প্রাথমিক বিদ্যালয়
রবিবার থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকছে ১২ সিটি করপোরেশন ও নরসিংদী পৌরসভায়
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব প্রাথমিক বিদ্যালয় রবিবার থেকে খুলে দেওয়া হবে। তবে ১২টি সিটি করপোরেশন ও নরসিংদী পৌরসভার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধই থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতাধীন শিক্ষা কেন্দ্রগুলো চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কারফিউ চলাকালীন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা নিজ নিজ জেলার স্থানীয় পরিস্থিতির ভিত্তিতে শ্রেণি কার্যক্রমের সময়সূচি সমন্বয় করতে পারবেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় গত ১৭ জুলাই দেশের আটটি সিটি করপোরেশন এলাকার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: সিটি করপোরেশন এলাকাভুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
৪ মাস আগে
শৈত্যপ্রবাহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সূচি পরিবর্তন
সারাদেশে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে ক্লাস শুরু হবে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ নির্দেশনা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রবিবার উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সময়সূচির এ পরিবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: মেঘনা থেকে রজনীগন্ধা ফেরির সহকারী মাস্টার হুমায়ুনের লাশ উদ্ধার
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কোনো জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে আঞ্চলিক উপপরিচালকরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ
নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত, আহত ২
১১ মাস আগে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ৩৭,৯২৬টি পদ শূন্য: প্রতিমন্ত্রী
বর্তমানে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ৩৭ হাজার ৯২৬টি পদ শূন্য রয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সংসদ সদস্যদের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের ২৯ হাজার ৮৫৮টি এবং সহকারী শিক্ষকের ৮ হাজার ৬৮টি পদ শূন্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে ৯ম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতি দাবি এটিইওদের
তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের ১ হাজার ৯৫৫টি শূন্যপদ পূরণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে একটি রিকুইজিশন পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখ ২৭ হাজার। এর মধ্যে ৩ লাখ ৯০ হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
এদিকে, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানমের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংসদে বলেন, প্রতিটি জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি সংসদকে জানান, বর্তমানে দেশে দু’টি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের কারণে ৫-৮ জুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতি বন্ধে অটোমেশন সফটওয়্যার চালুর কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সফটওয়্যারটি চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সব তথ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে এবং সার্টিফিকেট বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে যাচাই করা যাবে।’
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জাল সনদধারী ৬৭৮ শিক্ষক/কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আরও দুই বিজ্ঞপ্তি আসছে
১ বছর আগে
প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭ এপ্রিল পর্যন্ত খোলা থাকবে
দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী ৭ এপ্রিল (১৫ রমজান) পর্যন্ত খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে মহানগর, ডবল সিফট ও সিঙ্গেল সিফট সকল স্কুলের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থাৎ, রমজান মাসে মোট ৯ কার্যদিবস স্কুল খোলা থাকবে।
সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত ঘোষণা
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বই ছাপানোর পরিকল্পনা
১ বছর আগে
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার স্থগিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে প্রকাশিত ফলাফলে যে অসঙ্গতি ছিল নতুন ফলাফলে সেটা সংশোধন করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ফল প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় আশা করে যে নতুন প্রকাশিত ফলাফল সব বিভ্রান্তি দূর করবে।
২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার ও সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি পাবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত ঘোষণা
ফল যেভাবে জানা যাবে
বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.mopme.gov.bd), এছাড়া স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে।
ঘরে বসেও মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে জানা যাবে ফল
এজন্য মোবাইলে DPE Thana/Upazila Code No. Roll Number Year লিখে 16222 এ সেন্ড করলে ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ২৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল হতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা সারা দেশে এক যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট নম্বর ছিল ১০০ এবং সময় ছিল দুই ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী
১ বছর আগে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের গেজেট ছয় মাসের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, ছয় মাসের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তিত নামসমূহের গেজেট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক শিক্ষার উদ্যোগ ও অর্জন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি বলেন, পাইলটিং করে প্রায় চার লাখ শিক্ষককে দ্রুততম সময়ে বদলির জন্য গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সংশোধিত অনলাইন বদলি নীতিমালা জারি করা হয়। প্রথম পর্যায়ে মাত্র সাত দিনের মধ্যে অনলাইনে বদলির জন্য ২৫ হাজার আবেদনের বিষয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন বইয়ের আনন্দে শিশুরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষায় শুধু প্রথম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রণীত হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণির পাঠ্যবই পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়ে দেয়া হবে। এ কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ইতোমধ্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ৪+ ও ৫+ বছর বয়সকে বিবেচনা করে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পাইলটিং হিসেবে তিন হাজার ২১৪টি স্কুলে এ বছর শুরু করা হয়েছে।’
তিনি জানান, শিশুর বিকাশ ও খেলাভিত্তিক শিখনের ওপর ছয় দিনব্যাপী প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষকদের তৈরি করার লক্ষ্যে ৭০০ প্রশিক্ষক তৈরি করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণটিও মাঠ পর্যায়ের সকল শিক্ষক সরাসরি ও অনলাইন পদ্ধতিতে পাবেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর মধ্যে এ বিষয়ে প্রাক-প্রাথমিক বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ শিক্ষাক্রমের ওপর একটি বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দেশব্যাপী পরিচালনা করবে।
চলতি বছরের মার্চের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষকের পাঠ্যক্রম বিস্তরণ সংক্রান্ত এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রণয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরইমধ্যে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৭ শিক্ষার্থীর প্রোফাইল প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৪ সালের এসব কাজ শেষ হবে। এতে করে একক পরিচিত বা ইউনিক আইডি’র (ইউআইডি) মাধ্যমে ভর্তি, পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, হাজিরা তথ্য, মিড-ডে মিল, উপবৃত্তি বিতরণ এবং পরবর্তীতে নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিসহ সকল কাজ সহায়ক হবে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, বিদ্যালয়ের নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক এরকম নাম ২০০-এর মতো পেয়েছি।
আরও পড়ুন: পাঠ্যপুস্তক শিশু মনে ভীতির নয়, প্রীতির ভাব জাগাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
রাঙামাটিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ
রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলায় গত দুই দিনে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং আরও প্রায় ৭০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
রবিবার জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অনন্যা চাকমা জানান, শুক্রবার আমতলা গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাঙাবী চাকমার ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
তিনি জানান, জুরাছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দিতে পাঁচটি মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
শুক্রবার উপজেলার মৈদং ইউনিয়নের পাহাড়ি আমতলা গ্রামের ডায়রিয়া আক্রান্ত ১০ রোগীকে রাঙামাটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলা বাদলহাটছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মঙ্গল চাকমা জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টির পর পানিবাহিত রোগের খবর পাওয়া গেছে।
সরজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
দুই বছরের শিশু অমর শান্তি চাকমার মা সঞ্জারিকা চাকমা জানান, গত দুই দিন ধরে তার ছেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অমর সুস্থ হয়ে উঠছে তবে তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও আক্রান্ত হয়েছেন।
জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা জানান, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত মেডিকেল টিম ওই এলাকায় থাকবে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
২ বছর আগে
টেক্সাসে স্কুলে বন্দুক হামলা, ১৯ শিক্ষার্থীসহ নিহত ২১
যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাসের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮ বছল বয়সী এক বন্দুকধারীর গুলিতে মঙ্গলবার অন্তত ১৯ জন শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট জানিয়েছেন, দুজনের একজন শিক্ষক।
নিহতদের মধ্যে হামলাকারী অন্তর্ভুক্ত কি না বা কতজন আহত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
