কোভিড-১৯ সঙ্কট
কোভিড-১৯: দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে।
মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭৮ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ২২৮ জনে দাঁড়াল।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩১ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৯ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে সোমবার অধিদপ্তর জানায়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯৭ জন মারা গেছেন এবং ৩ হাজার ৩০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ২৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১২.৫১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ২৩৪ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯২৭ জন। সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ভারতফেরত ১০ করোনারোগী পালিয়েছে
বিশ্ব পরিস্থিতি
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার ৯৭৭ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৪৩৮ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭২ হাজার ৬৬৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত পৌনে ১৫ কোটি ছাড়াল
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯১ হাজার ৯৩৬ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ১২৩ জন।
৩ বছর আগে
কোভিড-১৯: সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ১০ কোটি টাকার অনুদান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার কোভিড-১৯ মহামারিতে দেশের সাংবাদিকদের সহায়তা প্রদানের জন্য ১০ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্রদের জন্য সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ইউএনবিকে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারির এই কঠিন সময়ে সারা দেশে সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।'
৩ বছর আগে
বিশ্বব্যাপী কোভিড সঙ্কট: দ্রুত পুনরুদ্ধারে ইএসসিএপি-কে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ শেখ হাসিনার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার ইউএন-ইএসসিএপি-কে চারটি ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, যার মধ্যে একটি কোভিড-১৯ সঙ্কট থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে উন্নত বিশ্ব, উন্নয়ন অংশীদার এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (আইএফআই) এগিয়ে আসতে সহায়তা করবে।
শেখ হাসিনা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ৭৭তম বার্ষিক অধিবেশনে (ইউএন-ইএসসিএপি) রেকর্ড করা ভাষণে এই সুপারিশ রাখেন।
'এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সঙ্কট থেকে পুনরুদ্ধার' এই প্রতিপাদ্যে ইএসসিএপি-এর চার দিনের (সোমবার-বৃহস্পতিবার) ভার্চুয়াল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লিডার্স সামিট: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৪ পরামর্শ
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ইএসসিএপি-এর জন্য যে চারটি পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: উন্নত বিশ্ব, উন্নয়ন অংশীদার এবং আইএফআই-এর কোভিড মহামারি থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসা উচিত; যে কোনও সঙ্কট থেকে উন্নততর পুনরুদ্ধারের জন্য এবং উন্নয়নের পদ্ধতির আরও সংহত, স্থিতিস্থাপক ও পরিবেশ বান্ধব হওয়া উচিত।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি শক্তিশালী ও সর্বজনীন জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য দক্ষ নীতি ও কৌশল গ্রহণ করা উচিত; এবং বাণিজ্য, পরিবহন, শক্তি এবং আইসিটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিরামহীন সংযোগ স্থাপন করা। এটিও একটি পদক্ষেপ।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলার সময় শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে যাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, 'আমরা স্থায়ী প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে কার্যকর সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বিষয়ে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাচ্ছি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন, প্রায় ২৯ লাখ ৫০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছে এবং প্রতিদিন আরও শতাধিক মারা যাচ্ছে এই মারাত্মক রোগে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মহামারিটি বহু মানুষকে দরিদ্র করেছে এবং আবার অনেকে দারিদ্র্যের দিকে ফিরে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্রদের জন্য সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশে আমরা সামাজিক সুরক্ষা প্রশস্তকরণ, চাকরি বজায় রাখা এবং অর্থনীতিকে উন্নয়নের জন্য প্রায় ১৪.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যে উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি যা আমাদের জিডিপির প্রায় ৪.৪৪%।'
তিনি বলেন, সর্বশেষ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কোভিড-১৯ থেকে পুনরুদ্ধার এবং বাংলাদেশকে মসৃণ ও টেকসই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, এসডিজি অর্জন, এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ দেশের দিকে পথনির্দেশের কৌশল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজন প্রচেষ্টা বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিলের মাধ্যমে অর্থায়িত কর্মসূচির দ্বারা সমর্থিত হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতা ভাগাভাগি করাকে সমৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকর বিকল্প হিসাবে দেখছি।'তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সার্ক, বিমসটেক, বিবিআইএন, বিসিআইএম-ইসি এবং ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ে উদ্যোগে নিযুক্ত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সাউথ-সাউথ নেটওয়ার্ক ফর পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন' অন্যান্য দেশের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইএসসিএপি-র উদ্যোগবাংলাদেশ এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে এবং বর্ধিত সংযোগের প্রবল সমর্থক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্রস বর্ডার পেপারলেস বাণিজ্য, এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তি, পিপিপি নেটওয়ার্কিং, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং ইউএন-ইএসসিএপি-র অন্যান্য উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
তিনি বলেন, 'নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য আমরা গ্লোবাল কম্প্যাক্ট অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আশরাফ গনি, কিরগিজস্তানের রাষ্ট্রপতি সাদির জাপারভ, তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইমোমালি রাহমন, উজবেকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লা আরিপভ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ও-চা, মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতি বাতুলগা খালতমা, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ, কিরিবাতি টানেটি মামাউয়ের রাষ্ট্রপতি, টুভালু কোসিয়া নাটানোর প্রধানমন্ত্রী, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্রপতি এবং ফিজির প্রধানমন্ত্রী জোসাইয়া ভোরেকি বেনিমারাম অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন।
কাজাখস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী মুখতার তাইলুবারদির সভাপতিত্বে অধিবেশনটিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন।
৩ বছর আগে