ডিএমপি কমিশনার
আত্মগোপনে থাকা পুলিশ সদস্যদের খুঁজে বের করতে জনসাধারণের সহায়তা চাইলেন ডিএমপি কমিশনার
জুলাই ও আগস্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে জড়িত থাকার পর আত্মগোপনে থাকা বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে খুঁজে বের করতে জনসাধারণকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান।
তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তা ৫ আগস্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছেন এবং এখনও কর্মে ফিরে আসেননি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তা হয়তো পালিয়ে গেছেন। 'আমাদের ধারণা কিছু কর্মকর্তা আত্মগোপনে আছেন।’
তিনি এই কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে জনসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ডে সাবের হোসেন চৌধুরী
হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করি, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন। যদিও আমরা তাদের খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবুও আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ডিএমপি কমিশনার হাসান ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত আইনি পদক্ষেপের বিষয়টিও তুলে ধরেন, যার ফলে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের করা মামলার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে আরও মামলা ঝুলে আছে।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন স্টেশনে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।’
পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসান স্বীকার করেন, সাময়িক কাজে বিঘ্ন ঘটেছে তবে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, পুলিশি পরিষেবা পুনরায় শুরু হয়েছে। তিনি জনসাধারণকে আশ্বাস দেন পুলিশ দৃঢ় সংকল্প নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করবে, বিশেষত দুর্গাপূজা উৎসবের আগে, পরিষেবায় কোনো বিঘ্ন ছাড়াই।
কমিশনারের মন্দির পরিদর্শনের সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক সংসদ সদস্য শিউলি আজাদ
১ মাস আগে
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশকে আইনের মধ্যে থেকেই কঠোরভাবে কাজ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. ময়নুল হাসান বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবশ্যই আইনের সীমার মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসআই শিরুমিয়া মিলনায়তনে ডিএমপির কল্যাণ ও ফোর্স ডিভিশন আয়োজিত বিশেষ সভায় হাসান এসব প্রত্যাশা পূরণে নতুন করে প্রচেষ্টা চালানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
পুলিশি অভিযানে আইনি সম্মতির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন,‘পুলিশ বাহিনী রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং আমরা যে প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করি তা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এর বাইরে আমাদের কাজ করার কোনো অবকাশ নেই- আমাদের অবশ্যই আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
এ সময় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্ট উদ্বেগ ও দাবি তুলে ধরেন। হাসান তাদের আশ্বস্ত করেন যে, তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে এবং বাহিনীর অভ্যন্তরে বিশেষ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের অবস্থার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি পুলিশ লাইনের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বাহিনীর কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই উদ্বেগগুলো মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের কর্মীদের জন্য আরও ভালো কাজ এবং বসবাসের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মনোবল আরও বাড়াতে নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন ও পুলিশ মেসে মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কমিশনার। ব্যারাকে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট উপপুলিশ কমিশনার এবং ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স ডিভিশনের সদস্যরা ডিএমপি সদস্যদের কল্যাণের লক্ষ্যে আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: এফআইআরে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়, পুলিশ আগে তদন্ত করবে: ডিএমপি কমিশনার
১ মাস আগে
দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো.ময়নুল হাসান।
ডিএমপি সদর দপ্তরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে।
আরও পড়ুন: এফআইআরে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়, পুলিশ আগে তদন্ত করবে: ডিএমপি কমিশনার
সাদা পোশাকের পুলিশ, সোয়াত, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি পূজা-উদযাপন পরিষদকে পূজামণ্ডপে তাদের সিসিটিভি স্থাপনের শাপাশি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বেচ্ছাসেবক টিম মোতায়েন করার আহ্বান জানান।
ডিএমপি কমিশনার জনগণকে যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি পরিষেবা ৯৯৯ এ কল করার জন্যও বলেছেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তার আহ্বান ডিএমপির
১ মাস আগে
