দাবানল
দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু: গবেষণা
অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিবছর দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী ১৫ লাখেরও বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী। যা এই জাতীয় পরিবেশগত ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুতর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিগুলোকে তুলে ধরে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বার্ষিক গড়ে ১৫ লাখ ৩০ হাজার মৃত্যুর কারণ এই দাবানলে সৃষ্ট ক্ষতিকারক বায়ুদূষণ।
মৃত্যুর ঘটনাগুলোর ৯০ শতাংশ ঘটেছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। যার মধ্যে সাব-সাহারান আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও আঞ্চলিক বৈষম্য
বার্ষিক মৃত্যুর মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ কার্ডিওভাসকুলার রোগে হয়েছে। ২ লাখ ২০ হাজার মৃত্যু হয়েছে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে। দাবানলের সূক্ষ্ম বস্তুকণা হতাহতের ৭৭ দশমিক ৬ শতাংশের জন্য দায়ী। আর পৃষ্ঠের ওজোন অবশিষ্ট ২২ দশমিক ৪ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী।
গবেষণাটিতে কঠোর আঞ্চলিক বৈষম্য উঠে এসেছে। সাব-সাহারান আফ্রিকায় দাবানলের আগুন-উৎসযুক্ত বায়ু দূষণের সঙ্গে যুক্ত মৃত্যুর সর্বোচ্চ হারের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: পেরুর দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
অন্যান্য লেখকরা উল্লেখ করেছেন, ‘উষ্ণ জলবায়ুর কারণে দাবানল ক্রমবর্ধমান ঘন ঘন এবং মারাত্মক হয়ে ওঠার পাশাপাশি জলবায়ু সম্পর্কিত মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত যথেষ্ট স্বাস্থ্যের প্রভাব এবং পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
বৈশ্বিক সমর্থনের আহ্বান
গবেষণায় উচ্চ আয়ের দেশগুলোকে দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণের কারণে স্বাস্থ্যের প্রভাবগুলো কমাতে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা হিসেবে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তার পক্ষে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি মৃত্যুর হারে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য দূর করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেয়।
লেখকরা যুক্তি দেন, লক্ষ্যযুক্ত সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে ধনী দেশগুলো দরিদ্র অঞ্চলগুলোর কাঁধে থাকা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বোঝা কমাতে সহায়তা করতে পারে। যা শেষ পর্যন্ত জলবায়ু সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় আরও কার্যকর পদ্ধতিতে অবদান রাখতে পারে।
এই বিস্তৃত গবেষণায় সারা বিশ্বের গবেষকরা অবদান রেখেছেন। এটি দাবানলের কারণে বায়ু দূষণের মানবিক ব্যয়কে বোঝার এবং মোকাবিলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ক্ষেত্র তৈরি করে।
সূত্র: এজেন্সি ও অন্যান্য
আরও পড়ুন: দাবানলের কারণে ইকুয়েডরের রাজধানীতে জরুরি অবস্থা জারি
৩ সপ্তাহ আগে
পেরুতে দাবানলে ১৫ জনের মৃত্যু
পেরুতে ভয়াবহ দাবানলে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে গেছে তিন হাজার হেক্টরের বেশি আবাদি জমি ও বন।
সোমবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিজার ভাসকুয়েজ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর ১২৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সতর্ক থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা দেওয়া চলমান থাকবে।
গত সপ্তাহের শেষে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিভিল ডিফেন্স (ইনডেসি) জানায়, এ বছর দেশটির ২৫টি অঞ্চলের মধ্যে ২৩টিতে ২২২টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৫১টি এখনও সক্রিয়।
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখতে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের জন্য সোমবার সেসব অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়েছেন পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে।
আরও পড়ুন: এথেন্সে ভয়াবহ দাবানলে এক লাখ একর এলাকা পুড়ে ছাই
৩ মাস আগে
চিলির দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১, নিখোঁজ ৩০০
চিলির মধ্যাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে চলা দাবানলে মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এখনও ৩০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছেন।
ভালপারাইসোর দাবানলকে ২০১০ সালে ভূমিকম্পের পর চিলির সবচেয়ে মারাত্মক বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক অঞ্চল পরিদর্শনের সময় বলেন, ২০২৩ প্যান আমেরিকান গেমসের জন্য ব্যবহৃত আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার ৯ হাজার ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পানির বিলও মওকুফ করবে।
আরও পড়ুন: চিলির ঘনবসতিপূর্ণ মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু
শুক্রবার ভিনা দেল মারের পূর্ব প্রান্তের পাহাড়ি অঞ্চলে দাবানলের সূত্রপাত হয়। শুষ্ক আবহাওয়া ও প্রবল বাতাসে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় কুইলপে ও ভিলা আলেমানা নামের অপর দুটি শহরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভিনা দেল মার ফেস্টিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
চিলির ফরেনসিক মেডিকেল সার্ভিস জানিয়েছে, দাবানল থেকে উদ্ধার করা অনেক মৃতদেহের অবস্থা খারাপ এবং শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে ফরেনসিক কর্মীরা নিখোঁজ স্বজনদের কাছ থেকে জেনেটিক নমুনা সংগ্রহ করবেন।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে সমবেদনা জানিয়েছে এবং সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। এদিকে, এক্স (সাবেক টুইট) বার্তায় বোরিক বিপর্যয়ের পর 'গুরুত্বপূর্ণ সহায়তার' জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: গ্রিসে দাবানলে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার
কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
১০ মাস আগে
চিলির ঘনবসতিপূর্ণ মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু
চিলির প্রেসিডেন্ট শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বলেছেন, চিলির মধ্যাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভয়াবহ দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তারা জানান, অন্তত ১ হাজার ১০০ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
জাতীয়ভাবে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক সতর্ক করে বলেন, ভালপারাইসো অঞ্চলে চারটি বড় ধরনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া দমকলকর্মীদের সেসব এলাকায় যেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বোরিক চিলির জনগণকে উদ্ধারকর্মীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গ্রিসে দাবানলে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘যদি আপনাকে খালি করতে বলা হয় তবে তা করতে দ্বিধা করবেন না। দাবানল দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে এবং জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এলাকাগুলোয় উচ্চ তাপমাত্রা, শক্তিশালী বাতাস ও কম আর্দ্রতা বিরাজ করছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা শনিবার বলেন, দেশের মধ্য ও দক্ষিণে ৯২টি দাবানল জ্বলছে, এই সপ্তাহে ওইসবগুলোতে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল।
দাবানলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভালপারাইসো অঞ্চলের, যেখানে কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর খালি করার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০১
