মিতু হত্যা
মিতু হত্যা: বাবুল আকতারের জামিন শুনানি ১৮ আগস্ট
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার স্বামী পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জামিন আদেশ শুনানির জন্য আগামী ১৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে ১৮ পৃষ্ঠার জামিন আবেদন করা হলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যাকাণ্ড: ৭ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা জামিন আবেদন করছি। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। আমরা আমাদের যুক্তি উপস্থাপন করেছি। শুনানি শেষে বাবুল আক্তারের জামিনের বিষয়ে আগামী ১৮ আগস্ট আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য বিশেষ আবেদন জানালে বিচারক মো. জসিম উদ্দিন নির্ধারিত দিনে আবেদন করতে বলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় মিতুর বাবার করা মামলায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুলের জামিন আবেদন খারিজ
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: আরও ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
২ মাস আগে
মিতু হত্যা: বাবুলের জামিন আবেদন খারিজ
স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন- সিনিয়র আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।
তার সঙ্গে ছিলেন- আইনজীবী শিশির মনির।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদি হাসান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে কুঁপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন (৬ জুন) বাবুল প্রথমে বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: সাবেক এসপি বাবুলসহ ৭ জনের বিচার কাজ শুরু
মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের অভিযোগপত্র গ্রহণ
১ বছর আগে
মিতু হত্যা মামলায় বাদী মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পুনঃতলব আবেদনে মোশাররফকে হাজির করা হয় এবং তার সাক্ষ্য সম্পন্ন করা হয়।
এদিন আলামত হিসেবে জমা দেওয়া দুটি বই ও ২৯টি এসএমএস নিয়ে জেরা করা হয় মোশাররফকে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
পরে আদালত আগামী ১১ জুন মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছে।
আসামি বাবুল আকতারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার বিদেশি নারী এনজিওকর্মীর উপহারের দুটি বই ও ২৯টি এসএমএসের বিষয়ে মোশাররফ হোসেনকে জেরা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জেরা শেষে ১১ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
এর আগে, গত ১৩ মার্চ বাবুলসহ সাতজনের বিচার শুরুর আদেশ দেন তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত।
সেদিন ৯ এপ্রিল সাক্ষগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ৯ এপ্রিল মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।
ওই ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন তার স্বামী তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার।
মামলাটি তদন্ত করছিল নগর ডিবি পুলিশ। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ‘আদালতের নির্দেশে’ মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।
এরপরই ঘুরতে থাকে মামলার গতিপ্রকৃতি। পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসতে থাকে স্ত্রী হত্যার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার নানা দিক।
২০২১ সালের ১০ মে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুল আক্তারকে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়। এরপরই তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই।
পরে ১২ মে দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নগরের পাঁচলাইশ থানায় আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ
মিতু হত্যা মামলায় জামিন পাননি বাবুল আক্তার
১ বছর আগে
মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
চট্টগ্রামের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) তৃতীয় চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে প্রথম দিনে সাক্ষী দিয়েছেন নিহত মিতুর বাবা মামলার বাদী ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বলেন, প্রথম দিনে মামলার বাদী ও মিতুর বাবা মোশাররফ সাক্ষী দিচ্ছেন। এদিন প্রথমে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন করার কথা জানিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সময় চান।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
তবে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করার দাবি জানান। শুনানি শেষে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দেন।
এদিকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে প্রধান আসামি মিতুর স্বামী ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে সকালে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ মার্চ আলোচিত মামলাটিতে বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন-মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।
ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়।
ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই।
২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর
মিতু হত্যা: ফেনী কারাগারে বাবুল আক্তার
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: সাবেক এসপি বাবুলসহ ৭ জনের বিচার কাজ শুরু
চট্টগ্রামে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। আগামী ৯ এপ্রিল আদালত এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রেখেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. আব্দুর রশিদ।
এর আগে দুপুরে একই আদালতে অভিযোগ গঠন বিষয়ে উভয় পক্ষের শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিকাল চারটায় আদেশের জন্য রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের অভিযোগপত্র গ্রহণ
