ডিএমপি কমিশনার
যেখান-সেখান দিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে না: ডিএমপি কমিশনার
পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন সবোর্চ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। নিরাপত্তার স্বার্থে এ বছর যেখান-সেখান থেকে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশনা দেন তিনি।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনের শেষে শেখ মো. সাজ্জাত আলী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নববর্ষের শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, বাংলা একাডেমি ও টিএসসি হয়ে পুনরায় চারুকলায় গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রার পুরো রুট নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। পাশ থেকে বিকল্প পথে শোভাযাত্রায় প্রবেশ করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ’ শব্দ না ব্যবহারে পরামর্শ: ডিএমপি কমিশনারের দুঃখপ্রকাশ
সাজ্জাত আলী জানান, শোভাযাত্রায় যোগদান করতে হলে শাহবাগ মোড় থেকে যোগ দিতে হবে। আর ছায়ানটের অনুষ্ঠান শেষে যারা শোভাযাত্রায় অংশ নিতে চান— তারা শাহবাগ হয়ে কাঁটাবন মোড় দিয়ে নীলক্ষেত মোড় হয়ে ঢাবি ভিসির বাংলোর সামনে থেকে অংশ নেবেন।
ডিএমপি কমিশনার জানান, বৈশাখে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ১৮ হাজার পুলিশ সদস্যসহ র্যাব, সেনাবাহিনী ও এন্টি-টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন।
বাংলা বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরকে ২১টি সেক্টরে ভাগ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাস্থলগুলো ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ মোট ২১টি স্থানে ব্যারিকেড থাকবে।
‘প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশমুখে আর্চওয়ে ও হ্যান্ড মেটাল দিয়ে তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠান স্থলে যাওয়া ও শোভাযাত্রার রোড সমূহ সিসি ক্যামেরাসহ স্থির ও ভিডিও ক্যামেরা দ্বারা ও ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। অনুষ্ঠানের চারপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফুট পেট্রোল থাকবে। সিটিটিসি, সোয়াত ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে,’ বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ইভটিজিং ও ছিনতাই প্রতিরোধে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ দল মোতায়েন থাকবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। ‘এ ছাড়াও রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার’ স্থাপন থাকবে। সেখানে মাইকিং ব্যবস্থা থাকবে।’
গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে নববর্ষকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালানো অপপ্রচার বন্ধ করতে নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানান মো. সাজ্জাত আলী।
এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি কাজে সহায়তা করতে এবং অনুষ্ঠানস্থলে কোন ধরনের ব্যাগ, ধারালো বস্তু ও দাহ্য পদার্থ না নিয়ে আসতে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার জানান, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে এবং অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করতে হবে। কোনো ধরনের আতশবাজি, ফানুস উড়ানো যাবে না। শব্দ দূষণ হয়— এ ধরনের কোনো বাঁশি ব্যবহার করা যাবে না। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক পণ্য বাজারজাত করা যাবে না। বিশেষ করে শোভাযাত্রায় ও অন্যান্য অনুষ্ঠানস্থলে।
আরও পড়ুন: শোভাযাত্রার আগেই মোটিফে আগুন দেওয়া দুষ্কৃতকারীরা গ্রেফতার হবে: ডিএমপি কমিশনার
ছায়ানটের অনুষ্ঠানে আসতে ইচ্ছুক নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা নারী ও শিশু সঙ্গে নিয়ে আসবেন তারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ভীড় এড়িয়ে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করবেন। মহিলা ও শিশুদের জন্য নির্ধারিত গেট ব্যবহার করে বের হয়ে চলে যাবেন।’
তিনি জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনটি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। সে সময় বের হওয়ার জন্যও তিনটি গেট ব্যবহার করা যাবে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত উদ্যানে প্রবেশ করা যাবে। বিকেল ৫টার পর প্রবেশ পথগুলোও বের হওয়ার পথ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। শোভাযাত্রা সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম পাশে চারুকলার বিপরীতে যে গেট আছে সেটি বন্ধ থাকবে। ওই সময় কেউ ওই গেট দিয়ে রাস্তায়ও যেতে পারবেন না।
৪ দিন আগে
শোভাযাত্রার আগেই মোটিফে আগুন দেওয়া দুষ্কৃতকারীরা গ্রেফতার হবে: ডিএমপি কমিশনার
ফ্যাসিস্টের মুখবয়বে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের আগামীকাল শোভাযাত্রার আগেই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর রমনা পার্কে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আপনারা জানেন, গতরাতে আগের রাতে একটা ওড সময় ভোর পাঁচটার দিকে একটি মোটিফ, যেটা তৈরি করা হয়েছিল শোভাযাত্রায় ব্যবহার করার জন্য, সেটিতে একদল দুস্কৃতকারী আগুন দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বর্ষবরণ উপলক্ষে ঢাবি চারুকলার তৈরি ফ্যাসিস্ট মুখাবয়বে আগুন
‘এটি নিয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে ও সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মামলাটি উদ্ঘাটনের জন্য। তদন্তকালীন কোনো মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলি না। তবে এতটুকু বলছি, আমরা অত্যন্ত ক্লোজ, খুব নিকটে পৌঁছে গেছি মামলাটি ডিটেকশনের ক্ষেত্রে,’ যোগ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, শোভাযাত্রার আগে আগামীকাল সকাল ৯টার আগেই মামলটির ডিটেকশনের ক্ষেত্রে আমরা একটি সন্তোষজনক পর্যায়ে চলে যাব। সম্ভব হলে এই সময়ের মধ্যে দুস্কৃতকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।’
শনিবার ভোরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আগুন লেগে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার’জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ পুড়ে যায়।
এ ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মনে করছে পুলিশ। এর পেছনে ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দোসরদের’ হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব পোড়ানোয় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: ফারুকী
সিসিটিভি ভিডিওতে একজনকে চিহ্নিত করা গেলেও এখনো তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি ও শাহবাগ থানায় মামলা করেছে। মামলায় নির্দিষ্ট কারও নাম না দিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
৪ দিন আগে
‘ধর্ষণ’ শব্দ না ব্যবহারে পরামর্শ: ডিএমপি কমিশনারের দুঃখপ্রকাশ
‘ধর্ষণকে’ নারী নির্যাতন কিংবা নিপীড়ন বলার পরামর্শ দেওয়ার পর এবার দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
সোমবার (১৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রসঙ্গে আলোচনাকালে ধর্ষণকে বৃহত্তর পরিসরে নির্যাতন হিসেবে অভিহিত করেছি। আমার বক্তব্যে কেউ মনঃক্ষুণ্ণ হলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
শনিবার এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি দুটি শব্দ খুব অপছন্দ করি, এর মধ্যে একটি হলো ধর্ষণ। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা নারী নির্যাতন বা নিপীড়ন বলবেন। আমাদের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতন বলা হয়েছে। যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।’
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
তবে তিনি এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তার ভাষ্য, ডিএমপি কমিশনার ধর্ষককে সুরুক্ষার উপায় বের করার অপচষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন, যা অগ্রহণযোগ্য। তার (ডিএমপি কমিশনার) এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা উচিত, প্রত্যাহার করা উচিত।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যে প্রতিষ্ঠানের ওপর সবচেয়ে বেশি নিশ্চিত করা বা নারীর অধিকার হরণের প্রতিরোধ করার দায়িত্ব, সেই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তথা পুলিশ, পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যখন বলেন ধর্ষণ শব্দটা ব্যবহার না করার জন্য; গণমাধ্যম আপনাদেরকে যখন অনুরোধ করে, তখন আমাদের অবাক হতে হয়। তাদের এই অবস্থানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে হয়।
৩১ দিন আগে
একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি রাত আটটা থেকে শহীদ মিনার চারপাশে এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের ভিতরে গোয়েন্দা পুলিশসহ ইউনিফর্ম পুলিশের মোবাইল টিম তৎপরতা শুরু করবে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকে সম্পৃক্ত করা দরকার: ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনার চত্বর এলাকায় সকাল থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বিকেল ৫টায় এবং এরপর রাত ৯ টায় গোয়েন্দা পুলিশসহ অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে। তারা শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত এই এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দিবসটিকে ঘিরে প্রথম প্রহর থেকেই ভিআইপিসহ জনসমাগম হবে। এজন্য ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব আপনারা ১২টা ৪০ মিনিটের পর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আসবেন। এ সময় মোবাইল ও মানিব্যাগসহ প্রয়োজনীয় জিনিস নিজ দায়িত্বে রাখবেন। এছাড়া কোনো ধরনের ধার্য পদার্থ ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করা থেকে বিরত থাকবেন। সবাইকে শহীদ মিনারে প্রবেশের আগে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে।’
নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শহীদ দিবস ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। এ সময় তিনি জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কার বিষয়ক নাকচ করে দেন। এছাড়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে রয়েছে তাদের নিয়েও কোনো থ্রেট দেখছে না ডিএমপি।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলায় গুরুত্ব দিতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ
সাজ্জাদ আলী বলেন, এখানে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কোনো ইন্টারেস্ট থাকার কথা না এবং তাদের অপারেশন এলাকাও না। তারপরও যারা জামিনে আছে তাদেরকে মনিটরিং করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শহীদ মিনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপির পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
৫৬ দিন আগে
সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকে সম্পৃক্ত করা দরকার: ডিএমপি কমিশনার
সড়ক দুর্ঘটনার তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকে সম্পৃক্ত কিংবা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, ‘কোনো ক্র্যাশ ঘটলে তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তদন্ত করতে পুলিশের দক্ষতা বাড়াতে হবে। ট্রাফিক বিভাগ সড়কের দায়িত্বে থাকে কিন্তু ক্র্যাশের ঘটনা তদন্ত করে ক্রাইম বিভাগ। এ ধরনের ঘটনা তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকেও সম্পৃক্ত করা বা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দক্ষতা বাড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি) এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। দুদিনের এ প্রশিক্ষণে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কলাকৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এতে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় কর্মরত ঢাকার পুলিশ কর্মকর্তারা রোড পুলিশিং বিষয়ে বৈশ্বিক ধারণা লাভ করেন।
আরও পড়ুন: ছিনতাই ঠেকাতে ট্রাফিক সার্জেন্টদের অস্ত্র দেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা ও রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে সবার ট্রাফিক নিয়মকানুন মেনে চলা প্রয়োজন। কিন্তু, সড়ক ব্যবহারকারীদের অনেকেই ট্রাফিক নিয়ম মানেন না, বিশেষ করে নির্ধারিত গতিসীমা না মানা এবং হঠাৎ লেন পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।’
‘ঢাকা শহরে অধিকাংশ রোড ক্র্যাশ মধ্যরাত থেকে সকালের মাঝে ঘটে, যখন সড়ক তুলনামূলক ফাঁকা থাকে,’ বলেন তিনি। রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধ করতে তিনি পুলিশ সদস্যদের কঠোরভাবে সড়কে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণসহ বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটির (বিআইজিআরএস) ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সারওয়ার, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, জিআরএপির এশিয়া-প্যাসিফিক ম্যানেজার ব্র্যাট হারম্যান ও সিনিয়র রোড পুলিশিং এডভাইজর অ্যাল স্টুয়ার্ট, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
দুদিনের কর্মশালার প্রথম দিনে ‘রোড পুলিশিং লিডারশিপ’ ও দ্বিতীয় দিনে ‘রোড ক্র্যাশের অন্যতম ঝুঁকি গতি’ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। কর্মশালায় ৬০ জন পুলিশ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
এতে রোড ক্র্যাশের বিভিন্ন ঝুঁকি—যেমন বেপরোয়া গতি, মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি চালানোর প্রভাব এবং এসব পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের করণীয় বিষয়েও ধারণা পান তারা। পাশাপাশি সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণীয় পদ্ধতিগুলো তাদের সামনে তুলে ধরা হয়।
জিআরএসপির এশিয়া-প্যাসিফিক ম্যানেজার ব্র্যাট হারম্যান ও সিনিয়র রোড পুলিশিং এডভাইজর অ্যাল স্টুয়ার্ট কর্মশালাটি পরিচালনা করেন। এই প্রশিক্ষণে তারা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ‘সেফ সিস্টেম’ পদ্ধতি অনুসরণ করে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেন এবং কার্যকরভাবে সড়ক আইন বাস্তবায়নে পুলিশের করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলায় গুরুত্ব দিতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ
পাশাপাশি তারা রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের ভূমিকা, ক্র্যাশের ক্ষেত্রে যানবাহনের উচ্চ গতির ঝুঁকি, গতি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব, গতি নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ও কৌশল এবং রাস্তার পাশের তল্লাশিচৌকিগুলোর নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ওপর আলোচনা করা হয়।
৫৯ দিন আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলায় গুরুত্ব দিতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জানুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে হবে। মামলা তদন্তে অগ্রগতির পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে হবে। মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে আরও তৎপর হতে হবে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমী থেকে এসপি তানভীর আটক
তিনি বলেন, “বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান শুরু হয়েছে। গত ১৫ বছরে যারা গুম, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারে ডিএমপির থানা ও ফাঁড়িগুলোকে আরও বেশি তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় পুলিশকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে পরামর্শ দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকা শহরের যানজট নিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘একটি রাস্তা বন্ধ হলে অন্য রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন রাস্তা বন্ধ করে সরকারের কাছে তাদের দাবি জানাচ্ছে। রাস্তা বন্ধ করে দাবি আদায়ের এ চর্চা বন্ধ করতে হবে।’
ওভার স্পিড নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে ট্রাফিক বিভাগকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন জানুয়ারি মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা-সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিএমপির সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৬৪ দিন আগে
সেবার মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের আস্থা ফেরাতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের অবশ্যই জনগণের ট্রমা কাটিয়ে উঠতে সেবা দিতে হবে। কারণ এটিই কলঙ্কিত বাহিনীর ভাবমূর্তি ফেরানোর একমাত্র উপায়।
শনিবার(২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের ঘটনার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে সামাজিকভাবে কলঙ্কিত করেছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজেদের পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতে আমরা এখনো লজ্জা পাই।’
তিনি বলেন, ‘এই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশের মানুষের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। একমাত্র সেবার মাধ্যমেই আমরা আমাদের হারানো গৌরব ও ভাবমূর্তি ফিরে পেতে পারি, ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
তিনি পুলিশের দাবির পক্ষে সুপারিশ করার জন্য প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য কর্মরত কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, 'ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা সমিতির মাধ্যমে সম্মিলিত প্রতিনিধিত্বের মতো প্রভাব নাও ফেলতে পারে।’
তিনি পদমর্যাদা নির্বিশেষে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং অ্যাসোসিয়েশনকে আর্থিক সহায়তাসহ তার নিজের সহায়তারও আশ্বাস দেন।
১১০ দিন আগে
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, এ কারণে ঢাকা শহরে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দুই-তিন দিনের মধ্যেই তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র ও রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দুই-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হবে। চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
ঢাকায় ছিনতাই বেড়েছে উল্লেখ করে রাস্তা-ঘাটে বের হলে সবাইকে সচেতন হয়ে চলাচলের আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
ফুটপাতে হরারকদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হকারদের একবারে উচ্ছেদ করে দেওয়া অমানবিক। তবে হকাররা যেন সংযত অবস্থায় রাস্তায় থাকে এজন্য তাদের প্রতি অনুরোধ। তবে হকারদের কাছ থেকে কাউকে চাঁদা দেওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: দুই দিনের অভিযানে ১৭৯৯ মামলা দিল ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘মোটরসাইকেল ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। এক মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন চলাচল করা আরও ঝুকিপূর্ণ। ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসব। যারা রাস্তা ব্যবহার করবেন, অবশ্যই শৃঙ্খলা মেনে চলবেন।’
ফুটপাতে মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যাপারে এ সময় কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘যানজটের মধ্যে গাড়িচালকরা অনবরত হর্ন বাজাতে থাকেন। কিন্তু যানজটের মধ্যে হর্ন বাজালে সমাধান কী? যারা বারবার হর্ন বাজাবে তাদের বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্র-বাচ্চার স্কুলের কাছে বাসা নেওয়ার পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের
১১৭ দিন আগে
