দাবানল
দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলের গ্রাসে প্রাচীন মন্দির, প্রাণহানি ২৬
নজিরবিহীন দাবানলে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রাচীন মন্দিরের বড় অংশই ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া জাতীয় সম্পদ হিসেবে আখ্যায়িত করা দুটি ভবন আগুনে ধসে পড়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দেশটির কর্মকর্তারা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
গেল পাঁচদিন ধরে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের মুখে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এতে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তিনশতাধিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। ৩৭ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৬৮১ অব্দে শিলা রাজবংশের সময় গৌনসা মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কোরীয় উপদ্বীপটির অর্ধেকেরও বেশি সময় শাসন করেছেন তারা। উইসিং শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ডিউনগুন পাহাড়ের পাদদেশে মন্দিরটির অবস্থান।
প্রাচীন আমলে নির্মিত ভবনগুলো যদিও কোনো আবাসিক ভবন না, তবে পরবর্তীতে এখানে কিছু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার আগুনের গ্রাসের মধ্যে পড়ে যায় মন্দিরটি। এতে ৩০টি ভবনের মধ্যে প্রায় ২০টি আগুনে ধসে পড়ে।-খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তীব্র বাতাসে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে দাবানলের লেলিহান শিখা। নিহতের মধ্যে ৪ ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও একজন পাইলটও রয়েছেন।
উইসিয়ং অঞ্চলে দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে ওই পাইলট প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সিউল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আহতদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান সরকারি কর্মকর্তারা।
তবে নিহতদের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। নিহতরা বেশিরভাগ ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়স্ক বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: দাবানলে জ্বলছে দক্ষিণ কোরিয়া, নিহত বেড়ে ১৮
২১ দিন আগে
দাবানলে জ্বলছে দক্ষিণ কোরিয়া, নিহত বেড়ে ১৮
ভয়াবহ দাবানলের কোপে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দাবানলের আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি; এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৮ জন, এছাড়া আরও অন্তত ১৯ জন আহত হওয়ার খবর মিলেছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ মার্চ) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। নিহতদের মধ্যে ৪ ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারি তথ্যমতে, দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অন্তত পাঁচটি এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন বলে জানানো হয়েছে। হতাহতের আশঙ্কা এড়াতে প্রায় ২৭ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সিউলের কর্মকর্তারা জানান, আগুন নির্বাপণে কাজ করার সময় দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উইসিয়ং অঞ্চল একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। হেলিকপ্টারটি উদ্বারে কাজ চলছে বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার বন বিভাগ। হেলিকপ্টারটিতে পাইলট ছাড়া অন্য কোনো সদস্য ছিলেন না বলে ধারণা করছে তারা।
আরও পড়ুন: দাবানল কী ও কেন হয়? পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ানক কয়েকটি দাবানল
২২ দিন আগে
লস অ্যাঞ্জেলেসে ফের দাবানল, ৯৪০০ একর ভূমি আগুনের গ্রাসে
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে নতুন করে আবার দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৩ জানুয়ারি) ৯ হাজার ৪০০ একরেরও বেশি ভূমি গ্রাস করে ফেলেছে আগুন।
জোরালো বাতাস ও শুষ্ক ঝোপ-ঝাড়ের কারণে খুবই দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে দাবানল। সেখান থেকে ৩১ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় পৌনে ১১টায় লেক হিউজেস রোড থেকে শুরু হয় দাবানল। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ৫০০ একর এলাকায় সেটি ছড়িয়ে পড়ে।
দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এরআগেও মহানগর এলাকার দুটি বড় দাবানল তারা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিলেন।
আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জেলেস দাবানলে মৃত্যু বেড়ে ১৬
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার অল্প কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইয়াটন ফায়ারের দুই-তৃতীয়াংশের আকারের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়েপড়া সবচেয়ে বিধ্বংসী দাবানলের একটি ইয়াটন ফায়ার।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ক্যাসটেইক লেক এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, তীব্র শুষ্ক ঝোড়ো বাতাসের কারণে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় ব্যাপক অগ্নিঝুঁকি রয়েছে। এতে নাগরিকদের জন্য শঙ্কা তৈরি করছে, তারা যাতে অন্য কোথাও চলে যান।
এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে দাবানল এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও ২১ হাজারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, তাদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া লাগতে পারে।
গেল ৯ মাসে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় কোনো উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি হয়নি। এতে পুরো অঞ্চলটিতে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যদি সেটা ঘটে, তাহলে দমকলকর্মীরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন।
আরও পড়ুন: দাবানলে লস অ্যাঞ্জেলেসে ১২ হাজার স্থাপনা বিধ্বস্ত, নিহত ১১
৮৪ দিন আগে
দাবানল কী ও কেন হয়? পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ানক কয়েকটি দাবানল
লস অ্যাঞ্জেলেসের চলমান দাবানল দুর্যোগের বিধ্বংসী প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্বকে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে প্যালিসেডে শুরু হওয়া এই অগ্নিকাণ্ড বনাঞ্চল ছাড়িয়ে আশপাশের বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। উষ্ণ সান্তা আনা বাতাসের প্রভাবে দীর্ঘদিনের উত্তপ্ত অবস্থা থেকে উৎপত্তি এই দাবানলের। উত্তর আমেরিকার গ্রেট বেসিন নামক বিস্তৃত মরু অঞ্চল থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে ধেয়ে আসে এই গরম বাতাস। এখন পর্যন্ত দাবানলে ২৫ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। দাবানল কি শুধুই প্রাকৃতিক বিপর্যয়? দাবানল সৃষ্টির নেপথ্যের কারণ খুঁজে দেখার পাশাপাশি চলুন, ইতিহাসের সর্বাধিক প্রাণহানী ঘটানো দাবানলগুলো সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
দাবানল কি এবং কেন হয়
শুষ্ক বনাঞ্চলে মাত্রাতিরিক্ত উত্তাপের রেশ ধরে সৃষ্ট আগুন গোটা বন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা দাবানল হিসেবে পরিচিত। বনের ভেতরে ঘন ঝোপঝাড় এবং পরস্পর সংস্পর্শে থাকা গাছপালা স্বতঃস্ফূর্ত দহনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। এমতাবস্থায় ছোট একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গই যথেষ্ট পুরো বনভূমিকে অঙ্গারে পরিণত করার জন্য। এই অগ্নিস্ফুলিঙ্গের নেপথ্যে প্রাকৃতিক ও মনুষ্য ঘটিত উভয় কারণই থাকতে পারে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্ফুলিঙ্গের সাধারণ প্রাকৃতিক কারণ থাকে বজ্রপাত। মানবসৃষ্ট কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যাম্প ফায়ার, সিগারেটের উচ্ছিষ্ট বা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি।
দাবানলের ব্যপ্তি কতটা জায়গা জুড়ে হবে তা স্থানটির ভৌগলিক অবস্থান ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। যেমন আশপাশের কোনো স্থান থেকে শুষ্ক ও উত্তপ্ত বাতাসের চাপ, জলবায়ু পরিবর্তন, ও দীর্ঘস্থায়ী খরা। এসব কারণে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বনসহ আশপাশের অঞ্চলগুলোকে অধিক শুষ্ক করে রাখে।
আরো পড়ুন: দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু: গবেষণা
উষ্ণ বাতাসের স্থায়ীত্বের সঙ্গে আগুন জ্বলতে থাকার মাত্রা সমানুপাতিক হারে বাড়ে। তাছাড়া ছোট একটি জায়গায় আগুন লাগলে তার আশপাশের পরিবেশ এমনিতেই উত্তপ্ত হতে থাকে। এমন সময় সেখানে থাকা তাপ পরিবাহী বস্তুগুলো আবহাওয়া উষ্ণ রাখার মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। বাকি থাকে শুধু একটি সহায়ক মাধ্যম যার উপর দিয়ে আগুন নিমেষেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়বে। এই অনর্থ সংঘটনের জন্য বন-জঙ্গল সব থেকে আদর্শ জায়গা। গায়ে গায়ে লেগে থাকা গাছপালা এখানে রীতিমত বৈদ্যুতিক তারের ভূমিকা পালন করে। একবার আগুন লেগে গেলে তা অনেক দূর পর্যন্ত নিমেষেই ছড়িয়ে পড়ে। চরম অবস্থায় এই আগুন আশপাশে থাকা গ্রাম বা শহরে প্রবেশ করে ব্যাপক ধ্বংসের কারণ হয়।
