বিরোধী
ভারতবিরোধী বক্তব্য: সরকারকে উৎখাতে আন্তর্জাতিক সমর্থন থাকার দাবি বিরোধীদের
বিএনপি নেতাসহ বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতা আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে 'সরকার পতনের' হুমকি দিয়ে ভারতবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর ও ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার ঘোষণার পর তারা এ ধরনের বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে এবি পার্টির নেতা ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ দিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে ভারতীয় ট্রেন যাওয়ার পরিণতি ভয়াবহ হবে।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ফুয়াদ বলেন, 'বাংলাদেশে রেললাইন উপড়ে ফেলা, বগিতে আগুন দেওয়ার রাজনীতি চলছে। দিল্লি এটা ভালো বোঝে। শুধু চুক্তি সই করলেই ট্রেন নিরাপদে পৌঁছানো নিশ্চিত হবে না।’
বাংলাদেশি রেললাইন ব্যবহার করে ভারতীয় ট্রেন চলাচল বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন নুরুল হক নুর। একই সঙ্গে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের পতনের জন্য গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন থাকবে।’
আরও পড়ুন: সরকার উৎখাতের চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য জনগণ প্রস্তুত: বিএনপি
এই সরকারকে হটাতে রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের সমর্থন করবে। সম্প্রতি এক জনসভায় নুর বলেন, 'আমরা কখনোই বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেব না।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই চুক্তিকে 'ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করা' বলে অভিহিত করার কয়েকদিন পর নুর ও ফুয়াদ এই ধরনের হুমকি দেন।
ফখরুল বলেন, 'বাংলাদেশ সবকিছু দিয়েছে, কিন্তু চুক্তি থেকে ভারতের কাছ থেকে কিছুই নিতে পারেনি।’
জামায়াতের মুখপত্র হিসেবে কাজ করা এক্স (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডেল বাশারকেল্লাও নুর এবং ফুয়াদের সুরের প্রতিধ্বনি করে বেশ কয়েকটি টুইট পোস্ট করেছে।
ভারতবিরোধী বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন বাংলাদেশকে পথ হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতীয় ট্রেনের প্রাস্তাবিত ট্রানজিট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চলছে।
আরও পড়ুন: সরকার উৎখাতে বিএনপির সঙ্গে ডান-বামরা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সাপের মাথাসম্বলিত ট্রেনের ইঞ্জিন এবং রক্তাক্ত রেললাইন চিত্রিত করা হয়। একই সঙ্গে ভারতীয়দের স্বার্থে পদ্মা সেতু বানানো হয়েছে বলে অদ্ভুত দাবি করা হয়েছে। এমন কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে ঘুরছে।
কয়েক মাস আগে বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী 'বয়কট ইন্ডিয়া' প্রচারণা শুরু করেছিলেন, যার প্রতিধ্বনি করেছিল জামায়াতে ইসলামী।
লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই সরকারকে ভারতের 'দাস' বলে অভিহিত করেছেন। এদিকে গত বছর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়, বিএনপি বেশ কিছুদিন ধরেই ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ একটি ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের জন্য ছিল বলে জানা গেছে। এরপর ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের দায়ে সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভারতবিরোধী বক্তব্য 'একপেশে'। কারণ, নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করতে পারবে, এরকম একটি মৌলিক বিষয় তারা বাদ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার উৎখাতের হুমকি বা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বাংলাদেশ ও স্বাধীনতাকে ছিনতাই করেছিল বিরোধী কুচক্রী মহল: অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশ ও স্বাধীনতাকে বিরোধী কুচক্রী মহল ছিনতাই করে নিয়েছিল।
তিনি বলেন, ছিনতাই হওয়া দেশকে উদ্ধারের লক্ষ্যেই সেদিন শেখ হাসিনার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল।
শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন 'এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)' এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না এলে আমরা কোনোদিন ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জিত এই বাংলাদেশ ফিরে পেতাম না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বললেও ২০১৬ সালে বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এমন অভাবনীয় উন্নয়নের পেছনে একমাত্র চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের সমান আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যেই দেশে এতো এতো নদীপথ, সড়কপথ এবং রেলপথের বিস্তৃতি করেছে শেখ হাসিনার সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় এমন উন্নয়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণসহ ১০ হাজার কিলোমিটার নতুন মহাসড়ক নির্মাণ, পুরাতন রেলপথ সংস্কারসহ নতুন রেলপথ নির্মাণ, ১ হাজার ১৩১টি নতুন সেতু এবং ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৪টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বিগত শিল্পবিপ্লবগুলোতে একশ’ বছর পিছিয়ে ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। এই অগ্রযাত্রায় সামিল হতে ছাত্রদের পড়াশোনা ও বিজ্ঞানচর্চায় আরও মনোযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
ইআরডিএফবি’র সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই মূলত বাঙালি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইআরডিএফবি’র সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন।