সন্দেহভাজন ১৮ বছর বয়সী সালভাদর রামোস পুলিশের গুলিতে নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে প্রায় এক দশক আগে কানেকটিকাটের নিউটাউনের স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারিতে একজন বন্দুকধারীর হামলায় ২০ শিশু এবং ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক নিহত হয়েছিল।
এছাড়া এই হামলার মাত্র ১০ দিন আগে দেশটির নিউইয়র্কের বাফেলোর একটি সুপারমার্কেটে গুলি চালানো হয়। এতে ১০ জন নিহত হয়।
স্কুল জেলা সুপারিনটেনডেন্ট হ্যাল হ্যারেল বলেছেন, ‘আমার হৃদয় আজ ভেঙ্গে গেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্কুলের সমস্ত কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে। আমরা একটি ছোট সম্প্রদায় এবং এটি অতিক্রম করার জন্য আপনার প্রার্থনার প্রয়োজন।’
আহতদের মধ্যে অনেককে উভালদে মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে স্টাফ সদস্যরা এবং বিধ্বস্ত নিহতদের আত্মীয়দের কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কাঁদতে দেখা যায়।
এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলার কয়েক ঘণ্টা পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নতুন বন্দুক বিধিনিষেধের আহ্বান জানিয়েছেন।
পড়ুন: ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সদস্যকে গুলি করে হত্যা
উত্তর প্রদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮
২ বছর আগে
২২ ফেব্রুয়ারি খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করা হবে।‘
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রী।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তারা সরাসারি শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন আর যারা শুধু প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের শ্রেণি কার্যক্রম হবে অনলাইনে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২২২ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ এবং ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে। আশা করছি ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শেষ হবে।
মন্ত্রী বলেন, যাদের টিকা নেয়া শেষ না হবে তারা পূর্ণডোজ না নেয়া পর্যন্ত অনলাইনে বা টেলিভিশনে ক্লাস করবে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তারা তাদের নিজস্ব সময়সূচি ঠিক করে নেবেন।
তবে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকেই তারা তাদের ক্লাস শুরু করতে পারবেন। সকল ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে,’ বলেন তিনি।
প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বিষয়ে আরও অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের যেহতু টিকা নেয়া হয় নি। আমাদের পরামর্শকরা যেটা বলেছেন যে সংক্রমণ দ্রুত নামছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশা করছেন।
২২ তারিখের পর থেকে ১০ দিন থেকে ২ সপ্তাহ পর আমরা আশা করছি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদেরও আমরা শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতে পারবো। এখনও যে অবস্থা আছে তাতে ২২ তারিখে প্রাথমিককে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসছি না। আমরা সপ্তাহ দুয়েক দেখবো।
তিনি বলেন, ১২ বছরের নিচে যারা তাদের টিকা দানের বিষয়েও একটি উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সেই কাজটিও আমরা যত দ্রুত পারি এখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের বিষয় আছে সেগুলো আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তারা দেখছে।
পড়ুন: চলতি মাসেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
স্কুল খুললেও ক্লাস সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যে অবস্থায় আমরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ করেছিলাম ঠিক সেই জায়গা থেকে আমরা শুরু করবো। আমাদের চেষ্টা থাকবে সংক্রমণ যত নামতে থাকবে আমাদের ক্লাসের সংখ্যাও তত বাড়বে।
এর আগে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করেছিল।
তারও আগে করোনা সংক্রমণ রোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জরুরি নির্দেশনা দেয়।
এসএসসি-এইচএসসি হতে পারে জুন-আগস্টে
করোনা মহামারির মধ্যে এবারের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘জুন থেকে আগস্টের মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করব। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হবে। কম বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে কিনা, পরীক্ষার কাছাকাছি গিয়ে বলতে পারব।’
পড়ুন: শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
২ বছর আগে
প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ল
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সকল ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিও বাড়ল ২৯ মে পর্যন্ত
বিজ্ঞতিতে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় এবং দেশের কোন কোন অঞ্চলে আংশিকভাবে কঠোর লকডাউন কার্যকর থাকায়, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় নিজেদের ও অন্যদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে। পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল
বিজ্ঞতিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারীকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসনগুলো শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের ছুটি বাড়ল ২৯ মে পর্যন্ত
এতে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।
৩ বছর আগে