গ্রিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে চলমান দাবানলে ১৮ জনের দগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে দমকলকর্মীরা। ধারণা করা হচ্ছে, তারা অভিবাসী এবং তুরস্কের সীমান্ত অতিক্রম করে দেশটিতে প্রবেশ করেছে।
আলেকজান্দ্রোপলিস শহরের কাছে কয়েকশ’ দমকল কর্মী ঝড়ো বাতাসের মধ্যে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় লাশগুলো খুঁজে পান। সোমবার গ্রিসের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে পৃথক দাবানলে ২ জন নিহত ও ২ দমকলকর্মী আহত হয়েছেন।
গরম ও গ্রীষ্মের শুষ্ক আবহাওয়ায় দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলো বিশেষত দাবানল প্রবণ। স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের তেনেরিফে এক সপ্তাহ ধরে আরেকটি বড় ধরনের দাবানল জ্বলছে, যদিও এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা ইউরোপে দাবানলের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এবং তীব্রতার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে ২০১৭ সালের পরে দাবানলের ক্ষয়ক্ষতির জন্য ২০২২ ছিল দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ বছর।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে দাবানলে ৫৩ জনের মৃত্যু: গভর্নর
দমকল বিভাগের মুখপাত্র আইওনিস আর্তোপিওস বলেন, দেশটির পুলিশ ডিজাস্টার ভিকটিম আইডেন্টিফিকেশন টিমকে সক্রিয় করে। এরপরই আভান্তাস এলাকায় একটি খুপরির কাছে ১৮ জনের লাশ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আশেপাশের এলাকা থেকে কোনো নিখোঁজ ব্যক্তি বা নিখোঁজ বাসিন্দাদের খবর পাওয়া যায়নি, তাই এই সম্ভাবনাটি তদন্ত করা হচ্ছে যে তারা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছিলেন।’
আলেকজান্দ্রোপলিস তুরস্কের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং আফ্রিকার দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের জন্য প্রায়শই এই পথ বেঁছে নেওয়া হয়।
গ্রিসের প্রেসিডেন্ট ক্যাটরিনা সাকেলারোপোলু এক বিবৃতিতে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
দাবানলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অন্ধকার বাস্তবতা যেন নতুন স্বাভাবিকতায় পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে আমাদের জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০১
মাউই দ্বীপে দাবানলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে শোক প্রকাশ করে বাইডেনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি