চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পুনঃতলব আবেদনে মোশাররফকে হাজির করা হয় এবং তার সাক্ষ্য সম্পন্ন করা হয়।
এদিন আলামত হিসেবে জমা দেওয়া দুটি বই ও ২৯টি এসএমএস নিয়ে জেরা করা হয় মোশাররফকে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
পরে আদালত আগামী ১১ জুন মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছে।
আসামি বাবুল আকতারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার বিদেশি নারী এনজিওকর্মীর উপহারের দুটি বই ও ২৯টি এসএমএসের বিষয়ে মোশাররফ হোসেনকে জেরা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জেরা শেষে ১১ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
এর আগে, গত ১৩ মার্চ বাবুলসহ সাতজনের বিচার শুরুর আদেশ দেন তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত।
সেদিন ৯ এপ্রিল সাক্ষগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ৯ এপ্রিল মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।
ওই ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন তার স্বামী তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার।
মামলাটি তদন্ত করছিল নগর ডিবি পুলিশ। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ‘আদালতের নির্দেশে’ মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।
এরপরই ঘুরতে থাকে মামলার গতিপ্রকৃতি। পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসতে থাকে স্ত্রী হত্যার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার নানা দিক।
২০২১ সালের ১০ মে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুল আক্তারকে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়। এরপরই তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই।
পরে ১২ মে দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নগরের পাঁচলাইশ থানায় আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