ড্রোন উদ্ধার
হিলি সীমান্তে ধানখেত থেকে ড্রোন উদ্ধার
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া সীমান্তে ধানখেত থেকে একটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে। ড্রোনটি পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে সীমান্তবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
উপজেলার ঘাসুড়িয়া আদিবাসীপাড়ার প্রফুল্ল টপ্প বলেন, ‘বুধবার (১৪ মে) দুপুরের দিকে সীমান্তবর্তী একটি ধানখেতে ধান কাটার কাজ করছিলেন। এ সময় খেতের মাঝখানে একটি কালো রঙের মাকড়সার মতো বস্তু পড়ে থাকতে দেখে সহকর্মীদের জানাই। পরে তারা কাছে এসে বলেন এটি ড্রোন। তারা ড্রোনটি তার বাড়িতে রাখার কথা বলেন। কাজ শেষ করে ড্রোনটি বাড়িতে নিয়ে যান তিনি।’
উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন বলেন, ‘সীমান্তের ২৮৭/২১ নম্বর সাব সীমানা পিলার সংলগ্ন ঘাসুড়িয়া গ্রামের মিরাজুল ইসলামের জমিতে এককদল শ্রমিক ধান কাটছিলেন। এক পর্যায়ে শ্রমিক প্রফুল্ল টপ্প ড্রোনটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানান।’
‘তারা প্রফুল্ল টপ্পকে তার কাছে ড্রোনটি রাখার কথা বলতে প্রফুল্ল ড্রোনটি বাড়িতে নিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা মংলা বিজিবি ক্যাম্পে ও থানায় খবর দিলে তারা ড্রোনটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।’
আরও পড়ুন: এবার ভারতের ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গতকাল বুধবার দুপুরে ঘাসুড়িয়া সীমান্তের ৪০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ধানখেতে স্থানীয় শ্রমিক প্রফুল্ল টপ্প পড়ে থাকা একটি ড্রোন ক্যামেরা দেখতে পান। বিষয়টি লোকজনকে জানালে তারা এসে ড্রোন ক্যামেরাটি উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। পরে ওইদিন রাত ১০টার দিকে পুলিশ ড্রোন ক্যামেরাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে সেটি থানা হেফাজতে রয়েছে।
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘ঘাসুড়িয়া সীমান্তের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার হওয়া ড্রোন ক্যামেরাটি ভারত থেকে উড়ে আসা বলে তিনি প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন। ড্রোনটিতে ৫টি ক্যামেরার লেন্স রয়েছে।’
তবে ড্রোনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এবং আরও তথ্য উৎঘাটনে অনুসন্ধান চলছে বলেও জানান তিনি।
২০৫ দিন আগে
কুয়াকাটায় ধান খেত থেকে ড্রোন উদ্ধার
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ধান খেত থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির একটি ড্রোন ক্যামেরা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লতাচাপলী ইউনিয়নের লক্ষ্মী গ্রামের ধান খেতে সোমবার বিকালে ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ড্রোনটি লক্ষ্মী গ্রামের ধান খেতে পরে থাকতে দেখতে পেয়ে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লাকে খবর দেয়। পরে তিনি সেটিকে উদ্ধার করে থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: ড্রোন উড্ডয়ন নিয়ে ‘ভুল’ তথ্য প্রচার: ব্যাখ্যা দিল মন্ত্রণালয়
এদিকে উদ্ধারকৃত ড্রোন ক্যামেরার মালিকানা দাবি করছে পায়রা বন্দরে কর্মরত বেলজিয়ামের নাগরিক মাইকেল। তারা ড্রোনটি গভীর সমুদ্রে জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের কাজের জন্য ব্যবহার করতেন।
তিনি জানান, ড্রোনটি পরীক্ষামূলকভাবে উড়ানোর সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
উদ্ধারকৃত ড্রোনের মালিকানা দাবির জন্য যথেষ্ট প্রমাণ তার কাছে রয়েছে বলে জানা গেছে। ড্রোনটির ওজন প্রায় দুই কেজি।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়াই খেলনা ড্রোন ওড়ানো যাবে: মন্ত্রিসভা
মহিপুর থানারভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ড্রোনটির ব্যাপারে আমরা খতিয়ে দেখছি এবং এর ভিতরে থাকা মেমোরি কার্ডের সকল কিছু খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশের সাইবার এক্সপার্টদের কাছে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি কি কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল সে ব্যাপারেও আমরা তদন্ত করব এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
১৬৯১ দিন আগে