ডিএমপি কমিশনার
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করে যাব।’
শনিবার (২৪ আগস্ট) ‘কমিশনার’স মিট দ্য প্রেস’ ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত সংকটকালে আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছি। বিগত সময়ের উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এর ফলে ছাত্র-জনতার আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়েছিল।’
মাইনুল হাসান বলেন, ডিএমপিসহ সারাদেশে অনেক পুলিশ সদস্য আহত এবং নিহত হয়েছেন। প্রাণভয়ে আত্মগোপনে ছিলেন মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা। অনেক স্থানে আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। ট্রাফিকের প্রায় সকল অফিস ও বক্স ভাঙচুর হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিএমপির ৫০টি থানার মধ্যে ২২টি থানা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুণ্ঠিত হয়েছে। ইতোপূর্বে এ ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন পুলিশ বাহিনী হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করি যাতে পুলিশ সদস্যরা ভয় না পেয়ে দ্রুত কাজে ফিরে আসেন। কিন্তু ইতোমধ্যে কিছু উচ্চাবিলাসী ও অপেশাদার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদের ব্যাপক ক্ষোভ জন্মায় এবং নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি শুরু করে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সুযোগ্য নেতৃত্বে আইজিপি, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আমি নিজে রাজারবাগ ও মিরপুর পুলিশ লাইন্সসহ বিভিন্ন পুলিশ স্থাপনায় যাই। তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে কিছু দাবি তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়। বাকিগুলো দ্রুততম সময়ে মেটানোর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসেন এবং দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: পুলিশে ব্যাপক রদবদল, দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই সংকটকালে ভগ্ন মনোবলের পুলিশ সদস্যদের কাজে যোগদানের ভীতি দূর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে প্রতিটি থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হয়। তাদের উপস্থিতির ফলে ভীতসন্ত্রস্থ পুলিশ সদস্যসহ জনমনে আস্থা ফিরে আসে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটতে থাকে।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সকল থানার কার্যক্রমসহ ট্রাফিক বিভাগ ও অন্যান্য সকল বিভাগের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সচল করতে সক্ষম হই। আমাদের এই সংকটকালে বিজিবি ও আনসার সদস্যরাও তাদের সার্বিক সহযোগিতা আমাদেরকে দিয়েছেন। পাশাপাশি ছাত্র-জনতাসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পুলিশের মনোবল বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করেছেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘ঢাকা আপনার-আমার-সকলের প্রিয় শহর। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজে অংশ নেবেন না। যে যেখানে আছেন সবাই আইন ও বিধি মেনে চলুন। ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশ সবসময় আপনাদের পাশে আছে। একই সঙ্গে আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দানকারী বীর শহীদ, আহত ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: নতুন ওসি পেল ডিএমপির ১৩ থানা
আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপতৎপরতা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
আসন্ন পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার হোসাইনী দালান ইমামবাড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আদালতের নির্দেশ আমাদের মানতে হবে। তাই আদালতের নির্দেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই পুলিশ কাজ করবে। কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে মোকাবিলা করা হবে।’
পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে হাবিবুর রহমান বলেন, যারা পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া শোভাযাত্রা পালন করবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইমামবাড়া সংলগ্ন বহুতল ভবন থেকে নিরাপত্তা মনিটরিং করা হবে। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
কমিশনার আরও বলেন, যেহেতু শোভাযাত্রার সময় পতাকা বহন করার রীতি রয়েছে, তাই তাদের (অনুষ্ঠানের আয়োজকদের) সতর্ক করা হয়েছে যে এটি খুব বেশি উঁচু না রাখতে যাতে এটি বৈদ্যুতিক তারে স্পর্শ না করে।
কোটা আন্দোলন: সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ মেনে চলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ডিএমপি কমিশনারের আহ্বান
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের প্রতি সম্মান জানাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
অর্থাৎ, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে যা চলছে, তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে কোনও পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনা যাবে না। এটি বিভিন্ন অংশীজন বা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মীমাংসিত অবস্থানগুলো চিহ্নিত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আদালতের আদেশের প্রতি সবার আস্থা ও শ্রদ্ধা থাকা উচিত।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে প্রত্যেক নাগরিকের। তাই সবার উচিত আদালতের নির্দেশ মেনে চলা এবং সম্মান করা।’
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার কোনো চেষ্টা বরদাশত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপি কমিশনার।
সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ক্র্যাব ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ক্রাইম রিপোর্টারদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা অনেক সময় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশকে সহায়তা করেন।
আরও পড়ুন: টানা ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট যানজট নিয়ে ডিএমপির সতর্কতা
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কোন বিকল্প নেই। সাংবাদিকরা সব সময় সত্য সম্পর্কে সচেতন। তারা দেশে-বিদেশে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে সব সময় সত্য সামনে এনেছেন।
ক্র্যাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক ও ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক পারভেজ খান, আবুল খায়ের, মির্জা মেহেদী তমাল, ইশরাফ হোসেন ঈসা প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো.রবিউল ইসলাম মিল্টন।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপির
উগ্রবাদী প্রভাব রোধে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের
অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম মোকাবিলার ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে তরুণদের কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে অভিভাবকদের থেকে শুরু করে সম্মিলিত সামাজিক নজরদারির আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সোমবার (১ জুলাই) গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
অনলাইনে উগ্রবাদীদের চলমান প্রচেষ্টা এবং এসব দমনে পুলিশের কৌশল নিয়ে জানতে হয় তার কাছে।
'জঙ্গিদের অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ করা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ' উল্লেখ করে উগ্রবাদের বিস্তার রোধে সচেতন নাগরিক ও গণমাধ্যমসহ সমাজের সব স্তরকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: রাত ১১টার মধ্যে রাস্তার পাশের চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির
অনলাইনে দ্রুত ও ব্যাপক হারে তথ্য প্রচারের বিষয়টিকে উল্লেখযোগ্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
সন্তানের অবস্থান, কার্যক্রম, সঙ্গী, সম্পত্তি এবং অনলাইনে সময় পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব অভিভাবকদের সামনে তুলে ধরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এসব বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি দিলে চরমপন্থী প্রভাবের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়।’
বীমা সংস্থাগুলোতে চরমপন্থীদের অনুপ্রবেশের বিষয়ে সাম্প্রতিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের জবাবে কমিশনার আশ্বাস দিয়ে বলেন, এ জাতীয় যে কোনো কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব হুমকি প্রতিরোধে আমরা সজাগ ও তৎপর রয়েছি।
চরমপন্থা একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং বাংলাদেশও এর থেকে মুক্ত নয় স্বীকার করে উগ্রবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশি পুলিশ, সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট এবং সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর দক্ষতা ও দূরদর্শিতার প্রশংসা করেন হাবিবুর রহমান। বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।
এসময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সক্রিয় অভিযান পরিচালনা এবং সফলভাবে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ করার কিছু উদাহরণ দেন তিনি। কমিশনার বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
অনলাইনে উগ্রবাদী মতাদর্শের বিস্তার রোধে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অব্যাহত প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন ডিএমপি কমিশনার।
যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ ও এর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সক্ষমতার ওপর আস্থা ব্যক্ত করেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক চাপ না থাকলেও প্রভাবশালীদের চাপ আছে: ডিএমপি কমিশনার
এমপি আনোয়ারুল হত্যার উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি: ডিএমপি কমিশনার
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বিদেশে অবস্থান করায় হত্যার মূল উদ্দেশ্য এখনো জানা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
বুধবার (২৯ মে) ডিএমপি সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘এমপি আনার হত্যার পেছনে উদ্দেশ্য কী- এটি বাংলাদেশ পুলিশ বা ভারতীয় পুলিশ এখনো পর্যন্ত বের করতে করতে পারেনি।’
তবে পুলিশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে বলেও জানান তিনি।
হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা গ্রেপ্তার হলেই উদ্দেশ্য জানা যাবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
হাবিবুর রহমান বলেন, এমপি আনোয়ারুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহীন এখন যুক্তরাষ্ট্রে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনো বহিঃসমর্পণ চুক্তি নেই। তবে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গত ১১ মে কলকাতায় যান। ১৪ মে থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
গত ২২ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, কলকাতার অদূরে নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ২২ মে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক চাপ না থাকলেও প্রভাবশালীদের চাপ আছে: ডিএমপি কমিশনার
কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে ঢাকায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তৎপরতাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কেএনএফ যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের এখন আর কোনো তৎপরতা নেই। ঈদকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত জঙ্গি তৎপরতার কোনো আগাম তথ্য নেই।’
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এখানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, ঈদের জামাতে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকায় স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের সদস্যরাও মোতায়েন থাকবে।
পুরো এলাকা সিসিটিভি, ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে নজরদারি চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশপথে তল্লাশি চালাবে পুলিশ। গোয়েন্দা ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সাদা পোশাকে থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ঈদের প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে ১০টি স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছে এবং মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে জামাতে অংশ নিতে পারেন সেজন্য ৮টি সড়ক ডাইভারশন হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
এছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াট) এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৭টায়
রাজধানীতে ১৮৪টি ঈদগাহ ও ১ হাজার ৪৮৮টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়কালীন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি পৃথক ব্যবস্থা রাখবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কাউকে দাহ্য পদার্থ বহন করতে দেওয়া হবে না।
ঈদযাত্রায় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'আমরা বাস মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা অতিরিক্ত ভাড়া নেবেন না। মেট্রোপলিটন এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর: অতিরিক্ত আইজিপি
ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
বুধবার (৩ এপ্রিল) ডিএমপি সদর দপ্তরে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'কাউন্টার ছাড়া অন্য কোথাও টিকিট বিক্রি করা হলে বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অর্ধেকের বেশি মোটরসাইকেলে হয়: ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, 'লাইসেন্স ছাড়া কেউ গাড়ি চালাতে পারবে না এবং ঈদযাত্রা দুর্ঘটনামুক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।’
কমিশনার আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমি আমাদের ট্রাফিক ও ক্রাইম ডিসিদের অনুরোধ করব জেলার সীমান্তবর্তী ইউনিটগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য, যাতে সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা যায়।’
তিনি আরও জানান, ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহন রাস্তায় চলাচল করবে না। এ ব্যাপারে পরিবহন মালিকরা একমত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা: পোশাক কারখানায় ৮ দিনের ছুটির আহ্বান জাতীয় কমিটির
এছাড়া ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহন যাতে নগরীতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রবেশপথগুলোতে পুলিশ সতর্ক থাকবে বলেও জানান কমিশনার।
শহীদ দিবসে সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।
সোমবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় রাখা হবে। এছাড়া বোমা নিষ্ক্রিয়করণ, সোয়াট, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল ও অন্যান্য টিম প্রস্তুত থাকবে।
শহীদ মিনার এলাকায় ড্রোন ও ভ্রাম্যমান দলের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ ও সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে অপরাধ-অন্যায় নির্মূল সম্ভব: ডিএমপি কমিশনার
মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, সেখানে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে এবং সেখানে ক্যামেরার মাধ্যমে সব ধরনের নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা ইউনিট কাজ করছে।
আইনশৃঙ্খলার অবনতির মতো যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সজাগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত থাকবে এবং নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে যানবাহন প্রবেশ ও বের হতে পারবে।
আরও পড়ুন: তদন্তে জানা যাবে কারওয়ান বাজার বস্তির অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি না: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকার অর্ধেক ভোটকেন্দ্র 'ঝুঁকিপূর্ণ': ডিএমপি কমিশনার
রাজধানীর যেসব ভোটকেন্দ্র রয়েছে তার অর্ধেকই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২ হাজার ১৪৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অর্ধেক কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে ডিএমপি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনের বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বলেন, ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য এবং কেন্দ্রের বাইরে টহল দল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনের বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
যারা হরতাল-অবরোধ দিয়েছে তারাই তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ট্রেনে নাশকতায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের ধরতে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা ডিএমপি কমিশনারের
এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে একটি রাজনৈতিক দল হরতাল-অবরোধের নামে জানমাল ধ্বংস করছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করে, মঙ্গলবার তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও তারই একটি অংশ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাই, যারা হরতাল ও অবরোধের ডাক দিয়েছে, তারাই ট্রেনে অগ্নিসংযোগের পেছনে রয়েছে। এর আগে যারা এ ধরনের অপরাধ করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা এ ধরনের বিবৃতি দিয়েছে।’
গাজীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুর্বৃত্তরা রেললাইন কেটে দেওয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। “আমি বলব, ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরনের নাশকতার কারণে সৃষ্ট প্রতিটি মৃত্যুকে আমি ‘হত্যা’ বলতে চাই।”
আরও পড়ুন: বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি
পুলিশ বিশ্বাস করে, এই ঘটনার পেছনে যারা রয়েছে তারা হরতাল ও অবরোধের অংশ এবং অবশ্যই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত জড়িত।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দলের অনুসারীরা তাদের লোকজনের মাধ্যমে এ হামলা চালাচ্ছে।
ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার পর, আমরা জানতে পেরেছি যে অপরাধীরা ট্রেনযাত্রীর ছদ্মবেশে এই হামলা চালিয়েছে।
ভুক্তভোগীর মতে, প্রথমে একটি সিটে আগুন দেওয়া হয়েছিল, যা শিগগিরই ছড়িয়ে পড়ে এবং যাত্রীরা দৌড়াতে শুরু করে। কেউ জানালা দিয়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ছিলেন, কেউ দরজা দিয়ে।
হাবিবুর বলেন, ভোরে অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন, সেই সময় হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
অনেক নেতা কারাগারে থাকায় হামলাকারীরা বিদেশে থাকা কোনো নেতার আদেশ পালন করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা হরতাল ডাকছে, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা করছে, তারা তাদের বিদেশে বাস করা নেতার নির্দেশে স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে করছে। এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, এ ধরনের ঘটনা এড়াতে প্রতিটি ট্রেনের বগিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার