থ্রিলার
দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশের কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ুন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমা। সেখানে ‘নিশাদ’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তারপর থেকে গান ও নাটকের মাধ্যমে বেশ কিছুবার দর্শকদের সামনে এলেও বড় পর্দা থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। অবশেষে ১৭ বছরের দীর্ঘ বিরতি ভেঙে ‘নীল জোছনা’ শিরোনামের চলচ্চিত্র দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় ফিরছেন শাওন।
কেমন হতে যাচ্ছে সিনেমার গল্প, আর এই নির্মাণে শাওনের সঙ্গী হচ্ছেন কারা- চলুন জেনে নেয়া যাক।
বিনোদন জগতে শাওনের পদচারণা
বিনোদন জগতে শাওনের শুরুটা ছিল ১৯৮৯ সালে ইবনে মিজান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আলাল দুলাল’-এ শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে। সেখানে তিনি অভিনয় করেছিলেন তৎকালীন খ্যাতিমান নায়িকা সুচরিতার ছোটবেলার চরিত্রে। তবে তিনি আলোচনায় আসেন শিশু শিল্পীদের জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’তে বিজয়ী হওয়ার পর। তার নামের সঙ্গে একাধারে জুড়ে ছিল নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী।
আরো পড়ুন: ইতালির ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হলো 'ময়না'
ছোটপর্দায় শাওনের অভিষেক হয় ১৯৯৬ সালের ধারাবাহিক নাটক ‘নক্ষত্রের রাত’-এর মাধ্যমে। ধারাবাহিকটি নির্মাণ করেছিলেন প্রথিতযশা নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদ। ১৯৯৯ সালে তার কালজয়ী ধারাবাহিক ‘আজ রবিবার’-এ শাওনের ‘তিতলি’ চরিত্রটি আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। এরপর থেকে হুমায়ুন আহমেদের নাট্যদলের নিয়মিত একজন হয়ে যান শাওন। সে বছরই রম্য নাটক ‘সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড’-এ মিতু চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
শুধু নাটকেই নয়, প্রখ্যাত নির্মাতার চলচ্চিত্রগুলোতেও সমান বিচরণ ছিল এই মেধাবী তারকার। ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় প্রধান নায়িকা ‘কুসুম’-এর ভূমিকায় দেখা যায় শাওনকে। এরপর থেকে ‘দুই দুয়ারী’ (২০০১)-তে ‘তরু’, ‘চন্দ্রকথা’ (২০০৩)-য় ‘চন্দ্র’, এবং ‘শ্যামল ছায়া’ (২০০৪) সিনেমার ‘আশালতা’ চরিত্রগুলো দর্শক ও সমালোচক মহলে বেশ সমাদৃত হয়।
২০০৪ সালের দর্শকনন্দিত ধারাবাহিক নাটক ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’তে তিনি ‘পুষ্প’ চরিত্রে অভিনয় করেন।
হুমায়ুন আহমেদের নির্দেশনায় শাওনের সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল ২০০৮ সালের ‘আমার আছে জল’, আর সর্বশেষ নাটক ছিল ২০১১ সালের ‘স্বর্ণকলস’।
আরো পড়ুন: কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে যে কারণে এত আলোচনা
২০১২ সালে হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে তার বেশ কিছু রচনা পরিচালনা করেন শাওন।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০১১ সালের নাটক ‘স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ’, ২০১৪ সালের ‘বিভ্রম’, এবং ২০১৬ সালের চলচ্চিত্র ‘কৃষ্ণপক্ষ’। ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সিনেমায় ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দেওয়ার সুবাদে তিনি শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।
‘নীল জোছনা’ সিনেমার কথকতা
সিনেমার গল্প
চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য নির্মিত হয়েছে মোশতাক আহমেদের ‘নীল জোছনার জীবন’ উপন্যাস অবলম্বনে, যেটি মুলত একটি প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক কাহিনী নিয়ে রচিত।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র লায়লা, যে অতীত ও ভবিষ্যত দেখতে পারে। আর এই বিষয়টি আতঙ্কিত করে তুলেছে তার স্বামী আমিনকে। কেননা সে জানতে পেরেছে খুব শিগগিরই লায়লার ফাঁসি হতে যাচ্ছে, আর কথাটি বলেছে স্বয়ং লায়লা নিজে। আমিন কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না, কেন তার স্ত্রীর ফাঁসি হবে; সে তো কোনো অপরাধ করেনি!
