রুল জারি
এমপি মুর্শেদীর দখল করা বাড়ি উদ্ধারে সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় হাইকোটের রুল জারি
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুস সালাম মুর্শেদীর অবৈধ দখল থেকে একটি বাড়ি মুক্ত করতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার জনস্বার্থে করা একটি রিটের শুনানিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে রাজধানীর গুলশানের পরিত্যক্ত বাড়িটি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর কাছে বরাদ্দ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র জমা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব এবং খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুর্শেদীকে হলফনামায় ১০ দিনের মধ্যে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব: প্রধানমন্ত্রী
জনস্বার্থে এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আগামী ১৩ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, গুলশানের পরিত্যক্ত বাড়িটি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি হলেও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাজউকের সহায়তায় তা অবৈধভাবে দখল করেছেন।
এর তদন্ত চেয়ে গত ৩০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রিট আবেদন করেন।
পিটিশন অনুযায়ী, গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালে সরকার পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।
মুর্শেদীর বাড়িটি অবৈধ দখলের ব্যাখ্যা চেয়ে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাজউকে পাঠানো তিনটি চিঠি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল।
রাজউক চেয়ারম্যান চিঠির জবাব না দেয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিপুল জনসমাগম
আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ভয়ংকর স্বৈরাচারী’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি
২ বছর আগে
নাটক-শর্টফিল্ম-ওয়েব সিরিজ প্রচারে সেন্সর বোর্ড গঠনে রুল জারি
টিভি এবং ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে নাটক,শর্ট ফিল্ম এবং ওয়েব সিরিজ প্রচারের ক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ড গঠন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে টিভি এবং ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে নাটক, শর্ট ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ প্রচারের ক্ষেত্রে একটি সেন্সর বোর্ড বা রেগুলেটরি কমিশন বা কন্ট্রোলটিং বডি বা অথরিটি বোর্ড গঠন করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: স্বাধীন পুলিশ তদন্ত কমিশন গঠন নিয়ে রুল জারি
চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান,‘ঘটনা সত্য’র প্রযোজক এবং পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৪ নভেম্বর পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেইনিং সেন্টার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এ রিট করেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নুসরাত জাহান, মো.তারিকুল ইসলাম (তারেক) ও মোশাররফ হোসেন মনির।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি
পরে নুসরাত জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ এর ৬ষ্ঠ অধ্যায় অনুযায়ী একটি সম্প্রচার কমিশন গঠন করার কথা। কিন্তু এ কমিশনটি এখন পর্যন্ত গঠন হয়নি। আপনারা অবগত আছেন কোরবানির ঈদের সময় একটি নাটক প্রচারিত হয়েছিল ‘ঘটনা সত্য’। ওই নাটকে একটি সংলাপ এসেছে। এটা মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এটা খুবই আপত্তিকর (প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে)। এটা নিয়ে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। কিন্তু সব সময় তো সম্ভব না। এ কারণে জনস্বার্থে এ রিট করা হয়েছে। আমরা চেয়েছি যাতে সম্প্রচার কমিশনটা করা হয়। আদালত রুল জারি করেছেন।’
২ বছর আগে
স্বাধীন পুলিশ তদন্ত কমিশন গঠন নিয়ে রুল জারি
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য স্বাধীন পুলিশ তদন্ত কমিশন কেন গঠন করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করছেন আদালত।
রবিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে স্বাধীন ‘পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১০২ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির চলতি বছরের ১ মার্চ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
রিটের সংযুক্তিতে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত পুলিশ কর্তৃক সংগঠিত ৫০০ ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিজেন্সির কবির-ফাহিমের জামিন বিষয়ে আদালতের ব্যাখ্যা তলব
নোটিশের সাথে উক্ত ঘটনাসমূহ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে পুলিশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অংশ বিচারবহির্ভূত হত্যা; হেফাজতে মৃত্যু; হেফাজতে নির্যাতন; গুম, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়; খুন, মারধর, হুমকি ও হয়রানি; ধর্ষণ, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন; চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও লুটপাট; চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়; জমি দখল ও সম্পত্তি বিনষ্টকরণ; মাদক ব্যবসা ও উদ্ধারকৃত মাদক আত্মসাৎ; স্বেচ্ছাচারী আটক ও আটক বাণিজ্য; অপরাধীদের আশ্রয়, প্রশ্রয় ও টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া; মামলা নিতে গড়িমসি ও মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ; মিথ্যা ও পাল্টা মামলা দিয়ে হয়রানি; তদন্তে গাফিলতি, হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণ; সাংবাদিক নির্যাতন; কর্তব্যে অবহেলা, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিনষ্টকরণ ও আসামিদের নাম বাদ দেয়া এবং নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতিতে দুর্নীতিসহ মোট ১৮ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। উক্ত রিটে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর দুর্বলতা এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন তদন্ত কমিশনের অভাবকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
বর্তমান আইনি কাঠামোতে পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তভার পুলিশের ওপরেই ন্যস্ত। ফলে বিচারের প্রাথমিক ধাপ ‘তদন্ত’ সঠিক ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয় না। প্রস্তাবিত পুলিশ অধ্যাদেশ ২০০৭ এর ৭১ দফায় ‘পুলিশ কমপ্লেইন্ট কমিশন’ গঠনের বিধান ছিল। কিন্তু সেই অধ্যাদেশ আজও আলোর মুখ দেখেনি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনে পুলিশ কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ তদন্ত করতে আলাদা কর্তৃপক্ষ/কমিশন গঠনের জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, কেনিয়া, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, গ্রিস, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ফিনল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, হাঙ্গেরি, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস ও মাল্টাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন কার্যকর আছে।
আরও পড়ুন: পরিবেশের ডিজিসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
২০০৬ সালে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বিখ্যাত প্রকাশ সিং বনাম ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া মামলায় পুলিশ ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য সাত দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল একজন বিচারপতির নেতৃত্বে ‘পুলিশ কমপ্লেইন্ট অথরিটি’ গঠন। নির্দেশনা মেনে ইতোমধ্যে ২৭ অঙ্গরাজ্যে ‘পুলিশ কমপ্লেইন্ট অথরিটি’ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের কমিশন বা কর্তৃপক্ষ গঠনের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। ক্ষেত্রবিশেষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার, পুলিশ রিমান্ড ও পুলিশের পেশাদারিত্বের উন্নয়নে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ (৩) ও ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যক্তির মৌলিক অধিকার।
২ বছর আগে
রিজেন্টের সাহেদকে কেন জামিন দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
অর্থপাচার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে চার সপ্তাহের মধ্যে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে সাহেদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদ ও মাসুদের ৫৮টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ
গত বছর ২৫ আগস্ট সাহেদ ও তার সহযোগী পারভেজের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় অর্থপাচারের অভিযোগে সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন মামলাটি করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিআইডি জানায়, সাহেদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৪৩টি ব্যাংক হিসাবে ৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা জমা ছিল। এর মধ্যে তিনি ৯০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা তুলে নেন। ঋণের ৮০ লাখ টাকাসহ এ মুহূর্তে তার ব্যাংক হিসাবগুলোয় জমা আছে ২ কোটি ৪ লাখ টাকার মতো।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদকে নিয়ে সাতক্ষীরা সীমান্তে র্যাব
করোনার চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে ২৫ আগস্ট তার বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। সার্টিফিকেট জাল করা সাহেদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে অস্ত্র মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
৩ বছর আগে
রোগীদের অভিযোগ তদারকিতে কমিশন কেন নয়: হাইকোর্ট
হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবায় অব্যবস্থাপনা নিয়ে রোগীদের অভিযোগ তদারকির জন্য হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে
ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
গত ১ এপ্রিল থেকে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হাইকোর্টের রুল
‘বিবাহিত মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্বামীর স্থায়ী ঠিকানাকে প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে’ বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জারি করা শর্ত কেন আইনগত বর্হিভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে