রুল জারি
নবজাতকের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুল
রাজধানীর ডেলটা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে পাঁচ দিন বয়সী নবজাতকের হাত ভাঙার অভিযোগে চিকিৎসা অবহেলায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে চিকিৎসায় অবহেলায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই নবজাতকের হাত ভাঙার অভিযোগের তদন্ত করে আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবজাতকের বাবার করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন বলে জানান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. শফিকুল ইসলাম (সোহেল)।
গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর ডেলটা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচ দিন বয়সী নবজাতকের চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগে শিশুর পিতা মো. নূরের সাফাহ্ পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে হাইকোর্টে রিট করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ‘নি হাও! চায়না-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী’ সেমিনার অনুষ্ঠিত
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল সাত দিনের নবজাতকের শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এ কে খাইরুল আনাম চৌধুরীর অধীনে ভর্তি করেন মিরপুরের বাসিন্দা নবজাতকের বাবা মো. নূরের সাফাহ্। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ নবজাতকের বাবার। বিষয়টি নিয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শিশুর বাবা নূরের সাফাহ্ বলেন, গত ৩ এপ্রিল সাত দিনের নবজাতকের বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি থাকায় ডেলটা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি ফটোথেরাপি দেওয়ার জন্য। ভর্তির পরপরই তারা জানায় যে, দীর্ঘ সময় নিরবচ্ছিন্নভাবে থেরাপি দেওয়ার জন্য তারা দুই থেকে তিনবার ব্রেস্ট ফিডিং করতে দেবে এবং বাকি সময় ব্রেস্ট পাম্প করে তাদের কাছে দিলে তারাই নিজ দায়িত্বে বাচ্চাকে খাইয়ে নেবে। ট্রিটমেন্ট চলাকালীন সময়ে কেউ বাচ্চার কাছে যেতে পারবে না এবং দেখতে পারবে না। রাত ১২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত মা ও বাচ্চার কাছে যেতে পারবে না।
তাদের নিয়ম অনুযায়ী, আমার স্ত্রী বাচ্চাকে রাত ১২টায় স্বাভাবিকভাবে খাইয়ে দিয়ে আসে। সকাল ৭টায় তারা পুনরায় তাকে খাওয়ানোর জন্য ডেকে নিয়ে গেলে আমার স্ত্রী অনেক চেষ্টা করেও খাওয়াতে পারেনি, কারণ বাচ্চা ঘুমাচ্ছিল এবং কোনোভাবেই ঘুম থেকে উঠছিল না। কর্তব্যরত নার্স জানায় যে, ঘুম থেকে উঠলে খাওয়ানোর জন্য ডেকে দেবে। তখন সে আবারও ব্রেস্ট পাম্প করে তাদের নিকট খাওয়ানোর জন্য দিয়ে আসে।
তিনি বলেন, পরের দিন সকাল ১০টায় ডিউটি চিকিৎসক জানায় যে বাচ্চার বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তাকে রিলিজ দিয়ে দেবে—আমরা যেন বিল ক্লিয়ার করে আসি। ১১টার দিকে তারা বাচ্চাকে তার মায়ের কাছে দিয়ে যায় এবং জানায় যে বাচ্চার ডান হাতে ক্যানোলা পরানোর কারণে ব্যথা আছে, তাই এই হাত যেন কম নাড়ানো হয়। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো যে তখনো বাচ্চা ঘুমাচ্ছিল এবং পুরো শরীর কাঁথা দিয়ে মোড়ানো ছিল। বাসায় নিয়ে আসার পর কাঁথা থেকে বের করে খাওয়ানোর চেষ্টা করার সময় দেখা যায় যে বাচ্চার ডান হাত কনুইয়ের উপরে ভাঙা, যেটা স্পর্শ করলেই সে মারাত্মকভাবে কান্না করছে।
হাত ভাঙা থাকার বিষয়টি বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই দুপুর ১২টার সময় আমরা পুনরায় তাকে ডেলটা মেডিকেল কলেজের নিয়োনেটাল ওয়ার্ডে নিয়ে যাই, যেখানে সে ভর্তি ছিল। তাদেরকে দেখানোর পর ডিউটি চিকিৎসক জানায় যে, সে নিজে চেক করে দিয়েছিলো ডিসচার্জ করার আগে এবং তাদের দাবি আমরা বাসায় নেওয়ার পর টানাটানি করে হাত ভেঙে ফেলেছি।
মনে হচ্ছিল, মোবাইল কেনার মতো কেন চেক করে বাচ্চা নেইনি, সেটা আমাদের অপরাধ—যোগ করেন নবজাতকের বাবা মো. নূরের সাফাহ্।
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর-তালাবদ্ধ
তিনি বলেন, এ পর্যায়ে তারা একটি এক্স-রে করার পরামর্শ দিয়ে আমাদের শ্যামলীর পঙ্গু হাসপাতালে যেতে বলে, কারণ তাদের ওখানে এক্স-রে করার সুযোগ নাকি নেই। এ পর্যায়ে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়ে চলে আসি, কারণ বাচ্চার ট্রিটমেন্ট আমাদের কাছে জরুরি ছিল। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত ট্রিটমেন্ট চলাকালীন বাচ্চা ঘুমিয়েই ছিল এবং কোনোভাবেই তাকে খাওয়ানো যায়নি। সন্ধ্যার পরপরই বাচ্চা স্বাভাবিক হওয়া শুরু করে এবং খাওয়া শুরু করে। যেহেতু রাত ১২টায়ও বাচ্চা স্বাভাবিক ছিল এবং খাওয়াতে পেরেছে, কিন্তু সকাল ৭টায় পুনরায় দেখার পর থেকে সে ঘুমিয়েই কাটিয়েছে—তাতে আমাদের ধারণা, রাতের কোনো এক সময়ে হাত ভেঙেছে এবং সেটা স্বাভাবিক দেখানোর জন্য তাকে কোনো ধরনের সিডেটিভ ব্যবহার করে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল যেন আমরা না বুঝতে পারি।
১১৫ দিন আগে
রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো নিয়ে রুল জারি
রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো বিধানের বৈধ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিষয়ে যুক্ত করা বিধান কেন ১৯৭২ সালের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) গীতিকবি, লেখক শহীদুল্লাহ ফরায়জীর করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে আট সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে বুধবার (১১ মার্চ) রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক।
আইনজীবী বলেন, ‘সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর আগে প্রধান বিচারপতিকে শপথ পাঠ করাতেন রাষ্ট্রপতি, আর রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করাতেন প্রধান বিচারপতি। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির শপথ পাঠ করানোর বিধানে পরিবর্তন আনা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার। পরে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিধান বাতিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করাবেন স্পিকার, সেই বিধান ফিরিয়ে আনা হয়। তাই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে আদালত আজ রুল জারি করেছেন।’
এর আগে গত সোমবার কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট শহীদুল্লাহ ফরায়েজী এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদেনে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘রাষ্ট্রপতির শপথে প্রধান বিচারপতির অনিবার্যতা’ শীর্ষক প্রকাশিত একটি কলামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেটি লিখেছেন রিটকারী শহীদুল্লাহ ফরায়জী।
আরও পড়ুন: সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
ওই কলামের একটি অংশে বলা হয়, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে রাষ্ট্রপতি বা প্রেসিডেন্টকে শপথ বাক্য পাঠ করান সেই দেশের প্রধান বিচারপতি। সংসদীয় সরকার পদ্ধতি বা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতির দেশেও রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতির নিকট।
এটা বিশ্বব্যাপী সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত রেওয়াজ। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার। রাষ্ট্রের প্রধানের শপথ গ্রহণের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে উপেক্ষা করা প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের তিন বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য বিনষ্ট করা। এতে সংবিধানের গভীর দার্শনিক ভিত্তি থেকে রাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই দার্শনিক ভিত্তি হচ্ছে- রাষ্ট্রপতি সংসদের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে প্রধান বিচারপতির নিকট শপথ গ্রহণ করে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য সাংবিধানিক নির্দেশনা।
রাষ্ট্রপতির প্রধান বিচারপতির নিকট শপথ বাক্য পাঠ করার এই বাধ্যবাধকতা এবং মহিমান্বিত সাংবিধানিক মর্যাদা প্রজাতন্ত্রের কেউ বিনষ্ট করতে পারেন না, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তা করেছে।
সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই আইন বলবৎ করা হয়েছে, যা প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে চরমভাবে সাংঘর্ষিক। এটা আইন ও বিচারবিভাগের প্রতি ছিল আওয়ামী সরকারের অসম্ভব বিদ্বেষমূলক আচরণ প্রকাশের নজির— যা সাংবিধানিক ন্যায্যতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে।
‘৭২ সালের সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য ও প্রধান বিচারপতির মর্যাদা সুরক্ষার প্রশ্নে শপথ ও ঘোষণার তৃতীয় তফসিলে বলা হয়েছিল— ‘রাষ্ট্রপতি, স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের শপথ প্রধান বিচারপতি কর্তৃক পরিচালিত হইবে।’ এগুলো আইনবিভাগ ও শাসনবিভাগের সঙ্গে বিচারবিভাগের ভারসাম্যপূর্ণ নীতি, যা সংবিধান প্রণয়নের সময়ই চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত।
১৯৭২ সালের সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য এবং চরিত্র যতোটুকু সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল, আওয়ামী লীগ অতি দ্রুত তা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশ নামক প্রজাতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ নামক দলটি কীভাবে দেখতে চায়— তার প্রতিফলন ঘটেছে তাদের আনীত সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চদশ সংশোধনীতে। রাষ্ট্রপতির শপথ স্পিকারের নিকট; এমন দেশ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর । বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য পুনরুদ্ধারে— রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের শপথ প্রধান বিচারপতি কর্তৃক পরিচালিত হবে, এ বিধান বাংলাদেশে আবার চালু বা পুনর্বহাল করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের গণতান্ত্রিক ও শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিকাশের স্বার্থেই তা করা প্রয়োজন।
২৬৮ দিন আগে
এমপি মুর্শেদীর দখল করা বাড়ি উদ্ধারে সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় হাইকোটের রুল জারি
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুস সালাম মুর্শেদীর অবৈধ দখল থেকে একটি বাড়ি মুক্ত করতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার জনস্বার্থে করা একটি রিটের শুনানিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে রাজধানীর গুলশানের পরিত্যক্ত বাড়িটি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর কাছে বরাদ্দ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র জমা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব এবং খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুর্শেদীকে হলফনামায় ১০ দিনের মধ্যে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব: প্রধানমন্ত্রী
জনস্বার্থে এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আগামী ১৩ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, গুলশানের পরিত্যক্ত বাড়িটি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি হলেও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাজউকের সহায়তায় তা অবৈধভাবে দখল করেছেন।
এর তদন্ত চেয়ে গত ৩০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রিট আবেদন করেন।
পিটিশন অনুযায়ী, গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালে সরকার পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।
মুর্শেদীর বাড়িটি অবৈধ দখলের ব্যাখ্যা চেয়ে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাজউকে পাঠানো তিনটি চিঠি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল।
রাজউক চেয়ারম্যান চিঠির জবাব না দেয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিপুল জনসমাগম
আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ভয়ংকর স্বৈরাচারী’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি
১১২৯ দিন আগে
নাটক-শর্টফিল্ম-ওয়েব সিরিজ প্রচারে সেন্সর বোর্ড গঠনে রুল জারি
টিভি এবং ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে নাটক,শর্ট ফিল্ম এবং ওয়েব সিরিজ প্রচারের ক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ড গঠন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে টিভি এবং ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে নাটক, শর্ট ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ প্রচারের ক্ষেত্রে একটি সেন্সর বোর্ড বা রেগুলেটরি কমিশন বা কন্ট্রোলটিং বডি বা অথরিটি বোর্ড গঠন করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: স্বাধীন পুলিশ তদন্ত কমিশন গঠন নিয়ে রুল জারি
চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান,‘ঘটনা সত্য’র প্রযোজক এবং পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৪ নভেম্বর পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেইনিং সেন্টার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এ রিট করেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নুসরাত জাহান, মো.তারিকুল ইসলাম (তারেক) ও মোশাররফ হোসেন মনির।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি
পরে নুসরাত জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ এর ৬ষ্ঠ অধ্যায় অনুযায়ী একটি সম্প্রচার কমিশন গঠন করার কথা। কিন্তু এ কমিশনটি এখন পর্যন্ত গঠন হয়নি। আপনারা অবগত আছেন কোরবানির ঈদের সময় একটি নাটক প্রচারিত হয়েছিল ‘ঘটনা সত্য’। ওই নাটকে একটি সংলাপ এসেছে। এটা মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এটা খুবই আপত্তিকর (প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে)। এটা নিয়ে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। কিন্তু সব সময় তো সম্ভব না। এ কারণে জনস্বার্থে এ রিট করা হয়েছে। আমরা চেয়েছি যাতে সম্প্রচার কমিশনটা করা হয়। আদালত রুল জারি করেছেন।’
১৪৬৭ দিন আগে
স্বাধীন পুলিশ তদন্ত কমিশন গঠন নিয়ে রুল জারি
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য স্বাধীন পুলিশ তদন্ত কমিশন কেন গঠন করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করছেন আদালত।
রবিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে স্বাধীন ‘পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১০২ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির চলতি বছরের ১ মার্চ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
রিটের সংযুক্তিতে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত পুলিশ কর্তৃক সংগঠিত ৫০০ ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিজেন্সির কবির-ফাহিমের জামিন বিষয়ে আদালতের ব্যাখ্যা তলব