আরো পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এর বাংলাদেশি সিনেমা
চরম উদ্বিগ্নতার মুহুর্তে তারা শরণাপন্ন হয় মনস্তাত্ত্বিক ড. তরফদারের। গভীর পর্যবেক্ষণে তিনি খেয়াল করেন যে, লায়লা প্রায়ই একটি গান গুনগুন করে। আর এই গানের উৎসটি ডাক্তারকে সন্ধান দেয় এক অদ্ভূত বিমূর্ত জীবনের, যার নাম নীল জোছনা।
লায়লার অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার পেছনে এই নীল জোছনাই দায়ী। আবার এই নীল জোছনাই তাকে ফাঁসির দিকে ধাবিত করছে।
ডাক্তার টের পান, লায়লার জীবন প্রবাহ পৃথিবীর আর দশটা মানুষের মত স্বাভাবিক নয়। এরপরও তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকেন মেয়েটির ভয়াবহ পরিণতির গতিপথ পাল্টানোর জন্য।
আরো পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এর কিছু চমকপ্রদ বাংলা নাটক
চলচ্চিত্রের নির্মাণ ও কলাকুশলি
৬ বছর আগে ২০১৮ সালের শেষ দিকে সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ফাখরুল আরেফিন খানের পরিচালনায়। মহামারী করোনাসহ নানা কারণে শুটিংয়ের কাজ বারবার পিছিয়ে যায়। অতঃপর চলতি বছরের মে মাস থেকে সফলভাবে সিনেমাটির শুটিং চলছে।
‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’ এবং ‘জেকে ১৯৭১’-এর পর ফাখরুল আরেফিন খানের চতুর্থ সিনেমা ‘নীল জোছনা’। এর আগে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আল বদর’ (২০১১)-এর জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
চলচ্চিত্রে শাওনকে দেখা যাবে শহুরে এক নারীর চরিত্রে। সিনেমার আলাদা চমক হিসেবে থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পাওলি দাম। এছাড়া অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন- ইন্তেখাব দিনার, তারিক আনাম খান, এস এম নাঈম ও পার্থ বড়ুয়া।
আরো পড়ুন: আসছে তাহসান-মিথিলার ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’
ছবির ক্যামেরাম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন রানা দাশগুপ্ত। সাকি ব্যানার্জির সংগীত পরিচালনায় ছবিতে গান থাকবে মোট তিনটি। এগুলোর মধ্যে মৌলিক গান দুটি, যেগুলোর গীতিকার লয়দীপ ও মাহমুদ শাওন।
পরিশেষ
মনস্তাত্ত্বিক গল্পের চলচ্চিত্র দিয়ে শাওনের প্রত্যাবর্তন হুমায়ুন-ভক্তদের জন্য নতুন করে থ্রিলার নির্ভর কাজ দেখার ইন্ধন যোগাচ্ছে। ২১ শতকের প্রথম দশকে বিনোদন জগতের বিভিন্ন অঙ্গনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার মাধ্যমে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের একটি আলাদা জায়গা তৈরি করেছিলেন শাওন। তবে ‘নীল জোছনা’র মাধ্যমে সেই জনপ্রিয়তার পুনরুত্থান ঘটবে কি না, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে চলচ্চিত্রটির মুক্তির দিন পর্যন্ত।