এসময় বাবুল আক্তার, আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান মিয়া ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিমকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলার আসামিদের মধ্যে জামিনে থাকা এহতেশামুল হক ভোলা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) প্রশিকিউসনের রুমে বিকালে সাড়ে চার থেকে বিকালে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এক ঘণ্টা আইনজীবীদের সঙ্গে বাবুল আক্তারের বৈঠকের সুযোগ দিয়েছেন আদালত।
জানতে চাইলে পিপি আবদুর রশিদ জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বাবুলসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়। অপর দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে অভিযোগপত্রভুক্ত সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়ে আগামী ৯ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে আসামি বাবুল আক্তার হত্যা করা হয়। বাবুল আক্তার যখন ঢাকায় ছিলেন তখন সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে ৩০২, ২০১ এবং ১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
শুনানীকালে বাদীর আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, মিতুকে হত্যা করার জন্য কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা ও মোতালেব মিয়া ওয়াসিম বিভিন্ন সময় বৈঠক করে। মিতুকে হত্যা করার জন্য কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা ও মোতালেব মিয়া ওয়াসিম পূর্ব থেকে ভাড়া করে ও অস্ত্র সংগ্রহ করে হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করেন প্রধান আসামি বাবুল। পরে মিতু হত্যা ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তড়িঘড়ি করতে বাবুল আক্তার মামলা করেছিল।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, আমরা এই মামলার অভিযোগ থেকে বাবুল আক্তারের ডিসচার্জ (অব্যাহতি) চেয়ে আবেদন করেছি। এর পক্ষে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। আদালত বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। অভিযোগ গঠনের বিষয়ে বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলে উচ্চ আদালতে যাব কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে রাখার একটি আবেদন করা হয়েছিল, আদালত আদেশে বিচারের সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার আদেশ দিয়েছেন। জেল কোড অনুযায়ী চিকিৎসাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন (৬ জুন) বাবুল আক্তার প্রথমে বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই ২০২১ সালের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা
মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা
চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ তদন্ত প্রতিবেদনে মিতু হত্যার জন্য তার স্বামী ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে দায়ী করা হয়েছে।মঙ্গলবার বিকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় প্রতিবেদন জমা দেন।প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে মিতুকে হত্যা করা হয়। ওই বছরের ৬ জুন এ ঘটনায় জঙ্গীরা জড়িত দাবি করে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে ৫ শিল্পপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞামামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে মামলার তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়।এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে-আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম নামে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।এই হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে গ্রেপ্তার হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়, যেটি মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল।গ্রেপ্তার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মুছার।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে পাওয়া গেছে ৩টি এয়ারগান
২ বছর আগে
মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তিনিসহ সাতজনকে আসামি করে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আগামী সপ্তাহে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হবে।
বাবুল আক্তার ছাড়া অন্যরা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ ভোলো, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া।
অন্যদিকে, মিতু খুনের মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে অভিযোগপত্রে অব্যাহতি দিয়েছে পিবিআই।
তারা হলেন- মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু, নুরুন্নবী, রাশেদ ও গুইন্যা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাবুল আক্তার বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার জড়িত ছিলেন। তার পরিকল্পনা ও নির্দেশে খুন হন স্ত্রী মিতু। মূল অভিযোগপত্র ৯ পৃষ্ঠার। তবে এর সঙ্গে ১০ খণ্ডের নথি সংযুক্ত করা হয়েছে। মামলার সাক্ষ্যস্মারকে (এমওই) আমি এরইমধ্যে স্বাক্ষর করে দিয়েছি।
চার্জশিটের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিতু হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা বাবুল আক্তার- এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। বাবুল আক্তার কক্সবাজারে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিদেশি এনজিও সংস্থার কর্মী গায়ত্রী অমর সিংয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। এ কারণে বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিন লাখ টাকায় ‘খুনি’ ভাড়া করে স্ত্রীকে খুন করান। নিজেকে আড়ালে রাখতে প্রচার করেন- জঙ্গিরাই মিতুকে খুন করেছে। মিতুকে খুনের মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলের ‘সোর্স’ মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা। সঙ্গে ছিল আরও ছয়জন। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার মুসাকে ফোনে গা ঢাকা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
একটি বইয়ের লেখার সূত্র ধরে মামলার জট খোলে বলে তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। মামলার আলামত হিসেবে উপহার পাওয়া বাবুল আক্তারের একটি বই জব্দের পর হত্যাকাণ্ডের জট খোলে। গায়ত্রী বাবুলকে আহমেদ রশিদ রচিত ইংরেজি ভাষার ‘তালিবান’ নামে একটি বই উপহার দেন। ওই বইয়ের তৃতীয় পাতায় গায়ত্রী অমর সিংয়ের নিজের হাতে লেখা এবং শেষ পাতা ২৭৬-এর পরের খালি পাতাটিতে বাবুল আক্তারের হাতে লেখা ইংরেজিতে তাদের ‘প্রথম সাক্ষাত’র বিষয়সহ রোমান্সকর মুহূর্তের কিছু বিবরণ লেখা ছিল।
গ্রেপ্তার ভোলা, ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে মিতু হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এর মধ্যে ভোলা তার জবানবন্দিতে অপর আসামি মুসার সঙ্গে কথোপকথনের বিষয় উল্লেখ করে। সেখানে বাবুল আক্তার যে মুসাকে তার (বাবুল আক্তারের) স্ত্রীকে হত্যার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন সেটি উল্লেখ আছে। তাছাড়া সাইফুল ইসলাম নামে নিজের এক ব্যবসায়ীক অংশীদারের মাধ্যমে বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মিতুকে হত্যার জন্য তিন লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন সেটিও জবানবন্দিতে এসেছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে মুসা ও কালু পলাতক বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। কারাগারে আছেন- বাবুল আক্তার, ওয়াসিম, শাহজাহান মিয়া ও আনোয়ার হোসেন।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে হদিস মিলছে না কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসার। তার স্ত্রী পান্না আক্তার দাবি করেন, মুছাকে হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৬ সালের ২২ জুন প্রশাসনের কিছু লোক ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলছে না। মিতু হত্যা মামলায় মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে ৯৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর মধ্যে মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার এবং বাবুলের বন্ধু সাইফুলও রয়েছেন।
২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। পরদিন বাবুল আক্তার মামলায় আদালতে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই বছরের ১২ মে বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন:বার্মিজ সেনাদের নৃশংসতা মানবতার বিরোধী এবং গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মামলার বাকি সাত আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম।
চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের পর্যবেক্ষণ মেনে মোশাররফের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। একইসঙ্গে ওই মামলার ডকেট প্রথম মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে তদন্তের জন্য আবেদন করেন। আদালত অনুমতি দিলে শুধু বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলাটির তদন্তই চলমান থাকে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: সাতক্ষীরায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
২ বছর আগে
সন্তানদের জবানবন্দি রেকর্ড: বাবুলের ভাই ও মাগুরার সমাজসেবা কর্মকর্তাকে হাইকোর্টের তলব
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই সন্তানের জবানবন্দি নেয়ার সময় আদালতের আদেশ অমান্য হয়েছে কি না তা জানতে বাবুল আক্তারের ভাই অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান লাবু ও মাগুরার সমাজ সেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. আশাদুল ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ আগস্ট তাদের স্বশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেন, শুধু দাদার উপস্থিতিতে শিশুদের জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আমরা আদেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের চাচা জোর করে সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ এসেছে। এটা তো তিনি করতে পারেন না। আমরা তার মুখে ও সমাজ সেবা কর্মকর্তার মুখে সেদিনের ঘটনা শুনতে চাই। আদালতের আদেশ অমান্য হয়েছে কি না, তা জানতে চাই। এ কারণে তাদের ৭ আগস্ট আসতে হবে।
আদালত বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যা এটা সেনসিটিভ মামলা। এ মামলার বিচার স্বচ্ছভাবে হওয়া উচিত। সমাজসেবা কার্যালয়ে নিয়ে বাবুল আক্তারের দুই শিশু সন্তানের জবানবন্দি নেয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
এ ব্যাপারে আইনজীবী শিশির মনির জানান, হাইকোর্ট মাগুরার সমাজসেবা কার্যালয়ে নিয়ে শিশুদের দাদার উপস্থিতিতে জবানবন্দি নেয়ার জন্য এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে জবানবন্দি নেয়ার পর এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তাকে একটি রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন।
সে অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাগুরার সমাজসেবা কার্যলয়ে জবানবন্দি নেয়ার সময় শিশুদের চাচা ডিস্টার্ব করেছেন। আর আমরা অভিযোগ করেছি তদন্ত কর্মকর্তা আরেকজন ব্যক্তিকে নিয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ে ঢুকে জবানবন্দি নিয়েছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেজন্য শিশুদের চাচা ও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তলব করেছেন। উনাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে হয়তো সেদিন কি ঘটেছিল, সে ব্যাপারে।
এর আগে এক আবেদনের ভিত্তিতে গত ৮ জুন মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই সন্তানের জবানবন্দি নিতে পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তাকে চট্টগ্রাম থেকে মাগুরায় যাওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মাগুরা জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে শিশুদের জবানবন্দি গ্রহণ করতে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুলের দুই সন্তানের জবানবন্দি নিতে নির্দেশ
ওইদিন আদালত বলেছিলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা মাগুরায় যাওয়ার তিনদিন আগে শিশুদের দাদাকে জানাতে হবে। শিশুদের জবানবন্দি রেকর্ড করার সময় জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা, একজন নারী পুলিশ সদস্য ও শিশুদের দাদা উপস্থিত থাকবেন। শিশু আইনের বিধানাবলী অনুসরণ করে শিশুদের জবানবন্দি নিতে হবে। নির্ধারিত দিনে শিশুদের হাজির করতে কোনো গড়িমসি এবং টালবাহানা করলে চলবে না।
পরে গত ৪ জুলাই মাগুরায় গিয়ে শিশুদের জবানবন্দি রেকর্ড করে তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে এ ব্যাপারে একটি রিপোর্ট দাখিল করেন।
গত ১৬ মার্চ দুই সন্তানকে শিশু আইন মেনে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ। আদালতের এ আদেশের পরে তদন্ত কর্মকর্তা শিশু দুটিকে পিবিআইয়ের অফিসে হাজির করতে নোটিশ দেয়, যেটা তারা শিশু আইন অনুযায়ী করতে পারেন না। এ কারণে শিশু আইন অনুসারে যাতে শিশু দুটিকে মাগুরার সমাজসেবা কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তার নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ মার্চ হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন বাবুলের বাবা আবদুল ওয়াদুদ ও বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম। সে ঘটনায় তার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৪ অক্টোবর আদালতে নারাজি আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। গত ৩ নভেম্বর আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে বাবুলকে স্ত্রী খুনের এই মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখান। এরপর গত ১২ মে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাবুল আক্তার বর্তমানে ফেনী কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ
২ বছর আগে
মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ
চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিম এই আদেশ দেন। এ সময় আদালতে বাবুল আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৭ মার্চ মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হাতের লেখা পরীক্ষার আবেদন করেছিলেন আদালতের কাছে।
আদালতের অনুমতি পাওয়ার পরপরই আজকে পিবিআইর উপস্থিতিতে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এগুলো এখন ল্যাবে পরীক্ষা করবেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: নিজের মামলায় ফের জামিন না মঞ্জুর বাবুল আক্তারের
আদালত সূত্র জানায়, মিতু হত্যায় আলামত হিসেবে জব্দ করা একটি বইয়ে দু’জনের হাতের লেখা যাছাই করতে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। জব্দ করা বইটিতে দুই জনের ইংরেজী হাতের লেখা পাওয়া গেছে।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী এ. কে. এম আজহারুল হক জানান, মামলার তদন্তের প্রয়োজনে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেন আদালত। সেই নির্দেশনা মোতাবেক আজ মঙ্গলবার পিবিআই কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে হাতের লেখার নমুনা দেন বাবুল আক্তার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারের বাসা থেকে একটি বই জব্দ করা হয়েছে। বইয়ে ইংরেজীতে দুই জনের হাতের লেখা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হাতের লেখা একজন নারীর এবং অপর হাতের লেখা বাবুল আক্তারের বলে সন্দেহ করছে পিবিআই।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে শিশু সন্তানকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে নগরীর জিইসি এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে মাহমুদা খানম মিতুকে। এ ঘটনায় তখন ঢাকায় অবস্থান করা মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে নিজের জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার কয়েকদিন পরেই মামলার তদন্তে নতুন মোড় নেয়। একপর্যায়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার শ্বশুর। পরে নিজের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: স্ত্রী খুনের মামলায় বাবুল আক্তারকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্ট
২ বছর আগে
মিতু হত্যা: নিজের মামলায় ফের জামিন না মঞ্জুর বাবুল আক্তারের
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় গ্রেপ্তার সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নিজের করা মামলায় দ্বিতীয়বারও জামিন মিলেনি। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় তাকেই গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছিলেন। গত ৩০ ডিসেম্বর বাবুলকে তার করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনটি করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
আদালত সূত্র জানায়, এই মামলায় জামিনের জন্য সোমবার বাবুল আক্তারের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: এবার নিজের মামলায় গ্রেপ্তার বাবুল আক্তার
স্ত্রী মিতু হত্যায় বাবুল আক্তার নিজের করা মামলা এবং মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের করা অপর একটি মামলায় বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন বাবুল আক্তার।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে।
বাবুলের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বাবুল আক্তারের নিজ মামলায় তার জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় আমরা মিস মামলা (২৫৩ নম্বর) করে জজ কোর্টে জামিন চেয়েছি। সেখানেও জামিন না মঞ্জুর হয়েছে। এখন আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
উল্লেখ্য- ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন।
ঘটনার প্রায় পাঁচ বছর পর তদন্ত করে বাবুলকেই স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। গত বছরের ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন মেয়ে জামাই বাবুল আক্তারকে আসামি করে মামলা করেন। একই দিন সেই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই। এদিকে বাবুলের দায়ের করা মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতে ভোলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
তবে আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন না নিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। বাবুল ও মিতুর বাবার করা দুই মামলা এক সঙ্গে তদন্ত করছেন পিবিআই’র পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে ২০২১ সালের ১৩ মে থেকে মিতুর বাবার করা মামলায় স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে আগে থেকে কারাগারে বাবুল আক্তার৷ গত ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে রয়েছেন।
২ বছর আগে