৮৯ দিন আগে
দাবানলে লস অ্যাঞ্জেলেসে ১২ হাজার স্থাপনা বিধ্বস্ত, নিহত ১১
লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকায় ছড়িয়ে পড়া দাবানলে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সঙ্গে ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায় ১২ হাজার ভবন। এতে বাস্তুচ্যুতও হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া সান ফ্রান্সিসকোর চেয়েও বড় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী দাবানলের শিখা।
শক্তিশালী সান্তা আনা বাতাসের কারণে গত মঙ্গলবার দাবানলটি শুরু হয়ে এটি বৃহস্পতিবার দুর্বল হয়ে পড়েছিল। পূর্বাভাসকারীরা সতর্কতা জারি করলেও এই সপ্তাহান্তের শেষের দিকে বাতাস আবার বাড়তে পারে।
শহর ও কাউন্টি কর্মকর্তারা শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, তারা প্যালিসেডে আগুন ৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু, আলতাডেনার আগুন মাত্র ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু: গবেষণা
অল অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি মেডিকেল পরীক্ষকের কার্যালয়ের তথ্যমতে অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এসহ হতাহতের মধ্যে উপকূলে প্যালিসেডস ফায়ারে পাঁচজন এবং ইটন ফায়ার ইনল্যান্ডে ছয়জন নিহত হয়েছেন।
যদিও সঠিক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। বেসরকারি সংস্থা অ্যাকুওয়েদার ধারণা দিয়েছে যে, ক্ষতির পরিমাণ ১৩৫ কোটি থেকে ১৫০ কোটি ডলার হতে পারে। যদিও সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও কোনে সরকারি পরিসংখ্যান দেয়নি।
এই দাবানলে বাড়ি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, চার্চ ও মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাতাসের মান এবং বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। সরকার বাস্তুচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপও নিয়েছে। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও লুটপাট বন্ধে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছে। ইতোমধ্যে লুটপাটের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দাবানলে ভস্মীভূত লস অ্যাঞ্জেলেস উপকূল
৯৬ দিন আগে
দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু: গবেষণা
অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিবছর দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী ১৫ লাখেরও বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী। যা এই জাতীয় পরিবেশগত ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুতর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিগুলোকে তুলে ধরে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বার্ষিক গড়ে ১৫ লাখ ৩০ হাজার মৃত্যুর কারণ এই দাবানলে সৃষ্ট ক্ষতিকারক বায়ুদূষণ।
মৃত্যুর ঘটনাগুলোর ৯০ শতাংশ ঘটেছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। যার মধ্যে সাব-সাহারান আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও আঞ্চলিক বৈষম্য
বার্ষিক মৃত্যুর মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ কার্ডিওভাসকুলার রোগে হয়েছে। ২ লাখ ২০ হাজার মৃত্যু হয়েছে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে। দাবানলের সূক্ষ্ম বস্তুকণা হতাহতের ৭৭ দশমিক ৬ শতাংশের জন্য দায়ী। আর পৃষ্ঠের ওজোন অবশিষ্ট ২২ দশমিক ৪ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী।
গবেষণাটিতে কঠোর আঞ্চলিক বৈষম্য উঠে এসেছে। সাব-সাহারান আফ্রিকায় দাবানলের আগুন-উৎসযুক্ত বায়ু দূষণের সঙ্গে যুক্ত মৃত্যুর সর্বোচ্চ হারের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: পেরুর দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
অন্যান্য লেখকরা উল্লেখ করেছেন, ‘উষ্ণ জলবায়ুর কারণে দাবানল ক্রমবর্ধমান ঘন ঘন এবং মারাত্মক হয়ে ওঠার পাশাপাশি জলবায়ু সম্পর্কিত মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত যথেষ্ট স্বাস্থ্যের প্রভাব এবং পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
