তৃণমূল কংগ্রেস
মন্ত্রীসভা থেকে বাদের পর দল থেকেও বহিষ্কার হলেন পার্থ চ্যাটার্জি
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলটির অন্যতম জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে তার মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়েছেন। এছাড়াও তার দল ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সব পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরেই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর তথ্য জানানো হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে গণমাধ্যমকে কলেন, ‘আমি পার্থ চ্যাটার্জিকে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছি। আমার দল কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। আরও অনেক পরিকল্পনা আছে, তবে এখন আর আমি বিস্তারিত বলতে চাই না।’
এরপর এদিন সন্ধ্যায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে পার্থ চ্যাটার্জিকে দলীয় সব পদ থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দেয়া হয়।
পার্থ চ্যাটার্জি রাজ্য মন্ত্রিসভায় শিল্প ও বাণিজ্য, তথ্য ও প্রযুক্তি, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা, শিল্প পুনর্গঠন ও পরিষদীয় বিভাগের মন্ত্রী। তিনি ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
আগের দিন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযুক্ত এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে টুইট করেন।
তিনি লেখেন, ‘পার্থ চ্যাটার্জিকে অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব এবং সমস্ত দলীয় পদ থেকে অপসারণ করা উচিত। তাকে বহিষ্কার করা উচিত।’
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার ৬৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদকে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে নেয়া হয়।
এরপর পার্থ চ্যাটার্জির সহযোগী অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে নগদ ৫০ কোটি রুপি জব্দ করে ইডি।
পার্থ চ্যাটার্জি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি করে এই বিপুল টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক জুবায়েরকে জামিন দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে পালাতে সাহায্য করার কথা অস্বীকার ভারতের
২ বছর আগে
ভাগ্নে অভিষেকেই আস্থা মমতার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অভিষেক ব্যানার্জিকেই দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ৩৪ বছর বয়সী অভিষেক মমতার ভাগ্নে ও একজন সংসদ সদস্য।
গেল বছরের মে মাসে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস। এর এক মাস পর অভিষেককে দলের সাধারণ সম্পদক করা হয়।
তবে মমতার ভাগ্নে অভিষেক ব্যানার্জি দলটিতে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির কথা বললে এ নিয়ে দলের জ্যৈষ্ঠ ও তরুণ নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। আর এ বিরোধ দূর করতে মমতা গত সপ্তাহে তার পদ ছাড়া দলের সব পদ বাতিল করেন।
আরও পড়ুন: মমতার দলে কি বিদ্রোহ চলছে?
তৃণমূল কংগ্রেসের জ্যৈষ্ঠ নেতা যারা একসঙ্গে দল ও সরকারের একাধিক পদে রয়েছেন তারা এ প্রস্তাবিত নীতির বিরোধিতা করেন। এর পরিবর্তে দল পরিচালনা করতে মমতা ২০ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় কার্যকরী কমিটি গঠন করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের এক নেতা ইউএনবিকে বলেন, ‘কমিটির এক সভায় অভিষেককে দলের সাধারণ সম্পাদক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সভায় মমতা সভাপতিত্ব করেন।’
আরও পড়ুন: আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা
২ বছর আগে
মমতার দলে কি বিদ্রোহ চলছে?
