মৃত ডলফিন
হালদা নদী থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদী থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৩ ফুট, ওজন প্রায় ১৫ কেজি।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আকবরিয়া এলাকার হালদা নদী থেকে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
নৌ-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার করা ডলফিনের দেহটি পচে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। ডলফিনটিকে রাম দাস মুন্সির হাট এলাকায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল আলমমের উপস্থিতিতে স্থানীয়ভাবে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের রামদাস মুন্সিরহাট এলাকায় নদীর মাঝখানে ভাসমান একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করেছিল স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ডলফিন
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৩টি ডলফিন মরে ভেসে ওঠে হালদা ও এর শাখা খালে। এগুলোতে দু-একটি বাদ দিলে প্রায় সব মরা ডলফিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত করেছিল উদ্ধারকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একাধিক ডলফিন কেটে হত্যাও করা হয়েছিল।
২ বছর আগে
হালদা নদীতে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে আরও একটি মৃত্যু ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে তিন দিনের ব্যবধানে দু’টি মৃত ডলফিন উদ্ধার হলো।
নৌপুলিশ জানায়, সোমবার সকালে হাটহাজারী উপজেলার রামদাস মুন্সীরহাট এলাকায় থেকে ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়।
হালদা গবেষক অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া জানান, সকালে নদীতে ডলফিন ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে জানায়। পরে নৌপুলিশ নদী থেকে মৃত ডলফিনটিকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: হালদা নদী থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
তিনি বলেন, মাছ ধরার জালের কারণে ডলফিনটির মৃত্যু হতে পারে। পরে নৌপুলিশের সহযোগিতায় সেটিকে মাটিচাপা দেয়া হয়।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর নৌপুলিশ একই এলাকা থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করেছিল।
পরিবেশবিদদের জরিপে দেখা গেছে, হালদায় লাল ডলফিন ছিল ১৭০টি। পরিবেশবাদি ও হালদা তীরবর্তী মানুষের অভিযোগ, যান্ত্রিক নৌযান ও বালুবাহী ড্রেজারের ডুবন্ত যান্ত্রিক পাখার আঘাতে ডলফিনগুলো মারা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ডলফিন
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত হালদা নদী থেকে ৩১ মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মৃত ডলফিনের বেশির ভাগের গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভুক্ত অতি বিপন্ন প্রজাতির মিঠাপানির ডলফিন। সংস্থাটির মতে বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে এ জাতীয় ডলফিন আছে মাত্র ১ হাজার ১০০।
আরও পড়ুন: সীতকুণ্ড উপকূলে ভেসে এলো আরও ৩টি মৃত ডলফিন
৩ বছর আগে
সীতকুণ্ড উপকূলে ভেসে এলো আরও ৩টি মৃত ডলফিন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলে তিনটি স্ত্রী প্রজাতির মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। এসব ডলফিনের পেটের দিকের অংশ পচে গিয়েছিল।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে জেলেরা উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা সাগর উপকূলে মৃত তিনটি ডলফিন দেখতে পেয়ে বিষয়টি বন বিভাগকে জানায়।
উপকূলীয় বন বিভাগের সীতাকুণ্ড রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, তারা সন্ধ্যায় বিষয়টি জেনেছেন। অন্ধকার নেমে আসায় মৃত ডলফিনগুলো উদ্ধার করতে পারেননি।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সেখানে লোক পাঠিয়ে ডলফিনগুলোকে মাটিচাপা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
সীতাকুণ্ড উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামীম আহমেদ বলেন, তিনটি মৃত ডলফিন উপকূলে ভেসে আসার খবর পেয়েছি। ডলফিনগুলো কেন কীভাবে মারা গেল তার কারণ জানতে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যাব। তবে বিবরণ শুনে তার মনে হয়েছে, উজানে কোথাও জালে আটকা পড়ে ডলফিনগুলো মারা যেতে পারে। সেখান থেকে মৃত অবস্থায় সীতাকুণ্ডের উপকূলে ভেসে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ আগস্ট উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বগাচতর উপকূলেও একটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। এনিয়ে সম্প্রতি সীতাকুণ্ডের সাগর উপকুলে মোট ৪টি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। ধারণা করা হচ্ছে উজানে কোথাও জালে আটকা পড়ে ডলফিনগুলো মারা যেতে পারে। সেখান থেকে মৃত অবস্থায় সীতাকুণ্ডের উপকূলে ভেসে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড উপকূলে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
বোয়ালখালীর খালে ভাসছে মৃত ডলফিন
৩ বছর আগে
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
কুয়াকাটা সৈকতে আবারও ভেসে এসেছে একটি মৃত ডলফিন। শনিবার সন্ধ্যায় মৃত ডলফিনটি সৈকতে পরে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয় জেলেরা।
তারা জানান, প্রাায় ৬ থেকে ৭ ফুট দৈর্ঘ্যের ডলফিনটির মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের জালের আঘাতে মাছটি মারা যায়।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, ভেসে আসা ডলফিনটি গঙ্গা নদীর শুশুক প্রজাতির। এ প্রজাতির ডলফিনগুলো সাধারণত মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। ফলে জেলেদের মাছ ধরার জালে আটকে মারা যেতে পারে। আবার বয়সের কারণেও এরা অনেক সময় মারা যায়। জোয়ারের তোপে মৃত ডলফিন সমুদ্র তীরে চলে আসে।
আরও পড়ুন: হালদায় ভেসে উঠল মৃত ডলফিন
এর আগেও বেশ কয়েকটি মৃত ডলফিন এবং তিমি সৈকতে ভেসে এসেছে।
৩ বছর আগে
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে ১০ ফুট দৈর্ঘ্যরে দু’টি মৃত ডলফিন।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে লেম্বুর বন সংলগ্ন সৈকতে একটি মৃত ডলফিন দেখতে পায় স্থানীয় জেলেরা। এরপর সোমবার দুপুরের দিকে আরও একটি মৃত ডলফিন গঙ্গামতি সিবিচে ভেসে আসে।
খবর পেয়ে মৎস্য বিভাগ ও কুয়াকাটা পৌরসভার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
স্থানীয়রা জানান, মাছ দু’টির শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে জেলেদের জালের আঘাতে মাছ দু’টির মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি মৃত ডলফিন ও তিমি সৈকতে ভেসে আসে।
আরও পড়ুন: হালদায় আবারও ভেসে উঠল মৃত ডলফিন, আড়াই বছরে মৃত্যু ২৭টির
তবে কি কারণে এসব মাছের মৃত্যু হচ্ছে সেটা নিশ্চিত করতে পারেনি মৎস্য বিভাগ। মৃত এসব মাছ সংরক্ষণের জন্য কুয়াকাটায় একটি সংরক্ষণাগার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ জানান, ঘটনাস্থলে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। কি কারণে মাছটি মারা গেছে সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পোস্টমর্টেম করে দেখা হবে। তবে অবস্থা বেশি খারাপ হলে ডলফিন দু’টি মাটি চাপা দেয়া হবে।
৩ বছর আগে