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবির আয়োজনে ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
৭ মাস আগে
রবিবার থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু
রবিবার সকাল থেকে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করতে যাচ্ছে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো।
গত সপ্তাহে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এই হরতাল ডাকা হয়েছে।
নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তার সব নেতা-কর্মীকে মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে রবিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতাল পালন করবে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: তফসিল ঘোষণার নামে 'নাটক' বন্ধ করুন: বিএনপি
শনিবার (১৮ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে দলের কয়েকজন নেতার মধ্যে অন্যতম রুহুল কবির রিজভী সর্বস্তরের জনগণ ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন ও সফল করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘জনগণের হারানো সব অধিকার পুনরুদ্ধার এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই হরতাল। সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্যও এই হরতাল।’
হরতাল কার্যকর করতে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সাহসের সঙ্গে রাজপথে নামার আহ্বান জানান রিজভী।
তিনি একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনের তফসিল বাতিলের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে রবিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক বিএনপির
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ দিতে বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন একই দল। এটি ছিল বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচির পঞ্চম পর্যায়।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালন করেন তারা।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নয়াপল্টনে সহিংস সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশ মাঝপথে পণ্ড হয়ে যায়।
তফসিলের প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএ) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতাল এবং গণতন্ত্র মঞ্চ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালন করে। ইসলামী দলগুলোর একটি উদীয়মান জোটও ইসির তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে, যা আসন্ন নির্বাচন সত্যিকার অর্থে অংশগ্রহণমূলক হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর বিক্ষোভ
১ বছর আগে
বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের তৃতীয় সপ্তাহের অবরোধ শুরু রবিবার
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের পথ সুগম করতে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে রবিবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য দেশব্যাপী সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ করবে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে এ অবরোধ চলবে।
দুই দিনের জন্য বিরতি দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসা অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও একই সঙ্গে অবরোধ করবে।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
শনিবার (১১ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসী ও বিএনপি সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালনের আহ্বান জানান।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন তিন দিনের এই অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দুই দফা দেশব্যাপী অবরোধ ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের দেশব্যাপী অবরোধ এবং পরের কয়েক ধাপের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যাপক সংঘর্ষ, সহিংসতা ও বেশ কিছু যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এখন ‘নিষ্ঠুর একদলীয় শাসনের’ অধীনে: রিজভী
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালন করেন তারা।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের দলের ১১ জন নেতা-কর্মী নিহত ও প্রায় তিন হাজার ৯০৬ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় সংঘর্ষে একজন পুলিশ কনস্টেবল, একজন সাংবাদিক ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী নিহত হন।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নয়াপল্টনে সহিংস সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশ মাঝপথে পণ্ড হয়ে যায়।আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই: বিএনপি
১ বছর আগে
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের আবারো গুম করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী: বিএনপি
চলমান এক দফা আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আবারও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গুম করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সরকার বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে তাদের ওপর দোষ চাপানোর পরিকল্পনা করছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রফিক ও সাইফুল ইসলামকে ডিবি পুলিশ তুলে নেয়ার পর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের নেতা-কর্মীদের গুম করা নতুন করে শুরু হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোটারদের অংশগ্রহণ ছাড়া আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। ‘তাই জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য তারা (সরকার) গুমের নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: জনাকীর্ণ কারাগারে মানবিক সংকটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবার তরুণদের গুম করার জন্য টার্গেট করছে, যেহেতু তরুণরা অগ্রগামী হিসেবে রাজপথে আন্দোলন করছে।
অবিলম্বে এফ মাহমুদুল ও সাইফুল ইসলামকে তাদের পরিবারের কাছে নিরাপদে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান রিজভী।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো তাদের এক দফা দাবি আদায়ে বুধবার সকাল ৬টা থেকে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে। আমাদের অবরোধ কর্মসূচি জনগণের দাবির ওপর ভিত্তি করে। এটা শুধু বিএনপির কর্মসূচি নয়। যারা দেশের মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের সবার কর্মসূচি এটি।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১১২ মামলায় ১০ দিনে গ্রেপ্তার ১৬৩৬ জন : ডিএমপি
বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীদের অতীতের মতো সব বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান তিনি।
রিজভী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবরোধ করুন, মহাসড়ক অবরোধ করুন এবং শান্তিপূর্ণ থাকুন। কিন্তু তারা (সরকার) আমাদের বিরুদ্ধে নাশকতার বিভিন্ন মহাপরিকল্পনা করছে। আমরা রাজপথে থাকব এবং সরকারের অশুভ চক্রান্ত প্রতিহত করবো।
চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার ফিরে পেতে দেশের লাখ লাখ মানুষ বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন দিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
রিজভী বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ৪৯৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
১ বছর আগে
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু রবিবার
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথ সুগম করতে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে রবিবার সকাল থেকে শুরু হচ্ছে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে এ অবরোধ চলবে।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধানের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি সফল করতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালনের জন্য নেতা-কর্মী ও সমর্থক এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
তিনি বলে, সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন ঘোষিত অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ লেবার পার্টি ও এনডিএম পৃথকভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার চট্টগ্রামে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালন করবে বিএনপি।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তর সমন্বয়কারী ইদ্রিস আলী জানান, সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি দিনব্যাপী হরতালের ডাক দিয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্র বহনকারী যানবাহন, সাংবাদিক ও ফায়ার সার্ভিস সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া হরতালের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর এক দফা দাবিতে এবং ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর দিনব্যাপী হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের অবরোধ পালন করে বিরোধী দলগুলো।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
হরতাল চলাকালে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
দেশব্যাপী তিন দিনের অবরোধে সংঘর্ষ এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ব্যাপক ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে।
এদিকে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই দিন নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলটির নেতা-কর্মীরা। ক্রমেই তা নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশটি মাঝপথে ভণ্ডুল হয়ে যায়।
ওই রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেদিন থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে আছে দলটির প্রধান কার্যালয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির ২০০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১৫০
১ বছর আগে
বিরোধী দলের অবরোধ: দ্বিতীয় দিনেও সংঘর্ষ, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী তিন দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বুধবার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মঙ্গলবার(৩১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ শেষ হবে বৃহস্পতিবার(২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায়।
অবরোধ চলাকালে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে অন্তত ২১টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সারাদেশে ২১টি অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছেন তারা।
এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে পাঁচটি, ঢাকা বিভাগে সাতটি (সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ), চট্টগ্রাম (কর্ণফুলী, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড) এবং রাজশাহী (বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও রংপুর) বিভাগে চারটি করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধ বিএনপির
সারাদেশে ১০টি বাস, তিনটি কাভার্ডভ্যান, তিনটি ট্রাক, একটি পিকআপ, একটি মোটরসাইকেল, দুটি বাণিজ্যিক পণ্যের শোরুম ও একটি পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল খুবই কম হলেও রাজধানীসহ অন্যান্য শহর ও শহরে থ্রি-হুইলারের মতো স্থানীয় যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
সাধারণ দিনের তুলনায় রাস্তায় মানুষের জমায়েতও কম ছিল।
অবরোধ কার্যকর করতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সড়কে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে। তারা ঢাকা, বগুড়া, ফেনী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে।
ঢাকার মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় সকাল ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা একটি গাড়িতে আগুন দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম জানান, বুধবার বিকালে কাফরুল থানার পাশে ইতিহাস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেছে পুলিশ
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ চলাকালে আজ ঢাকার মুগদা এলাকার আইডিয়াল স্কুলের সামনে দুর্বৃত্তরা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অবরোধের সমর্থনে মিছিলের পিকেটাররা সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে বাসে আগুন ধরিয়ে দিলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় একটি বাস ও ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিউটি অফিসার জাহেদুর রহমান জানান, সকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে দুর্বৃত্তরা একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
চট্টগ্রামনগরীর কোতোয়ালি থানাধীন কদমতলী এলাকা থেকে ককটেলসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সকাল ১১টার দিকে সিলেটের বন্দরবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবী ও ছাত্র সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপির যুবদল- ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবিরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের ৬ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় বিএনপি ও ছাত্রদলের সমর্থকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিল বিএনপি
বরিশালে মঙ্গলবার রাত ও বুধবার অবরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সকালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বান্দা রোডে অবরোধের পক্ষে মিছিল করেছে ছাত্রদল।
দূরপাল্লার কয়েকটি বাস শহর ছেড়ে গেলেও পরে যাত্রী সংকটের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের ট্রিপ বাতিল করে।
ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল দিতে দেখা গেছে।
খুলনায় অবরোধের দ্বিতীয় দিন শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
শহরের রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি অন্য যে কোনো দিনের চেয়ে কম ছিল।
অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনার খবর না পাওয়ায় রংপুরে শান্তিপূর্ণ অবরোধ পালন করা হয়েছে।
বগুড়ায় অবরোধের সমর্থকরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, ভাঙচুর ও যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সমর্থকরা রাস্তায় ব্যারিকেড বসানোর চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পিকেটারদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
সকাল ১০টার দিকে জেলা শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকায় পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে বিএনপির অন্তত ছয় নেতাকর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রী: বিএনপি
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তারা রেলগেট এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করার সময় পুলিশ হঠাৎ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সহিংসতায় যুবদল নেতা নিহত, বিএনপির এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত: ফখরুল
অবরোধ চলাকালে জেলায় তিনটি কাভার্ডভ্যান ও একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়া হয়।
অবরোধকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপির ৪৬ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত তিন দিনে জেলায় বিএনপি-জামায়াতের ১৫৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নাশকতার একটি মামলা করা হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর রামপুর এলাকায় দুটি আন্তঃজেলা বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ছিল লক্ষণীয়।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সারাদেশে ৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
১ বছর আগে
বিরোধীদের ৩ দিনের অবরোধ শুরু মঙ্গলবার থেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদেশে তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো।
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী হত্যা, নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই অবরোধ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তদারকির জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসন গঠনের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একযোগে অবরোধ পালন করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসী ও অনুসারীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সড়ক, রেল ও নৌপথে তিন দিন আমাদের সর্বাত্মক অবরোধ পালন করা হবে।’
অবরোধের প্রকৃত ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ, উপজেলার সঙ্গে জেলার যোগাযোগ এবং ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ করা হবে।
তবে সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন তিন দিনের অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ লেবার পার্টি ও এনডিএম পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রবিবার সন্ধ্যায় সারাদেশে টানা তিন দিনের অবরোধের পালনের ঘোষণা দেন।
