ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট
ঢাকার নবাবগঞ্জে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ৭ করোনা রোগী শনাক্ত
ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ৭ জন শ্রমিকের শরীরে করোনার ভারতীয় বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, ওই প্রকল্পের ১০ জন শ্রমিকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা এসকল শ্রমিকদের মধ্যে ৭ জনের দেহে করোনার ডেল্টা টাইপ ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: আইইডিসিআর সমীক্ষা: নমুনার ৮০ শতাংশই ভারতীয় করোনা শনাক্ত
গত ১৮ মে এই শ্রমিকরা ট্রাকে চড়ে নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পে কাজ করতে আসে। তাদের কয়েকজনের সর্দি, জ্বর থাকায় কর্তৃপক্ষ তাদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে বললে প্রথমে তারা অস্বীকৃতি জানায়।
২৫ মে আলাদ একটি মেডিকেল টিম তাদের গঠন করা হয় এবং তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তাদের করোনা শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে ৩ জুন তাদের নমুনা ঢাকাররোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হলে ৭ জনের নমুনাতে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে একদিনে আরও ৪৩ প্রাণহানি, শনাক্ত ১১.০৩ শতাংশ
বর্তমানে আক্রান্ত রোগীরা ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম করোনার এই ডেল্টা টাইপ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জুনের শেষ নাগাদে বাংলাদেশে ভয়াবহ আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এর আগে ভারতের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায়, বাংলাদেশ গত ২৬ এপ্রিল ভারতের সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এই অবস্থা আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে ভারত থেকে শুধু পণ্যবাহী যান চলাচল ও বিশেষ অনুমতিতে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা দেশে ফিরেছেন।
৩ বছর আগে
৬ দিন পর বন্ধের পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ রোধে পাঁচ দিন বন্ধের পর শনিবার (৫ জুন) থেকে দেশের একমাত্র চতুদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে ভুট্টাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য আমদানি করা হয়েছে। তবে পাথর আমদানি হয়নি।
ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও নতুন করে ভ্যারিয়েন্ট ও ফাঙ্গাস সংক্রমণ এড়াতে স্থানীয়দের চাপে মুখে পড়ে ৩১ মে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৪ জুন থেকে স্থলবন্দটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও শুক্রবার সপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় আজ শনিবার থেকে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়।
দুপুরে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে ভুট্টাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য নিয়ে কিছু ট্রাক ভারতের ফুলবাড়ি- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ বন্দরে পাথরের আমদানি বেশি হলেও আজকে পাথরের কোন ট্রাক বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট: ডিসিসিআই
পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, গত ৪ জুন আমাদের বন্দর খোলার কথা ছিল। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারনে স্থলবন্দর বন্ধ ছিল। শনিবার দুপুর থেকে অন্যান্য পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। পাথরের গাড়ি টেন্ডার করা হয়নি এ কারণে আজকে পাথর আমদানি করা যাবে না।
আগামীকাল থেকে স্থলবন্দর পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে বলে তিনি জানান।
৩ বছর আগে
করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট: সীমান্তবর্তী হওয়ায় ঝুঁকিতে খুলনা বিভাগ
দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও খুলনা জেলাসহ বিভাগে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে ও ভারতে করোনা প্রকোপ থাকায় এ বিভাগকে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
সার্বিকভাবে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে খুলনা অন্যান্য বিভাগ থেকে ভালো অবস্থানে আছে বলে দাবি স্বাস্থ্য বিভাগের। কিন্তু ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের দাবি ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। এখনও মাস্ক ব্যবহার সুনিশ্চিত করা যায়নি।
খুলনার ব্যবসায়ী আজমল উল্লাহ বলেন, ‘ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে কেনাকাটা নিয়মিত থাকতো। সেক্ষেত্রে একসঙ্গে চাপ পড়তো না। বন্ধ রাখার পর হঠাৎ খুলে দেওয়ায় চাপ বেড়ে যায় যা করোনা ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।’
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে আরও ৩৮ প্রাণহানি, শনাক্ত ৭.৯১ শতাংশ
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর খুলনার আহ্বায়ক এডভোকেট কুদরত ই খুদা বলেন, ‘সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে লোকজনের খুলনায় আসা, প্রতিরোধে দায়িত্বশীল বিভাগের মধ্যে সমন্বয় না থাকা এবং অসচেতনতার কারণে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বাজার, দোকানপাট সব কিছু খুলে দিয়ে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ওয়ার্ড ও এলাকাভিত্তিক তালিকা করে একদিন এক এক ওয়ার্ড বা এলাকার লোকজনকে বের হতে না দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা কিন্তু ঘরে আটকে নেই। তাহলে এভাবে কী লাভ হচ্ছে। করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্তগুলো সমন্বিত হওয়া দরকার।’
আরও পড়ুন: ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকার সুযোগ আছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ড. রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘খুলনা বিভাগ রাজশাহী বিভাগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে আছে। শুধু ভারতের করোনা প্রকোপের কারণে সীমান্ত সংলগ্ন কয়েকটি জেলা থাকায় খুলনাকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়। বাস্তবে খুলনা বিভাগে করোনা পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে আছে।’
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ‘এপ্রিল মাসে খুলনা জেলায় গড়ে ২৩ শতাংশ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। কিন্তু মে মাসে এখনও করোনা পজিটিভ ২০ শতাংশ পার হয়নি। এ হিসাবে খুলনা জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। মাঝে মাঝে পজিটিভ শনাক্তের হার সামান্য বেড়ে যায়। সেটা অসচেতনতার কারণে হয়। এখনও বাজার, দোকান, সড়কে মাস্ক ছাড়া লোকজনকে ঘুরতে দেখা যায়। আমরা এ বিষয়ে কঠোর হচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৯২ ছাড়ালো
তিনি বলেন, ‘খুলনায় স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে চমৎকার সমম্বয়ে রয়েছে। ফলে খুলনায় এখনও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে আরও ১০৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা জানান।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন খুলনার ২ জন, সাতক্ষীরা , চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুরে একজন করে।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে ২৯ মে সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫৩ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩৩ জনে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ হাজার ২০৩ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা য়ায়, বিভাগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১১৮ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ হজার ১০৫ জন।
এছাড়া বাগেরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫১৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৬ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৩১৫ জন। যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৮৩০ জন, মারা গেছেন ৭৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৮ জন। নড়াইলে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৬৮ জন, মারা গেছেন ২৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৮১৫ জন। মাগুরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৫৩ জন, মারা গেছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৮৯ জন। ঝিনাইদহে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৯৮ জন, মারা গেছেন ৫৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হজার ৭২৬ জন। কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯০০ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১১০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ২৩৫ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৫৬ জন, মারা গেছেন ৬০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮১১ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৬ জন। মারা গেছেন ২২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৩৫ জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯১ জন। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় দুজন করোনা রোগী মৃত্যুবরণ করেন।
৩ বছর আগে
বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারত ফেরত ৩ শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ
ভারতে থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দ দিয়ে আসা বাংলাদেশি তিন শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ ফলাফল এসেছে।
ওই তিন শিক্ষার্থী বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রতিষ্ঠানিক আবাসিক হোটেল সাম টাইমে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। উপজেলা প্রসাশন তাদের নজরদারিতে রেখেছেন।
রবিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, তিন শিক্ষার্থীর করোনা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কি না তা পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকা পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১৪ দিন পর ফেরার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
এদিকে রবিবার দুপর ২টায় ভারত থেকে এক বাংলাদেশি বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বাংলাদেশি ৫ সদস্যর একটি পরিবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় ভারতের চ্যাংরাবান্ধা থেকে ফেরত গেছেন বলে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে ভারতের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় ভারতের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থী ও চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশিরা আটকে যান ভারতে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকাসহ নানা শর্তে তারা দেশে প্রবেশের অনুমতি পান।
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের পর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমতি নিয়ে রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত দেশটিতে আটকে পড়া শিক্ষার্থীসহ ২০২ জন দেশে ফিরেছেন। বুড়িমারী স্থলবন্দরে বর্তমানে পাচঁটি আবাসিক হোটেলে ৮৩ জন প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ১০১ জনকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের সবাইকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। একই সময়ে ভারতে ফিরে গেছেন ১০৬ জন।
এদিকে দুই ধাপে ৩৫ জনের করোনা নেগেটিভ আসায় উপজেলা প্রসাশন তাদের ছাড়পত্র দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫ মৃত্যু, শনাক্ত ৬.৬৯ শতাংশ
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফেরত আসা তিন শিক্ষার্থীর শরীরে করোনা পজিটিভ ফল এসেছে, তারা বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘তাদের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আছে কি না জানার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইডিসিআর-এ পাঠাব। বর্তমানে তিন শিক্ষার্থী আমাদের নজরে আছেন।’
৩ বছর আগে
ঢাকায় ১৪ দিন পর ফেরার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
যাদের অফিস এখনো খোলেনি বা জরুরি কাজ নেই তাদের ৭-১৪ দিন পর ঢাকায় ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রবিবার ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম সতর্ক করে বলেন, সংক্রমণের হার কমায় আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কোনো কারণ নেই, কারণ বাংলাদেশ এখনো কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ল, প্রজ্ঞাপন জারি
তিনি বলেন, সরকার নির্দেশনা দিয়েছিল যে ঈদ উপলক্ষে নিজ নিজ স্থানে অবস্থান করতে কিন্তু বেশিরভাগ জনগণ এই নির্দেশনা অবহেলা করে বিভিন্ন উপায়ে গ্রামে ফিরেছেন।
নাজমুল বলেন, আমরা অনুরোধ করছি যারা বাড়িতে গেছেন যাদের অফিস এখনো খোলেনি বা জরুরি কাজ নেই তারা যেনো ৭-১৪ দিন পর ঢাকায় ফেরেন।
তিনি বলেন, ‘যাদের ইতোমধ্যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তারা যেনো নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা সদর হাসপাতালে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অবশ্যই করিয়ে নেন। '
মুখপাত্র বলেন, ঢাকায় ফিরে আসার সময় অবশ্যই তাদের শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫ মৃত্যু, শনাক্ত ৬.৬৯ শতাংশ
নাজমুল ইসলাম বলেন, যারা ভারত থেকে বিভিন্ন পথে বাংলাদেশে এসেছে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা পাচ্ছি। ভারত থেকে যারা আসছেন তাদের অনেককেই আমরা দেখেছি আইন অমান্য করে পালিয়ে যেতে। যদি কেউ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে যান সেটা কোনো যৌক্তিক আচরণ হতে পারে না, কারণ এট পুরো জাতির জন্য হুমকি স্বরূপ।
তিনি বলেন, যারা ভারত থেকে আসছেন তারা যেনো প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন অমান্য না করেন, এটা করে অন্যের জীবনকে যেনো ঝুঁকির মুখে না ফেলেন। জেনে শুনে কারও নিজ দেশের ক্ষতি করা উচিত নয়।
৩ বছর আগে
দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বেড়েছে
দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যু আরও বেড়েছে বলে রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনায় আরও ৫৬ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৯৩৪ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৮৬ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫১৩ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জন মারা গেছেন এবং ১ হাজার ২৮৫ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৯১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৮.১৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩২৯ জন। মোট সুস্থ ৭ লাখ ১০ হাজার ১৬২ জন। সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৮১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৪ শতাংশ।
এদিকে, বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
শনিবার দুপুরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: করোনা: ভারতে একদিনে আরও ৪০৯২ মৃত্যু
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি নমুনা পরীক্ষায় ভারতীয় স্টেইন ধরা পড়েছে, যা জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিএসআইডি) প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর ইউএনবিকে বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সেটি আমি দেখেছি। আর না ধরা পড়লে তো এধরনের কোনও তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেনি।
কয়জনের মধ্যে এরকম ধরন পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কয়জনের মধ্যে পাওয়া গেছে সেই সংখ্যাটা এখনও আমাদের কাছে আসেনি, তাই বলতে পারছি না।
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ৩২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৩২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৩১৬ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৭৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটি। করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু হবার পর গেল এপ্রিলেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখতে পায় ব্রাজিল।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশ যাত্রা: আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের নথি স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে
অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৮১ জন এবং মারা গেছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৩৪৭ জন।
৩ বছর আগে