সবুজ
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলসহ যুবককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলসহ সবুজ (২৫) নামের এক যুবককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের একটি বাগানে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সবুজ ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের ফকিরপাড়ার গরু ব্যবসায়ী জয়নালের ছেলে। বুজ মোটরসাইকেলের ব্যবসা করতেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুনতাহা হত্যাকাণ্ড: ৪ আসামি ৫ দিনের রিমাণ্ডে
বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শামীম রেজা বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, মোটরসাইকেলসহ সবুজকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
‘মোটরসাইকেলের নিচে চাপা দেওয়া ছিল তার দেহ। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের যে কোনো সময় এ ঘটনা ঘটেছে।’
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান বলেন, ‘আলমডাঙ্গার মেহগনি বাগানে সবুজ নামে একজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ ৩ জন রিমান্ডে
১ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশে এখন আরএমজি সেক্টরে ২০৪টি 'সবুজ' কারখানা
'সবুজ' অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানায় বিশ্বনেতা হিসেবে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে বাংলাদেশ।
দেশের ২০৪টি কারখানা এখন ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) লিড সার্টিফিকেশন (সবুজ কারখানার জন্য প্রশংসাপত্র) পেয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বরে গোল্ড ক্যাটাগরিতে ইউএসজিবিসি থেকে গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন পেয়েছে আরও একটি বাংলাদেশি পোশাক কারখানা।
১১০ পয়েন্টের মধ্যে ৯৯ পয়েন্ট পাওয়া গাজীপুরের গ্রিন সার্টিফাইড কারখানাটি হলো ‘ইন্টিগ্রা ড্রেসেস লিমিটেড’।
বাংলাদেশ ২০২২ সালে ২৭টি গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে, যার মধ্যে ১৩টি প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে রয়েছে; যা এক বছরে সর্বোচ্চ।
মোট ২০৪টি সবুজ সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত কারখানার মধ্যে ৭৪টি প্লাটিনাম-রেটেড, ১১৬টি গোল্ড-রেটেড এবং বাকিগুলো অন্যান্য-রেটেড।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
ইউএসজিবিসি’র লিড সার্টিফিকেশন পেতে আরও ৫০০টি কারখানা পাইপলাইনে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ মানের লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ৫৪টি বাংলাদেশে রয়েছে।
শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ২০টি লিড সার্টিফিকেশন কারখানার মধ্যে ১৮টি বাংলাদেশে রয়েছে।
এটি সত্যিই গর্বের বিষয় বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০৪ স্কোর পাওয়া কারখানাটি বাংলাদেশেই অবস্থিত।
ইউএসজিবিসি বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে কারখানাগুলোকে সম্মানিত করে। যেমন- রূপান্তর কার্যক্ষমতা, জ্বালানি, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। সেরা পারফর্মারদের প্ল্যাটিনাম দিয়ে রেট দেওয়া হয়, এরপরে গোল্ড ও সিলভার।
আরও পড়ুন: নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
১১ মাস আগে
সবুজ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পেরে গর্বিত: ইইউ
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, টিম ইউরোপের মাধ্যমে একটি সবুজ এবং আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশ সরকারের পাশে দাঁড়াতে পেরে ইইউ গর্বিত।
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে এনার্জি স্টোরেজ রোডম্যাপ উপস্থাপন করতে পেরে আনন্দিত।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল (ইইউডি) রাজধানীর একটি হোটেলে এনার্জি স্টোরেজ রোডম্যাপ প্রেজেন্টেশন অ্যান্ড হ্যান্ডওভার: ড্রাইভিং ইনভেস্টমেন্টস অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন’- অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই ইভেন্টটি বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রায় জ্বালানি সঞ্চয়ের কৌশলগত গুরুত্বকেই তুলে ধরেনি বরং এই গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা ও বিনিয়োগের ভিত্তিও তৈরি করেছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
ড. চৌধুরী গবেষণার জন্য তার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং অন্যান্য দেশ এবং ইউরোপে বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য ব্যাটারি জ্বালানি সঞ্চয় অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে আরও জানার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলোকে বাংলাদেশে অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রয়োগে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (এমওপিইএমআর) অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা-২, পাওয়ার বিভাগ) তানিয়া খান এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জি. মোহাম্মদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসআরইডিএ) এর চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি স্টেকহোল্ডার, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (বিআরইবি), ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (আইডিসিওএল), বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর প্রতিনিধি এবং এইখাত সংশ্লিষ্ট দাতা যেমন- জিআইজেড, এএফডি, এডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইইউ সদস্য রাষ্ট্র, মার্কিন দূতাবাস এবং দুটি বেসরকারি কোম্পানিসহ জ্বালানি সঞ্চয়স্থান সমাধানে সম্ভাব্য বিনিয়োগে আগ্রহী ৪০ জন উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিকে একত্র করা হয়।
দ্য এনার্জি স্টোরেজ রোডম্যাপের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো সমীক্ষা দলের নেতা মোহাম্মদ আরবাজ নাঈম উপস্থাপন করেন, যিনি দর্শকদের প্রশ্ন ও মন্তব্যও তুলে ধরেন।
এই সমীক্ষা টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ অন গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনের কাঠামোর মধ্যে এবং ইইউ গ্লোবাল গেটওয়ে কৌশলের অংশ হিসেবে সংগঠিত হয়েছিল।
অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান এবং ডিজি পাওয়ার সেল উভয়েই এই গবেষণার জন্য অর্থ প্রদানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা গবেষণায় বর্ণিত প্রকল্পগুলোতে ইইউ-এর সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ঢাকায় ইইউ দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশে সবুজ উত্তরণে সহায়তার জন্য ইইউ জড়িত এবং আর্থিক প্রতিশ্রুতি বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন দিককে কভার করে।
এই বছর, ইইউ বাংলাদেশের গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনের জন্য ইইউ অনুদান সহায়তার একটি ব্যাপক অর্থায়ন প্যাকেজ ডিজাইন করেছে।
ইইউ একটি নতুন পাইপলাইন প্রকল্পের মাধ্যমে জ্বালানি এবং জ্বালানি একীকরণ সমর্থন করার লক্ষ্য রাখে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ইইউ 'দ্রুত সময়ে' অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তি চালু করতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক একটি বহুমাত্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব: ইইউ
১ বছর আগে
তানজিম, রাজীব, সবুজ এটিজেএফবি’র সভাপতি, ভিপি ও জিএস নির্বাচিত
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ প্রতিবেদক তানজিম আনোয়ার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই বছর মেয়াদের (২০২৩-২৪) জন্য এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ডিবিসি নিউজের চিফ রিপোর্টার রাজীব ঘোষ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহ-সভাপতি এবং বাংলাভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক জিয়াউল হক সবুজ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন এশিয়ান টিভি‘র আব্দুল বাতেন বিপ্লব।
আরও পড়ুন: সাভার বাসস্ট্যান্ডে হিজড়া-হকার সংঘর্ষে আহত ১০
শুক্রবার ভোটগ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মশিউর রহমান এবং দুই নির্বাচন কমিশনার গোলাম মুজতবা ধ্রুব ও সোহেল হোসেন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