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসে বিদ্রোহ চলছে বলে মনে হচ্ছে।
গেল বছরের মে মাসে দলটি তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলের জ্যৈষ্ঠ ও তরুণ নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ বাড়তে থাকে।
মমতার ভাগ্নে অভিষেক ব্যানার্জি দলটিতে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির কথা বলছেন। তবে এর বিরোধিতা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জ্যৈষ্ঠ নেতারা যারা একসঙ্গে দল ও সরকারের একাধিক পদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা
যদিও মমতা তার পদ ও ২০ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় কার্যকরী কমিটি ছাড়া সব পদ বাতিল করে মতবিরোধ দূর করেছেন তবে দলের ভেতরের সদস্যরা বলছেন এটি খুবই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
এক জ্যৈষ্ঠ নেতা রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে ফোনে ইউএনবিকে বলেন, ‘দলে সব কিছু ভালো চলছে না। দলের জ্যৈষ্ঠ নেতা যারা মমতার প্রতি অনুগত এবং তরুণ, যারা তার ভাগ্নের প্রতি অনুগত; তাদের মধ্যে একটি শীতল যুদ্ধ চলছে। পরবর্তী অংশটি (তরুণ) দলকে পুনর্গঠিত করতে চায়।’
শনিবার নতুন কমিটি গঠনের পর তৃণমূলের প্রবীণ নেতা পার্থ চ্যাটার্জি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মমতা দলের নতুন জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছেন। তিনি পরে নতুন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করবেন এবং তারপর এটি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীত 'অবমাননা': মমতার বিরুদ্ধে সমন জারি
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে মমতা ব্যানার্জি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তার ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন।
চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের সদরদপ্তরে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে মমতা আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) হারানোর ওপর জোর দেন।
বিজেপিকে ‘প্রধান শত্রু’ হিসেবে উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘আমরা চাই বিজেপির বিরুদ্ধে সব দল একত্রিত হোক। কিন্তু কেউ যদি আমাদের কথা না শোনে, তাদের অহংকার নিয়ে সরে যায় তাহলে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় আমরা একলা চলব।’
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
২ বছর আগে
ভবানীপুরে জিতে আবারও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে ভবানীপুরের বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখলেন।
রবিবার প্রায় ৫৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিধানসভার এ আসনের উপ-নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে পরাজিত করেছেন ৬৬ বছর বয়সী মমতা।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে জয়ের পথে মমতা
কলকাতার গণমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে ভবানীপুরের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছি এবং এ আসনের প্রতি ওয়ার্ডেই আমি জয়ী।’
এর আগে এপ্রিল-মে মাসের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস ২৯২টি আসনের মধ্যে ২১৩টি আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসে। তবে মমতা তাঁর নিজের আসন নন্দীগ্রামে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়া শুভেন্দু অধিকারীর কাছে প্রায় দুই হাজার ভোটে পরাজিত হন।
আরও পড়ুন: কোভিড সংকট মোকাবিলায় একসাথে কাজ করব: মমতাকে হাসিনা
হেরে গেলেও সংবিধান মেনে তৃণমূল কংগ্রেস তাকে মুখ্যমন্ত্রী করে। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যের যে কোনো একটি বিধানসভার আসন থেকে জিতে আসতে হয়।
মমতাকে ভবানীপুর আসন থেকে জেতানোর লক্ষ্যে সেখানকার নির্বাচিত তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। এতে ভবানীপুর আসনটি শূন্য হলে এ আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মোদির সাবেক মন্ত্রী বাবুল এখন মমতার দলে!
৩ বছর আগে
মোদির সাবেক মন্ত্রী বাবুল এখন মমতার দলে!
জনপ্রিয় বলিউড গায়ক বাবুল সুপ্রিয় শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রীসভা থেকে বাদ পড়ার মাত্র দুই মাস পর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন।
৫০ বছর বয়সী এই সংসদ সদস্য ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পঞ্চম নেতা, যিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা
পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় পার্টির সদর দপ্তরে একটি ছোট অনুষ্ঠানে মমতার ভাতিজা ও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক ব্যানার্জী সুপ্রিয়কে পার্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান।
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পরপরই সংবাদমাধ্যমকে সুপ্রিয় বলেন, ‘যদি আপনার সুযোগ আসে, আপনার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত এবং আমি এটা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: মোদির মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল, ৪৩ নতুন মন্ত্রী
গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির মন্ত্রিসভার রদবদলের সময় প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে বাদ পড়েন। এর এক মাস পর সুপ্রিয় ভারতীয় রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আমি চলে যাচ্ছি, বিদায়। যদি আপনি সামাজিক কাজ করতে চান, তাহলে আপনি রাজনীতি না করেই এটি করতে পারেন। আসুন আগে নিজেকে একটু সংগঠিত করি এবং তারপর…… ।’
৩ বছর আগে
বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবার বাড়িতে ফিরলেন
পশ্চিম বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টির(বিজেপি) সিনিয়র নেতা মুকুল রায় পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ঘটনায় বড় ধরনের ধাক্কা খেলো নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি।
শুক্রবার কলকাতার এক অনুষ্ঠানে মমতার উপস্থিতিতে ত্রিণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায় পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। মমতা বলেন, ‘মুকুল ঘরে ফিরেছে, সে কখনোই অন্যদের মতো বিশ্বাসঘাতক ছিল না। আরও অনেকেই ফিরে আসবে।'
মিডিয়াকে উদ্দেশ্য করে মুকুল রায় বলেন, ‘বিজেপি ছেড়ে আসার পর পুরনো সহকর্মীদের দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। ভারত এবং বাংলার একমাত্র নেতা হলেন মমতা।’
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে দল বদল করে মুকুল রায় চলে গিয়েছিলেন বিজেপিতে।
মূলত গত সপ্তাহে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক ব্যানার্জি মুকুল রায়ের অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পর থেকে মুকুল রায়ের দলবদল নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়।
পশ্চিম বাংলার সর্বশেষ নির্বাচনে মমতার দলের কাছে বিজেপির ব্যাপক ব্যবধানে হারের ঘটনার পর মুকুল রায়ের বিজেপি ছাড়ার ঘটনাটি দলটির জন্য অন্যতম বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অভিনন্দন জানিয়ে লেখা পত্রের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনকে ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা এক পত্রে এ ধন্যবাদ জানান তিনি।
পত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের জনগণ উন্নয়ন, শান্তি, ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা এবং শক্তিশালী করার পক্ষে রায় প্রদান করেছেন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ভৌগোলিকভাবে বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ব, একই সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ।”
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ভবিষ্যতে এ আবেগ ও অনুভূতির সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আপনি প্রধানমন্ত্রী নাকি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত: মোদিকে প্রশ্ন মমতার
পশ্চিমবঙ্গকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনাদের শুভ কামনা এ যাত্রায় সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় আম্পান ‘করোনাভাইরাস থেকে বড় বিপর্যয়’: মমতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করায় গত ৫ মে এক পত্রে তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান ড. মোমেন।
৩ বছর আগে
কোভিড সংকট মোকাবিলায় একসাথে কাজ করব: মমতাকে হাসিনা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে টানা তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করায় মমতা ব্যানার্জীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মমতাকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল বিজয় আপনার ওপর পশ্চিমবঙ্গের জণগনের সুগভীর আস্থার প্রতিফলন।’
শেখ হাসিনা বলেন, আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি ও উত্তরোত্তর মঙ্গল কামনা করছি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় আম্পান ‘করোনাভাইরাস থেকে বড় বিপর্যয়’: মমতা
দুই বাংলার জনগণের অধিকতর সমৃদ্ধ ভবিষ্যত বিনির্মাণের লক্ষ্যে আগামী দিনগুলোতে পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হবে বলে শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারির এই ক্রান্তিকালে বন্ধুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যেতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: আপনি প্রধানমন্ত্রী নাকি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত: মোদিকে প্রশ্ন মমতার
তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, হৃদয়ের এবং আবহমান কালের।’
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে এত মৃত্যু ও শনাক্ত আগে দেখেনি ভারত
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ এর এই বিশেষ সময়ে যখন আমরা মুজিববর্ষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছি, সেই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের অবদান এবং আমাদের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও জীবনচর্যা।’
তিনি মমতার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও অব্যাহত সাফল্য প্রত্যাশা করেছেন।
৩ বছর আগে