খুচরা
মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের ফলে মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্ত:মন্ত্রণালয় সমন্বয় সভায় খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ এর বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে। এই আইন হলে ছাটাই করে চালের পুষ্টিকর অংশ বাদ দেওয়া বন্ধ হবে। পাশাপাশি বস্তার গায়ে মিলগেটের দাম, ধানের জাত এবং উৎপাদন তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
আরও পড়ুন: আইন মেনে ব্যবসা না করলে সরকার কঠোর হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন সকল পর্যায়ে ব্যাবসায়ীদের লাভ করার প্রবণতা খুব বেশি।
খুচরা বিক্রেতা কেজি প্রতি ৪-৫ পাঁচ টাকা লাভ করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিলগেট আর খুচরা বাজারে দামের বিস্তর ফারাক।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসবেন, আমরা আশা করছি তার আগেই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত অর্ডার (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা সাধারণ মানুষের কাছে দৃশ্যমান করতে হবে। রমজানের আগে নিত্যপণ্যের সরবরাহ নির্বিঘ্ন করে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেন, আমরা কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে কাজ করছি। অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা হবে। বস্তার গায়ে মিলগেট চালের মূল্য লেখা থাকলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে: খাদ্যমন্ত্রী
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
৮ মাস আগে
সিলেটে আলুর কেজি ৮০ টাকা
সিলেটে আলুর দাম কেজিতে ৮০ টাকা হয়েছে। বাজারে নতুন আলু আসার পরও দামবৃদ্ধির জন্য আমদানি বন্ধকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বাজারে নামবেন বলে জানিয়েছেন বাজার মনিটরিং টিম।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ইউএনবির সিলেট প্রতিনিধি দেখতে পান, নতুন আলু ৭০-৭৫ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে ৮০ টাকার নিচে মিলছে না আলু।
আরও পড়ুন: আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে অর্ধেক দামে ডাল-তেল, আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি
ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি মাসের ১৫ ডিসেম্বর থেকে আলু আমদানির অনুমতিপত্র-আইপি ইস্যু বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, এরপরই সক্রিয় হয়ে উঠে সিন্ডিকেট। বাড়তে থাকে আলুর দর। নগরীর পাইকারী বাজারে আলুর কেজি মান ভেদে ৬০-৬৫ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকার আশেপাশে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা জ্যৈষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘হঠাৎ করে আলুর দাম বেড়েছে। বাজারে ৬৫ থেকে ৭০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা এর কারণ খুঁজছি। সোমবার বড়দিনের সরকারি ছুটি ছিল। মঙ্গলবার বাজার মনিটরিংয়ে নেমে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানব।’
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে পেঁয়াজ-আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
১০ মাস আগে
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ল, কার্যকর ১ ফেব্রুয়ারি
পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, যা কার্যকর হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
বিদ্যুৎ বিভাগ প্রশাসনিক আদেশ ও পৃথক দুটি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই দাম বৃদ্ধি করেছে।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, ভোক্তাদের বিভিন্ন স্তরে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়। নিম্ন স্তরের গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট (প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা) তিন দশমিক ৯৪ টাকা থেকে গড়ে পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে চার দশমিক ১৪ টাকা করা হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে ইউনিট প্রতি ছয় দশমিক ২০ টাকা থেকে আট দশমিক ০৬ শতাংশ বাড়িয়ে ছয় দশমিক ৭০ টাকা করা হয়েছে।
পাইকারি দাম বাড়ানোর অর্থ হলো যে বিতরণ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে ইউনিট প্রতি শূন্য দশমিক ৫০ টাকা হারে বিদ্যুৎ কিনবে এবং খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য বর্ধিত হারে বিদ্যুৎ ক্রয় করতে হবে।
আরও পড়ুন: গণশুনানি ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের জন্য সংসদে বিল পেশ
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি করে সরকার। সে সময় সব গ্রাহকের গড় দাম ৭ দশমিক ১৩ টাকা থেকে বেড়ে শূন্য দশমিক ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে সাত দশমিক ৪৯ টাকা হয়।
গত ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা করে।
সরকার সম্প্রতি বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) আইন সংশোধন করে বিদ্যুৎ বিভাগকে যেকোনো সময় প্রশাসনিক ক্ষমতা দিয়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম জ্বালানি উত্তোলনের ক্ষমতা দিয়েছে।
ওই সংশোধিত আইন প্রয়োগ করে জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য গত ৩০ জানুয়ারি নতুন গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এদিকে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনেই এই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা সম্প্রতি বাংলাদেশকে চার দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়াবে সরকার
বিদ্যুৎ ও বিদ্যুতের দামের মাসিক সমন্বয় নিয়ে সরকার ভাবছে: নসরুল হামিদ
১ বছর আগে
সয়াবিন তেল: বাজারে দাম কমার কোন প্রভাব নেই
এখনও আগের দামেই লিটারপ্রতি ১৯২ টাকা দামে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন বাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আগে যে দামে কেনা হয়েছিল, মঙ্গলবার তারা সেই দামে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। তাই বাজারে কম দামে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রূপক সাহা ইউএনবিকে বলেন, সরবরাহ চেইনের সমস্যার কারণে কম দামে সয়াবিন তেল পেতে আগামী দুই দিন সময় লাগবে।
রিফাইনাররা মঙ্গলবার (আজ) থেকে খোলা ও বোতলজাত তেলের শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিলেও এখনও বোতলজাত তেল লিটারপ্রতি ১৯২ টাকা এবং খোলা তেল লিটারপ্রতি ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমল
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, সয়াবিন তেলের নতুন দাম নিশ্চিত করতে তাদের মনিটরিং টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে ইতোমধ্যেই মিল গেটে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে এবং এটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরবিএমএ) সোমবার থেকে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫৮ টাকা, বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৮ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম হবে ৮৮০ টাকা।
আরও পড়ুন: প্রতিকেজি পাম তেলের দাম ১২ টাকা ও চিনির দাম ৬ টাকা কমল
কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
আড়তের ৭০ টাকার আম খুচরায় ২০০ টাকা!
