সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী
সৌদি আরবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশিদের নিয়োগের আহ্বান
সৌদি সরকার আগামী ১০ বছরে কার্বন নিঃসরণকে ৫০ শতাংশ কমানোর জন্য ১০ বিলিয়ন গাছ লাগানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে কর্মসূচিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগের অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
সৌদি মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ আবু থুনিয়ানের সাথে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ করেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী সৌদি সরকারের সাম্প্রতিক দশ বছরে কার্বন নিঃসরণকে ৫০ শতাংশ কমানোর জন্য ১০ বিলিয়ন গাছ লাগানোর সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্র এবং বৃক্ষরোপণে দক্ষতা রয়েছে। এক্ষেত্রে সৌদি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদি হজ্জ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠক
জবাবে উপমন্ত্রী এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তিনি এ অনুরোধটি প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট কৃষিমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন।
রাষ্ট্রদূত সৌদি আরব ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমানভাবে অবদান রেখে চলেছে এমন প্রায় ২৩ লাখ বাংলাদেশি কর্মীর সৌদি আরবে বসবাস ও তাদের চাকরির জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শ্রম সংস্কার উদ্যোগ চালু করার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান যা সৌদি আরবে বসবাসরত সকল অভিবাসী কর্মীদের উপকৃত করছে।
রাষ্ট্রদূত জানান, বিপুল সংখ্যক নারী গৃহকর্মী এই উদ্যোগের বাইরে রয়েছেন এবং গৃহকর্মীদের সৌদি শ্রম সংস্কার উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তিনি উপমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
উপমন্ত্রী ড. আবদুল্লাহ আবু থুনিয়ান জানান, সৌদি আরবের জন্য বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
তিনি বলেন, সৌদি শ্রম সংস্কার উদ্যোগের বাস্তবায়ন মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সরকার গৃহকর্মীদের এই উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে যদিও বর্তমানে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ে আরও একটি প্রক্রিয়া রয়েছে।
আরও পড়ুন: অটিজম সচেতনতায় সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস নীল আলোয় সজ্জিত
বৈঠকে রাষ্ট্রদূতের এক অনুরোধের প্রেক্ষিতে সৌদি উপমন্ত্রী জানান, তারা অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য চলমান বিশেষ এক্সিট কর্মসূচিটি ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এতে, ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ কর্মীদের চূড়ান্ত এক্সিট ভিসা ইস্যু করার প্রক্রিয়াটি আরও কম সময়ে সম্পন্ন হবে। বৈঠকে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
রাষ্ট্রদূত অভিবাসীদের বিনামূল্যে করোনার চিকিৎসা এবং টিকা সরবরাহের জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান যা অনেক বাংলাদেশি শ্রমিকের জীবন বাঁচিয়ে চলেছে। বৈঠকে দুপক্ষ শ্রম সম্পর্কিত যে কোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য একত্রে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন:কাতারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল সৌদি আরব
ভার্চুয়াল বৈঠকে সৌদি মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আব্দুল মাজিদ আল রাশুদী, বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান এস এম আনিসুল হক, বাংলাদশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দার কনসাল জেনারল মো. নাজমুল হক, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং কাউন্সেলর মো. হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে