বাংলাদশ
চট্টগ্রামের সাথে সরাসরি শিপিং লাইন স্থাপন করবে মালদ্বীপ
চট্টগ্রাম ও মালে সরাসরি শিপিং লাইন স্থাপন এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন দেশটির দু’জন মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিব। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ড. মোমেন মালদ্বীপের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, মালদ্বীপে বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীরা সেদেশের অর্থনীতিতে আন্তরিকভাবে অবদান রাখছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ পেশাদার ও চিকিৎসক নিয়োগে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে মালদ্বীপ।
উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক পর্যালোচনা করেন। তারা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কাজ আমাদের আলোকিত করে: মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট
ড. মোমেন বলেন, ধর্ম, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের জন্যবাংলাদেশ মালদ্বীপকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং চলতি বছরের ১৭-১৯ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ-মালদ্বীপের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশের জনগণের জন্য ২ লাখ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উপহার দেয়ার জন্য ড. মোমেন ভাইস প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে মালদ্বীপ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে ফয়সাল ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
ফয়সাল নাসিম তিন দিনের সরকারি সফরে সোমবার ঢাকায় আসেন।
সফরকালে তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট
মালদ্বীপে সরাসরি ফ্লাইট চালু করল ইউএস-বাংলা
৩ বছর আগে
বাংলাদশের সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশ!
ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরনো এবং ধ্রুপদী ধরন হল টেস্ট ক্রিকেট। গত দুই দশকে বাংলাদেশের হয়ে অনেক খ্যাতিমান টাইগাররা ব্যাট এবং বল হাতে খেলেছেন। এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯৮ জন খেলোয়াড় বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেটের টেস্ট সংস্করণে অংশ নিয়েছেন।
তাই সহজেই সেরা ১১ জন খেলোয়াড়ের নাম নেয়াটা অতটা সহজ নয়। তবে ক্রিকেটারদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটর সেরা ১১ তারকার নাম উল্লেখ করা যেতেই পারে। চলুন দেখে নেই বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেটর সর্বকালের সেরা ১১ টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা।
১) তামিম ইকবাল
৬৪টি টেস্ট খেলা তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৭৬৪ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করেছেন। সর্বোচ্চ ২০৬ রান এবং ৯টি শতকের অধিকারী তিনি। বাংলাদেশের সর্বকালে সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবেও তাকে গণ্য করা হয়।
২) ইমরুল কায়েস
টেস্টে ৩৯টি ম্যাচ খেলা এবং ১ হাজার ৭৯৭ রানের মালিক ইমরুল কায়েস দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। মাত্র তিনটি শতকের দেখা পাওয়া এই ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান ১৫০। বাংলাদেশের হয়ে তামিমের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩১২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন এই ক্রিকেটার।
৩) মুমিনুল হক
বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের বর্তমান দলপতি মুমিনুল এই অবস্থানে আছেন ৪৪টি ম্যাচ এবং ৩ হাজার ২৪৭ রানের সুবাদে। তার সর্বোচ্চ রান ১৮১ এবং মোট শতকের সংখ্যা ১১টি।
৪) মুশফিকুর রহিম
মিডল অর্ডারে সবচেয়ে ভরসার জায়গায় আছেন মুশফিকুর রহিম। তার ঝুলিতে আছে ৭৪ ম্যাচ, ৪ হাজার ৬৪৫ রান এবং ৭টি শতক। তার সর্বোচ্চ রান ২১৯ (অপরাজিত)।
৫) মোহম্মাদ আশরাফুল
বিতর্কিত ও সমালোচিত এই প্লেয়ারকে নিয়ে অনেক কথা হতে পারে, কিন্তু টেস্টে তার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ৬১ ম্যাচ খেলা আশরাফুলের মোট রান ২ হাজার ৭৩৭ এবং সর্বোচ্চ রান ১৯০। অপরদিকে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট শতকের রেকর্ডটি’ও তার দখলে।
আরও পড়ুন: করোনায় ১৭২০ ক্রিকেটারের পাশে বিসিবি
৬) সাকিব আল হাসান
বাংলাদেশ সেরা টেস্ট একাদশে ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ৫৭ ম্যাচে ৩ হাজার ৯৩০ রান, সর্বোচ্চ ২১৭ রান এবং ৫টি টেস্ট শতক আছে তার ঝুলিতে। এছাড়াও টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ২১০ উইকেট সংগ্রহের রেকর্ডও আছে তার ঝুলিতে।
৭) মোহম্মদ রফিক
নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই স্পিনার বাংলাদেশের হয়ে সর্বপ্রথম টেস্টে ১০০ উইকেট শিকার করতে সক্ষম হন। ৩৩ ম্যাচ খেলে ১ হজার ৫৯ রান এবং সর্বোচ্চ ১১১ রান করা এই ক্রিকেটার মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসাদায়ক খেলোয়াড় ছিলেন।
৮) মেহেদি হাসান মিরাজ
২৬ টেস্ট খেলা ৮৫৫ রানের অধিকারী মিরাজকে এই তালিকায় একজন অলরাউন্ডার হিসেবেই যুক্ত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০৩ রান এবং এ পর্যন্ত ১০৩ উইকেট শিকার করেছে এই তরুণ ক্রিকেটার।
৯) মাশরাফি বিন মর্তুজা
টেস্টে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের জন্য প্রথম নামটি ই হবে মাশরাফির। দেশের প্রকৃত এই পেইসার ১৪০ কি.মি ঘণ্টায় বল ছুড়তে পারেন। ৩৬ টেস্টে এ পর্যন্ত ৭৮ উইকেট নিয়েছেন সাবেক টাইগার দলপতি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ: টাইগারদের টেস্ট স্কোয়াড বিশ্লেষণ
১০) তাইজুল ইসলাম
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সফল বোলার হল তাইজুল ইসলাম। ৩৩ ম্যাচ খেলা এই স্পিনার ১৩০ উইকেট নিয়েছেন। অপরদিকে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে ৩৯ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকারের রেকর্ডটিও আছে তার দখলে।
১১) শাহাদাৎ হোসেন
৩৮ ম্যাচ খেলে ৭২ উইকেট নেয়া শাহাদাতকে মাশরাফির পরই সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে গণ্য করা হয়।
যদিও অনেক বড় তারকা খেলোয়াড়রা এই তালিকায় নেই। তবে নিজেদের ব্যক্তিগত রেকর্ডের কারণে এই তালিকায় অবস্থান জমিয়ে নিয়েছেন সেরা টেস্ট টাইগাররা।
৩ বছর আগে