কর্মক্ষেত্র-বাচ্চার স্কুলের কাছে বাসা নেওয়ার পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের
বর্তমানে ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাত্রী, চালক, পথচারী থেকে শুরু করে কেউই নিয়ম মানে না।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। যারা চলাচল করে তারা নিয়ম মানে না। হকাররা ফুটপাত দখল করে বসে আছে। আবার ফুটপাতে মোটরসাইকেলও উঠাচ্ছেন চালকরা। এই অবস্থায় ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই জটিল হয়ে পড়েছে।
যোগদানের পরপরই তিনি এসব বিষয়ে নজর দিয়েছেন বলে জানান। একই সঙ্গে ট্রাফিকের এই অব্যবস্থাপনা দূর করতে হলে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মামলা নিতে না চাইলে ওসিদের এক মিনিটে বরখাস্ত করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
শেখ সাজ্জাত বলেন, ‘ঢাকায় প্রায় দুই কোটি মানুষ। এত ঘনবসতি দুয়েকটা দেশে থাকতে পারে। ৫ আগস্টের পরে যখন পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। সবার সহযোগিতায় আমরা সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠেছি।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'ঢাকায় আমাদের রাস্তা থাকা উচিত ২৫ ভাগ, আছে ৭ ভাগ। বিগত সরকারের আমলে অটোরিকশার অনুমোদন দেওয়া হয়। এগুলো চলতে থাকলে ঢাকা শহরে চলার মতো অবস্থা থাকবে না। আমাদের রাস্তার জায়গা অত্যন্ত সীমিত। তাই এটা বন্ধ করতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত দেড় লাখ অটোরিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।’
যানজট কমাতে কর্মস্থলের আশেপাশে বাসা নেওয়ার পরামর্শ দেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘আপনার বাচ্চার স্কুল ও কর্মক্ষেত্রের কাছে বাসা নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাহলে গাড়ি ব্যবহার অনেকটা কমে যাবে। সবার সহযোগিতা লাগবে। বাচ্চাসহ তিন-চারজন বা পুরো পরিবারকে একটা মোটরসাইকেলে চলতে দেখা যায়। যেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, এরকম দেখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ট্রাফিক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। শেখ সাজ্জাত বলেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ভোরের দিকে। আমি বলেছি এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি একটি অভিযোগ বাক্স রাখব। এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনা করে সবার পরামর্শ নেব।'
তিনি বলেন, 'আমি ট্রাফিকের প্রতি বেশি জোর দিচ্ছি কারণ, এটা সবচেয়ে ভোগান্তির জায়গা। উত্তরা থেকে মতিঝিল থেকে আসতে তিন ঘণ্টা লাগে। এই অবস্থা দেখলে বিদেশিরা কেন বিনিয়োগ করবে?’
সাজ্জাত আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে ডিএমপি পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে যে কাজগুলো করেছে, তার জন্য আমি ঢাকাবাসীর কাছে এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তাদের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে এবং শাস্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আমরা নতুন করে দেশবাসীর সেবার জন্য কাজ শুরু করেছি।'
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাজ্জাত আলী
১২৯ দিন আগে
মামলা নিতে না চাইলে ওসিদের এক মিনিটে বরখাস্ত করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
কোনো ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা নিতে না চাইলে তাকে এক মিনিটের মধ্যে বরখাস্ত করা হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী।
সোমবার ডিএমপি সদর দপ্তরে অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন নবনিযুক্ত কমিশনার।
গত রবিবার এবং এর আগে একদিন কামরাঙ্গীরচর এলাকায় কয়েকজন এক রিকশাচালককে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ করেন ওই চালক। এরই পরিপেক্ষিতে ডিএমপি কমিশনার এ অভিযোগ করেন।
কমিশনার সাজ্জাদ আলী তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা মামলা করেননি কেন?’
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাজ্জাত আলী
আইনি আশ্রয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, 'বিষয়টি মামলা দায়েরের মতো হলে ওসিদের অবশ্যই তা নথিভুক্ত করতে হবে। এটি করতে ব্যর্থ হলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হবে।’
রিকশাচালকদের মতো অসহায় গোষ্ঠীকে টার্গেট করে চাঁদাবাজির বিষয়টি নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দেন কমিশনার।
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উপার্জন রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন সাজ্জাদ আলী।
চাঁদাবাজি বন্ধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে রিকশাচালক ও ওসিদের সম্পৃক্ত করে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন কমিশনার।
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী
১৪৩ দিন আগে