নোটিশের সাথে উক্ত ঘটনাসমূহ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে পুলিশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অংশ বিচারবহির্ভূত হত্যা; হেফাজতে মৃত্যু; হেফাজতে নির্যাতন; গুম, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়; খুন, মারধর, হুমকি ও হয়রানি; ধর্ষণ, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন; চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও লুটপাট; চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়; জমি দখল ও সম্পত্তি বিনষ্টকরণ; মাদক ব্যবসা ও উদ্ধারকৃত মাদক আত্মসাৎ; স্বেচ্ছাচারী আটক ও আটক বাণিজ্য; অপরাধীদের আশ্রয়, প্রশ্রয় ও টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া; মামলা নিতে গড়িমসি ও মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ; মিথ্যা ও পাল্টা মামলা দিয়ে হয়রানি; তদন্তে গাফিলতি, হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণ; সাংবাদিক নির্যাতন; কর্তব্যে অবহেলা, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিনষ্টকরণ ও আসামিদের নাম বাদ দেয়া এবং নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতিতে দুর্নীতিসহ মোট ১৮ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। উক্ত রিটে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর দুর্বলতা এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন তদন্ত কমিশনের অভাবকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
বর্তমান আইনি কাঠামোতে পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তভার পুলিশের ওপরেই ন্যস্ত। ফলে বিচারের প্রাথমিক ধাপ ‘তদন্ত’ সঠিক ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয় না। প্রস্তাবিত পুলিশ অধ্যাদেশ ২০০৭ এর ৭১ দফায় ‘পুলিশ কমপ্লেইন্ট কমিশন’ গঠনের বিধান ছিল। কিন্তু সেই অধ্যাদেশ আজও আলোর মুখ দেখেনি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনে পুলিশ কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ তদন্ত করতে আলাদা কর্তৃপক্ষ/কমিশন গঠনের জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, কেনিয়া, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, গ্রিস, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ফিনল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, হাঙ্গেরি, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস ও মাল্টাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন কার্যকর আছে।
আরও পড়ুন: পরিবেশের ডিজিসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
২০০৬ সালে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বিখ্যাত প্রকাশ সিং বনাম ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া মামলায় পুলিশ ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য সাত দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল একজন বিচারপতির নেতৃত্বে ‘পুলিশ কমপ্লেইন্ট অথরিটি’ গঠন। নির্দেশনা মেনে ইতোমধ্যে ২৭ অঙ্গরাজ্যে ‘পুলিশ কমপ্লেইন্ট অথরিটি’ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের কমিশন বা কর্তৃপক্ষ গঠনের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। ক্ষেত্রবিশেষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার, পুলিশ রিমান্ড ও পুলিশের পেশাদারিত্বের উন্নয়নে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ (৩) ও ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যক্তির মৌলিক অধিকার।
১৪৬৮ দিন আগে
রিজেন্টের সাহেদকে কেন জামিন দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
অর্থপাচার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে চার সপ্তাহের মধ্যে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে সাহেদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদ ও মাসুদের ৫৮টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ
গত বছর ২৫ আগস্ট সাহেদ ও তার সহযোগী পারভেজের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় অর্থপাচারের অভিযোগে সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন মামলাটি করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিআইডি জানায়, সাহেদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৪৩টি ব্যাংক হিসাবে ৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা জমা ছিল। এর মধ্যে তিনি ৯০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা তুলে নেন। ঋণের ৮০ লাখ টাকাসহ এ মুহূর্তে তার ব্যাংক হিসাবগুলোয় জমা আছে ২ কোটি ৪ লাখ টাকার মতো।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদকে নিয়ে সাতক্ষীরা সীমান্তে র্যাব
করোনার চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে ২৫ আগস্ট তার বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। সার্টিফিকেট জাল করা সাহেদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে অস্ত্র মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
১৫০১ দিন আগে
রোগীদের অভিযোগ তদারকিতে কমিশন কেন নয়: হাইকোর্ট
হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবায় অব্যবস্থাপনা নিয়ে রোগীদের অভিযোগ তদারকির জন্য হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
১৮৭৮ দিন আগে
ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
গত ১ এপ্রিল থেকে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
১৮৮৬ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হাইকোর্টের রুল
‘বিবাহিত মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্বামীর স্থায়ী ঠিকানাকে প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে’ বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জারি করা শর্ত কেন আইনগত বর্হিভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
২১৬৫ দিন আগে