এর আগে বিদায়ী সভাপতি নাদিরা কিরণের সভাপতিত্বে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ফোরামের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শফিউল্লাহ সুমন (বিটিভি) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোষাধ্যক্ষ এবং ইমরুল কাউসার ইমন (দৈনিক ভোরের ডাক)।
বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আকবর হোসেন চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রচার সম্পাদক এবং মাহফুজ কামাল (চ্যানেল ২৪) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিত পাঁচ কার্যনির্বাহী সদস্য হলেন-খালিদ আহসান (বিটিভি), রাশিদুল হাসান (দ্য ডেইলি স্টার), মো. মাসুদ রুমি (দৈনিক কালের কণ্ঠ), আলতাব হোসেন (দৈনিক যায়যায় দিন) এবং মো. আশিক হোসেন (নিউজবাংলা২৪.কম)।
আরও পড়ুন: সন পদক অর্জন করেছেন বাংলাদেশের স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম
৫০ চিন্তাবিদের তালিকায় স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম
২ বছর আগে
ফুলবাড়ী: সবুজ রঙে সেজেছে কৃষকের মাঠ
সবুজ রঙে সেজেছে কৃষকের মাঠ। কৃষকের স্বপ্নের আমন খেতের চারিদিকে সবুজ রঙে ভরে উঠেছে। বিস্তৃর্ণ কৃষকের মাঠে মাঠে দু-চোখ জুড়ানো যেন এক অপরূপ সবুজের সমারোহ। যেন কোন জমি আর পতিত নেই।
প্রতিটি ধান গাছে র্শীষ বেড়া শুরু করেছে। বৃষ্টি ভেজা বাতাসে দোল খাচ্ছে আমন ধানের গাছগুলো। এ যেন এক নয়ন জুড়ানো দৃশ্যে মেতে উঠেছে ফসলের মাঠ জুড়ে। এখন মাঠ জুড়ে সবুজ রঙে সাজিয়ে তুলেছে প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য।
আরও পড়ুন: অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অধিকাংশ প্রান্তিক কৃষক পরিবার কৃষির উপর নির্ভরশীল। ধানসহ সারা বছরেই কোন না কোন ফলন ফলায়। সেই ফসল বিক্রি করে পরিবার-পরিজন জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তাদের প্রধান ফসল ধান। চলতি আমন মৌসুমে অঞ্চলের চাষিরা তাদের প্রধান ফসল উৎপাদনের শুরুতেই বৃষ্টির দেখা মেলেনি।
ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির দেখা না পেয়ে সঠিক সময়ে বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন ও সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি ক্রয় করে জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করেছেন চাষিরা। এ বছর পানি ক্রয় তাদের স্বপ্নের ফসল বাড়তি খরচ দিয়ে চাষাবাদ করলেও আমনের বাম্পার ফলনের এক উজ্জল সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় আমন চাষিদের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
আরও পড়ুন: চলাচলের অনুপযোগী ফরিদপুর পৌরসভার শতাধিক কিলোমিটার সড়ক
কুরুষাফেরুষা গ্রামের কৃষক আবুল কাসেম ও পুলিন চন্দ্র রায় জানান, ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির দেখা পাইনি। তবে সঠিক সময়ে শ্যালো-মেশিন ও সেচযন্ত্র দিয়ে পানি কিনে আমন ধান চাষাবাদ করেছি। রোপনের পর বৃষ্টির দেখা মেলে। মাঝে মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ বছর আমনের আবাদ গত বছরগুলোর চেয়ে ভাল ফলন দেখা দিয়েছে। জ্বালানি তেল ও সারের বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা অতিরিক্ত খরচ বহন করে আমন ধান চাষাবাদ করলেও এখন সেই স্বপ্নের ফসল দেখে আমাদের মন ভরে যায়।
২ বছর আগে
১৭ বছর পর বাবা-মায়ের সন্ধান পেলেন শাহরাস্তির সবুজ
ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো শেষে বাড়ি ফেরার পথে শিশুকালে হারিয়ে যাওয়া সবুজ ১৭ বছর পর বাবা-মায়ের সন্ধান পেলেন।
মঙ্গলবার জনপ্রিয় রেডিও উপস্থাপক আর জে কিবরিয়ার ‘আপন ঠিকানা’ অনুষ্ঠানে সবুজকে নিয়ে আসেন বেসরকারি এনজিও ‘ফ্যামিলিজ ফর চিল্ড্রেন’র পরিচালক শিখা বিশ্বাস। সেখানে তাকে নিয়ে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনের মাধ্যমে তার পরিচয় এবং ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত বাবা-মায়ের পাশ থেকে ১৭ দিনের শিশু চুরি
লাইভে কথা বলতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে সবুজ আকুতি দিয়ে বলেন, ‘জীবনে একটাই চাওয়া, শুধু মায়েরে একবার মন ভইরা দেখতে চাই।’