বৈশ্বিক সমর্থনের আহ্বান
গবেষণায় উচ্চ আয়ের দেশগুলোকে দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণের কারণে স্বাস্থ্যের প্রভাবগুলো কমাতে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা হিসেবে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তার পক্ষে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি মৃত্যুর হারে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য দূর করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেয়।
লেখকরা যুক্তি দেন, লক্ষ্যযুক্ত সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে ধনী দেশগুলো দরিদ্র অঞ্চলগুলোর কাঁধে থাকা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বোঝা কমাতে সহায়তা করতে পারে। যা শেষ পর্যন্ত জলবায়ু সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় আরও কার্যকর পদ্ধতিতে অবদান রাখতে পারে।
এই বিস্তৃত গবেষণায় সারা বিশ্বের গবেষকরা অবদান রেখেছেন। এটি দাবানলের কারণে বায়ু দূষণের মানবিক ব্যয়কে বোঝার এবং মোকাবিলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ক্ষেত্র তৈরি করে।
সূত্র: এজেন্সি ও অন্যান্য
আরও পড়ুন: দাবানলের কারণে ইকুয়েডরের রাজধানীতে জরুরি অবস্থা জারি
১৩৯ দিন আগে
পেরুতে দাবানলে ১৫ জনের মৃত্যু
পেরুতে ভয়াবহ দাবানলে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে গেছে তিন হাজার হেক্টরের বেশি আবাদি জমি ও বন।
সোমবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিজার ভাসকুয়েজ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর ১২৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সতর্ক থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা দেওয়া চলমান থাকবে।
গত সপ্তাহের শেষে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিভিল ডিফেন্স (ইনডেসি) জানায়, এ বছর দেশটির ২৫টি অঞ্চলের মধ্যে ২৩টিতে ২২২টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৫১টি এখনও সক্রিয়।
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখতে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের জন্য সোমবার সেসব অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়েছেন পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে।
আরও পড়ুন: এথেন্সে ভয়াবহ দাবানলে এক লাখ একর এলাকা পুড়ে ছাই
২১২ দিন আগে
চিলির দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১, নিখোঁজ ৩০০
চিলির মধ্যাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে চলা দাবানলে মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এখনও ৩০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছেন।
ভালপারাইসোর দাবানলকে ২০১০ সালে ভূমিকম্পের পর চিলির সবচেয়ে মারাত্মক বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক অঞ্চল পরিদর্শনের সময় বলেন, ২০২৩ প্যান আমেরিকান গেমসের জন্য ব্যবহৃত আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার ৯ হাজার ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পানির বিলও মওকুফ করবে।
আরও পড়ুন: চিলির ঘনবসতিপূর্ণ মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু
শুক্রবার ভিনা দেল মারের পূর্ব প্রান্তের পাহাড়ি অঞ্চলে দাবানলের সূত্রপাত হয়। শুষ্ক আবহাওয়া ও প্রবল বাতাসে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় কুইলপে ও ভিলা আলেমানা নামের অপর দুটি শহরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভিনা দেল মার ফেস্টিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
চিলির ফরেনসিক মেডিকেল সার্ভিস জানিয়েছে, দাবানল থেকে উদ্ধার করা অনেক মৃতদেহের অবস্থা খারাপ এবং শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে ফরেনসিক কর্মীরা নিখোঁজ স্বজনদের কাছ থেকে জেনেটিক নমুনা সংগ্রহ করবেন।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে সমবেদনা জানিয়েছে এবং সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। এদিকে, এক্স (সাবেক টুইট) বার্তায় বোরিক বিপর্যয়ের পর 'গুরুত্বপূর্ণ সহায়তার' জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: গ্রিসে দাবানলে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার
কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
৪৩৫ দিন আগে
চিলির ঘনবসতিপূর্ণ মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু
চিলির প্রেসিডেন্ট শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বলেছেন, চিলির মধ্যাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভয়াবহ দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তারা জানান, অন্তত ১ হাজার ১০০ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
জাতীয়ভাবে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক সতর্ক করে বলেন, ভালপারাইসো অঞ্চলে চারটি বড় ধরনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া দমকলকর্মীদের সেসব এলাকায় যেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বোরিক চিলির জনগণকে উদ্ধারকর্মীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গ্রিসে দাবানলে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘যদি আপনাকে খালি করতে বলা হয় তবে তা করতে দ্বিধা করবেন না। দাবানল দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে এবং জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এলাকাগুলোয় উচ্চ তাপমাত্রা, শক্তিশালী বাতাস ও কম আর্দ্রতা বিরাজ করছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা শনিবার বলেন, দেশের মধ্য ও দক্ষিণে ৯২টি দাবানল জ্বলছে, এই সপ্তাহে ওইসবগুলোতে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল।
দাবানলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভালপারাইসো অঞ্চলের, যেখানে কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর খালি করার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০১
মাউই দ্বীপে দাবানলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে শোক প্রকাশ করে বাইডেনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
৪৩৮ দিন আগে
গ্রিসে দাবানলে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার
গ্রিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে চলমান দাবানলে ১৮ জনের দগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে দমকলকর্মীরা। ধারণা করা হচ্ছে, তারা অভিবাসী এবং তুরস্কের সীমান্ত অতিক্রম করে দেশটিতে প্রবেশ করেছে।
আলেকজান্দ্রোপলিস শহরের কাছে কয়েকশ’ দমকল কর্মী ঝড়ো বাতাসের মধ্যে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় লাশগুলো খুঁজে পান। সোমবার গ্রিসের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে পৃথক দাবানলে ২ জন নিহত ও ২ দমকলকর্মী আহত হয়েছেন।
গরম ও গ্রীষ্মের শুষ্ক আবহাওয়ায় দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলো বিশেষত দাবানল প্রবণ। স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের তেনেরিফে এক সপ্তাহ ধরে আরেকটি বড় ধরনের দাবানল জ্বলছে, যদিও এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা ইউরোপে দাবানলের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এবং তীব্রতার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে ২০১৭ সালের পরে দাবানলের ক্ষয়ক্ষতির জন্য ২০২২ ছিল দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ বছর।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে দাবানলে ৫৩ জনের মৃত্যু: গভর্নর
দমকল বিভাগের মুখপাত্র আইওনিস আর্তোপিওস বলেন, দেশটির পুলিশ ডিজাস্টার ভিকটিম আইডেন্টিফিকেশন টিমকে সক্রিয় করে। এরপরই আভান্তাস এলাকায় একটি খুপরির কাছে ১৮ জনের লাশ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আশেপাশের এলাকা থেকে কোনো নিখোঁজ ব্যক্তি বা নিখোঁজ বাসিন্দাদের খবর পাওয়া যায়নি, তাই এই সম্ভাবনাটি তদন্ত করা হচ্ছে যে তারা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছিলেন।’
আলেকজান্দ্রোপলিস তুরস্কের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং আফ্রিকার দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের জন্য প্রায়শই এই পথ বেঁছে নেওয়া হয়।
গ্রিসের প্রেসিডেন্ট ক্যাটরিনা সাকেলারোপোলু এক বিবৃতিতে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
দাবানলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অন্ধকার বাস্তবতা যেন নতুন স্বাভাবিকতায় পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে আমাদের জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০১
মাউই দ্বীপে দাবানলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে শোক প্রকাশ করে বাইডেনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
৬০৩ দিন আগে