাজে লাগাতে হলে, কর্মসংস্থান করতে হলে, বাংলাদেশে আমাদের অনেক ম্যানুফ্যাকচারিং হাব করতে হবে। এদের কাজে লাগাতে হলে আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বিনিয়োগ বাড়লে আমাদের রপ্তানি বাড়বে। বিনিয়োগের সঙ্গে রপ্তানির বড় একটা সম্পর্ক আছে। যারা বিনিয়োগ করে তারা কিন্তু সংগ্রাম করে।
তৃতীয়ত;মানবসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। এরপর যেটি হলো তা টেকনোলজি, আমি সেই টেকনোলজি আহরণ করবো যা ব্যবসা করার জন্য। টেকনোলজি শুধু মেশিন নয়, জ্ঞানকভিত্তিক প্রক্রিয়া। আর শেষটি হলো সেবার গুনগত মান।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বাজার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নতুন নতুন দেশে যাচ্ছি, শুধু মধ্যপ্রাচ্য না রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, মাল্টা যাচ্ছি। একটার পর একটা নতুন নতুন বাজার তৈরি করছি।
উন্নয়নে বাংলাদেশ খুব ভালো করছে উল্লেখ করি তিনি বলেন, যারা নিজের কারণে ভালো অবস্থানে গেছেন, পন্ডিত ব্যক্তিরা, তারা যদি বলে দেশ ভালো অবস্থানে গেছে তাহলে ঠিক আছে। তাহলে অন্যরা শুনবে। এতে কোনো জোড়াজুড়ি নেই।
উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতার ওপর গুরুতারোপ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে যদি স্থিতিশীল না থাকে, শান্তি না থাকে তার উন্নয়নটা ঠিক সেরকম নয়, আমাদের এই উন্নয়নটা টিকিয়ে রাখার জন্য, আমাদের অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত করার জন্যে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা। আপনি দেখেন মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা না থাকায় সম্পদে ভরপুর হওয়া সত্ত্বেও অনেকের ভরাডুবি হয়েছে, ইয়েমেন, আফ্রিকার লিবিয়া অন্যতম। শান্তি ও স্থিতিশীলতা থাকায় ছোট্টদেশ সিঙ্গাপুরে শান্তি স্থিতিশীলতা আছে, তাই দেশটি এশিয়ার একটি আশ্চর্য।
বিএনপির ২৭ দফার গুম ও মানবাধিকার সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে , এতো সন্ত্রাস যে আদালতের বিচারকও শান্তিতে থাকতে পারেনি। এমনকি বিদেশি এক রাষ্ট্রদূত একজায়গায় বেড়াতে গেলে সেখানে বোমাবাজি হয়। তিনি বেঁচে গেছেন কিন্তু অনেক লোক মারা যায়। একই দিনে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩টিতে বোমাবাজি হয়।
এরপর বাংলাদেশ পর পর পাঁচবার দুর্নীতিপরায়ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হলো। আর সেইসঙ্গে এই সন্ত্রাসের কারণে আমাদের নেতারা মারা গেলেন।
তৎকালীন বিরোধী দলীয় কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার সমাবেশে বোমা হামলা হলো। ২৪ জন মারা গেল, অনেকে আহত হলেন, অনেকে আজীবন পঙ্গু হলেন। এরপর ২০১৩-২০১৪ সালে কতজন লোককে গাড়িতে জীবন্ত জ্বালিয়ে মেরে ফেলেছে, যা অমানবিক। আর ওরাই মানবিকতার কথা বলে! নিজের ঘরেই তো আগে সামাল দেয়া দরকার। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত তারা যদি এসব বলে তাদের এটি ভাওতাবাজি।
বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশের কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, তারা সারাদেশে সমাবেশ করেছে, শোভাযাত্রা করেছে, আর বাসের কোম্পানি তাদের নিজেদের তাগিদে তা বন্ধ করে দিলেন, সরকার তাদের বলে নাই। তারা গাড়ি বের করে নাই ভয়ে, কারণ তাদের গাড়ি পুড়েয়ে দিবে।
ইতালি ও স্পেনে ই পাসপোর্ট বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতালি ও স্পেনসহ আরও দু’একটা দেশে আমাদের বিপুল সংখ্যক জনগণ সমস্যায় আছেন। তারা বয়সের ক্ষেত্রে মিথ্যা বলে কাজ নেন। এবং পরে পাসপোর্ট সংশোধন করতে মিশনে আসলে তা নবায়ন করা সম্ভ হয় না। ফলে তারা বিভিন্ন ছলছাতুরি করেন, বিভিন্ন জায়গায় ঘুষ দেন। কেউ কেউ আবার বাবা ও মায়ের নাম পরিবর্তন করে ফেলেন। আমরা তো আর এই অনৈতিক কাজ করতে পারি না। তখন তারা মিডিয়ায় ভোগান্তির কথা বলেন আমরা পাসপোর্ট দেই না।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও সহায়তার আহ্বান মোমেনের
জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে ‘চিন্তিত নন’, তাকে সরল ও ভালো মানুষ বললেন মোমেন
১ বছর আগে
আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য কাজ করছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সমাজে যদি কোনো ধরনের সন্ত্রাস-উগ্রবাদ না থাকে, সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয়, যদি শান্তি বজায় থাকে, তাহলে মানুষের মঙ্গল হয়। আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য কাজ করছি।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় সিলেট নগরের যুগলটিলাস্থ আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) সিলেট মন্দিরে উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, আমাদেরকে সর্তক থাকতে হবে, কারণ বিভিন্ন সময় ধর্ম নিয়ে গুজব সৃষ্টি করা হয়। স্বাধীনতার পর থেকেই একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আসছে, বর্তমানেও তাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাই এদের কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, সাবেক ট্রাস্টি চন্দন রায়, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া প্রমুখ।
সভা শেষে মঙ্গল প্রদীপ জ্বলিয়ে রথযাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অতিথিরা। পরে বর্ণাঢ্য সাজে তিনটি বিশাল রথে জগন্নাথদেব, শুভদ্রা ও বলরামের বিগ্রহসহ বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়।শোভাযাত্রাটি নগরের রিকাবীবাজার, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, নাইওরপুল, বন্দরবাজার, তালতলা, রিকাবীবাজার হয়ে ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: বন্যা দুর্গতদের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ত্রাণ সহায়তা হস্তান্তর
বন্যার ক্ষতি এড়াতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রণোদনা চায় বাংলাদেশ
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য দীর্ঘ মেয়াদী প্রণোদনা প্যাকেজ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে সদ্য বের হওয়া এবং বের হওয়ার সুপারিশ প্রাপ্ত দেশগুলো করোনার কারণে আবারও পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ এবং কানাডার স্থায়ী মিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান বক্তার হিসেবে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন এই দাবি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোই বিভিন্ন কারণে এলডিসি থেকে উত্তরণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং পিছিয়ে পড়ছে। উপযুক্ত অর্থায়ন ও সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারার ফলে, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: জাতিসংঘ মহাসচিবের হস্তক্ষেপ চায় বাংলাদেশ
ড. মোমেন আলোচনায় জানান, এলডিসি উত্তরণে আরও বেশি অর্থায়নের মাধ্যমে সার্বিক বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
উক্ত আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী কমিশনের প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।
আরও পড়ুন: প্রকাশিত হলো বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’র ফরাসি সংস্করণ
এছাড়া ওই আলোচনায় বেশ কয়েকটি দেশের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানর উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিবের বন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গরিবের বন্ধু উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তিনি এ বছর সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন যা বাজেটের প্রায় ১৭.৪ শতাংশ।
গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বেচ্ছাধীন তহবিল হতে তার নির্বাচনী এলাকা সিলেটে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
এসময় ১০ হাজার টাকা করে ৩৫ জনের মাঝে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। ইতোপূর্বে এ বছর ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, গত ২ বছরে ২০ লাখ টাকা এ তহবিল থেকে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল সম্পর্কে বাংলাদেশের নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, সিলেটে জমিহীন, গৃহহীনদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। যারা এখনও পাননি তাদেরকে পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং ভিজিএফ কার্ডের সুবিধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় শুরু হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এখন প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে প্রতি মাসে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: টিকা পেতে কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, করোনার মধ্যেও আমাদের স্থানীয় বাজার যথেষ্ট চাঙ্গা রয়েছে। প্রতিবেশী দেশের তুলনায় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এভাবে এগিয়ে গেলে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’, - একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে ৫ মিলিয়ন টিকা কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারকে তৃতীয় বার নির্বাচিত করায় আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পেরেছি। এছাড়া উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছি।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনে আগ্রহী চীন
বাংলাদেশের করোনা মোকাবিলায় সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছে চীন। এছাড়া যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে চীন এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আলোচনার আয়োজন করতে আগ্রহী দেশটি।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি বন্ধুত্ব ও প্রতিবেশী হিসেবে নিজেদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চীন সদা প্রস্তুত আছে বলেও জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন
শনিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে এক ফোনালাপে যুক্ত হয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া বর্তমানে করোনার এক নতুন ধাক্কা মোকাবিলা করছে। করোনাভাইরাস মহামারি মানবতার শত্রু। তাই প্রতিবেশী দেশগুলোর উচিৎ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।’
এ সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত মার্চ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০বছর পূর্তি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানের চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং একটি ভিডিও বার্তা প্রেরণ করেন। সেই ভিডিও বার্তায় চীনা রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও চীনের দৃঢ় সম্পর্কের দিকগুলো তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: যে কোন দেশ থেকে টিকার চালান এলে গ্রহণ করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ওয়াং ই আরও বলেন, ‘চীন এবং বাংলাদেশ সবসময়ই একে অপরের প্রয়োজনে সহযোগিতা করেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে সহযোগিতা করবে।’
ফোনালাপে তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ আরও দৃঢ় ও জোরদার হবে বলে আশাব্যক্ত করেন।
অপরদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন চীনের সফল মঙ্গল গ্রহে অবতরণের প্রশংসা ও শুভেচ্ছা জানান। এর পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য চীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: টিকা উপহার: বন্ধু চীনের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হংকং ও তাইওয়ানের বিষয়ে চীনকে বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানান।
ড. আব্দুল মোমেন ফোনালাপে চীনের সাথে মহামারি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য যৌথ অংশীদারিত্বমূলক কাজের মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের আশাবাদ জানান।
৩ বছর আগে
সোনার বাংলা গড়ার পথে অন্যতম পাথেয় তথ্যপ্রযুক্তি: একে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে একটি অন্যতম পাথেয় তথ্যপ্রযুক্তি।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের বলিষ্ঠ ও দৃঢ় নেতৃত্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের কথা জানালেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘বৈঠক’ অ্যাপের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশের নিজস্ব কারিগরি কুশলতায়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনায় ‘বৈঠক’ অ্যাপটি, জুম বা অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের সফলতা তুলে ধরতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশী সাহায্য নির্ভর অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ রপ্তানি ও বৈদেশিক আয় নির্ভর অর্থনীতির রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে চলেছি দুর্বার গতিতে। সেজন্য প্রয়োজন কৃষি, শিল্প, সেবা, তথ্য প্রযুক্তিসহ সকল খাতে আমাদের সাফল্যের ধারা বজায় রাখা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বের কাছে স্বীকৃত এবং এ বিষয়ে সম্প্রতি ১৪৭টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
দেশে উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার গুরুত্বারোপ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্ভাবনা আছে, সম্পদ আছে এবং স্পৃহা আছে। আছে সঠিক দিকনির্দেশনা ও সুযোগ্য নেতৃত্ব। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে রাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে একযোগে ও এক লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, এখন বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। ১৬ কোটির উপর মানুষ আজ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টর থেকে প্রতি বছর আমরা এক বিলিয়ন ডলার আয় করছি। ২০২৫ এর মধ্যে এই সংখ্যা পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. মোমেন বলেন, উন্নত দেশ হওয়ার পাশাপাশি জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়া আমাদের লক্ষ্য। আর এই সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের মানবসম্পদ উন্নয়নের সাথে ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থাকেও যুগোপযোগী করতে হচ্ছে এবং সেই পথে এগিয়ে যাবার একটি চমৎকার উদাহরণ এই ‘বৈঠক’ প্লাটফর্ম। তথ্যপ্রযুক্তির নতুন নতুন মাত্রার সাথে সামিল হতে আমাদের দক্ষতা উন্নয়ন এখনই দরকার।
তিনি বলেন, জীবনের সকল ক্ষেত্রে, সকল কর্মযজ্ঞে, সকল বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যদি আমরা সঠিকভাবে করতে না পারি, তবে এর বহুমাত্রিক উপযোগিতা থেকে আমরা বঞ্চিত হব এবং এর খেসারত দিবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে