যাত্রীদের ঢল
শিমুলিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশপথ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। ঈদুল ফিতরের তিন দিনের ছুটি শেষ হওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিজীবিরা কাজে যোগদানের জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটছেন কর্মস্থলের দিকে।
সোমবার ঈদের চতুর্থ দিনেও ঢাকা থেকে অসংখ্য মানুষ গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ফেরিতে পার হতে শিমুলিয়া ঘাটে এসে নামছে। ফলে মানুষের যাওয়া-আসায় খুবই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার উভয় ফেরিঘাট।
এর আগে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ঈদের আগে নাড়ির টানে ছুটেছিলেন তারা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহন বন্ধ। সেই সাথে শিমুলিয়া ঘাটের ৮৭টি লঞ্চ ও সাড়ে ৪ শতাধিক স্পিডবোট ও প্রায় দুই শতাধিক ট্রলার বন্ধ রয়েছে। এসব গণনৌপরিবহন বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এ রুটের যাত্রীরা ভিড় করছেন ফেরিগুলোতে। ১৮টি ফেরির প্রতিটিতেই একই রকমের গাদাগাদির চিত্র দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বিজিবির চেকপোস্ট উপেক্ষা করেই শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষের ঢল
সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরি থেকে নেমে ঢাকাসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও ট্রাকে চড়ে রওনা হচ্ছে যাত্রীরা। ৭০ টাকার ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা দিয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে তাদের। ভোগান্তির শেষ নেই। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঈদের আগে অনেক কষ্ট করে বাড়ি যেতে হয়েছে। এখন আবার কষ্ট করে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী মানুষের চাপ
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে ফেরি ছাড়া সব নৌযান বন্ধ। ফলে ফেরিতেই সব চাপ। ফেরিতে মানুষ বেশি, গাড়ি কম। মানুষের চাপে ফেরিতে গাড়ি ওঠানো যাচ্ছে না। ১৮টি ফেরি সচল রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
শিমুলিয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) হাফিজুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটি শেষ। তাই কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। সোমবার সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী যাত্রীর চাপ ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আরও যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। প্রতিটি ফেরিতে গাদাগাদি করে ঢাকামুখী যাত্রীরা আসছিল। কর্মস্থলে ফেরা মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছেন। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে।
৩ বছর আগে