ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসে বিদ্রোহ চলছে বলে মনে হচ্ছে।
গেল বছরের মে মাসে দলটি তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলের জ্যৈষ্ঠ ও তরুণ নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ বাড়তে থাকে।
মমতার ভাগ্নে অভিষেক ব্যানার্জি দলটিতে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির কথা বলছেন। তবে এর বিরোধিতা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জ্যৈষ্ঠ নেতারা যারা একসঙ্গে দল ও সরকারের একাধিক পদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা
যদিও মমতা তার পদ ও ২০ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় কার্যকরী কমিটি ছাড়া সব পদ বাতিল করে মতবিরোধ দূর করেছেন তবে দলের ভেতরের সদস্যরা বলছেন এটি খুবই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
এক জ্যৈষ্ঠ নেতা রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে ফোনে ইউএনবিকে বলেন, ‘দলে সব কিছু ভালো চলছে না। দলের জ্যৈষ্ঠ নেতা যারা মমতার প্রতি অনুগত এবং তরুণ, যারা তার ভাগ্নের প্রতি অনুগত; তাদের মধ্যে একটি শীতল যুদ্ধ চলছে। পরবর্তী অংশটি (তরুণ) দলকে পুনর্গঠিত করতে চায়।’
শনিবার নতুন কমিটি গঠনের পর তৃণমূলের প্রবীণ নেতা পার্থ চ্যাটার্জি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মমতা দলের নতুন জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছেন। তিনি পরে নতুন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করবেন এবং তারপর এটি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীত 'অবমাননা': মমতার বিরুদ্ধে সমন জারি
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে মমতা ব্যানার্জি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তার ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন।
চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের সদরদপ্তরে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে মমতা আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) হারানোর ওপর জোর দেন।
বিজেপিকে ‘প্রধান শত্রু’ হিসেবে উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘আমরা চাই বিজেপির বিরুদ্ধে সব দল একত্রিত হোক। কিন্তু কেউ যদি আমাদের কথা না শোনে, তাদের অহংকার নিয়ে সরে যায় তাহলে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় আমরা একলা চলব।’