ডিএমপি কমিশনার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলায় গুরুত্ব দিতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জানুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে হবে। মামলা তদন্তে অগ্রগতির পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে হবে। মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে আরও তৎপর হতে হবে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমী থেকে এসপি তানভীর আটক
তিনি বলেন, “বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান শুরু হয়েছে। গত ১৫ বছরে যারা গুম, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারে ডিএমপির থানা ও ফাঁড়িগুলোকে আরও বেশি তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় পুলিশকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে পরামর্শ দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকা শহরের যানজট নিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘একটি রাস্তা বন্ধ হলে অন্য রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন রাস্তা বন্ধ করে সরকারের কাছে তাদের দাবি জানাচ্ছে। রাস্তা বন্ধ করে দাবি আদায়ের এ চর্চা বন্ধ করতে হবে।’
ওভার স্পিড নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে ট্রাফিক বিভাগকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন জানুয়ারি মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা-সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিএমপির সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ দিন আগে
সেবার মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের আস্থা ফেরাতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের অবশ্যই জনগণের ট্রমা কাটিয়ে উঠতে সেবা দিতে হবে। কারণ এটিই কলঙ্কিত বাহিনীর ভাবমূর্তি ফেরানোর একমাত্র উপায়।
শনিবার(২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের ঘটনার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে সামাজিকভাবে কলঙ্কিত করেছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজেদের পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতে আমরা এখনো লজ্জা পাই।’
তিনি বলেন, ‘এই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশের মানুষের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। একমাত্র সেবার মাধ্যমেই আমরা আমাদের হারানো গৌরব ও ভাবমূর্তি ফিরে পেতে পারি, ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
তিনি পুলিশের দাবির পক্ষে সুপারিশ করার জন্য প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য কর্মরত কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, 'ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা সমিতির মাধ্যমে সম্মিলিত প্রতিনিধিত্বের মতো প্রভাব নাও ফেলতে পারে।’
তিনি পদমর্যাদা নির্বিশেষে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং অ্যাসোসিয়েশনকে আর্থিক সহায়তাসহ তার নিজের সহায়তারও আশ্বাস দেন।
১ মাস আগে
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, এ কারণে ঢাকা শহরে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দুই-তিন দিনের মধ্যেই তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র ও রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দুই-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হবে। চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
ঢাকায় ছিনতাই বেড়েছে উল্লেখ করে রাস্তা-ঘাটে বের হলে সবাইকে সচেতন হয়ে চলাচলের আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
ফুটপাতে হরারকদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হকারদের একবারে উচ্ছেদ করে দেওয়া অমানবিক। তবে হকাররা যেন সংযত অবস্থায় রাস্তায় থাকে এজন্য তাদের প্রতি অনুরোধ। তবে হকারদের কাছ থেকে কাউকে চাঁদা দেওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: দুই দিনের অভিযানে ১৭৯৯ মামলা দিল ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘মোটরসাইকেল ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। এক মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন চলাচল করা আরও ঝুকিপূর্ণ। ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসব। যারা রাস্তা ব্যবহার করবেন, অবশ্যই শৃঙ্খলা মেনে চলবেন।’
ফুটপাতে মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যাপারে এ সময় কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘যানজটের মধ্যে গাড়িচালকরা অনবরত হর্ন বাজাতে থাকেন। কিন্তু যানজটের মধ্যে হর্ন বাজালে সমাধান কী? যারা বারবার হর্ন বাজাবে তাদের বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্র-বাচ্চার স্কুলের কাছে বাসা নেওয়ার পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের
১ মাস আগে
কর্মক্ষেত্র-বাচ্চার স্কুলের কাছে বাসা নেওয়ার পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের
বর্তমানে ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাত্রী, চালক, পথচারী থেকে শুরু করে কেউই নিয়ম মানে না।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। যারা চলাচল করে তারা নিয়ম মানে না। হকাররা ফুটপাত দখল করে বসে আছে। আবার ফুটপাতে মোটরসাইকেলও উঠাচ্ছেন চালকরা। এই অবস্থায় ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই জটিল হয়ে পড়েছে।
যোগদানের পরপরই তিনি এসব বিষয়ে নজর দিয়েছেন বলে জানান। একই সঙ্গে ট্রাফিকের এই অব্যবস্থাপনা দূর করতে হলে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মামলা নিতে না চাইলে ওসিদের এক মিনিটে বরখাস্ত করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
শেখ সাজ্জাত বলেন, ‘ঢাকায় প্রায় দুই কোটি মানুষ। এত ঘনবসতি দুয়েকটা দেশে থাকতে পারে। ৫ আগস্টের পরে যখন পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। সবার সহযোগিতায় আমরা সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠেছি।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'ঢাকায় আমাদের রাস্তা থাকা উচিত ২৫ ভাগ, আছে ৭ ভাগ। বিগত সরকারের আমলে অটোরিকশার অনুমোদন দেওয়া হয়। এগুলো চলতে থাকলে ঢাকা শহরে চলার মতো অবস্থা থাকবে না। আমাদের রাস্তার জায়গা অত্যন্ত সীমিত। তাই এটা বন্ধ করতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত দেড় লাখ অটোরিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।’
যানজট কমাতে কর্মস্থলের আশেপাশে বাসা নেওয়ার পরামর্শ দেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘আপনার বাচ্চার স্কুল ও কর্মক্ষেত্রের কাছে বাসা নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাহলে গাড়ি ব্যবহার অনেকটা কমে যাবে। সবার সহযোগিতা লাগবে। বাচ্চাসহ তিন-চারজন বা পুরো পরিবারকে একটা মোটরসাইকেলে চলতে দেখা যায়। যেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, এরকম দেখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ট্রাফিক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। শেখ সাজ্জাত বলেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ভোরের দিকে। আমি বলেছি এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি একটি অভিযোগ বাক্স রাখব। এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনা করে সবার পরামর্শ নেব।'
তিনি বলেন, 'আমি ট্রাফিকের প্রতি বেশি জোর দিচ্ছি কারণ, এটা সবচেয়ে ভোগান্তির জায়গা। উত্তরা থেকে মতিঝিল থেকে আসতে তিন ঘণ্টা লাগে। এই অবস্থা দেখলে বিদেশিরা কেন বিনিয়োগ করবে?’
সাজ্জাত আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে ডিএমপি পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে যে কাজগুলো করেছে, তার জন্য আমি ঢাকাবাসীর কাছে এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তাদের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে এবং শাস্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আমরা নতুন করে দেশবাসীর সেবার জন্য কাজ শুরু করেছি।'
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাজ্জাত আলী
২ মাস আগে
মামলা নিতে না চাইলে ওসিদের এক মিনিটে বরখাস্ত করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
কোনো ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা নিতে না চাইলে তাকে এক মিনিটের মধ্যে বরখাস্ত করা হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী।
সোমবার ডিএমপি সদর দপ্তরে অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন নবনিযুক্ত কমিশনার।
গত রবিবার এবং এর আগে একদিন কামরাঙ্গীরচর এলাকায় কয়েকজন এক রিকশাচালককে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ করেন ওই চালক। এরই পরিপেক্ষিতে ডিএমপি কমিশনার এ অভিযোগ করেন।
কমিশনার সাজ্জাদ আলী তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা মামলা করেননি কেন?’
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাজ্জাত আলী
আইনি আশ্রয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, 'বিষয়টি মামলা দায়েরের মতো হলে ওসিদের অবশ্যই তা নথিভুক্ত করতে হবে। এটি করতে ব্যর্থ হলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হবে।’
রিকশাচালকদের মতো অসহায় গোষ্ঠীকে টার্গেট করে চাঁদাবাজির বিষয়টি নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দেন কমিশনার।
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উপার্জন রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন সাজ্জাদ আলী।
চাঁদাবাজি বন্ধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে রিকশাচালক ও ওসিদের সম্পৃক্ত করে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন কমিশনার।
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী
২ মাস আগে
ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাজ্জাত আলী
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী দায়িত্ব গ্রহণ কছেছেন।
ময়নুল হাসানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ডিএমপি সদর দপ্তরে পৌঁছানোর পর তাকে অভ্যর্থনা জানান বিদায়ী কমিশনার। এ সময় তাকে সুসজ্জিত পুলিশ বাহিনী গার্ড অব অনার দেয়।
১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন সাজ্জাত আলী। তিনি ঝিনাইদহে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং পুলিশ সদর দপ্তর ও স্পেশাল ব্রাঞ্চে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি ডিএমপির উপকমিশনার এবং নড়াইল, বাগেরহাট ও লক্ষ্মীপুর জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পদোন্নতি পেয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং হাইওয়ে পুলিশ, ঢাকা, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ও পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি হিসেবে কাজ করেন।
২০১৬ সালে পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকাররের পুলিশ সংস্কার কমিশনের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
সাজ্জাত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এবং দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
দায়িত্ব গ্রহণ ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে বিদায়ী কমিশনার ময়নুল হাসানকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান ডিএমপির নবনিযুক্ত কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
২ মাস আগে
নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী
প্রশাসনে বড় রদবদল প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান বাহারুল আলম। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার হিসেবে শেখ সাজ্জাদ আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আজকে পুলিশে একটা বড় পরিবর্তন এসেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এসবির সাবেক প্রধান বাহারুল আলম। আর ডিএমপি কমিশনার হিসেবে শেখ সাজ্জাদ আলীকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু
ফরেন সার্ভিসেস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে কাউন্সিল অব অ্যাডভাইজরসের বৈঠকের ফলাফলের ওপর এই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা শুরু থেকেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পুলিশ প্রশাসনে পরিবর্তন এনেছে সরকার।’
২ মাস আগে
আত্মগোপনে থাকা পুলিশ সদস্যদের খুঁজে বের করতে জনসাধারণের সহায়তা চাইলেন ডিএমপি কমিশনার
জুলাই ও আগস্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে জড়িত থাকার পর আত্মগোপনে থাকা বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে খুঁজে বের করতে জনসাধারণকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান।
তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তা ৫ আগস্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছেন এবং এখনও কর্মে ফিরে আসেননি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তা হয়তো পালিয়ে গেছেন। 'আমাদের ধারণা কিছু কর্মকর্তা আত্মগোপনে আছেন।’
তিনি এই কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে জনসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ডে সাবের হোসেন চৌধুরী
হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করি, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন। যদিও আমরা তাদের খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবুও আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ডিএমপি কমিশনার হাসান ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত আইনি পদক্ষেপের বিষয়টিও তুলে ধরেন, যার ফলে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের করা মামলার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে আরও মামলা ঝুলে আছে।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন স্টেশনে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।’
পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসান স্বীকার করেন, সাময়িক কাজে বিঘ্ন ঘটেছে তবে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, পুলিশি পরিষেবা পুনরায় শুরু হয়েছে। তিনি জনসাধারণকে আশ্বাস দেন পুলিশ দৃঢ় সংকল্প নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করবে, বিশেষত দুর্গাপূজা উৎসবের আগে, পরিষেবায় কোনো বিঘ্ন ছাড়াই।
কমিশনারের মন্দির পরিদর্শনের সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক সংসদ সদস্য শিউলি আজাদ
৪ মাস আগে
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশকে আইনের মধ্যে থেকেই কঠোরভাবে কাজ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. ময়নুল হাসান বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবশ্যই আইনের সীমার মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসআই শিরুমিয়া মিলনায়তনে ডিএমপির কল্যাণ ও ফোর্স ডিভিশন আয়োজিত বিশেষ সভায় হাসান এসব প্রত্যাশা পূরণে নতুন করে প্রচেষ্টা চালানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
পুলিশি অভিযানে আইনি সম্মতির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন,‘পুলিশ বাহিনী রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং আমরা যে প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করি তা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এর বাইরে আমাদের কাজ করার কোনো অবকাশ নেই- আমাদের অবশ্যই আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
এ সময় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্ট উদ্বেগ ও দাবি তুলে ধরেন। হাসান তাদের আশ্বস্ত করেন যে, তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে এবং বাহিনীর অভ্যন্তরে বিশেষ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের অবস্থার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি পুলিশ লাইনের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বাহিনীর কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই উদ্বেগগুলো মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের কর্মীদের জন্য আরও ভালো কাজ এবং বসবাসের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মনোবল আরও বাড়াতে নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন ও পুলিশ মেসে মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কমিশনার। ব্যারাকে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট উপপুলিশ কমিশনার এবং ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স ডিভিশনের সদস্যরা ডিএমপি সদস্যদের কল্যাণের লক্ষ্যে আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: এফআইআরে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়, পুলিশ আগে তদন্ত করবে: ডিএমপি কমিশনার
৪ মাস আগে
দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো.ময়নুল হাসান।
ডিএমপি সদর দপ্তরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে।
আরও পড়ুন: এফআইআরে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়, পুলিশ আগে তদন্ত করবে: ডিএমপি কমিশনার
সাদা পোশাকের পুলিশ, সোয়াত, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি পূজা-উদযাপন পরিষদকে পূজামণ্ডপে তাদের সিসিটিভি স্থাপনের শাপাশি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বেচ্ছাসেবক টিম মোতায়েন করার আহ্বান জানান।
ডিএমপি কমিশনার জনগণকে যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি পরিষেবা ৯৯৯ এ কল করার জন্যও বলেছেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তার আহ্বান ডিএমপির
৪ মাস আগে