এফআইআরে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়, পুলিশ আগে তদন্ত করবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ময়নুল হাসান বলেছেন, থানায় মামলা রেকর্ড করলেই এজাহারে নাম থাকা আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রয়োজন নাই।
পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি জানান।
এ ছাড়া ঢাকায় সম্প্রতি পুলিশ হত্যা, থানায় অগ্নিসংযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র লুটপাটসহ বিভিন্ন ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
'অপরাধমূলক ঘটনার মেয়াদ কখনো শেষ হয় না' উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'থানায় পুলিশ হত্যা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা হবে।’
আরও পড়ুন: নাখালপাড়া থেকে গ্রেপ্তার সাবেক এমপি সাদেক খান: ডিএমপি
গণহারে দায়ের হওয়া মামলা এবং এফআইআরে সাংবাদিকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এফআইআরে কারো নাম থাকার অর্থ এই নয় যে, অবিলম্বে গ্রেপ্তারের প্রয়োজন আছে। আমরা কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সম্মিলিত তদন্ত চালিয়ে যাব। সে অনুযায়ী নির্দেশনা জারি করা হয়েছে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের ভিত্তিতে সব মামলার সুরাহা করা হবে।’
তিনি জানান, সাম্প্রতিক অস্থিরতার সময় ১৭৭টি পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেবার উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। সেসব পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশ এখন গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছে। ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া ছিনতাই রোধে প্রচেষ্টা জোরদার করছেপুলিশ। এরই মধ্যে টহল ও চেকপয়েন্টগুলো চালু হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার গণবিক্ষোভ ও অবরোধের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করে পুলিশের মনোবল বাড়ানোর চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার সমস্যা সমাধানে পুলিশ কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হকারদের রাস্তা ও ফুটপাত উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, পুলিশ ধীরে ধীরে তাদের স্বাভাবিক দায়িত্বে ফিরছে।
অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের ধরতে চলমান অভিযানের কথা উল্লেখ করে তিনি আগামী দিনগুলোতে এই প্রচেষ্টা আরও জোরদারে পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।
সভায় ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তার আহ্বান ডিএমপির
সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তার: ডিএমপি
২ মাস আগে
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করে যাব।’
শনিবার (২৪ আগস্ট) ‘কমিশনার’স মিট দ্য প্রেস’ ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত সংকটকালে আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছি। বিগত সময়ের উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এর ফলে ছাত্র-জনতার আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়েছিল।’
মাইনুল হাসান বলেন, ডিএমপিসহ সারাদেশে অনেক পুলিশ সদস্য আহত এবং নিহত হয়েছেন। প্রাণভয়ে আত্মগোপনে ছিলেন মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা। অনেক স্থানে আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। ট্রাফিকের প্রায় সকল অফিস ও বক্স ভাঙচুর হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিএমপির ৫০টি থানার মধ্যে ২২টি থানা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুণ্ঠিত হয়েছে। ইতোপূর্বে এ ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন পুলিশ বাহিনী হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করি যাতে পুলিশ সদস্যরা ভয় না পেয়ে দ্রুত কাজে ফিরে আসেন। কিন্তু ইতোমধ্যে কিছু উচ্চাবিলাসী ও অপেশাদার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদের ব্যাপক ক্ষোভ জন্মায় এবং নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি শুরু করে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সুযোগ্য নেতৃত্বে আইজিপি, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আমি নিজে রাজারবাগ ও মিরপুর পুলিশ লাইন্সসহ বিভিন্ন পুলিশ স্থাপনায় যাই। তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে কিছু দাবি তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়। বাকিগুলো দ্রুততম সময়ে মেটানোর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসেন এবং দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: পুলিশে ব্যাপক রদবদল, দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই সংকটকালে ভগ্ন মনোবলের পুলিশ সদস্যদের কাজে যোগদানের ভীতি দূর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে প্রতিটি থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হয়। তাদের উপস্থিতির ফলে ভীতসন্ত্রস্থ পুলিশ সদস্যসহ জনমনে আস্থা ফিরে আসে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটতে থাকে।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সকল থানার কার্যক্রমসহ ট্রাফিক বিভাগ ও অন্যান্য সকল বিভাগের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সচল করতে সক্ষম হই। আমাদের এই সংকটকালে বিজিবি ও আনসার সদস্যরাও তাদের সার্বিক সহযোগিতা আমাদেরকে দিয়েছেন। পাশাপাশি ছাত্র-জনতাসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পুলিশের মনোবল বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করেছেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘ঢাকা আপনার-আমার-সকলের প্রিয় শহর। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজে অংশ নেবেন না। যে যেখানে আছেন সবাই আইন ও বিধি মেনে চলুন। ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশ সবসময় আপনাদের পাশে আছে। একই সঙ্গে আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দানকারী বীর শহীদ, আহত ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: নতুন ওসি পেল ডিএমপির ১৩ থানা
২ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপতৎপরতা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
আসন্ন পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার হোসাইনী দালান ইমামবাড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আদালতের নির্দেশ আমাদের মানতে হবে। তাই আদালতের নির্দেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই পুলিশ কাজ করবে। কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে মোকাবিলা করা হবে।’
পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে হাবিবুর রহমান বলেন, যারা পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া শোভাযাত্রা পালন করবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইমামবাড়া সংলগ্ন বহুতল ভবন থেকে নিরাপত্তা মনিটরিং করা হবে। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
কমিশনার আরও বলেন, যেহেতু শোভাযাত্রার সময় পতাকা বহন করার রীতি রয়েছে, তাই তাদের (অনুষ্ঠানের আয়োজকদের) সতর্ক করা হয়েছে যে এটি খুব বেশি উঁচু না রাখতে যাতে এটি বৈদ্যুতিক তারে স্পর্শ না করে।
৪ মাস আগে
কোটা আন্দোলন: সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ মেনে চলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ডিএমপি কমিশনারের আহ্বান
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের প্রতি সম্মান জানাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
অর্থাৎ, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে যা চলছে, তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে কোনও পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনা যাবে না। এটি বিভিন্ন অংশীজন বা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মীমাংসিত অবস্থানগুলো চিহ্নিত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আদালতের আদেশের প্রতি সবার আস্থা ও শ্রদ্ধা থাকা উচিত।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে প্রত্যেক নাগরিকের। তাই সবার উচিত আদালতের নির্দেশ মেনে চলা এবং সম্মান করা।’
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার কোনো চেষ্টা বরদাশত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপি কমিশনার।
সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ক্র্যাব ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ক্রাইম রিপোর্টারদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা অনেক সময় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশকে সহায়তা করেন।
আরও পড়ুন: টানা ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট যানজট নিয়ে ডিএমপির সতর্কতা
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কোন বিকল্প নেই। সাংবাদিকরা সব সময় সত্য সম্পর্কে সচেতন। তারা দেশে-বিদেশে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে সব সময় সত্য সামনে এনেছেন।
ক্র্যাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক ও ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক পারভেজ খান, আবুল খায়ের, মির্জা মেহেদী তমাল, ইশরাফ হোসেন ঈসা প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো.রবিউল ইসলাম মিল্টন।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপির
৪ মাস আগে
উগ্রবাদী প্রভাব রোধে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের
অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম মোকাবিলার ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে তরুণদের কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে অভিভাবকদের থেকে শুরু করে সম্মিলিত সামাজিক নজরদারির আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সোমবার (১ জুলাই) গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
অনলাইনে উগ্রবাদীদের চলমান প্রচেষ্টা এবং এসব দমনে পুলিশের কৌশল নিয়ে জানতে হয় তার কাছে।
'জঙ্গিদের অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ করা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ' উল্লেখ করে উগ্রবাদের বিস্তার রোধে সচেতন নাগরিক ও গণমাধ্যমসহ সমাজের সব স্তরকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: রাত ১১টার মধ্যে রাস্তার পাশের চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির
অনলাইনে দ্রুত ও ব্যাপক হারে তথ্য প্রচারের বিষয়টিকে উল্লেখযোগ্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
সন্তানের অবস্থান, কার্যক্রম, সঙ্গী, সম্পত্তি এবং অনলাইনে সময় পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব অভিভাবকদের সামনে তুলে ধরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এসব বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি দিলে চরমপন্থী প্রভাবের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়।’
বীমা সংস্থাগুলোতে চরমপন্থীদের অনুপ্রবেশের বিষয়ে সাম্প্রতিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের জবাবে কমিশনার আশ্বাস দিয়ে বলেন, এ জাতীয় যে কোনো কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব হুমকি প্রতিরোধে আমরা সজাগ ও তৎপর রয়েছি।
চরমপন্থা একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং বাংলাদেশও এর থেকে মুক্ত নয় স্বীকার করে উগ্রবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশি পুলিশ, সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট এবং সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর দক্ষতা ও দূরদর্শিতার প্রশংসা করেন হাবিবুর রহমান। বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।
এসময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সক্রিয় অভিযান পরিচালনা এবং সফলভাবে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ করার কিছু উদাহরণ দেন তিনি। কমিশনার বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
অনলাইনে উগ্রবাদী মতাদর্শের বিস্তার রোধে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অব্যাহত প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন ডিএমপি কমিশনার।
যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ ও এর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সক্ষমতার ওপর আস্থা ব্যক্ত করেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক চাপ না থাকলেও প্রভাবশালীদের চাপ আছে: ডিএমপি কমিশনার
৪ মাস আগে
এমপি আনোয়ারুল হত্যার উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি: ডিএমপি কমিশনার
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বিদেশে অবস্থান করায় হত্যার মূল উদ্দেশ্য এখনো জানা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
বুধবার (২৯ মে) ডিএমপি সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘এমপি আনার হত্যার পেছনে উদ্দেশ্য কী- এটি বাংলাদেশ পুলিশ বা ভারতীয় পুলিশ এখনো পর্যন্ত বের করতে করতে পারেনি।’
তবে পুলিশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে বলেও জানান তিনি।
হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা গ্রেপ্তার হলেই উদ্দেশ্য জানা যাবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
হাবিবুর রহমান বলেন, এমপি আনোয়ারুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহীন এখন যুক্তরাষ্ট্রে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনো বহিঃসমর্পণ চুক্তি নেই। তবে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গত ১১ মে কলকাতায় যান। ১৪ মে থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
গত ২২ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, কলকাতার অদূরে নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ২২ মে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক চাপ না থাকলেও প্রভাবশালীদের চাপ আছে: ডিএমপি কমিশনার
৫ মাস আগে
কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে ঢাকায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তৎপরতাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কেএনএফ যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের এখন আর কোনো তৎপরতা নেই। ঈদকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত জঙ্গি তৎপরতার কোনো আগাম তথ্য নেই।’
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এখানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, ঈদের জামাতে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকায় স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের সদস্যরাও মোতায়েন থাকবে।
পুরো এলাকা সিসিটিভি, ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে নজরদারি চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশপথে তল্লাশি চালাবে পুলিশ। গোয়েন্দা ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সাদা পোশাকে থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ঈদের প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে ১০টি স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছে এবং মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে জামাতে অংশ নিতে পারেন সেজন্য ৮টি সড়ক ডাইভারশন হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
এছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াট) এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৭টায়
রাজধানীতে ১৮৪টি ঈদগাহ ও ১ হাজার ৪৮৮টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়কালীন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি পৃথক ব্যবস্থা রাখবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কাউকে দাহ্য পদার্থ বহন করতে দেওয়া হবে না।
ঈদযাত্রায় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'আমরা বাস মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা অতিরিক্ত ভাড়া নেবেন না। মেট্রোপলিটন এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর: অতিরিক্ত আইজিপি
৭ মাস আগে