ইয়াকুব আলী
চার ঘণ্টার ব্যবধানে পিতা-পুত্রের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজগর আলী (৫০) এবং তার পিতা ইয়াকুব আলী (৭০) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় ইয়াকুব আলী এবং রাত সাড়ে ১২ টায় তার পুত্র আজগর আলী মারা যান।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
হরিপুর উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আজগর আলী শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে হরিপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়। ৩০ জুন করোনা পজিটিভ আসায় সেদিন রাতেই দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। আজগর আলীর পিতা ইয়াকুব আলীও শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে সেখানে ভর্তি হন। সেখানে তারও করোনা পজিটিভ আসে।
কিছুটা সুস্থ বোধ করলে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফেরেন পিতা ইয়াকুব আলী (৭০)। কিন্তু ওই সময় ছেলে আজগর আলীর অবস্থা খারাপ হলে তাকে নেয়া হয় আইসিইউতে। বাড়ি ফিরেই মারা যান ইয়াকুব আলী। এর চার ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুরে চিকিৎসাধীন ছেলে আজগর আলীও মারা যান।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৬ জনকে অর্থদণ্ড
পিতা-পুত্রের মৃত্যুতে উপজেলা বিএনপি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, হরিপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বরাত দিয়ে পিতা-পুত্রের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়ায় টাকা না দেয়ায় নাতির হাতে নানী খুন
বগুড়ায় ৩০ হাজার টাকা না পেয়ে নানী আছিয়া বেওয়াকে (৭০) খুন করেছে নাতি ইয়াকুব আলী (১৯)। এ ঘটনায় পুলিশ নাতিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার রাতে বগুড়া সদর থানার শেখেরকোলা ইউনিয়নের শেখেরকোলা গ্রামে এ খুনের ঘটনা ঘটে। ইয়াকুব বগুড়া সদরের বালাকৈগাড়ী গ্রামের মিলন প্রামাণিকের ছেলে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূইয়া তার কার্যালয়ে হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত একমাত্র আসামি গ্রেপ্তার ইয়াকুব আলী পেশায় একজন লেদ শ্রমিক।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, জমি জমার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তার মা ও বাবার সাথে নানীর বিরোধ ছিল। সম্প্রতি নানী আছিয়া বেওয়া তার একটি গরু বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা ঘরে রাখে। এ খবর পেয়ে সে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় নানীর বাড়ি যায়। এরপর সে নানীকে দোকানে পাঠিয়ে নানীর ঘরে ৩০ হাজার টাকা খুঁজতে থাকে। এমন সময় নানী এলে সে নানীর কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। নানী টাকা দিতে না চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নানীর গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করে সে।
আরও পড়ুন: ঈদে কেনাকাটার টাকা চেয়ে না পাওয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এই সময় নানীর শাড়ীর আঁচলে রাখা ২ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায় সে। এরপর ঘটনাস্থলেই আছিয়া বেওয়া মারা যান।
পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।