খুলনার বাজারে উঠেছে মৌসুমি ফল আম। সাতক্ষীরা অঞ্চলে উৎপাদিত গোবিন্দভোগ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বাজারে হলুদ ও লাল রংয়ের টসটসে আম দেখে অনেকেই আগ্রহ নিয়ে এর দাম করছে, আবার অনেকে দাম শুনে চলে যাচ্ছে।
খুলনাস্থ বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে আম বিক্রেতা মিজান জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে তিনি খুলনায় আম বিক্রি করছেন। সোনাডাঙ্গাস্থ ট্রাক টার্মিনাল থেকে ক্রয় করে তিনি ফেরি করে বিক্রয় করছেন। সকাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি ১৪ থেকে ১৫ কেজি আম বিক্রি করেছেন, দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ৪৯ ক্যারেট আম বিনষ্ট
খুলনা রূপসা উপজেলার বাসিন্দা মো. আশিকুর রহমান আশিক দুপুর ১ টায় খুলনা সদর থানার সামনে দাঁড়িয়ে আম বিক্রি করছিলেন।
তিনি জানান, তার নিজস্ব কোন পুঁজি নেই। মহাজনের কাছ থেকে আম নিয়ে তিনি ফেরি করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন। এ হিসেবে তিনি প্রতিদিন পারিশ্রমিক হিসেবে ৪৫০ টাকা নেন। তিনি ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। গত দু’দিনে তিনি ৬০ কেজি আম বিক্রি করেছেন। প্রতিদিন তিনি ভ্যানে ৮০ কেজি আম নিয়ে শহরে বের হন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম আকৃতির ফল!
এদিকে, খুলনা বড় বাজার পাইকারী কাঁচা ও পাকা ফলের আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হায়দার পাটোয়ারি জানান, বাজারে আম উঠেছে বলে তিনি শুনেছেন। এখানো তার ঘরে পাকা আম আসেনি। যে আমের আটি হয়েছে সেগুলো ঘরে রেখে দিলে পেকে যাচ্ছে।
তবে প্রকৃত মৌসুমি আম আসতে এখনো ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
অপরদিকে, কেসিসির ট্রাক টার্মিনালস্থ পাইকারী কাচা বাজারের মেসার্স ঝালকাটি ট্রেডার্সের এক কর্মচারী জানান, গত দু’দিন ধরে আড়তে আম আসছে। আম সাতক্ষীরা থেকে ব্যাপারীরা তার আড়তে নিয়ে এসেছেন। গোবিন্দভোগ নামের এ ফলটি সব থেকে আগে পাকে। এটা খেতে খুব মিষ্টি। ২০ থেকে ২৫ ক্যারেট আম শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে এসেছে এবং তা খুচরা বিক্রেতারা কিনেছেন। প্রতিকেজি আম ৭০ টাকা দরে তার প্রতিষ্ঠান থেকে পাইকারী দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মহানগরীর ডাকবাংলা মোড় এলাকার ফুটপথের ফলের দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো হয়েছে আম।
দুপুর ১ টায় এসএম এ রব শপিং কমপ্লেক্সের সামনে আম ক্রেতা নজমুল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আম তার খুব পছন্দের ফল। দাম যদিও বেশী। আম দেখে তিনি লোভ সামলাতে না পেরে ১৫০ টাকা দরে ক্রয় করেছেন। তাছাড়া দোকানি জানিয়েছেন যে আমগুলো খেতে খুব মিষ্টি।
৩ বছর আগে