সোমবার জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম একই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতালের ঘোষণা দেয় বিএনপি। বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনার মধ্যে এই হরতাল পালন করে, যাতে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং পরে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলটির নেতা-কর্মীরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টনে সহিংস সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশটি মাঝপথে ভেস্তে যায়।
শনিবারের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধ বিএনপির
গাজীপুরে পঞ্চম দিনের মতো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
১ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: রাষ্ট্রপতি
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরোধীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ '৭১-এর ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের তরুণ প্রজন্ম কাউন্সিলে যোগ দেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করলেও স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র থামেনি। তারা এখনও সক্রিয়।
আরও পড়ুন: ৪৩তম আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে জাকার্তার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন রাষ্ট্রপতি
১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের দাবি তোলায় সেক্টর কমান্ডার ফোরামের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এই দাবি আদায়ে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় মিত্রদের দ্বারা একাত্তরে সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ, মানবতাবিরোধী অপরাধের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি হচ্ছে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের দাবি।
মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এখনো সক্রিয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে এ দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা যত বাধাই সৃষ্টি করুক না কেন, আমরা তাদের প্রতিহত করব।
কৃষক, শ্রমিক ও যুবকদের যুদ্ধক্ষেত্রে উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সেক্টর কমান্ডার ফোরামের অনেক অবদান রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এবং মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত বাহিনী সংবিধানের মূল চেতনাকে ধ্বংস করেছে,’ বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রখর হয়েছে। এই সরকার জনগণের সরকার। এর সব কর্মকাণ্ডই জনবান্ধব।’
১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্মলগ্ন থেকেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করছে ফোরামটি।
এতে বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, উপদেষ্টা সারোয়ার আলী, সহসভাপতি এম হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবিব।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিষয়ে সেক্টর কমান্ডার ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত ‘জেনোসাইড ৭১’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
১ বছর আগে
সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান সোমবার বলেছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জনগণের দাবিকে সরকার দমাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে এবং তারা আমাদের আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে, কারণ তারাও ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। যুগে যুগে মানুষের দাবি কেউ দমাতে পারেনি। এই সরকারও তা করতে পারবে না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে মুসলিম লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
তিনি বলেন, জনগণ শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য সেই পরিবর্তন চায়।
নজরুল বলেন, সরকার গত তিন মাসে প্রায় ১৩ বিএনপি নেতা-কর্মীকে হত্যা ও দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করলেও বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে তাদের দলের প্রতিটি কর্মসূচি সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় এই বিএনপি নেতা বলেন, ১৯৬৯ সালের আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এবং আমেনা বেগম নামে একজন অজ্ঞাত নেতা দল চালাতেন। সেই আন্দোলনের পর নির্বাচনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সুতরাং, এটা সঠিক ধারণা নয় যে আন্দোলনে জয়ী হওয়া যাবে না, বিরোধী নেতাদের কারাগারে রাখলে ক্ষমতা অর্জন করা যাবে না।’
সরকার জোর করে ক্ষমতায় থেকে ভুল করছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (আ.লীগ নেতা) জেনেও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে। ক্ষমতা কি মানুষকে এত অন্ধ করে? সব রাজনৈতিক দলই মানুষের জীবনের মতো ভালো-খারাপ সময় পার করে। আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন দল বিষয়টি বুঝতে পারবে।’
নজরুল বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমান সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ভোট কারচুপি ও রাতে ব্যালট ভরে ক্ষমতা দখলের পর সরকার নিজেকে নির্বাচিত শাসনামল দাবি করে সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে এবং স্বাধীনভাবে তাদের ইচ্ছামতো তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ দিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নজরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্পের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সবারই হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে তিন/চার বছরে প্রায় ১৩/১৪ হাজার নতুন কোটিপতি তৈরি হয়েছে। এটাকে অগ্রগতি হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু এটাও সত্য যে একই সময়ে ৩৫ মিলিয়ন থেকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
১ বছর আগে