একই সঙ্গে ‘সহকারী পরিচালক (জেনারেল)’ পদে নিয়োগের ওই শর্ত মুছে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জনস্বার্থে দুটি সংগঠনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন সচিব, বাণিজ্য সচিব, অর্থ বিভাগের সচিবসহ ৫ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনুন্নাহার সিদ্দিকা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ১ ডিসেম্বর ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তির ১৪ নম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, ‘বিবাহিত মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্বামীর স্থায়ী ঠিকানাকে প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করতে হবে’। এটি সংবিধানে উল্লিখিত নারী-পুরুষ সমতার লঙ্ঘন। সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, (১) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না। (২) রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন।
‘২৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, (১) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদলাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে। (২) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদলাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না।’ এ জন্য রিট করা হয়। এরপর আদালত রুল জারি করেছে বলে জানান আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।
আদালতে আবেদনটি দায়ের করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও নারীপক্ষ। আবেদনে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে নারীর ঠিকানার শর্তের সমালোচনা’ শীর্ষক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনও যুক্ত করা হয়।