নিরাপত্তায় অন্যন্য এক বাহিনী
‘কে-নাইন’: ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় অন্যন্য এক বাহিনী
ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিত বিমানবন্দরের দায়িত্ব এখন নিরাপদ হাতেই রয়েছে। দেশের প্রধান এবং ব্যস্ততম এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ দেয়া যায় এখানকার প্রশিক্ষিত কুকুর বাহিনীকে (ডগ স্কোয়াড)।
এই স্কোয়াডের দক্ষ কুকুরগুলোর অধিকাংশই জার্মান শেফার্ডর প্রজাতির কুকুর। এটি মূলত জার্মান শেফার্ড এবং ল্যাব্রাডর রিট্রিভার শংকর একটি জাত।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এয়ার্পোট আর্মড পুলিশ (এএপি) নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নিজস্ব ডগ স্কোয়াড গঠন করে। আর এই বাহিনীর নাম দেয়া হয়েছে ‘কে-নাইন’।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে ১০ হাজার ইয়াবাসহ আটক এক
২০১৭ সালে যুক্তরাজ্য থেকে মাত্র চারটি কুকুর আমদানি করে এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শুরু হয় এই বাহিনীর পথচলা। এর আগে এএপি-কে অন্যান্য বাহিনী ডগ স্কোয়াডের ওপর নির্ভর করতে হতো। ২০১৮ সালে কে-নাইন ফোর্সে শক্তি বাড়ায় আরও চার কুকুর সদস্য। ২০১৯ সালে আরও পাঁচটি কুকুর আনা হলেও এখনো সেগুলোকে কে-নাইনে যুক্ত করা হয়নি।
কে-নাইন সদস্যদের প্রাথমিক দায়িত্ব হল মাদক-বিস্ফোরক খুঁজে বের করা, ক্রাইম সিনে প্রমাণ খোঁজা এবং পুলিশের নির্দিষ্টভাবে টার্গেট করা ব্যক্তিকে আক্রমণ করা। কুকুরগুলোকে অবশ্য বিভিন্নরকম শব্দ সংকেত ও ইশারা মনে রাখারও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
কে-নাইন ডগ স্কোয়াড সম্পর্কে এএপির অ্যাডিশনাল সুপারিসটেনডেন্ট (অপারেশন এবং মিডিয়া) আলমগীর হোসেন ইউএনবিকে জানান, প্রথম দুই ব্যাচের আটটি কুকুরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে মাদক এবং বিস্ফোরক দ্রব্য খুঁজের বের করার জন্য।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই কে-নাইনের আটটি কুকুরই বিস্ফোরক শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা অন্য পাঁচটি কুকুরকে এখন মাদক শনাক্তের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ হল বিমানবন্দর এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
তিনি জানান, কে-নাইনের কুকুরগুলোকে গত দুই বছর ধরেই প্রশিক্ষণের ওপর রাখা হয়েছে। চলমান এই প্রশিক্ষ কার্যক্রমে সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশের আমেরিকান দূতাবাস।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস নয়: প্রতিমন্ত্রী
৩ বছর আগে