ডিএমপি কমিশনার
শহীদ দিবসে সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।
সোমবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় রাখা হবে। এছাড়া বোমা নিষ্ক্রিয়করণ, সোয়াট, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল ও অন্যান্য টিম প্রস্তুত থাকবে।
শহীদ মিনার এলাকায় ড্রোন ও ভ্রাম্যমান দলের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ ও সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে অপরাধ-অন্যায় নির্মূল সম্ভব: ডিএমপি কমিশনার
মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, সেখানে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে এবং সেখানে ক্যামেরার মাধ্যমে সব ধরনের নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা ইউনিট কাজ করছে।
আইনশৃঙ্খলার অবনতির মতো যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সজাগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত থাকবে এবং নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে যানবাহন প্রবেশ ও বের হতে পারবে।
আরও পড়ুন: তদন্তে জানা যাবে কারওয়ান বাজার বস্তির অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি না: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকার অর্ধেক ভোটকেন্দ্র 'ঝুঁকিপূর্ণ': ডিএমপি কমিশনার
রাজধানীর যেসব ভোটকেন্দ্র রয়েছে তার অর্ধেকই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২ হাজার ১৪৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অর্ধেক কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে ডিএমপি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনের বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বলেন, ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য এবং কেন্দ্রের বাইরে টহল দল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনের বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
যারা হরতাল-অবরোধ দিয়েছে তারাই তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ট্রেনে নাশকতায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের ধরতে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা ডিএমপি কমিশনারের
এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে একটি রাজনৈতিক দল হরতাল-অবরোধের নামে জানমাল ধ্বংস করছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করে, মঙ্গলবার তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও তারই একটি অংশ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাই, যারা হরতাল ও অবরোধের ডাক দিয়েছে, তারাই ট্রেনে অগ্নিসংযোগের পেছনে রয়েছে। এর আগে যারা এ ধরনের অপরাধ করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা এ ধরনের বিবৃতি দিয়েছে।’
গাজীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুর্বৃত্তরা রেললাইন কেটে দেওয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। “আমি বলব, ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরনের নাশকতার কারণে সৃষ্ট প্রতিটি মৃত্যুকে আমি ‘হত্যা’ বলতে চাই।”
আরও পড়ুন: বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি
পুলিশ বিশ্বাস করে, এই ঘটনার পেছনে যারা রয়েছে তারা হরতাল ও অবরোধের অংশ এবং অবশ্যই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত জড়িত।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দলের অনুসারীরা তাদের লোকজনের মাধ্যমে এ হামলা চালাচ্ছে।
ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার পর, আমরা জানতে পেরেছি যে অপরাধীরা ট্রেনযাত্রীর ছদ্মবেশে এই হামলা চালিয়েছে।
ভুক্তভোগীর মতে, প্রথমে একটি সিটে আগুন দেওয়া হয়েছিল, যা শিগগিরই ছড়িয়ে পড়ে এবং যাত্রীরা দৌড়াতে শুরু করে। কেউ জানালা দিয়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ছিলেন, কেউ দরজা দিয়ে।
হাবিবুর বলেন, ভোরে অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন, সেই সময় হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
অনেক নেতা কারাগারে থাকায় হামলাকারীরা বিদেশে থাকা কোনো নেতার আদেশ পালন করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা হরতাল ডাকছে, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা করছে, তারা তাদের বিদেশে বাস করা নেতার নির্দেশে স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে করছে। এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, এ ধরনের ঘটনা এড়াতে প্রতিটি ট্রেনের বগিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি
সারা দেশের সব আদালত ও ট্রাইব্যুনাল এবং বিচারকদের গাড়ি ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ চিঠি পাঠান।
আরও পড়ুন: বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোতে সারা দেশের বিচারকরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা ও জেলা জজ আদালত এবং খুলনায় বোমা হামলা হয়েছে। ইতোপূর্বে কুমিল্লা আদালতে বিচারকের খাস কামরায় বিচারপ্রার্থীকে হত্যার ঘটনা ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোতে সারাদেশের বিচারকেরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দেশের বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বহনকারী গাড়ি ও বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অতি জরুরি।
সারা দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ এবং বিচারকদের বহনকারী গাড়ি ও বাসভবনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এ অবস্থায় সারাদেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বহনকারী গাড়ি এবং বাসভবনে সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারা ও পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েনসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদাকে দোষী সাব্যস্ত করা নিম্ন আদালতের বিচারককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি
বগুড়ায় বিচারকের সই জাল করে আসামিদের অব্যাহতি, সাবেক পেশকারসহ গ্রেপ্তার ৫
বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে এবং তারা চাইলেই কার্যালয়ে নিজেদের কার্যক্রম চালাতে পারে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সম্প্রতি বিভিন্ন নাশকতার ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সারা বছর পুলিশ পাহারা দেয়। নিয়মিত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে সেখানে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তারা চাইলে অফিসে বসে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের ধরতে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা ডিএমপি কমিশনারের
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, পার্ক করা গাড়িগুলো পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এ সকল হামলা বন্ধে পুলিশ কাজ করছে। মাঠ পর্যায়ে আমরা বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি। ফলে, আমরা জনসাধারণের সহায়তায় অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
এসব সহিংস কর্মকাণ্ড বন্ধে জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় কমিশনার ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, এই নৃশংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সব প্রক্রিয়া চলছে।
নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সবাই যেখানেই থাকুক না কেন ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
মেট্রোরেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
যাত্রীবান্ধব নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও প্রযুক্তিভিত্তিক পুলিশিং ব্যবস্থা গ্রহণ করে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালন শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ৯ অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্ট্রাল ও উত্তরা দক্ষিণ মেট্রোরেল স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন শুরু করেছে এমআরটি পুলিশ। এ পর্যন্ত আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনসহ ছয়টি স্টেশনের প্রতিটিতে একজন করে পুলিশ পরিদর্শকের নেতৃত্বে তিন শিফটে মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে ১১ জনের একটি টিম।
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরা উত্তর স্টেশনে এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, সব মেট্রোরেল স্টেশনে এমআরটি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ট্রায়াল অ্যাসাইনমেন্ট থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার আলোকে সুরক্ষা পরিকল্পনাটি সংশোধন, যোগ ও বিয়োগ করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এমআরটি পুলিশ নিরাপত্তা, গতি ও উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে মেট্রোরেলের অভ্যন্তরে ও স্টেশনে দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: ফের পেছাল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেলের উদ্বোধন
এমআরটি পুলিশকে দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর এমআরটি পুলিশ পুরোপুরি দায়বদ্ধ থাকবে।
ডিএমপির এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি স্বাধীন ও বিশেষায়িত এমআরটি পুলিশ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের মহাপরিদর্শকের অধীনে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে ২৩১টি পদ সৃষ্টি করা হয়। পরে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ ও যাত্রীবান্ধব নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়নে আইজিপির নির্দেশে অতিরিক্ত জনবলসহ মোট ৫৩৭ জন কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী এমআরটি পুলিশ প্রধান ডিআইজি জিহাদুল কবিরের নেতৃত্বে এই ইউনিটের সদস্যরা বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
এমআরটি পুলিশ এসবি, এটিইউ, ডিএমপির ক্রাইম ইউনিট, ট্রাফিক ইউনিট, সিটিটিসিসহ পুলিশের অন্যান্য বিশেষায়িত ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার
জনগণ যেন গুজবে বিভ্রান্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান গুজব প্রতিরোধে ডিএমপির সকল সদস্যকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি তাদের (পুলিশ সদস্যদের) জনগণের সামনে সত্য উন্মোচন করে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের আহ্বান জানান।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ডিএমপি সদর দপ্তরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, যারা সমাজকে বিঘ্নিত করবে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অবসরে যাচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক
তিনি আরও বলেন, পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও ত্যাগের মাধ্যমে ডিএমপি আজ যে অবস্থানে পৌঁছেছে, আগামী দিনগুলোতেও যেকোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিএমপি প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশকে দিনরাত কাজ করতে হয় এবং যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় যেতে হয়। এজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য। আমাদের কাজে শৃঙ্খলা আনতে হবে। আমাদের সঠিক নিয়ম অনুযায়ী পোশাক পরতে হবে।
যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যানজট নগরবাসীর সবচেয়ে বড় সমস্যা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা অনেকেই এর জন্য দায়ী। তাই যানজট নিরসনে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার পুলিশ কর্মকর্তাদের মামলার তদন্ত ও মনিটরিংয়ে আরও আন্তরিক হওয়ার নির্দেশ দেন, যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করা যায়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কোনো কারণে যেন কোনো অপরাধী বেকসুর খালাস না পায়, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা রক্ষায় ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মাঝে আর্থিক পুরস্কার বিতরণ করেন।
এ সময় ডিএমপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাজার নিয়ন্ত্রণকারী দলে সম্পৃক্ত হবে ডিএমপি: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব নিলেন হাবিবুর রহমান
অবসরে যাচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক
চাকরিতে পূর্ণ মেয়াদের দায়িত্ব পালন শেষে বাংলাদেশ পুলিশ থেকে অবসরে যাচ্ছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাহবুবুর রহমান শেখর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৫৭ নং আইনের ৪৩ (১) (ক) ধারা অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএমপির নতুন কমিশনার হাবিবুর রহমান
নিয়মানুযায়ী তিনি অবসর ও অবসর পরবর্তী ছুটির সুবিধা পাবেন।
এর আগে বুধবার, বাংলাদেশ সরকার অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এআইজিপি) হাবিবুর রহমানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের কতজন পুলিশ আমেরিকা যেতে চায়?’ ডিএমপি উপকমিশনারের প্রশ্ন
রাজধানীর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, বর্তমানে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ স্থিতিশীল এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কারণ ডিএমপি একটি টিম হিসেবে কাজ করছে। 'টিম ডিএমপি' ভবিষ্যতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
সোমবার ডিএমপি সদর দপ্তরে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এ মন্তব্য করেন।
ডিএমপি প্রধান আরও বলেন, দেশের প্রচলিত আইন মেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ডিএমপির শীর্ষ কর্মকর্তা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়ন, চুরি ও ডাকাতির মামলার তদন্তের পাশাপাশি চোরাই গাড়ি ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আরও গুরুত্ব দিতে বলেন।
জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট হতেও বলেন তিনি।
বিট পুলিশিংয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিট পুলিশিং কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে জনগণ ও পুলিশের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমবে এবং এ জন্য জনগণ তাদের সমস্যার কথা পুলিশকে জানাতে পারবে। বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণও অনেক সহজ হবে বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেন।
আরও পড়ুন: সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে আশপাশে জমায়েত ও অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, জন্মাষ্টমী পালনে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য ডিএমপি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে এবং সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার ডিএমপি সদর দপ্তরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জন্মাষ্টমী হচ্ছে বার্ষিক হিন্দু উৎসব, যেদিন কৃষ্ণের জন্ম উদযাপন করা হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা বের করা হবে।
সভায় ডিএমপির শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনের বছর হওয়ায় বিরোধী দলগুলো এখন আন্দোলনের দিকে মনোনিবেশ করছে। তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ও বিএনপির কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি ডিএমপি
তিনি এই উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি থাকলে পুলিশকে জানানোর জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, উৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ যেন সাইবার দুনিয়ায় অপপ্রচার চালাতে না পারে সেজন্য তাদের সাইবার পুলিশ টিম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
কমিশনার দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় তাদের নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলাদাভাবে প্রেজেন্টেশন দেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার।
সভায় প্রতিটি মন্দিরে উচ্চমানের সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, নির্দিষ্ট সময়ে শোভাযাত্রা শুরু ও শেষ করা, নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ডধারী পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখা, শোভাযাত্রার মধ্যে কোনো ব্যবধান না রাখা, শোভাযাত্রায় ব্যাগ না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। আজান ও নামাজের সময় গান বাজানো বন্ধ করার পরামর্শও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হবে না: ডিএমপি প্রধান
হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার