শ্বাসরোধ
সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীসহ আটক ২
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ভট্টপুর এলাকায় সালমা বেগম নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৪ মে) সকালে এলাকার পার্শবর্তী পুকুরে ভাসমান অবস্থায় ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই রিপন খান বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ নিহতের স্বামী রূপচান ও তার ভাই সুলতানকে আটক করে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই, এসআইসহ আটক ২
নিহতের বড় ভাই রিপন খান বলেন, তার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে রূপচান। হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বোন সাঁতার জানত। কীভাবে পানিতে ডুবে মারা যাবে?’
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ২০২২ সালে মেঘনা গ্রুপে চাকরির সুবাদে অন্য এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রূপচান। ওই মেয়েকে বিয়ে করার জন্য তিনি বহুবার চেষ্টা করে। কিন্তু বিষয়টি তার স্ত্রী সালমা জানার পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে কোনো এক সময় সালমা বেগমকে তার স্বামী রূপচান শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুকুরে তার লাশ ফেলে দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে তিনি পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে এলাকায় প্রচার করার চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। শুক্রবার সকালে পুলিশ নিহত ওই গৃহবধূর লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করে।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী রূপচান ও তার ভাই সুলতানকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে র্যাবের অভিযানে ‘এ্যাম্পল’ জব্দ, আটক ২
সাতক্ষীরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ বাড়ি ভাঙচুর, আটক ১৩
৬ মাস আগে
ভোটকেন্দ্রে পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশকে শ্বাসরোধে হত্যা
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র রাতে পাহারার দায়িত্বে থাকা রনজিৎ কুমার দে নামে এক গ্রাম পুলিশ সদস্যর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় পুলিশ বালিয়াকান্দি উপজেলার চর আরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের পাশের মেহগনি বাগান থেকে রনজিতের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: এনজিওর ঋণের চাপে রাবি কর্মচারীর আত্মহত্যার অভিযোগ
রনজিৎ উপজেলার চরআড়কান্দি গ্রামের মৃত শিবেন্দ্রনাথ দের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র। রঞ্জিত ওই কেন্দ্রের পাহারাদার ছিলেন। রাতে তিনি পাহারা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে আসেন। রঞ্জিতের সঙ্গে রাতে পাহারাদার হিসেবে ছিলেন বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ইউসুফ হোসেন। দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে রঞ্জিত প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের বাইরে যান। কিন্তু এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। আধা ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর ইউসুফ তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বিষয়টি তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ফোন করে জানান। এর মধ্যে ভোর পাঁচটার দিকে বিদ্যালয়ের টয়লেটের পাশে বাগানের ঝোপের মধ্যে রঞ্জিতের লাশ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে কামরাঙ্গীরচর হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা গ্রাম পুলিশ রনজিৎ কুমার দেকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গরু চুরির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
১১ মাস আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাঠ থেকে রাশেদুল ইসলাম (৪২) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে ভেড়ামারা হোসেনপুর-দলুয়া গ্রামের মধ্যবর্তী মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাশেদুল দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের গাছের দিয়াড় গ্রামের মৃত পিয়ার প্রামাণিকের ছেলে। সে ভেড়ামারায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৩৮ ঘন্টা পর মাঝির লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে একজন কৃষক মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে ওই ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ভেড়ামারা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
লাশ উদ্ধারের বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, কে বা কারা শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে লাশ মাঠে রেখে যায়।
তদন্ত চলছে, শিগগিরই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
চৌগাছায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৩জন গ্রেপ্তার
যশোরের চৌগাছায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার মুক্তদাহ গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসমত আরা (২৮) পৌরসভার (চৌগাছা) বিশ্বাসপাড়ার মশিয়ার রহমানের মেয়ে এবং মুক্তদাহ গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মজনুর রহমান মজনুর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ৯
পুলিশ জানায়, ১১ বছর আগে ইসমত আরার সঙ্গে মজনুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। শুক্রবার রাতে হত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, ইসমত আরাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, নিহতের ভাই এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়া নিয়ে পালানোর ৩২ দিন পর আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীতে পলাতক হিযবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার: র্যাব
১ বছর আগে
গাজীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে ও থেঁতলিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে ও পরে মসলা বাটার পুতা দিয়ে থেঁতলিয়ে হত্যার পর স্বামী পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) ভোরে শ্রীপুরের চন্নাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাসলিমা আক্তার (৩০) নেত্রকোণা জেলার সদর থানার গাবরাগাড়ি ইউনিয়নের পাটালি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বাবা-মেয়ে নিহত
স্বামী আল আমিন (৩৪) কুমিল্লার বুড়িচং থানার বড়বাড়ি গ্রামের গফুর মিয়া ছেলে এবং গাজীপুরে শ্রীপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করতেন।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ছয় বছর আগে প্রেম করে কুমিল্লার বুড়িচং থানার বড়বাড়ি গ্রামের গফুর মিয়া ছেলে আল আমিনের (৩৪) সঙ্গে বিয়ে হয়। পরে জীবিকার তাগিদে গাজীপুরে শ্রীপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে কাজ করতেন তারা। তাসলিমার সঙ্গে স্বামী আল-আমিনের প্রায় সময়ই নানা বিষয়ে কথা কাটাকাটি হতো।
বুধবার ভোরে তাসলিমাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পুতা দিয়ে থেঁতলিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে ফোন করে আল-আমিনের ভাইকে তাসলিমার অসুস্থতার কথা জানালে তাৎক্ষণিকভাবে রুমের সামনে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দিলে বন্ধ দেখতে পায়। পরে দরজা ভেঙে রুমে প্রবেশ করলে তাসলিমার লাশ দেখতে পায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে স্পিনিং মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরে বিদেশি পিস্তল ও মাদক জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার নবগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৯) ওই এলাকার মৃত জেকাত সরকারের ছেলে। তিনি উল্লাপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন এবং দুই মাস পর পিআরএলে যাওয়ার কথা ছিল তার।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, চাকরির শেষ সময়ে উল্লাপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি বাসায় একাই থাকতেন। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডিউটি শেষে তিনি বাসায় যান। সকালে তিনি কর্মস্থলে না আসায় দুপুরের দিকে বাসায় খোঁজ নিতে গেলে ঘরের দরজা খোলা দেখা যায়। পরে শোয়ার ঘরে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় মোয়াজ্জেম হোসেনের লাশ দেখতে পায় পুলিশ।
ওসি আরও জানান, এটা পরিস্কার হত্যাকাণ্ড। রবিবার রাত থেকে সকালের মধ্যে তাকে কে বা কারা গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া নিহতের লাশ উদ্ধার করে করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম মণ্ডল বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) জানিয়েছেন, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ঋণের চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আটক ১
১ বছর আগে
লক্ষ্মীপুরে স্বামী হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর ১০ বছরের কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত আমেনা রায়পুর উপজেলার বামনী ইউপি’র বামনী গ্রামের মমিনুল হকের মেয়ে। তার স্বামীর বাড়িও একই এলাকায়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ মার্চ রাতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে স্বামী সহিদ হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্ত্রী আমেনা বেগম। বিষয়টি গোপন রেখে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় আমেনা। দাফনের জন্য গোসল করাতে নিলে গলায় আঁচড়ের দাগ দেখে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয় পরিবারের লোকজন। পরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে।
এদিকে এ ঘটনায় সহিদের বড় ভাই আব্দুল আলী খোকন বাদী হয়ে আমেনা বেগমকে আসামি করে ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া এ ঘটনায় একই বছরের ২৩ মে আদালতে তদন্তপত্র দাখিল করে পুলিশ।
জানা গেছে, এর আগে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল পুলিশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসে। এতে সহিদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে প্রমাণ পাওয়া যায় বলে দাবী পুলিশের।
পারিবারিক কলহের জেরে মুখ চেপে ধরে আমেনা সহিদকে হত্যা করে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয় পুলিশের প্রতিবেদনে।
পুলিশ জানান, দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আমেনার বিরুদ্ধে রায় দেন। সহিদ জীবিত থাকা অবস্থায় তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। তার মৃত্যুর সময় আমেনা গর্ভবতী ছিলেন।
পরে আমেনা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ১৬ মাস বয়সী মেয়ে ফাতেমা আক্তার মারিয়াকে নিয়েই তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: দোষ স্বীকার করায় কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কারাদণ্ড
ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
কক্সবাজারে ডাকাতদের হাতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক খুন
কক্সবাজারের রামুতে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে খুন করে দু’টি গরু লুট করেছে ডাকাত দল। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতদের চিনে ফেলায় ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মীর কাশেম ওই এলাকার মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে।
লুট হওয়া গরু দু’টির মালিক মোহাম্মদ আলী জানান, রাত ৩টার দিকে তার গোয়াল ঘরে থাকা সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাত দল। তার মেয়ে রাতে দেখতে পান গোয়ালঘর খালি। এসময় বাড়িতে থাকা জামাই ফারুকসহ পরিবারের সদস্যরা ছুটাছুটি শুরু করে। প্রধান সড়কে গিয়ে দেখতে পান ডাকাত দল সাতটি গরু গাড়িতে তুলতে শুরু করে। এসময় তারা গরুগুলো কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। তখন ডাকাতরা ফারুককে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তা লক্ষভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান ফারুক।
তিনি আরও জানান, নিহত মীর কাশেম তার ভাতিজা। রাতে ঘটনার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয়রা মীর কাসেমের মৃতদেহ পাশ্ববর্তী সবজি ক্ষেতে দেখতে পান। রাতে ডাকাতির সময় মীর কাশেম দেখে ফেলায় ডাকাতরা তাকে শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং হাত-পা-মুখ বেঁধে সেখানে ফেলে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ
গরু লুট করতে আসা ডাকাতরাই মীর কাশেমকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন মোহাম্মদ আলী।
সকালে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী ঘটনাস্থলে যান। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গৃহকর্তার ছেলে তারেক ও মেয়ে শামীমা আকতার অভিযোগ করেন যে ডাকাতি চলাকালে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহায়তা চাইলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে ১ ঘন্টারও বেশি সময় পরে। অথচ থানা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। দেরিতে আসার পরও পুলিশের এক কর্মকর্তা বাড়ির সদস্যদের ৯৯৯-এ কল করায় তাদের বকাঝকা করেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, চুরি হলে আমরা কি করবো, ডাকাতি হলে আসতাম। এসময় স্কুলছাত্রী শামীমাকে উদ্দেশ্য করে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তুমি ক্লাস নাইনে পড়, নাইন বানান জানো?
তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম তারা জানাতে পারেননি। সকাল ১০টায় থানায় যোগাযোগ করতে বলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আলম জানান, রাতে গরু ডাকাতির সময় মীর কাশেম দেখে ফেলে। মীর কাশেম মানসিক ভারসাম্যহীন। সে অপরিচিত লোকজন দেখলে চিল্লাচিল্লি করে। তাছাড়া গভীর রাত হওয়ায় সে হয়তো চিৎকার দিতে চেয়েছিল। এজন্য ডাকাতরা তাকে মারধর করে এবং হাত-পা-মুখ বেঁধে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিদেশি অস্ত্রসহ ৬ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
মোহাম্মদ আলীর জামাই ফারুক জানান, গরুগুলো গাড়িতে তোলার সময় দুজন ডাকাত তাকে মারধর শুরু করে এবং তাকেও বেঁধে রাখার চেষ্টা চালায়। এসময় তিনি একজনকে ধরে রাখলে আরও চারজন ডাকাত এসে তাকে মারধর করে এবং এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লেও তিনি প্রাণে রক্ষা পান। পরে বড়সড় দুটি গরু নিয়ে ডাকাতরা গাড়িযোগে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন জানান, যে মারা গেছে সে মানসিক রোগী। গরু ডাকাতি হয়েছে রাতে, আর তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে সকালে। বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, রামুতে সাম্প্রতিক সময়ে গরু ডাকাতির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঁচদিন পূর্বে রাজারকুল ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকার নুরুল হকের বাড়িতেও ডাকাত দল হানা দিয়ে চারটি গরু লুট করেছে। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
হাটহাজারীতে নারীকে শ্বাসরোধ ও ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ ও ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা করার অভিযোগে স্বামী মো. মোজাম্মেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে র্যাব-৭ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পিকনিক বাসের ২ যাত্রী নিহত
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, উক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড থানাধীন ভাটিয়ারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান মোজাম্মেল হোসেন (৪০)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মোজাম্মেল সাতকানিয়া থানার কেউচিয়া এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, প্রায় দুই বছর আগে নিহত ভুক্তভোগী লাকির সঙ্গে মোজাম্মেল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং পরিবারের লোকজনকে না জানিয়ে তারা বিয়ে করে চট্টগ্রাম শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকে।
লাকি হাটহাজারীর মেখল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কাইয়ুম মেম্বারের বাড়ির মৃত ফজল করিমের মেয়ে।
জানা গেছে, কিছুদিন যেতেই পারিবারিক কলহের জের ধরে লাকি একা তার ভাইয়ের বাড়িতে চলে আসে এবং পারিবারের লোকদেরকে জানায় তার স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছে।
২ বছর আগে
৪ বছরের মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে থানায় মায়ের আত্মসমর্পণ!
জয়পুরহাট শহরে চার বছর বয়সী নিজ শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন এক মা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জয়পুরহাট পৌরশহরের বারিধারা মহল্লায় একটি ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
মা মৌমিতা পাল সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নয়ন কুমার পালের স্ত্রী। তারা শহরের বারিধারা মহল্লায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সিরাজুল ইসলাম জানান, মা মৌমিতা পাল পারিবারিক নির্যাতনসহ নানা কারণে মানসিক হতাশায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তার স্বামী নয়ন কুমার পাল তার কর্মস্থলে (সোনালী ব্যাংক পাঁচবিবি শাখা ) গেলে স্ত্রী মৌমিতা পাল বাসায় মোবাইল চার্জারের তার দিয়ে মেয়ে কনিকা পাল ওরফে হিয়ার গলায় ফাঁস দিয়ে (প্যাচ দিয়ে) হত্যা করে।
পরে তিনি নিজেই থানায় এসে হত্যার বিষয়টি পুলিশকে জানায় এবং আত্মসমর্পণ করেন।
এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে ২ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা, আটক ২
কুড়িগ্রামে আম গাছের ডাল কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাই-বোনকে পিটিয়ে হত্যা
২ বছর আগে