বাংলাদেশের করোনা মোকাবিলায় সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছে চীন। এছাড়া যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে চীন এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আলোচনার আয়োজন করতে আগ্রহী দেশটি।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি বন্ধুত্ব ও প্রতিবেশী হিসেবে নিজেদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চীন সদা প্রস্তুত আছে বলেও জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন
শনিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে এক ফোনালাপে যুক্ত হয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া বর্তমানে করোনার এক নতুন ধাক্কা মোকাবিলা করছে। করোনাভাইরাস মহামারি মানবতার শত্রু। তাই প্রতিবেশী দেশগুলোর উচিৎ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।’
এ সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত মার্চ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০বছর পূর্তি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানের চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং একটি ভিডিও বার্তা প্রেরণ করেন। সেই ভিডিও বার্তায় চীনা রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও চীনের দৃঢ় সম্পর্কের দিকগুলো তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: যে কোন দেশ থেকে টিকার চালান এলে গ্রহণ করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ওয়াং ই আরও বলেন, ‘চীন এবং বাংলাদেশ সবসময়ই একে অপরের প্রয়োজনে সহযোগিতা করেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে সহযোগিতা করবে।’
ফোনালাপে তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ আরও দৃঢ় ও জোরদার হবে বলে আশাব্যক্ত করেন।
অপরদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন চীনের সফল মঙ্গল গ্রহে অবতরণের প্রশংসা ও শুভেচ্ছা জানান। এর পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য চীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: টিকা উপহার: বন্ধু চীনের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হংকং ও তাইওয়ানের বিষয়ে চীনকে বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানান।
ড. আব্দুল মোমেন ফোনালাপে চীনের সাথে মহামারি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য যৌথ অংশীদারিত্বমূলক কাজের মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের আশাবাদ জানান।