মাউই দ্বীপে দাবানলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে শোক প্রকাশ করে বাইডেনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
১০ মাস আগে
গ্রিসে দাবানলে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার
গ্রিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে চলমান দাবানলে ১৮ জনের দগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে দমকলকর্মীরা। ধারণা করা হচ্ছে, তারা অভিবাসী এবং তুরস্কের সীমান্ত অতিক্রম করে দেশটিতে প্রবেশ করেছে।
আলেকজান্দ্রোপলিস শহরের কাছে কয়েকশ’ দমকল কর্মী ঝড়ো বাতাসের মধ্যে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় লাশগুলো খুঁজে পান। সোমবার গ্রিসের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে পৃথক দাবানলে ২ জন নিহত ও ২ দমকলকর্মী আহত হয়েছেন।
গরম ও গ্রীষ্মের শুষ্ক আবহাওয়ায় দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলো বিশেষত দাবানল প্রবণ। স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের তেনেরিফে এক সপ্তাহ ধরে আরেকটি বড় ধরনের দাবানল জ্বলছে, যদিও এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা ইউরোপে দাবানলের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এবং তীব্রতার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে ২০১৭ সালের পরে দাবানলের ক্ষয়ক্ষতির জন্য ২০২২ ছিল দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ বছর।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে দাবানলে ৫৩ জনের মৃত্যু: গভর্নর
দমকল বিভাগের মুখপাত্র আইওনিস আর্তোপিওস বলেন, দেশটির পুলিশ ডিজাস্টার ভিকটিম আইডেন্টিফিকেশন টিমকে সক্রিয় করে। এরপরই আভান্তাস এলাকায় একটি খুপরির কাছে ১৮ জনের লাশ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আশেপাশের এলাকা থেকে কোনো নিখোঁজ ব্যক্তি বা নিখোঁজ বাসিন্দাদের খবর পাওয়া যায়নি, তাই এই সম্ভাবনাটি তদন্ত করা হচ্ছে যে তারা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছিলেন।’
আলেকজান্দ্রোপলিস তুরস্কের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং আফ্রিকার দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের জন্য প্রায়শই এই পথ বেঁছে নেওয়া হয়।
গ্রিসের প্রেসিডেন্ট ক্যাটরিনা সাকেলারোপোলু এক বিবৃতিতে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
দাবানলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অন্ধকার বাস্তবতা যেন নতুন স্বাভাবিকতায় পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে আমাদের জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০১
মাউই দ্বীপে দাবানলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে শোক প্রকাশ করে বাইডেনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
১ বছর আগে
মাউই দাবানলে প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে ভয়াবহ দাবানলে প্রাণহানি ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান স্থানীয় সময় বুধবার(১৬ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-এর নিকট এই চিঠি হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘গোপন তথ্য’ কারা ফাঁস করেছে তা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি: মোমেন
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমি আপনার প্রতি, ও আপনার মাধ্যমে নিহত ও আহতদের পরিবার এবং এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমাদের গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা এবং নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
তিনি বলেন মাউয়ের এই মর্মান্তিক ঘটনা আমাদেরকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা এবং এই ধরনের দুর্যোগের সময় দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাসের গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ আপনার এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের পাশে আছি। আপনাদের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে সমর্থন ও সংহতি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির হাজার বছরের ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে: মোমেন
১ বছর আগে
মাউই দাবানল: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯
ঐতিহাসিক মাউই শহর বিধ্বংসী দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯ জনে পৌঁছেছে। তবে নিহতদের লাশ অনুসন্ধান এবং শনাক্ত করার প্রচেষ্টা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি সবচেয়ে মারাত্মক দাবানল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
মাউই পুলিশ প্রধান জন পেলেটিয়ার বলেছেন, কুকুরের অনুসন্ধানী দল ওই অঞ্চলের মাত্র তিন শতাংশ এলাকায় অনুসন্ধান করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৫ বর্গমাইল এলাকায় অনুসন্ধান চালাতে হবে, যেখানে আমাদের প্রিয়জনের কেউ থাকতে পারে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে আমাদের কেউই এটির সত্যিকার আকার বা পরিধি জানি না।’
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী শহরে দাবানল, পালিয়েছে শত শত মানুষ
তিনি বলেন, ফেডারেল জরুরি সেবা কর্মীদের তোলা ছবিতে লাহাইনার ধ্বংসস্তুপের দৃশ্যে ধরা পড়ে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দলগুলো উজ্জ্বল কমলা ক্রস চিহ্ন দিয়ে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করেছে । যখন তারা মানুষের দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছে তখন ‘এইচআর’ চিহ্ন দিয়েছেন।
পেলেটিয়ার বলেন, মৃতদের শনাক্ত করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কারণ যখন কোনো দেহাবশেষ খুঁজে তাদের তুলে নিই, তখন সেগুলোর শরীর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অধিকাংশ দেহাবশেষ গলিত ধাতুর মতো অবস্থায় পাওয়া যাচ্চে। এখন পর্যন্ত দুইজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কুকুরগুলো ধ্বংসস্তূপে কাজ করেছিল এবং তারা মাঝে মাঝে একটি সম্ভাব্য মৃতদেহ সম্পর্কে তাদের হ্যান্ডলারদের সতর্ক করছিল।
শনিবার গভর্নমেন্ট জশ গ্রিন ঐতিহাসিক ফ্রন্ট স্ট্রিটের বিধ্বংসী এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বলেন , ‘এটি অবশ্যই সবচেয়ে খারাপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এর আগে হাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি। আমরা কেবল অপেক্ষা করতে পারি এবং যারা বেঁচে আছে তাদের সমর্থন করতে পারি। আমারা এখন উদ্ধার করা লোকদের তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে এবং তাদের আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবার দিকে গুরুত্ব দেব।’
গ্রিন বলেন, পশ্চিম মাউইতে কমপক্ষে ২ হাজার ২০০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। যার মধ্যে ৮৬ শতাংশই আবাসিক।
তিনি আরও বলেন, দ্বীপটিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬ বিলিয়ন। এটি পুনরুদ্ধার করতে ‘অবিশ্বাস্য পরিমাণে সময়’ লাগবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর আগেও মাউই কমপক্ষে দুবার আগুনে পুড়েছে। তবে সেগুলোতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় চতুর্থটি লাহাইনার উত্তরে একটি উপকূলীয় সম্প্রদায় কানাপালিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তবে ক্রুরা এটি নিভিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে দাবানলে ৫৩ জনের মৃত্যু: গভর্নর
গ্রিন বলেন, আপকান্ট্রিতে অগ্নিকাণ্ডে ৫৪৪টি কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৯৬ শতাংশই আবাসিক।
মাউইতে জরুরি ব্যবস্থাপকরা তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের থাকার জায়গাগুলো সন্ধান করছিলেন। ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি এবং প্যাসিফিক ডিজাস্টার সেন্টারের পরিসংখ্যানকে উদ্ধৃত করে কাউন্টি কর্মকর্তারা শনিবারের প্রথম দিকে ফেসবুকে বলেছেন, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষের আশ্রয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের পরিবার সহায়তা কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করেন।
পেলেটিয়ার বলেছেন, ‘আপনাদের স্বজনদের শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।’
অবসরপ্রাপ্ত দমকল কর্মী ক্যাপ্টেন জিওফ বোগার এবং তার ৩৫ বছরের বন্ধু ফ্র্যাঙ্কলিন ট্রেজোস লাহাইনায় অন্যদের সাহায্য করতে এবং বোগারের বাড়ি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিকালের দিকে আগুনের শিখা যতই কাছে চলে আসরে তারা বুঝতে পারেন, তাদের বের হতে হবে। এজন্য প্রত্যেকে নিজ নিজ গাড়িতে পালিয়ে যান। কিন্তু বোগারের গাড়ি চালু হচ্ছিল না। তখন তিনি একটি জানালা ভেঙে বেরিয়ে পড়েন। তারপর মাটিতে হামাগুড়ি বেরোনোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পুলিশ টহল তাকে খুঁজে পায় এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ট্রেজোস ভাগ্যবান ছিল না। পরের দিন যখন বগার ফিরে আসেন, তখন তিনি তার গাড়ির পেছনের সিটে তার ৬৮ বছর বয়সী বন্ধুর হাড় দেখতে পান। উদ্ধারকারীরা দেখতে পায় বোগারের প্রিয় ৩ বছর বয়সী কুকুর স্যামের দেহাবশেষের উপরে পড়ে আছেন তিনি। তিনি রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন।
সদ্য প্রকাশিত মৃতের সংখ্যা উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৮ সালের ক্যাম্প ফায়ারের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। এবারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫ জনে এবং ধ্বংস করেছে প্যারাডাইস শহরকে। এক শতাব্দী আগে ১৯১৮ সালের ক্লোকেট অগ্নিকাণ্ডে উত্তর মিনেসোটাতে ছড়িয়ে পড়ে এবং বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস করে এবং শত শত মানুষ নিহত হয়।
দাবানলগুলো কয়েক দশকের মধ্যে রাজ্যের সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যা ১৯৬০ সালের সুনামিতে ৬১ জনের মৃত্যুকেও ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৪৬ সালে আরও একটি মারাত্মক সুনামিতে বিগ আইল্যান্ডে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। একটি অঞ্চল জুড়ে মাসব্যাপী সাইরেন বাজানোসহ জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থা জারি করা হয়েছিল।
হাওয়াই ফায়ারফাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ববি লি বলেন, ৬৫টি কাউন্টির ফায়ারফাইটার কাজ করছে, যারা মাউই, মোলোকাই ও লানাই দ্বীপে কর্মরত।
গ্রিন বলেন, কর্মকর্তারা নিরাপত্তা উন্নত করতে নীতি ও পদ্ধতি পর্যালোচনা করবেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ জিজ্ঞাসা করেছে কেন এমন হলো, কী ঘটছে তা পর্যালোচনা করছি। এর কারণ হলো বিশ্ব পরিবর্তিত হয়েছে। একটি ঝড় এখন হারিকেন-আগুন বা অগ্নি-হারিকেন হতে পারে।’ ‘এটিই আমরা অনুভব করেছি, তাই আমরা কীভাবে আমাদের জনগণকে সর্বোত্তমভাবে রক্ষা করতে পারি তা খুঁজে বের করার জন্য আমরা এই নীতিগুলো অনুসন্ধান করছি।’
আরও পড়ুন: তাপ, দাবানল ও বন্যা গ্রীষ্মকে ‘তীব্র গরম’ করে তুলেছে
১ বছর আগে
হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে দাবানলে ৫৩ জনের মৃত্যু: গভর্নর
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মাউই শহরে দাবানলে পুড়ে কমপক্ষে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) এ তথ্য নিশ্চিত করে হাওয়াইয়ের গভর্নর জোশ গ্রিন বলেন, ‘কয়েকটি জায়গা ছাড়া পুরো লাহাইনা পুড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, আগুনে এক হাজারেরও বেশি স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে, সেগুলো এখনও জ্বলছে।
গ্রিন আরও বলেন, আমরা মর্মাহত। ১৯৬০ সালের সুনামিতে বিগ আইল্যান্ডে ৬১ জন নিহত হওয়ার পর এটিই দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সরকারি হিসাবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫৩। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) উত্তপ্ত গ্রীষ্মকাল এবং একটি ক্ষণস্থায়ী হারিকেনের প্রবল বাতাস থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মাউইবাসীকে অবাক করে দিয়ে মুহূর্তে দ্বীপের বাড়িঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৮ সালের ক্যাম্প ফায়ারের পর থেকে এটি দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল। ২০১৮ সালে কমপক্ষে ৮৫ জন নিহত হয় এবং প্যারাডাইস শহর ধ্বংস হয়ে যায়।
হাওয়াই ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির মুখপাত্র অ্যাডাম ওয়েইনট্রাব বলেছেন, ‘আমরা এখনও জীবন বাঁচানোর চেষ্টায় আছি। অনুসন্ধান ও উদ্ধার আমাদের অগ্রাধিকার।’
আরও পড়ুন: চলতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাবদাহে ১৪৭ জনের মৃত্যু
ওয়েইনট্রাব আরও বলেন, ফায়ার লাইনগুলো নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধারকারী দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ভেতরে ঢুকতে পারবে না।
বস্কো বে নামে লাহাইনার এক বাসিন্দা মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার প্রায় প্রতিটি ভবনে আগুন জ্বলছে, বাতাসের মধ্যে স্ফুলিঙ্গ ছুটে আসছে।
বে বলেন, তিনি দ্বীপের বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে একজন। তিনি দ্বীপের প্রধান বিমানবন্দরে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন তিনি বাড়ি ফেরার অনুমতির অপেক্ষায় আছেন।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা গুয়াতেমালার ৩১ বছর বয়সী বাবুর্চি মার্লন ভাসকেজ জানান, তিনি যখন ফায়ার অ্যালার্ম শুনতে পান, তখন আর গাড়ি নিয়ে পালানোর সুযোগ ছিল না।
তিনি বলেন, ‘আমি দরজা খুলে দেখি আগুন প্রায় আমার উপরে ছিল।’
বর্তমানে তিনি একটি জিমনেসিয়ামের পরিত্যক্ত একটি ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দৌড়ে পালিয়েছিলাম। প্রায় সারারাত এবং পরের দিন পর্যন্ত আমরা দৌড়েছি। কারণ আগুন তখনও থামেনি।’
লাহাইনার বাসিন্দা কামুয়েলা কাওয়াকোয়া ও আইউলিয়া ইয়াসো দম্পতি ধোঁয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের পালানোর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।
তারা জানান, তাদের ৬ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে তারা সুপারমার্কেটে গিয়েছিলেন। সেখানে আগুন দেখে দ্রুত তাদের অ্যাপার্টমেন্টে ফেরেন তারা। এসময় তাদের চারপাশের ঝোপগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তারা দ্রুত পোশাক পরিবর্তন করে দৌড়ানো শুরু করেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
বৃহস্পতিবার চেলসি ভিয়েরার নামক এক বাসিন্দা জানান, সে ও তার দাদি লুইস আবিহাই হেল মাওলুতে বাস করতেন। সে আগুন থেকে পালাতে পারলেও তার দাদির কী হয়েছে তা তিনি জানেন না। দাদির বয়স ৯৭ বছর।
তিনি বলেন, মানুষ ওই দ্বীপে বসবাসরত স্বজনদের খুঁজছে এবং হাসপাতালে ফোন করছেন। আমার কাছে ফোন নেই, তাই পরিবারকেও জানাতে পারছি যে আমি নিরাপদে আছি।
তিনি বলেন, ‘তিনি (দাদি) কোথায় গেছেন, কোথায় খোঁজ করব বা কাকে জিজ্ঞাসা করব আমি জানি না।’
৯১১, ল্যান্ডলাইন ও সেলুলার পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় দ্বীপে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। মাউয়ের কিছু অংশেও বিদ্যুৎ চলে গেছে।
রাজ্য পরিবহন পরিচালক অ্যাড স্নিফেন জানান, দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার মাউইয়ের প্রায় ১১ হাজার অধিবাসীকে এবং বৃহস্পতিবার কমপক্ষে ১৫০০ জনকে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা রাজধানী হনলুলুর হাওয়াই কনভেনশন সেন্টারে কয়েক হাজার মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তূত করেছে।
লাহাইনার দক্ষিণ-পূর্বের কিহেইতে বুধবার রাতেও গাছ ও বাড়িতে আগুন জ্বলতে থাকায় দ্বীপটির মাটি পর্যন্ত পুড়ে লাল হয়ে গেছে।