তবে ফাখরুল আরেফিন খানের বিগত ভিন্ন ধারার কাজের সুবাদে বাংলাদেশি সিনেমা জগতে নতুন কিছু সংযোজনের সম্ভাবনা তৈরি করছে চলচ্চিত্রটি।
মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
৪ মাস আগে
‘সুলতানপুর’ প্রেক্ষাগৃহে আসছে ২ জুন
আগামী ২ জুন মুক্তি পাচ্ছে সৈকত নাসির পরিচালত থ্রিলার ঘরনার সিনেমা ‘সুলতানপুর’। এই উপলক্ষে রবিবার রাজধানীর এক রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সৈকত নাসির, অভিনেতা আশীষ খন্দকার, সুমন ফারুক, সানজু জনসহ অন্যান্য কলাকুশলীরা। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অরুণা বিশ্বাস ও বিপ্লব সাহা।
অনুষ্ঠানে পরিচালক সৈকত নাসির বলেন, ‘একটি সিনেমা যখন দর্শকদের সাড়া পায় সেটি সবচেয়ে বেশি আনন্দের। এই অনুষ্ঠানে সিনেমার প্রায় সবাই আমরা রয়েছি। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি সিনেমাটি দেখার। আমাদের সিনেমার মূল নায়ক এর গল্প। আমাদের নিজেদের গল্প আমরা বলতে চেয়েছি। সিনেমায় যারা অভিনয় করেছেন এবং অন্যান্য কলাকুশলী সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সবার পরিশ্রমে কাজটি শেষ করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: প্রকাশ পেল ‘সুলতানপুর’ সিনেমার দ্বিতীয় গান ‘বোকা মন’
আরও পড়ুন:
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘সেন্সরবোর্ডের সদস্য হিসেবে সিনেমাটি আমি এরইমধ্যে দেখেছি। এর গানগুলো শুনে আমি মুগ্ধ। আর গল্পেও বেশ ভিন্নতা উঠে এসেছে। অনেক জায়গায় শুনি, সিনেমা ভালো কিন্তু দর্শক দেখছে না। আমার প্রশ্ন, সিনেমা ভালো হলে দর্শক কেন দেখবে না?’
অরুনা বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আমাদের নিজেদের অনেক গল্প রয়েছে। সেই গল্পগুলো পর্দায় উঠে আসুক সেই প্রত্যাশা করছি।’
সীমান্তের রোমাঞ্চকর গল্পে গড়ে উঠেছে ‘সুলতানপুর’ সিনেমা। এর পরতে পরতে আছে উত্তেজনা। সীমান্ত মানেই বহু সংস্কৃতির মেলবন্ধন। সীমান্ত এলাকার চোরাচালান, বাটপারি, ক্ষমতা, মাদক পাচার, মাদকসম্রাটসহ অনেক বিষয়ই এরইমধ্যে ট্রেলারে উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, আসাদ জামানের গল্পে নির্মিত এ সিনেমায় আশীষ খন্দকার, অধরা খান, সুমন ফারুক, সাঞ্জু জন, রাশেদ মামুন অপু, মৌমিতা মৌ, শাহিন মৃধা অভিনয় করেছেন।
আরও পড়ুন: শাকিব খানের পর ঘরটি শূন্য!
১ বছর আগে
সিয়াম আহমেদ এবার বলিউডে
এবার বলিউডে অভিনয় করতে যাচ্ছেন ‘শান’ খ্যাত তরুণ বাংলাদেশি অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। ‘ইন দ্য রিং’ নামে একটি ভারতীয় সিনেমায় তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার বিশ্ব-বিখ্যাত বিনোদন ওয়েবসাইট ভ্যারাইটি এই খবরটি জানিয়েছে। সিনেমাটিতে আরও থাকবেন নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় ‘লিটল থিংস’ সিরিজ খ্যাত তরুণ ভারতীয় অভিনেত্রী মিথিলা পালকার ও জনপ্রিয় ভারতীয় কৌতুক অভিনেতা জাভেদ জাফেরি।
সিনেমাটি পরিচালনা করবেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা আলকা রঘুরাম যিনি পূর্বে কলকাতার মুসলিম নারী বক্সারদের গল্প নিয়ে বিখ্যাত ডকুমেন্টারি ‘বোরকা বক্সার্স’ নির্মাণ করেছিলেন।
মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলারধর্মী সিনেমাটির বিষয়বস্তু মূলত কলকাতার খিদিরপুরের নারী মুসলিম বক্সিং সম্প্রদায়কে ঘিরে। ১৭ বছর বয়সী শামা নামের এক বক্সারের জীবনের নানা দিক উঠে আসবে এ সিনেমায়। যে কিনা খালাকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ লড়তে তার যমজদের সাহায্য নিবে।
সিনেমাটিতে আরও দেখা যাবে রাজিয়া শবনমকেও যিনি প্রথম ভারতীয় নারীদের একজন যিনি আন্তর্জাতিক বক্সিং রেফারি ও কোচ হয়েছেন।
সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক দর্পণ গ্লোবালের শ্রেয়াশী সেনগুপ্ত ও ভারতের অরিজন গ্লোবালের সৌভিক দাশগুপ্ত চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের রিক অ্যামব্রোস নির্বাহী প্রযোজক হিসাবে কাজ করছেন এ সিনেমায়।
আরও পড়ুন: ‘শান’ দেখতে তারার মেলা
সেরা অভিনেত্রী হিসেবে কলকাতায় সম্মাননা পেলেন জয়া আহসান
কান চলচ্চিত্র উৎসবে অনন্ত-বর্ষা
২ বছর আগে
২০২১ সালের অন্যরকম ৭টি বাংলা থ্রিলার সিনেমা
মহামারি করোনায় এই লকডাউন চলাকালীন সময়ে এমন কিছু বাংলা থ্রিলার মুভি আছে যা আপনি ঈদে উপভোগ করতে পারবেন। আপনি অব্যশই রহস্যের ছোয়ায় কিছু ভাল সময় উপভোগ করতে পারবেন।
যদিও গেলো বছরটি সিনেমা সংশ্লিষ্টদের জন্য তেমন একটা সুখকর ছিল না, তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো সিনেমা নির্মাণের যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। তেমনি কিছু উল্লেখযোগ্য সিনেমা সম্পর্কে ইউএনবি পাঠকদের জানানোর চেষ্টা করছি।
১. প্রতিদ্বন্দ্বী
ক্রাইম থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ২০২১ সালে ১লা জানুয়ারি। সময়সীমাঃ ১ ঘন্টা ৫১ মিনিট। আইএমডিবি রেটিং ৮.৮/১০
সিনেমার গল্পটি মূলত একটি কিডন্যাপিং কেস নিয়ে। পলাতক মাদক ব্যবসায়ী ধামানী, গোবিন্দা, রাজনৈতিক নেতা মায়া এবং ডাক্তার গুপ্তা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন।
ডাক্তার বক্সির বন্ধু সুকুমার সেন মেয়েকে হারিয়ে পাগল প্রায়। পরবর্তীতে ডাক্তার বক্সি স্কুল থেকে কিডন্যাপ হওয়া তার ছেলেকে খুঁজে বের করার জন্য সিদ্ধার্থ নামে একজন প্রাইভেট তদন্তকারীর দেখা পান। সিদ্ধার্থ আবার রাজনৈতিক নেতা মায়ার সাবেক প্রেমিক।
পরিচালক সপ্তর্ষী বসু সিনেমায় এসব গল্পকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে প্রত্যেকটি গল্পই একটির সাথে অন্যটি সম্পর্কযুক্ত। শ্বাশ্বত চ্যাটার্জি, রুদ্রনীল ঘোষ, সায়ণী ঘোষ, সৌরভ দাস এখানে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সবশেষে অবশ্যই চমক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ করোনার মধ্যে ঈদ, শাহরুখ-সালমানের শুভেচ্ছা
২. ট্যাংরা ব্লুজ
মিউজিকাল থ্রিলার ঘরানার ২ঘণ্টা সময়সীমার মুভিটি মুক্তি পেয়েছে এ বছরের ১৬ এপ্রিল। আইএমডিবি রেটিং ৮.৩/১০
জয়ী কলকাতার তরুণ কম্পোজার। যে কিনা বস্তির একটা তরুণ মিউজিকাল ব্যান্ড নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত।
সঞ্জীব মন্ডল নামে এক শিল্পী যে কিনা আগে মাস্তান ছিল, সে জয়ীর জীবনটা পাল্টে দেয়। ইন্ডিয়া গট ট্যালেন্ট নামে একটি অনুষ্ঠানে সে বস্তির ছেলেদের নিয়ে তার ব্যান্ড কে সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দেয়, যারা কিনা আর্থিক কারণে পড়াশোনার সুযোগ পায়নি। সেখানে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে গল্প এগিয়ে যায়। পরিচালক সুপ্রিয় সেন একটি আন্ডারডগ গল্প দ্বারা থ্রিলিং অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
৩. জানোয়ার
ক্রাইম থ্রিলার হিসেবে বাংলাদেশের ওয়েব ফিল্ম শিল্পে বেশ সুনাম অর্জন করেছে ‘জানোয়ার।’ ২০২১ এর ১৪ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ১ঘন্টা ১৭ মিনিট। আইএমডিবি রেটিং ৭.২/১০।
একটি সত্য ঘটনা নিয়ে তৈরি বাংলাদেশের ওয়েব ফিল্ম জানোয়ার। পরিচালক রায়হান রাফি ২৩ এপ্রিল ২০২০ এর ডাকাতি, গ্যাং রেপ এবং হত্যার ভয়ঙ্কর দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
সিনেমার রূপ দিতে গিয়ে পরিচালক যদিও গল্পের কিছুটা পরিবর্তন করেছেন. তবে মূল গল্প অভিন্ন রাখা হয়েছে।
রাহুল এলিনা শাম্মি এখানে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এবং রাশেদ মামুন অপু ডাকাত দলের প্রধানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। শিশু শিল্পী আরিয়া আরিত্রা দারুণ অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন ছুয়েছেন। তাদের দক্ষ অভিনয় শৈলী দিয়ে গল্পকে আরো বাস্তব করে তুলেছেন।
সিনেমা নির্মাণের দিক বিবেচনা করলে বাংলাদেশের উন্নতি চোখে পড়বে এই সিনেমায়।
আরও পড়ুন: স্টুডিওতে নয় মহাকাশে বানানো হবে সিনেমা
৪. ট্রল
সাইকোলজিকাল থ্রিলার নিয়ে বাংলাদেশে কাজ কম হলেও, ১ ঘন্টা ৪৯ মিনিটের ‘ট্রল’ আপনাকে দেশি সিনেমায় নতুনত্বের স্বাদ দিবে। আইএমডিবি রেটিং ৭.২/১০।
ট্রল মূলত বাংলাদেশি সাইকো-থ্রিলার ওয়েব সিনেমা। যদিও ফ্রেন্ডদের মধ্যে ট্রল শব্দটি মজার অর্থে ব্যবহার হয়, কিন্তু সিনেমায় এটি খুব ভয়ঙ্কর ইনসাইট দেখিয়েছে।
পরিচালক সঞ্জয় সামাদ্দার এখানে জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং নতুন তারকা তাসনিয়া ফারিনকে অভিনয় করিয়েছেন। এখানে দেখানো হয়েছে এক জনের খেলা কিভাবে অন্য জনের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যদিও ট্রেলার দেখে গল্পটি ভিন্ন মনে হবে কিন্তু পুরো সিনেমা দেখলে আসল টুইস্ট পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশি সিনেমার গতানুগতিক নির্মাণকে ভেঙে দিয়েছে এই সিনেমার নির্মাণ। সিনেমায় শতাব্দী ওয়াদুদের অভিনয় ছিল অন্যবদ্য।
৫. ম্যাজিক
সাইকোলজ্যকাল থ্রিলার ঘরানার আরও একটি সিনেমা হল ‘ম্যাজিক’, যা মুক্তি পেয়েছে ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। সময়সীমা ২ ঘন্টা ৫ মিনিট। আইএমডিবি রেটিং ৭.১/১০।
গল্পটি মূলত শুরু হয়েছে ইন্দ্রা নামের এক ছেলেকে দিয়ে। যে কিনা খুবই বিষাদগ্রস্ত তবে ম্যাজিক নিয়ে খুবই আগ্রহী। কৃতি নামের এক মেয়ের প্রেমে পড়লে তার জীবন পুরোপুরি পাল্টে যায়। প্রেমে পড়ার পর তার মনে হতে থাকে কৃতির সাথে তার পূর্ব জন্মের কোনও যোগাযোগ ছিল। তখনি গল্পে একটি ভিন্ন মোড় দেখা দেয়।
পরিচালক রাজ চন্দ্র এখানে রোমান্স, রহস্য, থ্রিলারের মাধ্যমে গল্পটি তুলে ধরেছেন। সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অঙ্কুশ এবং ঐন্দ্রিলা। এই গল্পের ম্যাজিক সহজেই ধরা যাবে না। এটি মূলত সত্যের উপ নির্মিত একটি সামাজিক সিনেমা।
আরও পড়ুন: ঈদে প্রকাশ পেল এরসের ‘উড়তে চাই’
৬. চক্রব্যূহ
এ বছরের ২৯ মার্চ মুক্তি পাওয়া সাসপেন্স থ্রিলার ২ ঘন্টা ১০ মিনিট সময়ে আপনাকে রহস্যের স্বাদ দিয়ে যাবে।
কলকাতায় দিনে দুপুরে তিন মেয়ে অপহরণ হয়। একজন শহরের বিখ্যাত মন্ত্রীর মেয়ে, অন্যজন ব্যবসায়ীর মেয়ে অন্যজন বিখ্যাত সাংবাদিকের মেয়ে। পুলিশ অপহরণকারীদের খোঁজ করতে থাকে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় তার কোনও প্রকার অর্থ দাবি করে না। অপহরিত তিন মেয়েকে গভীর জঙ্গলে তাবুতে রাখা হয়। পালাতে চেষ্টা করেও তারা পালাতে পারে না। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে তারা বুঝতে পারে একটি প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তাদের অপহরণ করা হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে প্রতিবাদটি সামনে আসে।
চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন পার্থ সারথী জুয়ারদার এবং মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সাহেব ভট্যাচার্য, রূপসা মুখার্জি, শবনম, সুদীপা চক্রবর্তী এবং রাজেশ শর্মা।
৭. ফ্লাইওভার
টানটান রহস্যের স্বাদ পেতে চাইলে ২ এপ্রিল মুক্তি পাওয়া ২ ঘণ্টার এই সিনেমাটি ঝটপট দেখে ফেলতে হবে। আইএমডিবি রেটিং ৪.৮/১০
মূলত অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিককে নিয়ে এই সিনেমা। এখানে বিদিশা নামে এক সাংবাদিকের গল্প বলা হয়েছে যে কিনা ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ নিয়ে একটি গল্প লিখে। একদিন রাতে এক খুনের দায়ে সে গ্রেপ্তার হয়। কোয়েল মল্লিককে এখানে এক সাহসী নারীর ভূমিকায় দেখানো হয়েছে যে কিনা বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে।
এটি মূলত কন্নড় ভাষার সিনেমা ইউ-টার্ন এর রিমেক। যদি ইউ-টার্ন দেখা থাকে তবে এই সিনেমায় নতুন কিছু আশা করা যায় না। তবে নতুন দর্শক হলে বাংলা থ্রিলার মুভি হিসেবে এই সিনেমাটি দেখাই যায়।
এছাড়াও আরও বেশকিছু সিনেমা রয়েছে তবে এটা মূলত থ্রিলার বাংলা সিনেমার একটি লিস্ট। গল্পগুলো অব্যশই আপনার মুহূর্তগুলোকে রোমঞ্চকর ও আনন্দদায়ক করে তুলবে।
৩ বছর আগে