সবুজ বর্তমানে সিরাজগঞ্জ খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন। লকডাউন শেষে তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে আনা হবে।
সুবজ চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সুচিপড়া গ্রামের খলিল মেম্বার বাড়ির বাসু (বাশার বা বশির) মিয়ার ছেলে।
২০০৪ সালে ঢাকায় খালুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে চাঁদপুরের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় ডেমরা এলাকা থেকে হারিয়ে যান তিনি। এরপর দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরিকালে নারী আটক
তার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন সুচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের কাজী মাওলানা মোস্তফা কামাল এবং তার ছেলে হাসান মাহমুদ। মোবাইলে সবুজের মামা রাশেদ আলমও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সবুজের মামা রাশেদ আলম বলেন, ‘এই সবুজ ২০০৪ সালে হারিয়ে যাওয়া সবুজ। কারণ সবুজের দেয়া তথ্য অনুসারে তার অন্যান্য ভাইবোন, বাবা-মা, খালা-খালু এবং খালাতো ভাইয়ের নাম পুরোপুরি মিলে গেছে।
তিনি বলেন, সে জানায় যে তার মায়ের নাম খোদেজা বেগম।পাঁচ ভাইবোন, বড়বোন শিউলি, তারপর সবুজ, এরপর ছোটবোন সাথী এবং ছোটভাই শাকিব ও সাকিল। দাদা লাল মিয়া। তার দেয়া তথ্য হারিয়ে যাওয়া সবুজের তথ্যের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে গেছে।’
আরও পড়ুন: মেয়ের কোল ভরিয়ে দিতে হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি করলেন মা
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে সবুজ তার দাদা লাল মিয়ার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাতে ফুফু এবং খালুর বাসায় বেড়াতে যান। খালুর বাসায় কয়েকদিন বেড়ানোর পর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তারা। বাড়ি ফেরার সময় তার খালা সবুজকে কিছু টাকা দেন খেলনা কেনার জন্য। বাড়ি ফেরার পথে খেলনার দোকান দেখে সবুজ বেঁকে বসেন ফুটবল কিনে দিতে হবে। দাদা লাল মিয়া তাকে বাড়ি গিয়ে খেলনা কিনে দেয়ার কথা বললেও তিনি নাছোড়বান্দা, খেলনা ছাড়া বাড়ি যাবে না। এতে দাদা লাল মিয়া রাগ করে একটু সামনে গেলে অগণিত মানুষের ভিড়ের মধ্যে পড়ে দাদা-নাতির বিচ্ছেদ হয়ে যায়। অনেক খুঁজেও দাদা নাতিকে না পেয়ে বাড়ি ফেরেন বুকে কষ্ট নিয়ে।
ওদিকে দাদাকে হারিয়ে একা হয়ে গিয়ে সবুজ বসে বসে কাঁদতে থাকেন। তখন এক মুদি দোকানদার সবুজকে বাসায় নিয়ে যান। পরদিন তিনি ডেমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাকে পুলিশের কাছে দিয়ে আসেন।
সবুজের পরিবারের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় থানা পুলিশ ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ নামের একটি এনজিওর কাছে সবুজকে হস্থান্তর করে। এনজিওটি কয়েক মাস তাদের কাছে রেখে সবুজের পরিবারের সন্ধান না পেয়ে আরেক বেসরকারি এনজিও ‘ফ্যামিলিজ ফর চিল্ড্রেন’-এর কাছে হস্তান্তর করে ২০০৫ সালে।
ফ্যামিলিজ ফর চিল্ড্রেনের পরিচালক শিখা বিশ্বাস জানান, সবুজ অনেক মেধাবী ছাত্র। তাই স্থানীয় স্পন্সরের সহযোগিতায় আমরা তাকে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছি। বর্তমানে তিনি সিরাজগঞ্জ খাজা আলী ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন করছেন।
মঙ্গলবার জনপ্রিয় রেডিও উপস্থাপক আর জে কিবরিয়ার ‘আপন ঠিকানা’ অনুষ্ঠানে সবুজকে লাইভে নিয়ে আসেন ফ্যামিলিজ ফর চিলড্রেনের পরিচালক শিখা বিশ্বাস। ভিডিওটি প্রচারের সময় সবুজের বাল্যকালের কিছু ছবিও পরিদর্শন করা হয়। এ সময় সবুজের দেয়া তথ্য হারিয়ে যাওয়া সবুজের তথ্যের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এক ঘণ্টার মধ্যে কেশরাঙা গ্রামের রাশেদ আলম (সবুজের মামা) নিশ্চিত করেন সবুজ তার ভাগিনা।
সবুজের মামা রাশেদ আলম বলেন, বিষয়টি আমার বোন এবং ভগ্নিপতি নিশ্চিত করেন এবং তারা হারিয়ে যাওয়া ছেলের সন্ধান পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে আছেন।
ইউএনবিকে সবুজের মা ও মামা খোরশেদ আলম জানান, লকডাউন শেষ হলেই যোগাযোগ করে আমরা সবুজের সঙ্গে দেখা করব। তাকে বাড়ি নিয়ে আসব, ইনশাল্লাহ। এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছি।
৩ বছর আগে