বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে কমদামে জনগণকে টিকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে টিকা দিয়েছি বলে গণমাধ্যমে এসেছে। এটি সঠিক নয়। বরং আমরা সারাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে জনগণকে টিকা দিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) এই তথ্য দিয়ে থাকলেও তা সঠিক নয়।’
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিআইবি প্রতিবেদন বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিবেদন যে গ্রহন করিনি সেটিই বললাম। আমরা অবশ্যই এটা প্রত্যাখ্যান করি। একটা সংস্থা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। যেহেতু এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে, ১৩ কোটি মানুষ টিকা নিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণ ও টিকাদানে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেলের সম্মানে অবস্থান করছে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসা ব্যবসায় অনেক উন্নয়ন করেছি। টিকার কার্যক্রম অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছি। প্রথম ডোজ প্রায় ১৩ কোটি, সেকেন্ড ডোজ ১১ কোটি ৬০ লাখ ও বুস্টার ডোজ এক কোটি ১৯ লাখ টিকা দিয়েছি। প্রথম ডোজ ৯৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৮৭ শতাংশ ও বুস্টার ডোজ ৯ শতাংশ দেয়া হয়েছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে।
টেস্টের বিষয়ে তিনি বলেন, টিআইবি বলে ল্যাব সংখ্যা খুব কম। একটা ল্যাব ছিল, সেখানে থেকে ৮৭০টি বিভিন্ন পর্যায়ে ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। বেশিরভাগ সময় বিনামূল্যে টেস্ট করিয়েছি। প্রাইভেট সেক্টরে ৩০ শতাংশ টেস্ট করেছে। বাকি ৭০ শতাংশ সরকারি ল্যাবে টেস্ট হয়েছে। এখন পাঁচ হাজার টেস্টে হয়, কখনো ৫০ হাজারও করেছি। তখন তো চাপ বেশি পড়ে, তাই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারার কথা না। চিকিংসা ভালো দিতে পারিনি বলা হয়েছে, আমাদের নাকি বেড ছিল না। তারা আট মাসের সার্ভের কথা বলেছে, কিন্তু কোভিড তো দুই বছর ধরে। বেডের কোন ঘাটতি ছিল না।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার পেছনে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, আইসিইউতে কিছুটা সংকট ছিল, কিন্তু আমরা করোনার মধ্যে সেটি করেছি। ভ্যান্টিলেটর ইজ নট সলিউশন, ভ্যান্টিলেটর খালিই ছিল। বাংলাদেশের এমন কোনো হাসপাতাল নেই যেখানে অক্সিজেন ছিল না। এটি সঠিক নয়।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ নাকি বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। সেটা হলে তো দেড় লাখ মানুষ মারা গেছে। কিন্তু এতো মানুষ তো মারা যায়নি। ওষুধ পায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে ওষুধ এভেইলেবল ছিল কোন অভাব হয়নি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কোভিডের চিকিৎসা প্রাইভেটেও যা, সরকারিতেও তা। তারা তো আমাদের গাইডলাইনেই চিকিৎসা করেছে। দেশের সুনামের দিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে অনেক চিকিৎসক, নার্স মৃত্যুবরণ করেছে। বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে দেখেন। প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাক্সিনেশনে চ্যাম্পিয়ন করেছে।