এই গ্রীষ্মে বিশ্বজুড়ে চরম আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ের মধ্যে এটি সর্বশেষতম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ছে।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের এনভা্য়রনমেন্টাল জিওগ্রাফি’র একজন সহযোগী অধ্যাপক টমাস স্মিথ বলেছেন, হাওয়াইতে দাবানল অস্বাভাবিক নয়। গত কয়েক সপ্তাহের আবহাওয়া একটি বিধ্বংসী দাবানলের জ্বালানি তৈরি করেছিল এবং হারিকেন ডোরা’র ফলে সৃষ্ট প্রবল বাতাস মিলে এই বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
মেয়র মিচ রথ বলেছেন, হাওয়াইয়ের বিগ আইল্যান্ডও বর্তমানে দাবানলের কবলে পড়ছে। যদিও সেখানে কোনো আহত বা ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
হাওয়াইয়ের রাজ্য প্রতিরক্ষা বিভাগের মেজর জেনারেল কেনেথ হারা বুধবার রাতে বলেছেন, তিনি কর্মকর্তাদের যোগাযোগ পুনরুদ্ধার ও খাবার পানি সরবরাহ করার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক পুনরুদ্ধারের গতি বাড়িয়েছে বেইজিং
তিনি বলেন, ন্যাশনাল গার্ড হেলিকপ্টার আগুনের উপর ১ লাখ ৫০ হাজার গ্যালন (৫ লাখ ৬৮ হাজার লিটার) পানি দিয়েছে।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, তারা ১৪ জনকে উদ্ধার করেছে যারা আগুনের শিখা ও ধোঁয়া থেকে বাঁচতে পানিতে ঝাঁপ দিয়েছিল।
মাউই কাউন্টির মেয়র রিচার্ড বিসেন জুনিয়র বুধবার বলেছেন, কর্মকর্তারা এখনও আগুনের কারণ অনুসন্ধান শুরু করেননি।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার উটাহ ভ্রমণ করে মাউই’র ঘটনাকে দেশের জন্য বড় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছেন।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছে, যাদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে; অবিলম্বে তাদের সাহায্য পৌঁছানোর বিষয়টি ফেডারেল সরকার নিশ্চিত করবে।
১ বছর আগে
গ্রিসের ১০ হাজার একরের বনাঞ্চল দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত
গ্রিসের বেসামরিক নিরাপত্তা প্রধান নিকোস হারদাইলিস বলেছেন, সাম্প্রতিক ভয়াবহ দাবানল নেভানোর যুদ্ধে তারা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। ১০ হাজার একরের বন এলাকায় টানা আট দিন ধরে চলা আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানিয়েছেন এই গ্রিক কর্মকর্তা।
হারদাইলিস জানান, মানুষ হিসেবে যা কিছু করা সম্ভব ছিল, তার সবটাই তারা করেছেন। দাবানলের কারণে প্রায় ১০ হাজার একরের বন পুড়ে গেছে এবং এই আগুন সামলানোর যুদ্ধে ফায়ার সার্ভিসের এক স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল স্থানান্তরে ধীরগতি
ইতোমধ্যে ৬০ হাজারের অধিক মানুষ ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া দুই অগ্নিনির্বাপণ কর্মী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হারদাইলিস এক সংবাদা সম্মেলনে বলেন, ‘গ্রিসের গত ৪০ বছরের ইতিহাসে এমন ভয়াবহ দাবানলের সম্মুখীন হতে হয়নি ফায়ার সার্ভিসকে। গত আটদিনে আমাদের ৫৮৬ টি জায়গার আগুন নেভাতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল কমানোর কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
১৯৮৭ সালে পর সবচেয়ে ভয়াবহ তাপদাহের মধ্যে দিয়ে গেল গ্রিস। এই তাপদাহের সর্বশেষ পরিণতি হিসেবে দেশটির বনাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে গ্রিসের পার্শ্ববর্তী দেশ তুরস্ক এবং ইটালিতেও একই তাপদাহের ফলে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বৈশ্বিক জলবায়ূর পরিবর্তনের ফলে এবছর যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চল এবং রাশিয়ার সাইবেরিয়াতেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৩ বছর আগে
ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭,৮৬০ দাবানলে এ বছর পুড়েছে ৩৪ লাখ একর বনভূমি
চলতি বছর মার্কিন যুক্তরষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭ হাজার ৮৬০টি দাবানলে ৩৪ লাখ একরের বেশি (প্রায় ১৩ হাজার ৭৫৯ বর্গ কিলোমিটার) বনভূমি পুড়ে গেছে।
৪ বছর আগে